ভেদে মারেফাতের ভেদ উম্মোচিত। জয় বাবা জিন্দা পীর।

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নতরী ১৩ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:০০:১৮ রাত

ভেদে মারেফাত নিয়ে যাগো চুলকানী আছে, যারা ভেদে মারেফাতের মধ্যখানে শিরক খুইজা খুইজা হয়রান তাগো লাইগা নতুন খবর আছে। হুনলে মাথা ঘুইরা পইড়া যাইবেন। আগে ভাগে ডাক্তার ডাইকা রাখেন। কইতাছি কইলাম। যেই ভেদে মারেফাত লইয়া এত সমষ্যা হেই ভেদে মারেফাত পুলিশরে ফুলিশ বানাইয়া ফালাইছে। ভেদে মারেফাত তার মারেফাত দেখাইছে। জয় বাবা মারেফাত। জয বাবা জিন্দা পীর। তাইতো কই এত দুধ খাওনের পরেও বিলাই গেরেস্তের সামনে এত মেও মেও করে কেমনে। আইজকা আবার হুনলাম জসিম উদ্ধিন রহমানীরে গ্রেফতার করার পরে তিনিও ভেদে মারেফাত খুইলা দেখাইছেন যে, তিনিও জিন্দা মুরিদ। মনে হয় বেচারাও হেকমত খাটাইতে গেছিলেন। যদিও ঘটনাটা আমাগো জিন্দা মুরিদগো সাজানো বয়ান ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। হেরা জানেকেমনে মিছারে হাচা বানাইতে হইবো। জিন্দা পীরের জিন্দা মুরিদরা সারা দিন মেও মেও করলেও গিরস্তে কিছু কয়না ক্যা হেইডা লইয়া গবেষনা কইরা যহন আমার পকেটের বারোটা বাজছে, হেই টাইমে গোমরাহ শিবিরের এক নাখান্দা কর্মী , এক ছোট ভাই হুনাইলো বহুত বড় মারেফাতের কথা। একটু মনোযোগ দিয়া হুইনেন কইলাম, তাইলে বহুত পায়দা পাবেন।

আরে কইতাছি, অধৈর্য্য হইছেন ক্যান।

আমাগো সম্পাদক সাহেবরে ফোন করলাম, ভাইজান কি খবর, হরতাল কেমন হইতাছে। হেইতে কয়, আরে মিয়া আপনে কোন হানে বইয়া আমারে জালাইতাছেন। আমি কইলাম ভাই আমি বাবুর হাট পিকেটিং করতাছি। হেতো হুইন্না কয়, আপনার কি মাথা খারাপ হইছে ? কোন কাম পাননা। আমি কইলাম, ভাই এতদিন কইছেন নেতাগো বাচানের লাইগা আমরা আন্দোলন করি, হেইডা আমাগো রাজনৈতিক ব্যাপার। এসব ইসলামের কোন উপকারে আসেনা। এবার তো বুজলেন, আদালত কি কয়। সকল ক্ষমতা নাকি জনগনের, আল্লাহ মাইনাস। এবারের হরতাল আল্লাহর রবুবিয়াতের বিরুদ্ধ্যে চ্যালেজ্ঞের দাঁত ভাংগা জবাব। কেবল মাত্র জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হইলে একটা কথা মানন যাইতো, হেরা তো আমার আল্লাহর ক্ষমতার চেয়ার ধইরা ঝাকুনি দিতাছে। এই মুহুর্ত্যে প্রতিবাদ না করলে কি জবাব দিমু। আল্লাহ কইছে তোমরা আমারে সাহায্য করো, আমি তোমাদের সাহায্য করুম। এই মুহুর্ত্যে আল্লাহর কথা বলা দরকার না ভাই।

সম্পাদক কয়, বুঝলাম পুরা জোশে আছেন, কিন্তু ভাইজান কি ভাইবা দেখছেন, পুলিশ যদি একবার ধরতে পারে তাইলে যৌবন বয়সের বুড়া হইয়া যাইবেন, বিনা চিকিৎসায় মারা যাইবেন। আমি কইলাম ভাই চিন্তা নাই, হেইডারও ব্যবাস্থা কইরা রাখছি। পুলিশ আমারে ধরবো আর ছারবো। পুলিশরে ফুলিশ বানানোর মারেফাত বুইঝা গেছি। আল্লাহ আমাগো রে এত বড় নেয়ামত দিয়া রাখছে হেইডা যে, আমাগো গোমরাহ পোলাপানগুলো কেন বুঝতাছে না হেইডাই বুঝি না। আপনে কোন চিন্তা কইরেন না। যা কিছু হয় আল্লাহর তরফ থেকে হয়, এটাও ওপর বিশ্বাসই হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আমিও এই বিশ্বাসে আছি।

বেচারা আমার উল্টাপাল্টা কথা হুইন্না কয়, আপনার কি মাথা খারাপ হইছে। পুলিশ এই মুহুর্ত্যে দাড়ি টুপি ওয়ালা যারে ধরবো, তারে বারো শিকের আগে তেরো শিখ দেখাইয়া দিবো। আমি কইলাম ভাই চিন্তা কইরেন না। ফেরাউনের রাজত্ব্যে আল্লাহ পাক মুসা আ এর মতো এহনও কিছু জিন্দা অলি রাইখা দিছে। কোন ভয় নাই। মরার পরেও যে অলীরা জিবিত থাকেন হেইডা আমি এহন হারে হারে টের পাইতাছি। হেগো মারেফাতের কি যে আছর ভাইজান না দেখলে বুঝতেই পারবেন না। জিন্দা পীরের থেইকা র্মুদা পীরের ক্ষমতা অনেক বেশি হয় হেইডা আবারো ভেদে মারেফাত প্রমান ফরমাইলো।

আরে ভাই চেতেন ক্যা, আসল কথা কইতাছি তো। একটু গুছাইতে হইপ না। সময় দিবেন না। আপনারা পারেনও।

তয় হইছে কি আপনাগো কই। আমার এক ছোট ভাই, রক্তের সম্পর্কে না দ্বীনি ভাই। হেরে পুলিশে ধরছিলো, পড়ে কয়েক মিনিট পড়ে ছাইরা দিছে। পুলিশ ধরার পরে হেয় কোন কথা কয়না। কেবল কান্দে। পুলিশ কয় কি রে তোর লগে কি আছে, বার কর। (হেরা তো আবার জিহাদী বই মানে কোরআন হাদিসের মতো গোমরাহ বই পাইলে আমাগো সাংবাদিক গো ডাক পারে, মনে হয় বিশ্ব জয় করার খবর দিবো।) ছোট ভাই কয়, স্যার আমারে পীর সাহেপ কইছে, জামায়াত শিবিরের হরতালের দিন ঘরের বাইরে যাবি না, তাইলে লোকজন মনে করবো সব খানেই তো জামাত শিবির আছে, হেগো সাপোর্ট বাইরা যাইবো গা। আমি হের কথা না হুইন্না কি বিপদে না পড়লাম। এ্যা এ্যা। আরে ব্যাটা থাম, মাইরের আগে কানলে পরে কি করবি, জিকির।

পুলিশ কয় দেহি তোর হাতে এইডা কি বই। জিহাদী বই লইয়া গুরুচ আবার হুজুরের মুরিদ দাবি করোছ, খারা দেখাইতাছি। পুলিশ বইটা খুইল্লা ওসির রুমে গেলোগা। কিছুক্ষন পরে ছোট ভাইরে ডাইকা নিছে। ওসি সাহেব কয়, এত ভালো বই লইয়া যে পোলা ঘোরে হেয় তো জামায়াত শিবির হইতেই পারে না। তয় মনা তুমি কিন্তু হুজুরের কথা অমান্য কইরা বড় বেয়াদপি করছো। এই জন্য কয়েকবার কানে ধরে উঠবস করো আর তাড়াতড়ি বিদায় হও। ছোট ভাই কথার লগে লগে কয়েকবার কান ধরে উঠবস করে আর মনে মনে কয় আল্লাহ যেন এমন ফালতু বই লইয়া রাস্তায় না বের করে।

আরে ভাই কইতাছি। ছোট ভাই কয়, আমাগো মসজিদের ইমাম সাহেব চ্যালেঞ্জ করছিল যে, ভেদে মারেফাতে কোন ভুল নাই, তাই পাশের এক বন্ধুর বাসা থেকে বইটা নিয়ে বাড়ি যাচিছলাম। পথিমধ্যে শিবিরের একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। আমিও যোগ দেই কিন্তু পুলিশ দৌড়ানি দিলে আমি রাস্তার পাশে দাড়াইয়া যাই। একজন পুলিশ আমার গায়ে পাঞ্জাবী দেখে আমাদের ধইরা ফালায়। থানায় নেওয়ার পরে মাথায় বুদ্ধি আসে। শুনছিলাম হুজুরের নাম লইলে পুলিশ আটকে রাখেনা। আমার লগে দাদা হুজুরের বইও আছে। সুযোগটা কামে লাগাইতে হইবে। যেই কথা হেই কাজ। পড়ের কাহিনী তো সবাই বুইজাই ফালাইছেন।

আমিও আইজকা হরতালের দিন আমার সাথে রাখছি আরেক হক্কানী গ্রুপ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অর্থ্যাৎ দরবারী আলেম সিন্নি নামধারীদের সেক্রেটারীর লেখা আহকামুল মাযার, বিষয় ভিত্তিক আল্লাহর অলীদের কেরামত সহ কয়েকটা বই । ইনশায়াল্লাহ এই সবের সাথে জিন্দা হুজুরের ভেদে মারেফাতও আছে। একটায় কাজ না হইলে আরেকটা দিয়া চালাইযা নিমু। আল্লাহর দেওয়া এই নেয়ামত আমরা ব্যবহার না করলে তিনি রাগান্বিত হপেন। বর্তমানে ফেরাউনের কাছে একমাত্র হক্কানী বলে পরিচিতএই দুই গ্রুপের কিছু বই পত্র, চাঁদার স্লিপ সাথে রাখুন সর্বদা, বলা তো যায় না কখন ফেরাউনের বাহিনী আপনাকে গোমরাহ মনে করে আক্রমন করে বসে, তখন দেখবেন এই সব কিছু রক্ষা কবচের মতো কাজ করপে। ফেরাউনের পুলিশ মুসা রে যেভাবে খ্যাতির করছে বর্তমানের নব্য ফেরাউনের কাছে আমাদের জিন্দা হুজুরেরও তেমন কদর আছে। সবারে হেকমত খাটানোর পরামর্শ দেওয়া গেল। এতেও কাজ না হলে পরবর্তিতে বার্তা কক্ষে উকি দিয়েন আরো ভালো মানের কৌশল দেওয়া হইপে।

বিষয়: বিবিধ

২৬৮০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

302472
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৯
এখনও নিষ্ক্রিয় লিখেছেন : ভাইয়া, বইটির pdf থাকলে প্লিজ লিংক দিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File