ধূম পান কি ? এবং কেনইবা নিষিদ্ধ
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:৩৫:২৮ দুপুর
ধূমপান হচ্ছে তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি বিশেষ উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে শ্বাসের সাথে তার ধোয়া শরীরে গ্রহণের প্রক্রিয়া। সাধারণ যেকোনো দ্রব্যের পোড়ানো ধোঁয়া শ্বাসের সাথে প্রবেশ করলে তাকে ধূমপান বলা গেলেও মূলত তামাকজাতীয় দ্রব্যাদির পোড়া ধোঁয়া গ্রহণকেই ধূমপান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিকগণসহ মোটামুটি সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত যে, ধূমপান যক্ষ্মা, ফুসফুসের ক্যান্সার সহ নানা রোগের অন্যতম প্রধান কারণ এবং ধারক ও বাহক।
'ধূমপান' শব্দটি 'ধূম' এবং 'পান' শব্দদ্বয়ের সমন্বয়ে গঠিত। ধূম হলো 'ধোঁয়া' বা বাষ্পের প্রতিশব্দ। যেহেতু তামাকজাতীয় পদার্থের ধোঁয়া গ্রহণ করা হয় বা পান করা হয়, তাই একে 'ধোঁয়া পান' করা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সে হিসেবে ধূমপান শব্দটি গঠিত।গবেষণায় দেখা গেছে সিগারেটের ধূমপানে নিকোটিনসহ ৫৬টি বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বিরাজমান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ২০১০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বের ১৯২টি দেশে পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিজে ধূমপান না করলেও অন্যের ধূমপানের (পরোক্ষ ধূমপান) প্রভাবে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৬,০০,০০০ মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে ১,৬৫,০০০-ই হলো শিশু। শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নিউমোনিয়া ও অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ে। এছাড়া পরোক্ষ ধূমপানের কারণে হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার সহ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগও দেখা দেয়। গবেষণায়ও এও বেরিয়ে এসেছে যে, পরোক্ষ ধূমপান পুরুষের তুলনায় নারীর উপর বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৮১,০০০ নারী মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে পরিচালিত এজাতীয় আরেকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিলো যে, পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের ৪০% শিশু, ৩৩% অধূমপায়ী পুরুষ এবং ৩৫% অধূমপায়ী নারী রয়েছেন। তাতে এও ফুটে ওঠে যে, পরোক্ষ ধূমপানের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির স্বীকার হচ্ছেন ইউরোপ ও এশিয়ার মানুষ।[১]
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে ধূমপানের ফলে জরিমানা হিসেবে ৳৫০ (পঞ্চাশ টাকা) দিতে হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এছাড়া পরিবেশগত নীতিমালা অনুযায়ী সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সিগারেট, বিড়ি ইত্যাদি তামাকজাতীয় দ্রব্যের মোড়কে 'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর' কিংবা 'ধূমপান হৃদরোগের কারণ' লেখা বাধ্যতামূলক।
বিভিন্ন দেশে ধুম পান আইন করে নিষিদ্ধ !
1} ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫' গঠন করে জনসমক্ষে ধুমপাননিষিদ্ধ করা হয়েছিল
{ 2 } নেপালে রেস্টুরেন্ট, বার ও অন্যান্য লোকসমাগম এলকাগুলোতে ধূমপান নিষিদ্ধ করছে সরকার। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে সব ধরনের তামাকের বিজ্ঞাপনও।
তরুণ স�প্রদায়কে ধূমপান থেকে ফেরাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সরকার মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে।
ধূমপান-বিরোধী একটি নতুন বিলে ১৬ বছরের কম বয়সী যে কারো জন্য ধূমপান অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। সেইসঙ্গে সিগারেটের প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বার্তা বাধ্যতামূলক করা হবে।
তাছাড়া, আইন অমান্যকারী ব্যক্তিদের জন্য ৫ হাজার রুপি এবং তামাক কোম্পানীগুলোর জন্য ১ লাখ রুপি জরিমানাও ধার্য করা হবে নতুন আইনে।
এএফপিকে একথা জানিয়েছেন নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বাল সাগর গিরি। বিলটি নিয়ে স�প্রতি পার্লামেন্টে বিতর্ক চলছে বলেও জানান তিনি।
গিরি বলেন, "তামাকের বিজ্ঞাপনে তরুণরা খুব বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। এর অবসান হওয়া দরকার।"
কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার এটিই মোক্ষম সময় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নেপালে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার লোক ধূমপানজনিত রোগে মারা যায়।
২০০৬ সালে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে জনসমাগম এলাকায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা এবং গণমাধ্যমে সব ধরনের তামাকের বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু এ আইন কখোনো বাস্তবায়িত হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ধূমপানের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৫০ লাখ লোক মারা যায়।
আগামী দুই দশকে ধূমপানের কারণে প্রায় এক কোটি লোক মারা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে উন্ন্য়নশীল দেশগুলোতে মারা যাবে ৭০ শতাংশ মানুষ।
{ 3 } মস্কো: জনসমক্ষে ধূমপান নিষিদ্ধে আইন করতে যাচ্ছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ বিষয়ে একটি বিলে সম্মতি দিয়েছেন।
নতুন আইনে খাবার হোটেল, ট্রেন, জনাকীর্ণ হলরুম ইত্যাদি স্থানে ধূমপান করা যাবে না। খবর: বিবিসি।
জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে দেশটির সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। রাশিয়া সবচেয়ে বেশি ধূমপানকারী দেশগুলোর একটি। দেশটির ১০ জনের ৪ জনই ধূমপায়ী।
রাশিয়ার পার্লামেন্ট ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এ বিষয়ে একটি বিল পাস করার সময় রাষ্ট্রীয় পরিষদ ডুমার একজন সদস্য এর বিরোধিতা করেছিল।
খবরে বলা হয়েছে, ১ জুন থেকে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত ও তামাক সেবন থেকে জনগণকে বাঁচাতে এ আইন শক্তভাবে কার্যকর করা হবে।
ওই তারিখের ১৫ দিন আগে থেকে স্টেশন, বিমানবন্দর, মেট্রো স্টেশন, বন্দর ও কর্মস্থলে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হবে। এছাড়া সমুদ্র সৈকত ও ছেলে-মেয়েদের খেলার মাঠেও ধূমপান নিষিদ্ধ করা হবে।
এছাড়া এক বছর পরে ধূমপান ট্রেন, জাহাজ, হোটেল, খাবার হোটেল, বার, ক্যাফে, দোকান, বাজার ও সাইবেরিয়ান রেলওয়েতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে।
এই ধূমপান বিলের আন্ডারে সকল প্রকার তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি ও প্রচারের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে।
আরটিএনএন/এএসএ/এমআই_ ১৭৪৬ ঘ.
{}4
চীনে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চীনে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ ধূমপান করেন। আর ধূমপানজনিত রোগে প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। ধুমপান জনিত কারনে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে প্রকাশ্যে ধূমপানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, এ আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, হোটেল, রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড ইত্যাদি
ধূম পান হারাম :-------
এই সকল কারন ছাডাও কোরআন হাদিসের আলোকে পৃথিবীর স্বনামধন্য সকল মুফতি মোহাদ্দেস মুফাচ্ছেরীনদের মত ধূম পান সমপূন্য হারাম এতে সন্দেহের অবকাশ নেই ৷
কারন এতে সমষ্টিগত ভাবে মানব জাতির ক্ষতি ছাডা কোন উপকারই নেই সেটা হারাম হওয়াই যুক্তি যুক্ত ৷
আবার অনেকে খোঁডা যুক্তি দিয়ে থাকে যে দেশে কোন কোন আলেম যেমন ওলামালিগ নামে পরিচিত অনেক মাজার পন্থিরা ধূম পান করে মজলিসে বসে , তাহে এটা হরাম হলে ওরা পান করে কেন ?
এর একটি সহজ উত্তর হলো প্রথমত অনেক মাজার পন্থিরাতো হুক্কা , ভান,গাঁজা ,মদ জুয়ার আসরই বসায় তাই বলে কি ও গুলোকে কি কেউ জায়েয বলেন ?তদ্রুপ ধুম পান ও ৷
তাছাডা আমাকে চলতে হবে ম্যেজোরিটি হক্বপন্থি আলেম ওলামাদের কথামত ৷ কোন ভন্ড , দরবারী আলেম যারা সবদা কুফর শীরক বেদআতকে প্রশ্রয় দে তাদের কথায় নয় ৷
বিষয়: বিবিধ
২৯১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন