আহারে তোমার বাচ্চা হচ্ছে না!!!!
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:৫১:৫৪ সকাল
শিরোনামটি আমার নয়, পত্রিকার। শিরোনাম পড়েই মোচড় দিল মাথায় আসলেই তো ব্যথার খবর। সংসারে যদি বাচ্চাই না থাকে তা হলে সে সংসারের পূর্ণতা থাকে না। যদিও তছলিমাদের কাছে এটা কোন ব্যপার না অথবা দরকারও নাই কিন্তু যারা অনন্ত সংসার জীবনে সামাজিকতায় থাকতে চান বা জীবনের পূর্ণতা চান তাদের কাছে তো এটা অনেক বিরাট ব্যপার। আর কথায় আছে, নারীর পূর্ণতা মাতৃত্বে।
ইদানিং বেশ বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে এই বাচ্চা না হওয়ার ব্যপার গুলি। আগের দিনে গ্রামে একজন ছিল হয়তো যাদের বাচ্চা হচ্চে না অথবা কয়েকগ্রাম মিলে একজন ছিল কিন্ত এ ব্যপাগুলি এখন বেশ নরজে আসে। সংবাদ নিতে চাইলে দেখা যাবে পরিচিতি মুখগুলির মাঝে অহরহ এই সমস্যার স্বীকার। ডাক্টার দেখালে তাদের মত দুইনই ঠিক আছে স্বারীরিক কোন সমস্যা নাই কিন্তু তারপরও কেন হচ্ছে না!!!
আমি ডাক্টার না বা ডাক্টারি বিদ্যায় পারদর্শীও না। তাই এই সমস্যার জন্য ডাক্টারগণ কি মতামত দিবেন সেটিও আমি জানি না। তবে সাধারণ দৃষ্টিতে আমার কাছে যে সমস্যা গুলি মনে হয়।-
# বিয়ের পর দেরীতে বাচ্চা নেয়ার প্রবণতা-
ইদানিং অধিকাংশই দেখী বিয়ের পর সময়টা আনন্দপূর্ণ করতে বাচ্চার কথা ভাবতেও পারে না বছর পাঁচেক। পাঁচ বছর পেরুলে আবার দিনক্ষণ, মৌসুম, ব্যস্ততা ইত্যাদি করে কাটায় আরো বছর দুয়েক। ততদিনে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধে চলে জীবন।
আবার আমাদের সমাজে বেশ প্রখর রূপধারন করেছে প্রেম রিলেশন; লিভটুগেদার নামক অবৈধ যৌনচার আর সেগুলি বিদেশী সিরিয়াল আর আধুনিকতার দখিনা বাতাস রক্ষা করতে গিয়ে হাত বাড়ায় বিভিন্ন জন্ম নিয়ন্ত্রণ অষুধের দিকে।
আর যখন তারা অতিআগ্রহ হয় বাচ্চার জন্য তখন আর সিপে বাধে না মাছ।
# গর্ভপাত-
বিয়ের পর দেখা যায় অনেকেই গর্ভপাত ঘটিয়ে ফেলে লোক লজ্জার ভয়ে; এতদ্রুত বা তারাতাড়ি বাচ্চা হলে লোকে কি বলবে বা নিজেরা একটু ভাল সময় কাটাতে পারবে না সেই চিন্তায়।
আবার এই গর্ভপাত কিন্তু ঘটিয়ে থাকে অনেকে বিয়ের আগে থেকেই পশ্চিমা স্টাইলে বয়ফ্রেড গাল ফ্রেন্ড থাকাকালিন সময় থেকে।
# প্রতিপত্তিতে প্রতিষ্ঠা-
আমাদের মাঝে বেশ প্রকপ আকার ধারণ করেছে মেয়ে আমার প্রতিষ্ঠিত হবে; ডাক্টার; ইঞ্জিনিয়ার; সচিব আহ্ মেয়ে আমার দেশ শাসন করবে আর এই শাসন যোগ্য হয়ে উঠতে বয়স হয়ে যায় ২৮/৩০ তারপর শুরু হয় পাত্রের সন্ধান গোত্র মেলে তো পাত্র মিলে না আর পাত্র মিললে বয়সে মিলে না আর এসব করতে করতেই বয়স হয় ৩৫/৩৬ তারপর তো আছে আনন্দফুর্তির পালা।
আর এই সমস্যাটা মধ্যবিত্তের মাঝে অত্যন্ত বেশী
# কাজ না করার প্রবণতা-
মেয়েরা কি ঘরের কাজের বুয়া যে ঘরের কাজ করবে!!!! অসম্ভব মেয়ে আমার শিক্ষিত কারো বাড়ীর কাজের বুয়া করে পাঠাইনি তাকে যে কাজ করবে; আর সে জন্যই থাকে কাজের বুয়া। খাবার বেলায় কিন্তু রাধারানী ৫ পড়োটায় সকালের নাস্তা। গিফ্ট অফ দা ম্যাগি গল্পের মত অবস্থা। আর নাহ হয় নাই বা বললাম তাতে আবার খাবার খোটা দেয়া হয়ে যাবে।
আর এই খাদ্যের খাদ্যগুলি শরীরে থাকে চর্বি চর্বি আর চর্বি। একে তো দেরিতে বিয়ে তারপরও অষুধে বছর পাঁচেক আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
আমার মনে হয় বাচ্চা এসমস্যা গুলিই বাচ্চা না হওয়ার জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার শিরোনাম দেখে সেই কথাই আবার মনে পড়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ।
আর এখন অবস্থা এই যে নারি পুরুষ উভয়ই তথাকথিত ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যাস্তথাকেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন