ব্রেকিং:" বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল 3G " এটিই চরম সত্য বলে আবিস্কার করলেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী
লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যান ২২ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:১০:২৪ রাত
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন ১৯৮০-এর দশকের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের গবেষণার মাধ্যমে থ্রিজি প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটে। প্রায় ১৫ বছরের গবেষণার মাধ্যমে এর মানোন্নয়ন ঘটেছে। এটি জনসাধারণের জন্য অবমুক্ত করা হয় আইএমটি-২০০০ নামে। এত দিন এই তথ্যই ঠিক ছিলো। কিন্তু আজকে আমাদের সাবেক ৪৮ ঘন্টিয় মন্ত্রী ও বর্তমান টেলি-সামাদ থুক্কু টেলিমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল 3G... এর পরেই লাগে যতসব গন্ডগোল। সবাই টেনশনে পড়ে যায় কিভাবে কি করা যায়। সত্যিই কি এটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ?
এই টেনশনের পরেই বিস্তারিত জানতেই ব্লগার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী গবেষনার কাজে নেমে পড়েন । কিভাবে শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিলো এবং আমরা কি আবিস্কার করলাম তা বলবো এখন আপনাদের।
প্রথমেই আমরা ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় রওনা দিলাম। গিয়ে শেখ মুজিবের কবর জেয়ারত করলাম। >- >-
তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর থেকে সাহারার দাবী প্রমানের জন্য প্রধানমন্ত্রী থেকে শেখ মুজিবের মাথার খুলি কবর থেকে তোলার জন্য অনুমুতি নিলাম। জেয়ারতের পর আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ ও ইফা ডিজি শামিম আফজালের নেতৃত্বে কবর থেকে মুজিবের মাথার খুলি তোলা হলো।
খুলি তোলার পর একাত্তর টিভির এক চাটুকার সাংবাদিক পরীক্ষা করছেন শেখ মুজিব কি সত্যিই ৩ জি না ৪ জি দেখেছেন।
মাথার খুলি তোলার পর আমরা নিয়ে গেলাম এটা গোপালগঞ্জে অবস্থিত জাদুঘরে
তারপর সেই খুলিকে অত্যন্ত যত্ন সহকারে , যাতে জাতির পিতার সাথে বেয়াদবি না হয় , নিয়ে গেলাম ল্যাবরেটরিতে
জয়ের ফেসবুক পেইজের মত মুজিবের খুলি ভেরিফাই করতেছেন একজন বিজ্ঞানী। এটি কি সত্যিই মুজিবের খুলি কিনা। ভেরিফাই করে বিজ্ঞানী নিশ্চিত হয়েছেন এটিই মুজিবের খুলি।
তারপর বিজ্ঞানীরা বসলেন সাহারার দাবিকে প্রমানের জন্য কিভাবে আগানো যায়। বিজ্ঞানী যখন অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে সুক্ষভাবে মুজিবের খুলি দেখলেন , হায় হায় এখানে তো ৩ টা খুলি আবার ৫ টা খুলি । বিজ্ঞানী কিছুটা আশ্চর্য্য হয়ে গেলেন।
বিজ্ঞানী ভাবলেন ১ টা মাথা দিয়ে যদি ১ জি করে ভাবা যায় তাহলে ৩ মাথা দিয়ে ৩ জির স্বপ্ন দেখতেই পারেন। ৪ জির স্বপ্ন ও দেখতে পারেন।
আমরা পরে আবার আরেক সূত্র ধরে আগালাম। ৩ শব্দের প্রতি মুজিবের প্রচুর দুর্বলতা রয়েছে। কথিত আছে তিন লক্ষকে উনি ৩০ লক্ষ বলেছেন। পরে বিজ্ঞানীরা মাথার খুলিকে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এই সিদ্বান্তে উপনীত হয়েছেন যে শেখ মুজিব শুধু ৩ জির স্বপ্ন দেখেননি তিনি মিনিমাম ৩০ লক্ষ জির স্বপ্ন দেখেছেন। আবার রিকমেন্ড করেছেন সাহারা খাতুন বা আওয়ামীলীগের নেক্সট টেলি মন্ত্রী যেন কোনো ভাবেই কখনোই কোনো ভাবে ৩০ লক্ষ জি এর উপরে না যায়।
এই দিকে এই ধরনের এক্সেপশনাল আবিস্কারের কথা শুনে নোবেল কমিটি ব্লগার চেয়ারম্যান ও তার দলকে নোবেল পুরুস্কার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু বিনয়ের সাথে বিজ্ঞানীদল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে স্বপ্নকন্যার মেয়েকে নোবেল দেওয়ার সুপারিশ করেন
(মূলত এটি একটি অলস মস্তিস্কের কল্পনা,বাস্তবতার সাথে না মিললে কেউ চেয়ারম্যানের গমের বস্তা নিয়ে টানাটানি করবেন না )
বিষয়: বিবিধ
২৩৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন