বাংলাদেশে আইএসআইএস! (ভিডিও সহ)
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:২৫:৪৬ রাত
নিজেদেরকে আইএসআইএস এর প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির অনুসারী ঘোষণা করে মুসলিমদের একত্র করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশি একটি গ্রুপ। অনলাইনে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে এটাই এসংক্রান্ত প্রথম ভিডিও।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, পাঁচজনের একটি দল আল-বাগদাদির অনুসারী হওয়ার শপথ নিচ্ছে। ২ আগস্ট ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়। শিরোনামে লেখা হয়, বাংলাদেশের মুসলিমরা খলিফা ইব্রাহিম (হাফিয়াহুল্লা) এর বাইয়্যাত নিচ্ছে।
আরবী পরিভাষায় ‘বাইয়্যাত’ অর্থ- একজন নেতার আনুগত্য ঘোষণায় শপথ। হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর সময় থেকে এটি সর্বপরিচিত।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, পাঁচজনের দলটি মুখোশ পরে কুরআন শরীফ হাতে শপথ নিচ্ছে।
সেখানে দেখা যায়, তারা বাংলায় শেষ নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর পরে আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে খলিফা ইব্রাহিম ইবনে আওয়াদ আবনে আলি ইবনে মুহাম্মদ আল-বাদরি আল-হুসাইনি আল-কুরাইশির অনুসারী হিসেবে শপথ নিচ্ছে।
তাদের একজন এই শপথ অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দিচ্ছে এই বলে, আমরা আমরণ খলিফা ইব্রহীমকে আমাদের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে অনুসরণ করবো এবং আল্লাহকে সর্বোচ্চ কর্তৃত্বকারী ও কুরআন শরীফকে বিশ্বাস করে খলিফার নেতৃত্বে মুসলিমদের একত্র করবো।
শপথের মূল পরিচালনাকারীরাও মনে করে, শপথকারীরা তাদের মৃত্যু পর্যন্ত শপথ রক্ষা করে চলবে।
মুখোশপরা লোকগুলো আরবীতে লেখা একটি ব্যানারও ধরে ছিল।
বাংলাদেশে আইএসআইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির অধীনে মুসলিমদের একত্র করার শপথ নেয়ার এমন ভিডিও এটাই প্রথম। ভিডিওটি কামাল আহমেদসামা নামের জনৈক ইউটিউবে আপলোড করে।
উল্লেখ্য, এবছর ২৯ জুন আইএসআইএস এর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতারা সিরিয়া এবং ইরাকের অধীনস্ত এলাকাগুলোয় খেলাফতের আইন পূণঃপ্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়।
এই গ্রুপের আমির আবু বকর বাগদাদি সেই ঘোষণা অনুযায়ী খলিয়া ইব্রাহিম নামে প্রথম খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
- See more at: http://tazakhobor.org/bangla/exclusive/31645-2014-08-08-14-45-54#sthash.HgicyUcL.dpu
আপনাদের পরিচিত ভাই বন্ধুদেরকে মানবতার দুষমন আইএসএস এর ব্যপারে সতর্ক করুন। তাদের মানবতা বিরুধী তত্পরতা তুলে ধরুন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩২ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://m.youtube.com/watch?v=fqiNkRAsDBg
বোগদাদী সাহেবের উপর বায়াহ নিতে আইছে
কারা এই আইসিস তালেবান ও আল কায়েদা?
আমেরিকা কি আল কায়েদা তালেবান গঠন করে নি?সৌদি কি আইসিস গঠন করেনি? তারা কেন এদের গঠন করেছে?
ইরাকের জনগন বেশী নির্যাতিত না ফিলিস্তিনের জনগন বেশী নির্যাতিত?আইসিস ও আল কায়েদার মত অহাবীর বাচ্চারা ফিলিস্তিনে কেন যায় না? ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কেন টু শব্দ করে না?কারণ এই সব সন্ত্রাসী গুষ্ঠি গুলো হল ইজরায়েল আমেরিকা ও সৌদির প্রডাক্ট।
আপনাদের দৃষ্টিতে মালিকি শিয়া সরকার। এই সরকার থাকার পরেও অহাবী(আইসিস)সন্ত্রাসীদের দ্বারা শিয়ারাই গনহত্যার স্বীকার হয়েছে। অথচ সাদ্দাম সরকারের তখনো শিয়ারা কত নির্যাতিত ছিল?কিন্তু কখনই সন্তাসীদের মত সুন্নিদের মিছিলে শিয়ারা বোমা মেরে গণহত্যা করেনি। এমন কোন নিউজ আপনি দেখাতে পারবেন না।যদি কেউ করে থাকে তবে হোক সে শিয়া কিংবা সুন্নি।আমি বলব সে শিয়াও না আবার সুন্নিও না। তারা সন্ত্রাস। আইসিছের মত।কারণ শিয়া সুন্নির মতে কোথাও এই ধরনের কর্ম কাণ্ড জায়েজ না।
কোট টাই ধারী ক্লিন সেভ আসাদ আর মালিকি ইরানের কাছে অবতার যেন ধোয়া তুলসি পাতা
দেখুন, জেনে রাখেন,আসাদ ইজরায়েল আমেরিকা বিরোধী এবং ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে। যদি আসাদ না থাকতো সেখানে আমেরিকার তাবেদার গোলাম সিসির মত সরকারকে বসাত। ফলে ফিলিস্তিনি জনগণের আরও ক্ষতি হয়তো। ইজরায়েল লাভবান হয়তো। একমাত্র ফিলিস্তিনের স্বার্থেই ইরান আসাদকে কৌশল গত ভাবে সমর্থন করেছে,আদর্শিক বন্ধু হিসেবে নয়। ইরান আপনাদের মত অজ্ঞতা নিয়ে ঘুম পারে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন