টপ থ্রী দূর্গের পতন!
লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫০:৩২ সকাল
বাংলা বিহার উড়িষ্যার মতো নাম না জানা এক রাজ্যের এক অধিপতি ছিলেন। তাহার ছিল অনেকগুলো শক্তিশালী দূর্গ । টপ থ্রী দূর্গ হলো- প্রধান দূর্গ, দ্বিতীয় দূর্গ, শ্বশুড় বাড়ির দূর্গ। তাহার জাদুর কাঠিতে শনৈ শনৈ উন্নতির জোয়ারে সারা দেশ ভাসিয়া যাইতেছিল। কিন্তু এরপরও তিনি ভরসা করিতে পারিলেননা। আহাম্মক জনতা যদি আবার ভোট দিতে ভুল ভাল করিয়া বসে। তাই নিজে নিজেই রেফারী হয়ে থাকিতে চাহিলেন। একবার ভাবিলেন টেস্ট হোক একটা। দেশজুড়ে বড় বড় কয়েকটি সিটিতে নির্বাচন দিলেন। এত উন্নতি সত্ত্বেও জনগণ ঠিকই আহাম্মকী করিয়া বসিল। সেই নির্বাচনের সব কটিতে হারিয়া বসিল অধিপতির লোকজন। এমনকি অনেকগুলো বড় বড় দূর্গের পাশাপাশি দ্বিতীয় দূর্গে ও বড় ব্যবধানে ছন্দপতন!
এরপর অধিপতি আর ঝুঁকি নিলেননা। নিজেই রেফারী হয়ে খালি মাঠে 153 টি গোল দিলেন। আর 147 টি গোল দিলেন আর কিছু গৃহপালিত প্রার্থী দাঁড় করিয়ে। অবশ্য লোকে মন্দ বলিবে - এই ভাবিয়া গোলগুলির কিছু ভাগবাটায়ারা করিলেন-গৃহপালিত প্রাণীদের কিছু দিয়ে দিলেন বটে।
এরপর দেশজুড়ে ছি!ছি রব পড়িয়া গেল। এই ছি ছি ঠেকাতে দলীয় ছিইছি দ্বারা অধিপতি একটা স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করিলেন। বিধিবাম! সেই নির্বাচনেও অনেকগুলো দূর্গের পতনের পর অধিপতির নিজ এলাকায় যেটি প্রধান দূর্গ রূপে বিবেচিত সেটাতেও তাহার প্রতিনিধি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলো। কয়দিন পর দেখা গেল তৃতীয় দূর্গ নামে খ্যাত শ্বশুড় বাড়ির দূর্গটি ও অধিপতির হাতছাড়া হইয়া গেল।
অবশ্য অধিপতিকে এতে তেমন একটা বিচলিত মনে হইলোনা। তাহার পাশের রাজ্যের অধিপতি বড় দাদাবাবুর সাথে অতিশয় খাতির ছিলো। বড় দাদাবাবু বুদ্ধি দিলেন, যত দূর্গেরই পতন হোক সমস্যা নেই তবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরিয়া রাখিতে হইবে। এইজন্য একের পর এক নাটক রচনা করিতে হইবে। অধিপতির পাশে হাম্বাদিকরা ছিল। নিত্য নতুন নাটক রচনা করিতে কোন সমস্যা হচ্ছিলনা। এরপর নিত্য নতুন নাটক একের পর এক মঞ্চস্থ হইয়া চলিতেছে- BALকায়েদা নাটক, জঙ্গি নাটক, ক্রসফায়ার নাটক ইত্যাদি ইত্যাদি।
(ইহা একটি আজাইরা গল্প। জীবিত, মৃত, উত্তেজিত কোন ব্যক্তি বা ঘটনার সাথে কোনোরূপ মিল খুঁজিতে চাহিলে নিজ দ্বায়িত্বে খুঁজিবেন। উহার জন্য আমাকে দায়ী করা চলিবেনা- এই আমি বলিয়া রাখলুম। )
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন