পবিত্র কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রেখে উনারা ২ জন কি বুঝাতে চাচ্ছে ?
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ১৭ আগস্ট, ২০১৪, ১১:২৭:২৭ রাত
তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দীনের এই ভিডিওতে [www.youtube.com/watch?v=kmZqNSfCLVM]
উনারা পবিত্র কোরআন শরীফের উপর তাদের এঁটো চায়ের পেয়ালা রেখেছে। ভিডিও টা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন ২ টা কোরআন এমনভাবে রাখা হয়েছে যাতে সবার চোখে পরে যে পবিত্র কোরআন শরীফের উপরই আমরা আমাদের চায়ের কাপ রেখেছি। গত ১০ই আগস্ট ওয়ার্ল্ড হিউমেনিস্ট কংগ্রেসের শেষ দিনে লন্ডনের অক্সফোর্ডে মিলিত হন তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দিন ও ব্লগার আরিফুর রহমান। আলাপচারিতার সময় অনেকটা সচেতনতার সাথেই যেন তারা পবিত্র কোরআন শরীফের উপর তাদের এঁটো চায়ের পেয়ালা রাখে। এটাই কি একজন মুক্তমনার বৈশিষ্ট্য যে দুনিয়ার এত বই থাকতে মুসলমানদের পবিত্র কোরআন শরীফের উপরেই চায়ের কাপ রাখতে হবে ? যেই সাক্ষাৎকার গনমাধ্যমে প্রচারিত হবে এরকম কোন সাক্ষাতকারে কি রিচার্ড ডকিন্স বাইবেলের উপর উনার কফির পেয়ালে রাখবেন ?
তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দীন কি রিচার্ড ডকিন্সের চেয়েও বড় মুক্তমনা হয়ে গেল যে যে দুনিয়ার এত বই থাকতে মুসলমানদের পবিত্র কোরআন শরীফের উপরেই তাদের চায়ের কাপ রাখতে হবে ? আসলে এরা কেউই নাস্তিক না এরা হচ্ছে প্রচন্ড রকমের ইসলাম বিদ্বেষী। এরা নাস্তিকতার মুখোশ পরে নিজেদের ইসলাম বিদ্বেষীতাটা প্রচার করে। ছবিটায় আপনারা একটু লক্ষ্য করে দেখেন তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দীনের পিছনেই বইয়ের অনেক বড় একটা তাক রয়েছে। সেখানে কিন্তু অনেক বড় বড় মোটা বই রয়েছে। চায়ের কাপ যদি রাখতেই হয় তাইলে উনারা অন্য কোন বইয়ের উপর রাখুক কিন্তু মুসলমানদের কোরআন শরীফের উপর কেন তারা চায়ের কাপ রাখবে ? আর তারা তো জানত তাদের এই কথোপকথনের ভিডিও টা সংবাদ মাধ্যমে আসবে তাইলে তো বুঝাই যাচ্ছে মুসলমানদের অনুভূতি কে কষ্ট দেবার জন্যই তারা এই কাজটি করেছে। আচ্ছা আজকে যদি তসলিমা নাসরিন হিন্দুদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ বেদের উপর উনার চায়ের কাপ রাখত তাইলে এখন ভারতে তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে কি পরিমান আন্দোলন শুরু হত তা কি আপনারা ভাবতে পেরেছেন ? তসলিমা নাসরিন কি আর ভারতে যেতে পারত ? অথবা এই তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দীন যদি খৃস্টানদের বাইবেলের উপর তাদের এঁটো চায়ের পেয়ালা রাখত তাইলে এখনিতো তাদের কে লাত্থি মেরে লন্ডন থেকে বের করে দেওয়া হত। তবে এটাও ঠিক তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দীন কখনোই বাইবেলের উপর তাদের চায়ের কাপ রাখবে না কারন খৃষ্টান মিশনারীদের টাকায় তারা জীবনধারণ করে। আর জীবনেও তো শুনি নাই কেউ বইয়ের উপর কিছু রেখে খায়। একমাত্র যারা ক্ষেত তারাই বইয়ের উপর থালা বাসন রেখে খাবার খায়। প্রত্যেকটা নাস্তিকই হচ্ছে এক একটা ক্ষেত যারা বইয়ের উপর চায়ের কাপ, ভাতের থালা রেখে খাবার খায়। সত্যিকথা বলতে কি Manner কি জিনিস এটা নাস্তিকরা এখনো জানে না। আসলে নাস্তিক হয় কারা ? নাস্তিকতো তারাই হয় যারা ছোটবেলা থেকেই দেখে তাঁর মা পিতার বন্ধু, অফিসের কলিগের সাথে সহবাসে লিপ্ত, তার পিতা মাতার চরিত্র ঠিক নাই। ছোট বেলা থেকেই যখন একটা ছেলে তার পিতা মাতার চরিত্রহীনতা দেখে পরে বড় হয়েই সে নাস্তিক পরিচয় দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষীতা শুরু করে। নাস্তিকদের মুখের ভাষাই বলে দেয় তাদের পিতামাতার চরিত্র কেমন ছিল। রাজীব/থাবা বাবার নূরানী চাপা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগটা যারা পড়েছেন তারা জানেন নাস্তিকদের রুচি কতটা নিম্ন। এই যে তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দীন পবিত্র কোরআন শরীফের উপর তাদের চায়ের কাপ রাখল এর দ্বারা কিন্তু বুঝা যাচ্ছে এরা খুব নিম্ন স্তরের পরিবার থেকে উঠে আসছে। কোন ভদ্র ঘরের ছেলে কখনোই কোন ধর্মগ্রন্থের উপর তার খাবারের পাত্র রাখবে না। আসলে শুধু তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দীন নয় নাস্তিক পরিচয় দানকারী প্রত্যেকটা ছেলে মেয়েই খুব নিম্ন স্তরের পরিবার থেকে উঠে এসেছে। একটা ইসলাম বিদ্বেষী যখন তার মায়ের পেটে ছিল তখন তার মা ১০ পুরুষের সাথে Sex করেছে। এইজন্যই এই নাস্তিকগুলি এমন একজন যুবকের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে আসে যেই যুবকটি তার বিবাহিত জীবনের ২৫ বছর এক ৪০ বছরের ২ বার বিয়ে হওয়া, ৩ সন্তানের মার সাথে কাটিয়ে দিয়েছে। মক্কার যেই সুদর্শন যুবকটি তার বিবাহিত জীবনের ২৫ টি বছর কাটিয়ে দিল এক প্রৌঢ়া রমনীর সাথে আজ নাস্তিকরা আসছে সেই যুবকের চরিত্রের ব্যবচ্ছেদ করতে !
আপনি ইসলাম ধর্ম মানবেন কি না মানবেন এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আপনার এই অধিকার নেই মুসলমানদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরআন শরীফের উপর আপনার চায়ের কাপ রেখে সবাইকে ভিডিও করে দেখাবেন। খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দীনের মত এত নিম্ন স্তরের মন মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের কেই বলা হচ্ছে তারাই বাংলাদেশের Free Thinker এর জনক, তারাই সত্যিকারের মুক্তমনা ! মুক্তমনা মানে কি এটাই যে মুসলমানদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখতে হবে ? আমি নিজেও প্রচন্ড রকমের হিন্দু ও বৌদ্ধ বিদ্বেষী। কিন্তু তাই বলে ইসলাম আমাকে এই অনুমতি দেয় নাই বেদ ও ত্রিপিটকের অবমাননা করতে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম বর্তমানে তসলিমা নাসরিনের প্রচার সম্পাদক হয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে একবার এই নঈম নিজাম বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় তসলিমা নাসরিনের কলাম ছাপায়। নঈম নিজাম কে এইসব ঢং বন্ধ করতে বলা হচ্ছে। যেই মহিলা পবিত্র কোরআন শরীফের উপর তার চায়ের কাপ রাখতে পারে তার কোন লেখা বাংলাদেশের কোন পত্রিকায় প্রকাশ হতে পারে না। নঈম নিজাম যদি এরপরেও তসলিমা নাসরিনের কোন লেখা বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ছাপায় তাইলে তাকে হুমায়ন আজাদের পরিণতি বরন করতে হবে। হুমায়ন আজাদ কে যারা রামদা দিয়ে কুপায়ছিল তাদের বংশধর কিন্তু এখনো বাংলাদেশে আছে। নঈম নিজাম কে অবশ্যই বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় তসলিমা নাসরিনের লেখা ছাপানো বন্ধ করতে হবে তা না হলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বারিধারার অফিসে যেয়ে নঈম নিজাম কে রামদা দিয়ে কুপানো হবে। বাংলাদেশের ইসলামী দল গুলিকে একটু গা ছাড়া দিতে বলছি। আপনারা একটু খোজ খবর রাখুন কিভাবে এখনো এইভাবে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন শরীফকে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। এইভাবে আল কোরআনের অবমাননা করার পরেও যদি আমরা চুপ থাকি তাইলে আমাদের পরিনিতি হবে আদ সামুদ গোত্রের ন্যায়।
আমি নিচে আসিফ মহিউদ্দীনের চারটি ঠিকানা দিলাম, সেখানে অবশ্যই আসিফের আত্মীয়-স্বজনদের কে আপনারা পাবেন। ১) গ্রামের বাড়ি: জেলা: পটুয়াখালি, থানা : গলাচিপা, গ্রাম: ছোট বাইশদিয়া ভুইয়ার হাওলা (ওর বাবার নাম মৃত মকবুল হোসেন, ৬ ভাই ৩ বোনের মধ্যে সবার ছোট আসিফ) ২) বোনের বাসা : ৭০৩ ইস্টার্ন ভিলা, ৬ নং সেগুনবাগিচা, ঢাকা। ৩) ৩৭ নং, নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা। ৪) ৩৯/৩ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন, কি কারণে আসিফ পবিত্র কুরআন শরীফের উপর চা রেখে খাচ্ছে ?
বিষয়: বিবিধ
২২৭৫ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার অভিমত : আপনার প্রতিবাদ করার ধরনের সাথে আমি একমত নই ।
আমি মনে করি, তাসলিমা নাসরিন-সহ যে বা যারা ইসলামবিদ্বেষী তাদের বিরোদ্ধে নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে তা অধিকতর ফলপ্রসু হবে -
১।তাসলিমা নাসরিন-সহ যে বা যারা ইসলামবিদ্বেষী তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে বর্জন করতে হবে ।
যেমন : বসুন্ধরা ও কালের কন্ঠ গ্রুপের সাথে সম্পৃত্ত সব পন্য বর্জনের ডাক দিতে হবে । এজন্য জনমত গঠণের জন্য জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে ।
২ ।তাসলিমা নাসরিন-সহ যে বা যারা ইসলামবিদ্বেষী তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনার বিরোদ্ধে জনমত গঠণের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে । যেমন : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় , ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় সহ ১৫ টা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নাস্তিকতার প্রধান প্রষ্ঠপোষক । তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য জনমত গঠণ করতে হবে । আর এজন্য সর্ট ফ্লিম ও সাউড শো বানাতে হবে । এসবের মধ্যে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা কীভাবে নাস্তিকতা-নোংড়ামী-বেহায়াপনা প্রচার করে তা তুলে ধরতে হবে ।
আগামী, চারিদিক, অনুপম, শিখা, অনন্যা, .. সহ ১৫০ টা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং মুক্কমনা, ধর্মকারী, সামহোয়ার ইন ব্লগ, আমার ব্লগ, নাগরিক ব্লগ এবং ক্যাডেট কলেজ ব্লগ সহ প্রায় সব ব্লগ সাইট ইসলাম ও মুসলিমদের বিরোদ্ধে অবস্হান নিয়েছে । তাদের নাস্তিকতা-নোংড়ামী-বেহায়াপনা প্রচার করার ধরন জনগনের কাছে তুলে ধরতে হবে ।
৩। ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষক ও রাজনীতি দলের কর্মীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার জন্য জনমত গঠণ করতে হবে । আর এলক্ষ্যে বিন্দুমাত্র ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থের পক্ষে কাজ করে এমন সংগঠণ ও ব্যক্তিদের একই ছাতার মধ্যে আনার জন্য আমাদের সবার চেষ্টা ও সাধনা করতে হবে ।
৪। ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষক ও সুবিধাভোগীদের সামাজিকভাবে বয়কটের জন্য চেষ্টা চালাতে হবে । যেমন : রকমারি ডট কম ও উদ্ভাস কোচিং সেন্টারের মালিক । এই প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার সহ বেশ কিছু কোচিং সেন্টার সমাজে সুকৌশলে নাস্তিকতা ছড়াচ্ছে ।
৫। ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের যারা ভাল লোক মনে করে বা তাদের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে ও মুসলিম দাবি করে তারা যাতে মসজিদকে ব্যবহার না করতে পারে সেই দিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে । কারণ মসজিদ আল্লাহর ঘর । সেখানে নাস্তিকদের বন্ধুরা প্রবেশ করা কুরআনবিরোধী । কারণ সুরা বনী ইসরাইলে এই ব্যাপারে মুসলিমদের চুড়ান্তভাবে কঠোরতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে ।
৫। ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের যারা ভাল লোক মনে করে তাদের লেখাকে জনগণের কাছে পৌছে দিচ্ছে তাদের ও তাদের আত্মীয় স্বজনকে সনাক্ত করে জনগণের কাছে উপস্হাপন করতে হবে ও জনগণের সামনে তাদের এই কাজ করার কারণ বলতে বাধ্য করতে হবে । এই কাজটা অনেকভাবে করা যায় । যেমন : আলোচিত লোক নইম নিজামের মতো এক লোক জনকন্ঠে শুভ রহমান নাম ব্যবহার করে লিখতেন । তিনি সুরা তীনের পেরোডি লিখেছিলেন । তার পরিবারের বেশ কিছু সদস্য রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করার সময় জনগন বলতো : নাস্তিক বাপের ছেলে রাস্তা দিয়ে যায় । আল্লাহর দুষমন-নবীর দুষমনের স্ত্রী রাস্তা দিয়ে যায় । ..। এই যে এই ধরনের কথা ও কাজ সংশ্লিষ্ট লোকের ক্ষেত্রে সামান্য হলেও প্রভাব বিস্তার করেছিলো । আমার জানা মতে এর পর আর এই লোককে জনকন্ঠে এজাতীয় আর কিছু লিখতে দেখা যায়নি ।
৬ । ১৬ টা টিভি চ্যানেল ও ১২ টা পত্রিকা প্রকাশ্যে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের পক্ষ অবলম্বন করে যাচ্ছে । উপযুক্ত সময় ও পরিবেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য আইনগত ও বৈষয়িক কার্যক্রম আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে পরিচালনা করতে হবে । এজন্য ফ্যাক্ট-ফান্ডিং কমিটি তৈরী করতে হবে । এই কমিটি কবে কোথায় ও কখন এসব মিডিয়া ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের পক্ষে অবস্হান নিয়েছিলো তার বিভিন্ন প্রমান সংগ্রহ করবে । তাদের বিরোদ্ধে আমাদের সংগ্রামে আমাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে । অন্যথায় এদের কারণে আমাদের দেশ হতে ইসলাম ও মুসলিম শব্দ দুটি সম্মান ও মর্যাদা হারাতে থাকবে । তাদের বেহায়পনা ও অশ্লীলতা বিস্তারমূলক অনুষ্ঠানগুলোতে কারা আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী তাদের প্রতি আমাদের কড়া নজর রাখতে হবে । তাদের অশুভ কার্যক্রম বিভিন্নভাবে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে ।
আমি মনে করি, ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করাটা অত্যন্ত কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার । যদিও বিষয়টা ত্যন্ত কঠিন ও সময় সাপেক্ষ তারপরও আমরা ইনশাআল্লাহ উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরোদ্ধে জয়ী হতে পারবো এবং দুনিয়া - আখেরাতের কল্যাণ লাভের পাশাপাশি আমরা মুসলিমরা মানুষ সভ্যতায় প্রভাবশালী জাতি হিসেবে অবদান রাখার পাশাপাশি ইসলামী ভাবদর্শের আলোকেই বিশ্বসভ্যতাকে উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারবো । আর এজন্য আমাদের ঠান্ডা মাথায় ঐক্যবদ্ধভাবে সব-মত-পথ ভুলে জ্ঞান ও ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়ে নিরোলসভাবে কাজ করে যেতে হবে । আর আমাদেরকে হযরত শাহ জালাল রহ- এর মতো জিহাদী চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে । তিনি যেমন ইসলামবিদ্বেষী গৌড় গোবিন্দকে সমূলে বিনাস করেছিলেন আধ্যাত্মিকতা ও জাগতিক জ্ঞানের মাধ্যমে, ঠিক আমাদেরকে তার কবর ছুয়ে তার চেতনা ও কৌশল প্রয়োগ করার ব্যাপারে দৃপ্ত শপথ নিতে হবে আর সবাই জানিয়ে দিতে হবে : বাংলাদেশ ইসলাম ও মুসলিমদের । এখানে যে বা যারা টিকে থাকতে চাইবে তাদের অবশ্যই ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থ দেখতে হবে আর ইসলাম ও মুসলিম শব্দ দুইটি শ্রদ্ধা ও সম্মানের নজরে দেখতে হবে ।
আর আমাদের হৃদয়ে এই কথাগুলো বদ্ধমূল করতে হবে :
১। বাংলাদেশই আমাদের ইহজাগতিক ঠিকানা ।
২। মৃত্যুর পর জান্নাত আমাদের ঠিকানা ।
৩। জ্ঞান ও ইসলাম আমাদের গন্তব্য ।
আমি আপনাকে আপনার লেখা ও শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার অনুরোদ করছি ।
আর তথাকথিত হিউম্যানিষ্ট কংগ্রেস এইছবি দিয়ে এটাই প্রমান করল তারা মানবতা বাদি নয় বরং মানবতা বিরোধি। বিশ্বের শতকোটি মানুষ যাকে সন্মান করে সেটাকে অপমান করে তারা কি মানবতা প্রতিষ্ঠা করবেন।
এদেরকে এখন সরকারও প্রোটেক্ট করতে পারবে না যদি দেশে আনতেও চায় ।
মহান আল্লাহ আমাদের বঝুার ও এধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দাড়ানোর তাওফীক দান করুক। (আমীন)
আমার বাসায় বাংলাদেশ প্রতিদিন রাখে। কালকে আমার মা যখন খবর টা দেখবে তখনই আমাকে ঘরছাড়া হতে হবে। কারন আমরা ভাড়া বাসায় থাকি। কি যে করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
বিডি প্রতিদিনের রিপোর্টে বিচলিত হবেন না মনে সাহস রাখুন। পাশে আছি আপনার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন