হে নবী! আপনার স্বরণকে সু'উচ্চ র্মযদায় সমুন্নত করেদিয়েছি।(ওয়া'রাফানা লাকা যেকরাক ৯৪/৪) আজ কেউ নবীজিকে অসম্মান করলে তার স্থান কোথায় হবে..?
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৭ মে, ২০১৫, ০৫:১৮:৪৫ বিকাল
প্রিয় নবীজি হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা(সাঃ) এর মর্যাদা স্বয়ং বিশ্ব পরিচাক মহান স্রষ্টা রাব্বুল আলামিন নিজেই প্রতিষ্টা করে দিয়েছেন। স্বয়ং আল্লাহ এবং তার ফেরাস্তারাও তাহার প্রতি দরুদ পাঠান নিয়মিত। আজ আমরা দেখী পেতিনেতা ও পেতি ব্লগার নবীজিকে খোঁচা দিয়ে লিখেন এবং বলেন তখন মন্টা এতই খারাফ হয় তা লিখার ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
"ওয়া'রাফায়ানা লাকা যেকরাক" মক্কার জীবনের শুরুর দিকে যখন এই সুরাটি নাযিল হয়, তখন প্রিয় নবীজির নিবেদিত প্রাণ সাহাবীদের কেউই অনাগত ভবিষ্যতের এই গানিতিক হিসাবটা কষে দেখেননিযে, আল্লাহ তায়ালা কিভাবে তাঁর প্রিয় হাবিবের মর্যাদা ও স্বরণ প্রক্রিয়াকে অব্যাহত গতিতে সমুন্নত করেছেন।
আজ উত্তর গোলার্ধের আলাসকা থেকে দক্ষিণ গোলার্ধের সিডনী পর্যন্ত, পূর্ব গোলার্ধের টোকিও থেকে পশ্চিম গোলার্ধের হাওয়াই পর্যন্ত- কোথাও মাসজিদের মিম্বার মেহরাবে আযান ইকামাতে হাজার হাজার কোটি মানুষ সেই মহামানবের মর্যাদা ও সম্মানকে উঁচু করার ঘোষনা প্রদান করেই যাচ্ছে।
আজ পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত এভাবে সেই মহামানবের নামে এই ঘোষণা প্রকাশ করতেই থাকে তাহলে গত দেড় হাজার বছরে ঠিক কতোবার তাঁর নামে এই মর্যাদা সম্মান উচ্চারিত হয়েছে তার হিসাব করার জন্যে জানি না আমরা কোথায়ও কোনো সুপার কম্পিউটার খুজে পাবো কি না।
প্রতিদিন একজন সাধারণ মুসলমান অবশ্য পালনীয় ৩২ রাকায়াত নামাযে কমপক্ষে ১১ বার করে দরুদটি পড়ে। যারা এর বাইরে রীতিমতো তাহাজ্জুদসহ অন্যান্য নফল নামায পড়েন-তাদের জন্য এ সংখ্যাটি আরো কত বেশী হবে?
আজ পর্যন্ত যতো বড়ো মাপের মানুষ দুনিয়ায় এসেছেন কবি দার্শনিক রাজনীতিক সাহিত্যিক এই পৃথিবীতে তাদের অবদান রেখে গেছেন এক এক করে তাদের কথা স্বরণ করুন। মানব ইতিহাসের এ দীর্ঘ মিছিলে এমন একজন মানুষও কি পাওয়া যাবে। যাকে তাঁর অনুসারীরা এভাবে স্বরন করে?
তাদের নামে এ ভাবে দরুদ পড়ে এবং তাদের নাম কি এই ভাবে স্বরণ করে? আজন কেউ আল্লাহর সন্তোষ্টি পেতে ছাইলে তাকে নবীজির অনুস্বরণ করতেই হবে। নবীজিকে ভালবাসলেই আল্লাহ খুশী হবেন। আসুন আল কুরআন ও সুন্নাহর অনুস্বরণের মধ্যেমে আল্লাহর সন্তোষ্টি অর্জন করে।
বিষয়: বিবিধ
১২২১ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পরকালে এরা কেউ কাউকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পারবে না।
অসাধরণ একটি লেখা। মন ছুঁয়ে গেলো। দরুদ ও সালাম নবী (সা)-র উপরে।
عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال:قال
النبي صلى الله عليه وسلم: (لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من والده، وولده، والناس أجمعين).
মন্তব্য করতে লগইন করুন