স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালযের মেয়েদের হিজাবী হওয়ার সহজ কৌশল
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩১ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:৪৬:৩৫ রাত
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এমন অনেক আপু আছেন যারা ইসলামের নীতিমালা মেনে পোষাক পড়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পড়তে পারেন না । কারণ তিনি জানেন না কীভাবে ইসলামের নীতিমালা মেনে পোষাক পড়তে হয় বা পোষাকের হিজাব করতে হয় । হিজাব অনেক ধরনের । যেমন :
১. পোষাকের হিজাব । এই হিজাব হলো আপনি কীভাবে পোষাক পড়বেন ।
২. আচার- আচরনের হিজাব বা মুয়ামালাত ।
৩. চিন্তা – ভাবনার হিজাব ।
২ এবং ৩ নং হিজাব নিয়ে আমি আলোচনা করছি না । যদি বিষয় দুইটি অনেকের কাছে নতুন মনে হবে । আজ শুধু পোষাকের হিজাব নিয়ে আলোচনা করবো ।
আপনি কীভাবে হিজাব করবেন বা পড়বেন তা নিচে পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করছি ।
১। আপনার চুল ভালভাবে ঢাকুন :
হিজাব পড়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে আপনার চুল আপনার মাহরাম পুরুষ ( বাবা-ভাই-ছেলে বা যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ এমন পুরুষ ) ছাড়া অন্য কেও দেখতে পারবে না।
হিজাব পড়ার জন্য প্রথমে ওড়না বা স্কার্ফ পড়ার আগে সব সময় চুল ভাল করে বেঁধে নিন ।
সামনে যদি চুল ছোট করে কাটা থাকে তাহলে তা ব্যান্ড দিয়ে ভাল করে আটকে নিন ।
এছাড়া চুল ঢেকে রাখার জন্য বোনেট ক্যাপ, আন্ডারক্যাপ ও নেটের ব্যান্ড বাজারে পাওয়া যায়। আপনি সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন ।
অনেকে বলেন, বোনেট ক্যাপ মাথায় দিলে মাথা গরম হয়ে যায় । আসলে এটা অভ্যাসের ব্যাপার। বোনেট ক্যাপ বিভিন্ন ধরণের হয় । কিছু ক্যাপ সম্পূর্ন ঢাকা থাকে । আপনি আপনার সুবিধা মত এসবের যে কোনটি দিয়ে চুল বেঁধে নিতে পারেন। তাতে আপনার মাথা গরম হবে না।
আপনি এসব জিনিস বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে পাবেন । এমন কি ফেসবুকে বিভিন্ন পেজেও এগুলো বিক্রি হয় । নেটে ইকার্স সাইট হতেও কিনতে পারেন । যেমন : ইবে ডট কম এবং আমাজন ডট কম ।
আপনি ঢাকায় থাকলে বসুন্ধরা সিটি হতে এসব জিনিস কিনতে পারেন । ঢাকা-য় কম করে হলেও ৫০ টা ফ্যাশন হাউজ আছে যারা হিজাব করার মতো জিনিস বিক্রি করে ।
বসুন্ধরা সিটিতেও আপনি পাবেন নানা ধরণের ক্যাপ এবং ওড়না । শুধু একটু খুঁজে নিতে হবে আপনার সাইজ মত। ক্যাপ মাথায় দিলে কোন ভাবেই চুল সামনে আসবে না। চুল দেখিয়ে হিজাব করার ফ্যাশন থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
আপনি এই যদি এসব উপকরণ জোগাড় না করতে পারেন, তাহলে একটা বড় ওড়না দিয়েও এই টিউটোরিয়াল দেখে চুল, মাথা ও বুক ঢাকার কৌশল আয়ত্ব করতে পারেন : http://www.dailymotion.com/video/xugymj_wrap-orna-or-dupatta-around-head-and-chest-in-proper-way_lifestyle?search_algo=2#.UKjyWphodkg
২। দয়া করে কামিজের হাতা লম্বা করুন :
ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী মেয়েদের হাফহাতা বা ফুল হাতা জামা পড়া নিষিদ্ধ । আপনার প্রয়োজন হলে আপনি জামার হাতাটাকে ছেলেদের মতো বাজ করে কাজ-কর্ম করতে পারেন ।
আপনার হাত মানুষকে (তা ছেলেই হোক বা মেয়েই হোক ) আকৃষ্ট করতে পারে । আপনি না চাইলেও করতে পারে । আর কোন কিছুর আকর্ষন করাই মানে আপনার পর্দা ঠিক মত হচ্ছে না। তাই ছোট হাতার সাথে যদি কেহ হিজাব করার চেষ্টা করে থাকে তা সঠিকভাবে হিজাব করা হবে না বা ইসলামের নীতিমালা মেনে পোষাক পড়া হলো না । আপনার কামিজের হাতা অবশ্যই লম্বা হতে হবে। কেহ যেন আপনার হাত দেখতে না পায় তাই হবে উদ্দেশ্য।
অনেকে মনে করে হিজাব করেছি বা ইসলামের নীতিমালা মেনে পোষাক পড়েছি, তার সাথে থ্রি কোয়ার্টার হাতা বা সামান্য লম্বা হাতা পড়লেই হবে। গরম লাগে, ঘেমে যাই, গ্রীষ্মকালে পড়তে পারিনা, এমন অনেক মন্তব্য অনেকেই করতে পারেন । গরমের দিনে গরম লাগবেই। কিছু করার নেই। শীতকালে যেমন শীত লাগবে, বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। গরমের অযুহাত দেখিয়ে আপনি কিন্তু কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পাবেন না। চিন্তা করে দেখুন, পৃথিবীর গরম আপনার সহ্য হয় না আর জাহান্নামের যখন আগুনের মধ্যে আপনাকে থাকতে হবে তখন কি করবেন ? এখন না হয় আপনি ছোট হাতা, চুল দেখিয়ে খুব ফ্যাশন করছেন কিন্তু জাহান্নামের দন্ড থেকে কিভাবে রেহাই পাবেন ? জাহান্নামের কথা ভাবলেই দেখবেন সব কিছুই স্বাভাবিক লাগছে।
আর ছেলেরা তো কোর্ট -প্যান্ট-সার্ট-টাই-টুপি গরমের মধ্যেও পড়েন । ডা. জাকির নায়েক তো সারা বছর এই পোষাক পড়েই ইসলাম প্রচার করেন । অনেক হুজুর জোব্বার উপর ওভার কোট পড়েন । মাথায় টুপির উপর আবার পাগড়ি পড়েন । তাদেরও নিশ্চয়ই গরম লাগে । কিন্তু তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে । সুতরাং আপনাকেও অভ্যস্হ হতে হবে । কারণ মানুষ অভ্যাসের দাস । আর মেয়েদের কষ্ট সহিষ্ণু হতে হবে । কারণ মেয়েরা মায়ের জাতি । মা হতে হলে কষ্ট করতে হয় । আর কষ্টের প্রশিক্ষণ না হয় পোষাকের মাধ্যমেই শুরু হোক ।
৩। জিন্স/প্যান্ট বা আঁটসাঁট বা পাতলা কাপড় বা কথিত ল্যাগিং পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন :
হিজাব পড়ে যদি আঁটো জিন্স/প্যান্ট/কামিজ অথবা যে কোন ধরণের কাপড় পড়ে থাকেন তা হয়ে যাবে হিজাব এর অর্থের বিপরীত। আপনার শরীরের ধরণ, শেইপ বা এমন কোন ধরণের অঙ্গ দেখাতে পারবেন না যা মানুষ কে আপনার প্রতি আকর্ষণ করবে। তাহলে হিজাব গ্রহনের কোন মানেই থাকেব না।
আপনার কাপড় আপনার ব্যাক্তিগত বিষয় কিন্তু যদি আপনার আল্লাহর প্রতি ভালবাসা এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে, তা আপনার কাপড়ে দিয়েই প্রকাশ পায়। আপনার কাপড়ই বলে দিবে আপনি আল্লাহ’কে কতটা ভালবাসেন। আপনার আচরণ এবং আপনার কাপড় যেন বিপরীত দিকে না যায়। আজকাল অনেকে আপুই বোরখা/আবায়াকে নিজের শরীরের ধরণ অনুযায়ী আঁটো বা টাইট করে পড়ে থাকেন। তাতে আপনার শরীরের আকৃতি পরিষ্কার বোঝা যায়। তা সঠিকভাবে পর্দা করা হয়না।
শরীরের গড়ন দেখানো হিজাবকে বা পর্দা করাকে অসন্মানিত করে। কাপড় পড়ুন বড় এবং ঢিলা। তাতে আপনি যেমন স্বচ্ছন্দবোধ করবেন তেমন আল্লাহ’র নির্দেশও পালন করা হবে। হিজাব এবং জিন্স কখনই এক সাথে যায়না।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া বা তুরস্কের মেয়েদের দেখে অনুকরন না। কারণ তাদের শরীর গড়ন আর আমাদের দেশের মেয়েদের শরীরের গড়ন এক নয় । এমন কাপড় পছন্দ করুন যা আপনার ব্যাক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে। আপনি যেন সমাজে একটি সুন্দর উদাহরণ হতে পারেন। সমাজকে আপনার চরিত্র নিয়ে কথা বলার কোন সুজোগই দিবেন না।
৪। উঁচু হিল যেন খুব বেশি মনোগ্রাহী না হয় :
আমাদের দেশে বর্তমানে উচুঁ হিল/হাই হিল ছাড়া মেয়েদের দেখাই যায়না। আপনার হিল থাকতে পারে বা আপনি সংগ্রহ করতে পারেন বা ব্যবহার করতে পারেন । তবে আপনার হিল কখনই অন্যকে আকর্ষন করতে পারবে না।
আপনি সালোয়ার বা কামিজের সাথে বানানো সেলোয়ার, পায়জামা বা প্যান্ট এমন ভাবে পড়ুন যাতে আপনার হিল খুব ভালভাবে না তাকালে দেখা না যায় । অনেকেই গোড়ালির উপরে পায়জামা/সালোয়ার পড়ে থাকে যা ইসলামের নীতিমালাবিরোধী ।
সালোয়ার কে যদি লম্বায় একটু বেশি করে পড়া হয় তাহলেই আপনার হাই হিল ঢেকে যাবে এবং তা অন্যকে আকর্ষন করতে ব্যর্থ হবে।
তাছাড়া এখন নানা ডিজাইন এর স্লিপার বা ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বাজারে পাওয়া যায়। কামিজের সাথে মিলিয়ে যে কেও স্লিপার ব্যাবহার করতে পারেন। হাই হিল ব্যাবহার করতেই হবে এমন কোন কথা নেই।
আপনি হজ্জ ও ওমরা করতে যেয়েও অনেক মহিলা/মেয়েদের হাই হিল ব্যাবহার করতে দেখবেন । কিন্তু তারা খুব সুন্দর করে আবায়া বা জিলবাব বা অন্য পোষাক এমন নিচু করে পড়েন যে তাতে খুব ভাল করে না দেখলে বোঝার কোন উপায় নেই যে তারা হাই হিল ব্যবহার করেছেন । সাধারণত হাই হিলগুলো মানুষ ব্যবহার করে উচ্চতা কম হবার কারণে। সত্যি কথা বলতে আপনার উচ্চতা আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন । হাই হিল দিয়ে কতটা উঁচুতে যেতে পারবেন? গেলেও তা কি আপনার জন্য ভাল কিছু বয়ে নিয়ে আসবে? ক্ষনিকের জন্য লম্বা হয়ে কি লাভ? যা আল্লাহ দেয়নি, তা জোর করে পাবার শখ কি বেশি দিন টিকে থাকতে পারে? যা আপনার নেই, তা মেনে নিলেই আপনি শান্তি পাবেন। মনে শান্তি। আর মনে শান্তি থাকলেই জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
সব কিছু মেনে চলা অনেক সময় অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, যেই মুহুর্তে আল্লাহ’র রহমত কে আপনি নিজের সমস্ত কিছু দিয়ে অনুভব করতে পারবেন, সেইদিন থেকে এমন অনেক কিছু আছে যা আপনি শুধু মেনেই নিবেন না, অন্যদেরকেও মানতে সাহায্য করবেন। যেমন, দেখুন, এক বছর আগেও আপনি কখনও ভাবেছেন হিজাবের উপর এমন ইভেন্ট বা পেজ চালু হবে যাতে এই লেখাটা পড়বেন এবং এক সময় আল্লাহকে সন্তোষ অর্জন করার জন্য আপনি হিজাব করা শুরু করবেন বা করার চিন্তা করার সাহস পাবেন ।
তবে এতটুকু মনে রাখুন, আল্লাহর ইচ্ছায় পৃথিবীতে এসেছেন । আল্লহই সব । আপনার জন্য মৃত্যু অপেক্ষা করছে । কারণ আমরা হায়াত-মউতের কথা জানি । সুতরাং এক সেকেন্ডর নাই ভরসা । মৃত্যুর পর জান্নাতই আমাদের শেষ ঠিকানা । সুতরাং কেনই বা আপনি ইসলামের নীতিমালা মেনে পোষাক পড়বেন না । এটা কি কঠিন জিনিস ? আমি হিজাব করার জন্য যে পদ্ধতি উল্লেখ করলাম তাতে বোরকার কথা নেই । আপনি মাত্র ১০০০ টাকার পোষাক কিনে আমার উল্লেখিত নিয়ম মেনে পড়লে মুহুর্তের মধ্যেই হিজাবী আপু হয়ে যেতে পারবেন বলে আমি আশা করি । সুতরাং আর দেরি নয় । আজই বলুন : আমি হিজাবী । আপনি হিজাবী হচ্ছেন তো ?
আপনাকে হিজাব করার জন্য দিক নির্দেশনা দিতে পারে এসব পেজ :
ক ) https://www.facebook.com/SalwarKameezHijab
খ ) https://www.facebook.com/SareeHijab
গ ) https://www.facebook.com/pages/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87/1409551792608271
বিশেষ দ্রষ্টব্য : সাজতে ভাল লাগলে অবশ্যই সাজবেন । মেয়েরা সাজবে এটাই স্বাভাবিক । সাজ ছেলেদের জন্য নয়। কোন ছেলে ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে আকাশে উড়ে বেড়াবে তা হতে পারে না। লিপস্টিক ব্যবহার করলে অবশ্যই হাল্কা রংয়ের ব্যবহার করবেন । হিজাবের সাথে হালকা সাজ অবশ্যই চলবে। অন্তত নগ্নতার থেকে অনেক ভাল। নিজের সীমার মধ্যে থেকে আপনি অনেক সুন্দর করে সাজতে পারেন। তবে কোনই এই ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়িয়ে যাবেন না ।
বিষয়: বিবিধ
৫১৩২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"বিশেষ দ্রষ্টব্য : সাজতে ভাল লাগলে অবশ্যই
সাজবেন । মেয়েরা সাজবে এটাই স্বাভাবিক ।
সাজ ছেলেদের জন্য নয়। কোন
ছেলে ঠোঁটে লিপস্টিক
দিয়ে আকাশে উড়ে বেড়াবে তা হতে পারে না।
লিপস্টিক ব্যবহার করলে অবশ্যই হাল্কা রংয়ের
ব্যবহার করবেন । হিজাবের সাথে হালকা সাজ
অবশ্যই চলবে। অন্তত নগ্নতার থেকে অনেক ভাল।
নিজের সীমার মধ্যে থেকে আপনি অনেক সুন্দর
করে সাজতে পারেন। তবে কোনই এই
ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়িয়ে যাবেন না ।"
এই সাজ হতে হবে স্বামির জন্য অন্যদেরকে দেখানোর জন্যে নয়।
আপনার কথা অনুযায়ী কোঝা যায় আপনি মর্ডানিস্ট মুসলিম (আমেরিকার র্যান্ড করপোরেশনের মতে মুসলিমের একটি ভাগ) আর এধরনের মুসলিমকে তারা ভয় পায় না।
ওয়াত্তাকুল্লাহ.......
কুরআন বর্ণিত ইসলাম পূর্ব যুগে মহিলারা যেভাবে সাজগোজ করতো সেই সাজগোজ ইসলামে নিষিদ্ধ । এজন্য আমি নিচে আলাদাভাবে এসব বাক্যগুলো লিখেছি । আশা করি, বুঝতে পেরেছি ।
কুরআনে কিছু মহিলা উদ্দেশ্য বলা হয়েছিলো যে তারা ঘরের মধ্যেই অবস্হান করবেন এবং তারা অন্য মহিলাদের মতো নন । কিন্তু বাস্তব অবস্হা হলো তারা এক সময় ইসলামের প্রয়োজনেই ঘরের বাহিরে বেড়িয়ে এসেছিলেন । সুতরাং আমাদের বাস্তব অবস্হাকে বুঝতে হবে ।
আমেরিকা কেন কোন অমুসলিম মুসলিমদের দেশে ভয় পাবে না । আর মুসলিমরাও ভয় দেখাবে না । কারণ কাউকে ভয় দেখানো বা কাউকে ক্ষতি করা ইসলামবিরোধী কাজ ।
কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে : মুসলিমরা মধ্যমপন্হী জাতি । আল্লাহ বলেছেন যে তোমরা হলে মুসলিম জাতি, তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ হতে বিরত রাখবে । মানুষের স্বভাব ও চরিত্রকে বুঝতে হবে । কারণ মানুষ মনো-দৈহিক জীব । এজন্য আমি আলোচনা বিভিন্ন ধরনের হিজাবের প্রসঙ্গ এনেছি । উপরন্তু ইসলাম সাভাবিকতার ধর্ম । ইসলাম ফিতরাতের ধর্ম । যা কিছু প্রকৃতি বা সাভাবিকতা বা ফিতরাতের বিরোধী তা কোনভাবেই ইসলামের বিষয় হতে পারে না বা কল্যাণকর বিষয় হতে পারে না ।
সুতরাং মুসলিম কাউকে ভয় দেখাতে পারে না । সংশোধন করতে পারে । তবে যে কারো নিরাপত্তাবিঘ্নিত হলে বা তার অস্তিত্ব বিপন্ন হলে যে কেহ তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ-প্রতিবাদ-লড়াই-সংগ্রাম করতে পারে যা সব ধর্ম কেন মানব জাতির একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন