মক্কা নগরীর পবিত্র ও আধ্যত্মিক মর্যাদা বিলুপ্ত হওয়ার পথে

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২০ জুলাই, ২০১৫, ০৩:৩০:২৯ দুপুর





সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে তৈরি করা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেল। ৬ লাখ ৮৬ হাজার বর্গফুট জায়গায় মধ্যে রঙিন বালি দিয়ে আধুনিক সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রেখে হোটেলটি তৈরি করা হবে। একই ধরণের ১২টি টাওয়ারের মধ্যেই থাকবে ১০ হাজার কক্ষ, ৭০টি রেষ্টুরেন্ট, শপিং সেন্টার, কনভেনশন সেন্টার, মসজিদ ও হেলিপ্যাড।

হোটেলটি তৈরিতে সময় লাগবে ২ বছর এবং ব্যয় হবে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। ১২টি টাওয়ারের মধ্যে ১০টি টাওয়ার থাকবে চার তারকা আর অন্য দুটি টাওয়ার হবে পাঁচ তারকা মানের।

সোর্স : http://www.somoyerkonthosor.com/news/226603

ঘটনা - ২ :

মক্কায় গিয়েছেন হলিউড তারকা, পতিতা ও পর্ন অভিনেত্রী প্যারিস হিলটন। তবে তিনি হজব্রত পালনের জন্য নয়, নিজের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করতেই গিয়েছিলেন সেখানে। সাধারণত মক্কায় অমুসলিমদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। কিন্তু প্যারিস হিলটনের বেলায় ছাড় দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এভাবে মুসলিমদে অগোচরে অনেক খারাপ ও অপবিত্র খৃস্টানদের মক্কা ও মদিনায় সৌদি আরব সরকার প্রবেশ করার সুযোগ দান করেছে ।

সোর্স : http://www.mzamin.com/details.php?mzamin=NDQzMDA=

২। http://mediabuzz24.com/মক্কায়-শোরুম-নিয়ে-বিপা/

৩। http://www.dw.com/bn/প্যারিস-হিলটনের-নতুন-রিয়্যালিটি-সিরিজ/a-6069195

ঘটনা - ৩ :

ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের শীর্ষকর্তা ড. ইরফান আল আলাভি বলেছেন, সৌদি আরব সরকার ওই সব ইসলামী স্থাপনা নষ্ট না করেই মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ সম্পন্ন করতে পারতো, কিন্তু তারা তা করছে না।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক পার্সিয়ান গাল্ফ ইনস্টিটিউট বলেছে, সৌদি আরব সরকার গত ২০ বছরে মক্কা ও মদিনা শহরে অবস্থিত হাজার বছরের প্রাচীন ভবনগুলোর ৯৫ শতাংশই ধ্বংস করেছে।

তিনি বলেন, এগুলো করা হয়েছে শপিং সেন্টার, বহুতল ভবন ও বিলাসবহুল হোটেল তৈরির জন্য।

এখন প্রতিবছর হাজির সংখ্যা বাড়ছে এবং এ বাড়তি চাপ মেটানোর জন্যে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বলা হচ্ছে, ঐতিহ্যবাহী যে তিনটি মসজিদ ভাঙ্গা হবে এবং সেখানে সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে বাড়তি ষোল লাখ হাজি হজ করার সুযোগ পাবেন।

কিন্তু এজন্যে মসজিদে নববীর যে পশ্চিম অংশ ভেঙ্গে ফেলতে হবে সেখানে গম্বুজের ভিত্তি স্খাপন করেছিলেন স্বয়ং মহানবী (সা.)।



যেসব এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তা এই ছবিতে প্রদর্শিত হয়েছে এবং বর্তমানে সেখানে কী আছে তা তুলে ধরা হয়েছে http://www.correctislamicfaith.com/apps/photos/photo?photoid=71670485

আর ঘামামা মসজিদে মহানবী(সা.) ঈদের নামাজে ইমামতি করেছিলেন। মজজিদে নববীর পশ্চিম অংশের দেয়াল সংলগ্ন স্থানে নবীজী নামাজ আদায় করেন।

কিন্তু এ মহাপরিকল্পনার কিছুই আগেভাগে প্রকাশ করছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। অটোমান সাম্রাজ্যের বহু স্মৃতিবিজড়িত ইতিহাস এসব মসজিদ ও স্থাপনার সাথে জড়িয়ে আছে।

তবে এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সৌদি আরব সরকার আন্তর্জাতিক খ্যাতি রয়েছে এমন বিশ্বমানের প্রকৌশলী ও নগর উন্নয়ন পরিকল্পনাবিদদের নিয়ে খুবই গোপনে কাজ করছে। অথচ সৌদি আরবের সরকার মক্কা ও মদীনার সমস্ত ইসলামী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষা ও দেখভাল করার বিশ্ব স্বীকৃত অভিভাবক।

ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের শীর্ষকর্তা ড. ইরফান আল আলাভি বলেন, যেভাবে পরিকল্পনা আগাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে সৌদি আরব ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা না করে দ্রুত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।

এর আগে এধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মক্কা ও মদীনার হাজার বছরের পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়। আর এগুলো করা হয়েছে শপিং সেন্টার, গগনচু্ম্বি অট্টালিকা আর বিলাসবহুল হোটেল তৈরির জন্যে।

মক্কায় জাবাল ওমর কমপ্লেক্স তৈরির সময় মসজিদ আল হারাম সংলগ্ন অনেক স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হয়ে যার মধ্যে মহানবী (সা.)’র জন্মস্থান, মহানবী (সা.)এর প্রথম বিবি খাদিজা (রা.)এর বাড়ি ও বহু ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ভেঙ্গে ফেলা হয়। এরপর সেখানে লাইব্রেরী, টয়লেটসহ অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

খন্দকের যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানে যেখানে ওই যুদ্ধে সাতজন সাহাবীকে মোতায়েন করেছিলেন মহানবী (সা.) এবং এরপর ওই সাতটি স্থানে সাতটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। অথচ দশ বছর আগে ওসব স্থানে ডিনামাইট ব্যবহার করে অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এসব উন্নয়ন পরিকল্পনা বরাবরাই সৌদি আরব সরকার খুবই গোপনভাবে বাস্তবায়ন করে।

অভিযোগ উঠেছে সৌদ আরব সরকার ও রাজতন্ত্রের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের কেউ কেউ এধরনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে বিশেষ তাগিদ দেন।

নবীজীর রওজা মোবারক সংলগ্ন যে বিখ্যাত সবুজ গম্বুজটি রয়েছে, নতুন সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় তা ভেঙ্গে ফেলার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মসজিদে নববীর উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নের পর ওই গম্বুজ বর্তমান স্থান থেকে আরো পূর্ব দিকে সরিয়ে নেয়া হবে যার ফলে মসজিদের কেন্দ্রস্থলে নামাজের সুযোগ আর থাকবে না।

অথচ ওই এলাকায় রিয়াদ আল জান্নাহ বা জান্নাতের বাগান বলে পরিচিত যা ছিল মহানবী(সা.)’র স্মৃতি বিজড়িতে স্থান।

রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম/দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট /আরআই_ ০০১০ ঘ.

http://www.english.rtnn.net/?/newsdetail/detail/8/40/53784#.VaetlrVPjxI

ঘটনা - ৪:

সৌদি আরব প্রায় শতাধিক ইসলামি নিদর্শন ধ্বংশ করে দিয়েছে। নবীর প্রথম স্ত্রী খাদিজার বাড়িটি ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে পাবলিক টয়লেট করেছে। নবীর বাসস্থানও ভেঙ্গে ফেলেছে। আরো অনেক স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে মক্কাকে 'আধুনিক' নগরী করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। তারা তাদের দেশে যা ইচ্ছা করুক সেটা আমাদের চিন্তার বিষয় না কিন্তু কাবা শরীফ কি তাদের একার সম্পত্তি নাকি? কাবা শরীফ সমগ্র মুসলিম জাহানের সম্পত্তি। যদি কাবার অপমান করা হয় সেটা নিশ্চয়ই ধর্মপ্রিয় মানুষদের অনুভূতিতে আঘাত করবে। প্রতিটি মুসলমান চায় জীবনে একবার মক্কায় গিয়ে হজ্জ করতে। মরার আগে হলেও যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে মরলে নাকি সরাসরি জান্নাত। এই বিশ্বাস আছে অনেকের। দুনিয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে আল্লাহ রাসূলের নাম যপতে হজ্জ করতে যায় মক্কায়। কাবা শরীফে তাওয়াফ করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে সাদা কাপড় গায়ে জড়িয়ে যায়, মাথার চুল কামিয়ে যায়, এক কথায় সাদা মনের মানুষ হয়ে যায় আল্লাহর ঘর কাবাতে কিন্তু সেই কাবার গায়ে লাগিয়ে যদি শয়তানী কোনো টাওয়ার থাকে তবে কি সেটা এই হজ্জব্রত পালনকারীদের ইবাদতে সম্পূর্ন মনোনিবেশ করার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে না? অবশ্যই করবে এবং অনেকে এরই মধ্যে হজ্জ করতে গিয়ে মক্কাতে এহেন জাহেলিয়াতী কান্ড দেখে রাগে ক্ষোভে সৌদিদের ভৎসনাও করেছে। এই টাওয়ারে ধনীদের জন্য ৫ তারকা হোটেল আছে। বিশাল শপিং সেন্টার আছে। পার্টি হলও আছে। কি সব হয় সেখানে সেটা তো বুঝেন।

কাবা শরীফ কি পার্টি, আমোদ ফুর্তি করার জায়গা? নাকি সেখানে দুনিয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক বলে নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের জায়গা? প্রশ্ন রইলো।



এখন জায়নামাজে কোন ছবি থাকবে? কাবার ক্লক টাওয়ারের ছবি থাকবে এটা নিশ্চিত কারন এখন যদি কাবার ছবি কেউ তুলে দেখা যাবে ক্লক টাওয়ারের নিচে ছোট্ট কাবা দেবে আছে। সৌদি বাদশাহ-র কাবা পবিত্র রাখার নমুনা ক্লক টাওয়ার পার্টি সেন্টার ও শপিং কমপ্লেক্স।

সৌদি বাদশাহর ক্লক টাওয়ার বানানোর কাজ চরম ইসলামবিরোধী ।কারণ আল্লাহ বলেছেন : “আমি ইব্রাহীম ও ইসমাইলের নিকট অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী ও ইতিকাফকারীদের এবং রুকু ও সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রেখ।(সুরা বাকারাঃ১২৫) “

পবিত্র মক্কার বৈশিষ্ট্য :

১. পবিত্র মক্কায় রয়েছে পৃথিবীতে স্থাপিত সর্ব প্রথম মসজিদ পবিত্র কাবা শরীফ।

২. এটি আল্লাহ তায়ালার নিকট সব চেয়ে প্রিয় ও শ্রেষ্ঠতম স্থান।

৩. হারাম সীমানার মধ্যে এক রাকাত সালাত মসজিদে নববী ছাড়া অন্যান্য সাধারণ মসজিদের তুলনায় এক লক্ষগুণ সওয়াব বেশী।

অনুরূপভাবে এখানে অন্যায় ও পাপাচারের ভয়াবহতাও অন্য স্থানের তুলনায় অনেক বেশী।

৪. কাবা গৃহ হলো মুসলিমদের একমাত্র কেবলা যে দিকে মুখ করে সারা বিশ্বের মুসলিমগণ সালাত আদায় করে থাকেন।

৫. মসজিদুল হারাম হলো তিনটি স্থানের একটি যেখানে সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর করা জায়েজ।

কোন কোন স্থানের এ মর্যাদা নেই। অপর দুটি স্থান হল, মসজিদের নব্বী ও মসজিদুল আকসা।

৬. অমুসলিমদের জন্য মক্কা ও মদিনায় প্রবেশ নিষিদ্ধ।

৭. ফাঁকা স্থানে থেকে বায়তুল্লাহর দিকে মুখ করে বা তাকে পেছনে রেখে

পেশাব-পায়খানা করা হারাম

৮. পৃথিবীর একমাত্র স্থান যেখানে না গেলে হজ্জ ও উমরা আদায় করা সম্ভব হবে না।

আর তা আল্লাহর দরবারে কবুল হলে জীবনের সকল পাপ মোচন হয়ে যায়।

৯. এখানে রয়েছে হাজরে আসওয়াদ, রোকনে ইয়ামানী, মাকামে ইবরাহীম, যমযম কুপ, সাফা ও মারওয়া পর্বত ইত্যাদি আল্লাহর বড় বড় নিদর্শন।

১০. এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মভূমি

১১. আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্ব প্রথম ওহী অবতরণের স্থান (হেরা পর্বত)।

১২. মহা গ্রন্থ আল কুরআনে মক্কাকে বরকতয়, নিরাপদ, সম্মানিত ও পবিত্র শহর উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে।

১৩) কুরআনে এই শহরের নামে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দু বার কসম খেয়েছেন।

(সূরা তীন/ ৩ ও সূরা বালাদ/১)

১৪. এখানকার তৃণ-লতা, গাছ বা গাছের ডাল কাটা, প্রাণী শিকার করা, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা,

যুদ্ধ-মারামারি, হত্যা, রক্তপাত, কোন জিনিস (মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া)

কুড়ানো, বিশেষ কিছু প্রাণী ছাড়া সব ধরণের প্রাণী হত্যা করা নিষিদ্ধ।

১৫) মক্কা ও মদিনায় দজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না। (সহীহ মুসলিম)

মক্কা মুকাররমার গুরুত্ব ও দ্বীনী মর্যাদা :

১.মুসলমানের কেবলা এবং কেন্দ্র।

২.হজ্বের মিলন কেন্দ্র এবং একের অন্যের সাথে সাক্ষাৎ ও সম্পর্কের স্থান।

৩. মক্কা শরীফের এক নামায এক লক্ষ নামাযের মর্যাদা সম্পন্ন।

৪.মক্কায় কাবা ঘর রয়েছে ।

আল্লাহ বলেন - ومن دخله كان امنا (সূরা আল ইমরান)

অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ।

আল্লাহ পাক এ ঘরের পবিত্রতা ও সম্মান প্রকাশ করার নিমিত্তে উহার শপথ করেছেন। যেমন ফরমান বারী তায়ালা-

لا اقسم بهذا البلد

অর্থাৎ এ শহরের শপথ আমার। (সূরা বালাদ)

রাসুল সা. বলেন , আল্লাহ পাকের শপথ, তুমি আল্লাহর জমিনের মধ্যে সবচেয়ে বরকতময় ও আল্লাহ পাকের উত্তম এবং আল্লাহ পাকের অত্যন্ত প্রিয় স্থান। যদি আমাকে জবরদস্তি করে এখান থেকে বের না করা হত, তাহলে আমি কখনও বের হতাম না। (মুসনাদে আহমদ, জামে তিরমিযী, সুনানে ইবনে মাজাহ)

মক্কা শরীফের সীমানা :

হারাম শরীফের সর্বপ্রথম সিমানা নির্ধারনকারী ছিলেন হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ (আ.)। হযরত ইবরাহীম (আ.) হযরত জিবরাইল (আ.) এর উপদেশ মোতাবেক হেরেম শরীফের সিমানার খাম্বা গাড়েন। তার পর উহাকে আর কোন প্রকার পরিবর্তন করা হয়নি। সুতরাং মক্কা বিজয়ের বৎসর রাসূলুল্লাহ হযরত তামীম বিন আসাদ খাযায়ীকে পাঠালেন। তিনি নতুন করে পুনরায় খাম্বাগুলো বানান। তারপর থেকে আর কোন রকম পরিবর্তন করা হয় নি। পরবর্তিতে

হযরত উমর বিন খাত্তাব (রাযি.) চারজন কুরাইশ বংশীয় লোককে ঠিক করেন, যারা উক্ত খাম্বা আবার নতুন করে গাড়েন। (আখবারে মক্কা, আযরুকী)

আল্লাহ বাইতুল্লাহ শরীফের সম্মানার্থে উহাকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন এবং উহাতে সমস্ত জিনিষ এমনকি পাখী, গাছ-গাছালীকেও আমান বা নিরাপত্তা দান করেছেন এবং উহাতে যাবতীয় নেক কাজের বিনিময় অন্যান্য জায়গা থেকে অনেক অনেক আফযাল বা উত্তম। হারাম শরীফ মক্কা মুকাররমার সবদিকেই বিস্তার লাভ করেছে। হ্যাঁ তবে উহার সিমানা সব দিকে এক রকম নয়। মক্কা মুকাররমার দিকে আসার বড় বড় রাস্তার উপর হেরেম শরীফের সিমানার নিশান লাগানো হয়েছে। যার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নে প্রদত্ত হল।

১। পশ্চিম দিকে জিদ্দা রোডের উপর “সুমাইসি” নামক স্থান যাকে হোদাইবিয়া বলা হয়ে থাকে। মক্কা মুকাররমা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে।

২। দক্ষিণ দিকে “তেহামা” থেকে “ইয়ামানের” রাস্তার উপর এযায়াতে লিবন নামক স্থান, যাহা মক্কা শরীফ থেকে ১২ কিলোমিটার দূর। এযায়াত অর্থ জমিন এবং লিবন একটি পাহাড়ের নাম।

৩। পূর্বদিকে “ওয়াদিয়ে উরানাহ” এর পশ্চিম কোন যাহা মক্কা মুকাররমা থেকে ১৫কিলোমিটার দূর।

৪। উত্তর-পশ্চিমে “জেএরানাহ” এর রাস্তার বস্তী এলাকা যা শারায়েয়ুল মুজাহেদিন এর নিকটবর্তি এবং উহা মক্কা মুকাররমা থেকে ১৬ কিলোমিটার ব্যবধানে অবস্থিত।

৫। উত্তর দিকে “তানয়িম” নামক জায়গা যাহা মক্কা মুকাররমা থেকে মাত্র ৭কিলোমিটার দূর।

সুতরাং বোঝা যাচ্ছে মক্কা অনেক বড় শহর ।

বায়তুল্লাহ শরীফের মর্যাদা :

আল্লাহ পাক ফরমান- ومن دخله كان امنا যে ব্যক্তি হেরেম শরীফে প্রবেশ করবে সে-ই আমান ওয়ালা অর্থাৎ নিরাপদ হয়ে যায়। (সূরা আল ইমরান)

উক্ত আয়াতে পুরা হেরেম শরীফ উদ্দেশ্য। যখন কোন ভয়-ভীতিগ্রস্ত লোক হারাম শরীফের সীমানার ভিতর প্রবেশ করবে তখন ঐ ব্যক্তি বা দল সবরকমের বিপদ-আপদ হতে নিরাপদ থাকবে। আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে ও অবস্থা এ রকম ছিল। যদি কোন লোক কাউকে হত্যা করে হারাম শরীফে ঢুকে পড়ে, তাহলে নিহতের ছেলে হত্যাকারীকে দেখেও কিছু বলতে পারবে না বরং হারাম শরীফ থেকে বের হওয়ার অপেক্ষা করবে। (তফসীরে ইবনে কাছীর)

এ কথার উপর সকলে একমত, যদি কেহ হারাম শরীফের ভিতর কোন অপরাধ করে তাহলে আমান পাবে না। যেহেতু সে হেরেম শরীফের মানক্ষুন্ন করেছে। হ্যাঁ যদি অপরাধ হেরেম শরীফের বাহিরে করার পর হেরেম শরীফে চলে গেছে, তাকে ধমক দেওয়া যেতে পারে। পরবর্তিতে সে যখন হেরেম শরীফ থেকে বের হয়ে যাবে তখন তার উপর শরীয়তের হুকুম মোতাবেক শাস্তি আরোপ করা যাবে।

হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে এই মর্মে ফতোয়া বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কোন ব্যক্তি কোনরকম আপরাধ করে বায়তুল্লাহ শরীফের পানা চায়। তাহলে ঐ ব্যক্তির আমান বা নিরাপত্তা অর্জিত হয়ে যাবে তখন কাহারও তাকে শাস্তি দেওয়ার অনুমতি নেই। হ্যাঁ যখন ঐ অপরাধী ব্যক্তি বের হয়ে আসবে তখন তার উপর শাস্তি আরোপ করা যাবে।

মক্কা মুকাররমার নাম :

এ পবিত্র শহর এবং সম্মানিত হারাম শরীফের অনেক নাম আছে, যাহা প্রায় ৫০ এর কাছাকাছি হবে। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরীফে ৫টি নাম উল্লেখ করেছেন। ১। মক্কা। ২। বক্কা ৩। আল-বালাদ ৪। আল-ক্বারইয়াহ ৫। উম্মুল কুরা।

মক্কা নামের উল্লেখ আল্লাহ পাক এ আয়াতে করেছেন-

وهو الذى كف ايديهم عنكم وايديكم عنهم ببطن مكة ـ

অর্থাৎ আল্লাহপাক মক্কা শরীফের উপত্যাকায় তাদের হাতকে তোমাদের দ্বারা বাধাগ্রস্ত করেছেন এবং তোমাদের হাতকে তাদের হাত দ্বারা। (সূরা আল ফাতাহ)

বাক্কা নামের উল্লেখ নিম্নের আয়াতে আছে-

ان اول بيت وضع للناس للذى ببكة-

অর্থাৎ মানুষের এবাদত-বন্দেগীর উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম যে ঘর বাক্কার মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। যা বিশ্ববাসীর জন্য বরকত ও হেদায়েত স্বরূপ। (সূরা আল ইমরান)

আল বালাদ নামের উল্লেখ এ আয়াতের মধ্যে আছে- لااقسم بهذا البلد আমি এ শহরের কছম করতেছি। (সূরা বালাদ)

এখানে বালাদ শব্দ দ্বারা মক্কা শরীফকে বুঝানো হয়েছে। এমনিভাবে অভিধানেও গ্রাম ও বস্তির কেন্দ্রকে বালাদ বলা হয়।

আল-কারইয়াহ নামের উল্লেখ এ আয়াতে করা হয়েছে-

وَضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلاً قَرْيَةً كَانَتْ اٰمِنَةً مُّطْمَئِنَّةً ـ

অর্থাৎ আল্লাহ পাক একটি কারইয়ার বা আবাদীর উদাহরণ দিয়েছেন যাতে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ও শান্তি আছে। (সূরা আন-নাহল)

কারইয়াহ ঐ বস্তিকে বলা হয় যেখানে অনেক লোক বসবাস করে। কারইয়াহ শব্দের শাব্দিক অর্থ একত্রিত করা। যেমন আরবের লোকেরা বলেন قريت الماء فى الحوض অর্থাৎ আমি হাউজে পানি একত্রিত করেছি।

উম্মুলকুরা নামের উল্লেখ এ আয়াতে আছেولتنذر ام القرى অর্থাৎ আপনি উম্মুলকুরাবাসীকে আল্লাহপাকের আযাবের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করুন। এ আয়াতে উম্মুলকুরা অর্থ মক্কা শরীফ। (সূরা আলে ইমরান)

মক্কা মুকাররমার আরও কয়েকটি নাম আছে। যেমন :

(১) نِسَاسَهُ (২) حَاطِمَةْ (৩) حَرَمْ (৪) صَلَاحْ (৫) بَاسَه (৬) معاذ (৭) رأس (৮) بلد امين (১০) كوثى

১। নাছ্ছাছাহ ২। হাতেমাহ ৩। হারামু ৪। ছালাহু ৫। বাছাহু ৬। মায়াযু ৭। রায়াছু ৮। বালাদে আমীন ৯। কুছা ইত্যাদি।

কা’বা নামকরণের কারণ :

আল্লাহ পাক ফরমান-

جَعَلَ اللّٰهُ الْكَعْبَةَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ قِيَامًا لِّلنَّاسِ ـ

অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা সম্মানিত ঘর কা’বাকে মানুষের বসবাসের উছিলা বানিয়েছেন। (সূরা মায়েদা) কা’বা শরীফ আল্লাহ তায়ালার সম্মানিত ঘর যা মসজিদে হারামের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। তাকে কা’বা বলার কারণ সম্পর্কে আল্লামা আযরাকী আবূ নজিহের বরাত দিয়ে এ রকম বর্ণনা করেছেন ।

তার নাম কা’বা এ জন্য রাখা হয়েছে যেহেতু তা টাখনুর ন্যায় জমিন থেকে উঁচু। তাকে মুরাব্বা‘আও বলা হয়ে থাকে। আকরামা এবং মুজাহিদের মতও তাই। যেহেতু চাদরের চারদিক যখন লাগিয়ে দেয়া হয় তখন তাকে আরবীতে মাক‘আব চাদর বলা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় মত হলো এই, তা উঁচু এবং দেখা যাওয়ার কারণে তাকে কা’বা বলা হয়। কা’বা শব্দের এক অর্থ উঁচু। তাকে বায়তে আতীক বলা হয়ে থাকে। যেহেতু আল্লাহ পাক তাকে কাফের রাজা-বাদশা হতে মুক্ত রেখেছেন। হযরত আবদুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাযি.) থেকে বর্ণিত, হুযূর (সা.) ফরমানÑ

اِنَّمَا سُمِّىَ الْبَيْتُ الْعَتِيْقُ لِاَنَّهٗ لَمْ يَظْهِرُ عَلَيْهِ جَبَّارُ ـ -

অর্থাৎ কা’বাকে বায়তে আতীক এ জন্য বলা হয় যেহেতু কোনো কাফের রাজা-বাদশাহ তাকে দখল করতে পারে নাই। (জামে তিরমিযী)

মক্কা মুকাররমার ফযীলত ও মাহাত্ম :

মক্কা মুকাররমার ফযীলত, স্তর এবং মরতবা বর্ণনাকারী অসংখ্য হাদীস আছে। তন্মধ্যে একটি হাদীস আবদুল্লাহ বিন আদি বিন হামরা (রাযি.) এর হাদীস। তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মক্কা মুকাররমায় উটনীর উপর ছাওয়ার অবস্থায় হাযওয়ারা নামক স্থানে দেখেছি। আমি শুনেছি, তিনি অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান [হাযওয়ারাহ ঐ বাজার যা সাইয়েদাহ হযরত উম্মে হানী (রাযি.) এর ঘরের বাহির অংশে ছিল। পরবর্তীতে মসজিদে হারামের সম্প্রসারণের সময় হারামের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়।

وَاللهِ اِنَّكَ لَخَيْرُ ارَضِ اللهِ وَاحَبُّ اَرْضِ اللهِ اِلٰى اللهِ عَزَّوَجَلَّ وَلَوْلَا اِنِّى اُخْرِجْتُ مِنْكَ مَا خَرَجْتُ ـ

আল্লাহ পাকের কছম তুমি আল্লাহর জমিনে অতি উত্তম স্থান এবং আল্লাহ পাকের নিকট অত্যন্ত প্রিয়। তোমার থেকে বাহির হওয়ার জন্য যদি আমাকে বাধ্য না করা হত, তাহলে আমি কখনও বের হতাম না। (মুসনাদে আহমদ, জামে তিরমিযী, সুনানে ইবনে মাজাহ) এ বিষয় সম্পর্কিত সবগুলো হাদীস বিশুদ্ধ এবং এগুলো দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মক্কা মুকাররমা অন্যান্য সকল স্থান থেকে উত্তম হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, মসজিদে হারামের নামাযের ছাওয়াব অন্য সব জায়গা হতে অনেক বেশী। হযরত জাবের (রাযি.) হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, হুযূর ফরমান-

صَلَاةٌ فِىْ مَسْجِدِىْ هَذَا اَفْضَلُ مِنْ اَلْفِ صَلَاةٍ فِيْهَا سَوَاهٗ اِلَّا الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَصَلَاةٌ فِى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ اَفْضَلُ مِنْ مِأَةِ اَلْفِ صَلَاةٍ ـ

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান, আমার মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে এক নামায অন্য সকল মসজিদের তুলনায় এক হাজার নামাযের চাইতে উত্তম। হ্যাঁ মসজিদে হারামের এক নামায অন্য সকল মসজিদের এক লক্ষ নামাযের চেয়েও বেশী উত্তম। (মুসনাদে আহমদ)

যদি আমরা মসজিদে হারামের এক নামায এক লক্ষ নামায অনুযায়ী হিসাব করি তাহলে মসজিদে হারামের এক নামায ৫৫ বৎসর ৬ মাস ২০ দিনের নামাযের বরাবর হয় এবং এক দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের যদি হিসাব করি তবে ২৭০ বৎসর ৯ মাস ১০ দিনের নামাযের বরাবর বা সমান হবে। হারাম শরীফের নামাযের এত বেশী ছাওয়াব প্রমাণ করে যে, হারাম শরীফের প্রত্যেক নেকি লক্ষ নেকির সমান। আল্লামা মুহিব্বুদ্দীন আহমদ বিন আবদুল্লাহ তিবরী বলেন, নামায রোযার বেশী বেশী ছাওয়াবের বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সমস্ত নেক কাজের বদলা বা ছাওয়াব তদ্রƒপ হবে।

হযরত হাসান বসরী (রহ.) ফরমান মক্কা মুকাররমার এক রোযা এক লক্ষ রোজার সমান, এক টাকার ছদকা এক লক্ষ টাকার ছদকার সমান, বরং প্রত্যেক নেকি এক লক্ষ নেকির সমতুল্য। [ফাযায়েলে মক্কা, হাসান বসরী (রহ.)]

কিন্তু স্মরণ রাখবেন ছাওয়াব বেশী বেশী হওয়ার জন্য দুইটা শর্ত আছে-

১। যে কোনো আমল খালেছ আল্লাহর জন্য করা। ২। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুকরণ ও অনুসরণ করা। সাথে সাথে মক্কা মুকাররমায় কোনো রকম পাপের কাজ না করা এবং তা হতে বেঁচে থাকা অতিব জরুরী। যেহেতু এখানে যেমন নেক কাজের ছাওয়াব বেড়ে যায় তেমনি পাপ কাজের আযাবও বেড়ে যাবে। মুজাহেদ (রহ.) ফরমান মক্কা মুকাররমায় যেমনি নেক কাজসমূহ বেড়ে যায় এমনিভাবে গুনাহের কাজে গুনাহও বেড়ে যাবে।

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হয় যে, গুনাহও কি একের অধিক লেখা হয়ে থাকে? উত্তরে তিনি বলেন হ্যাঁ মক্কা শরীফের আযমত ও সম্মানের প্রতি লক্ষ্য করে অতিরিক্ত লেখা হয়। হযরত ইবনে মাসউদ (রাযি.) এভাবে বর্ণনা করেন যে, যদি কেউ আদন, আবইয়ানের মাঝখানে অন্যায়ভাবে (আদন, আবইয়্যান আরবের একটি দ্বীপের নাম) কেউ কাউকে হত্যা করার ইচ্ছা করে। তবুও আল্লাহ পাক তাকে কঠিন আযাব দিবেন।

আরো জানতে পড়ুন :

http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67156

মক্কা ক্লক টাওয়ারঃ কাবা শরীফের চুড়ান্ত অপমান করলো সৌদিরা (কপি-পেস্ট লেখা)

http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67146

কাবা শরীফে নারী পুরুষের ধাক্কাধাক্কি ও অবাধ মেলামেশা চরম ইসলামবিরোধী

কৃতজ্ঞতা : মক্কা শরীফ সম্পর্কিত সব তথ্য নেটের বিভিন্ন সাইট হতে কপি - পেস্ট করা হয়েছে ।

বিষয়: বিবিধ

৩৬২২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

330806
২০ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৩
চোথাবাজ লিখেছেন : কাবা শরীফে নারী পুরুষের ধাক্কাধাক্কি ও অবাধ মেলামেশা চরম ইসলামবিরোধী Love Struck Love Struck
২০ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৮
273025
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হা । সত্যি কথা ।
330930
২১ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:২২
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : আপনার মাথা ব্যাথা কেন।
২১ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:০৭
273243
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি মুসলিম । তাই আমি এই বিষয়ে লিখছি ।

আমার লেখায় কি কোন ভুল তথ্য আছে ? মক্কা শরীফের যে অবস্হা করা হচ্ছে এবং ইসলামের স্মৃতি বিজরিত স্হান ধ্বংস করা হচ্ছে, এব্যাপারে কি আপনার মনে সামান্যতমও কি রেখাপাত করে না ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File