আজব দেশে একি গজব? জেগে উঠো নারী সমাজ
লিখেছেন লিখেছেন ফারুক ০৬ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:০৯:০৬ রাত

খেই হারিয়ে ফেললাম। কি লিখবো? যখন মনে আসে আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ। লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায়। আমার জন্ম ফিলিস্থিনে হয়নি। আমার জন্ম কাশ্মীরে হয়নি। আমার জন্ম সোমালিয়া হয়নি। আমার জন্ম আলজেরিয়া হয়নি। আমার জন্ম ভারতে হয়নি। একসময় গর্ভ করে বলতাম আমার জন্ম ৯৩ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে। কিন্তু আজ কেউ প্রশ্ন করলেও মাথা নিচু করে থাকতে হয়। আমাদের ছোট বয়সে দেখেছি পৃথিবীর কোন দেশে মানবতার প্রতি বর্বরতা চলতে দেখলে সবার আগে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবাদের সুর ভেসে উঠত। সেদিনও মনে হোল দেখলাম কোরআনের আলোচনা হচ্ছে তা দেখে এক মহিলা মাথায় কাপড় টেনে দিচ্ছে। চিন্তা করলাম কেন সে এমন করলো? মসজিদের মিনার থেকে যখন আজানের সুর ভেসে আসে পাড়া মহল্লাসহ সব জায়গায় মহিলারা মাথাটা ডেকে দেয়। কিন্তু কেন এমন করে? অনেক চিন্তা করার দরকার হয়নি। খুব সহজে উত্তর ফেয়ে যাবে যে কোন বিবেকবান লোক। এখন জানিনা সে পরিবেশ বাংলাদেশে আছে কিনা? এদিনও দেখলাম বাংলাদেশের মানুষের ঘুম ভাঙ্গে মুয়াজ্জিনের আজান শুনে, আবার ঘুম আসে মুয়াজ্জিনের আজান শুনে। সেদেশে মানুষের অনুভুতি নষ্ট খুব সহজে হবার কথা নয়। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ইসরাইলী বর্বর হায়েনাদের হাতে চলে গেলো আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ। বর্বরতার শেষ পেরাগটুকুও অবশিষ্ট নেই। ইহুদীদের এজেন্ট বাকসালিরা সবই করছে।
মানবতার প্রতি নির্লজ্জ অমানবিক আচরন আওয়ামীলীগকেই মানায়। মানবতার প্রতি একি আচরন তারা করছে? বিশ্বয়ে বিমুর হয়ে যাই। নারি প্রগতির নামে তাদের শ্লোগান শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যেত। আজ তারাই নারীদের প্রতি একি অমানবিক আচরন করছে? নারির ইজ্জত কি নারি প্রগতির ফেরিওয়ালাদের চোখের সামনেই চিহ্ন বিচিহ্ন হয়ে যাবে? যদি তাই হয়- আগামীতে যারা নারি প্রগতির কথা বলে রাস্তায় আসবে তাদের ( লজ্জা শরম রেখেই বলতে হচ্ছে, এ জন্য দুঃখিত) উলঙ্গ করে চেড়ে দেয়া হবে। যখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মানি মা- বোনেরা তাদের ইজ্জতের দাবী তুলতে পারবেনা তখন ঐসব পতিতারা রাস্তায় নামার সুযোগ পাবে কেন? আর পতিতাদের সর্দার শেখ হাসিনা – মতিয়ারা ঘরেও থাকার সুযোগ পাবে কীভাবে? অসম্ভব!!!!! হৃদয় আমাদের ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।
বাকস্বাধীনতা আজ বাংলাদেশে যেন সোনার হরিণ। গঠনতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক দল জামায়াতে ইসলামী। গন মানুষের এ সংগঠন আজ যেন নিষিদ্ধ। কথা বলার সকল অধিকার আজ কেড়ে নিচ্ছে বাকসালি সরকার। রাস্তায় নামতে দিবেনা। ঘরে বসতে দিবেনা। মসজিদে যেতে দিবেনা। অদ্ভুত!!!!!!!!!!!!!!! কি করবে তারা?
আজ মহিলাদের উপরও শুরু হোল তাদের নির্মমতা। ছাত্রিসংস্থাও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কোন সংগঠন নয়। এরা কোন দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। যেমনি ভাবে ছাত্রলিগের মেয়েরা বিভিন্ন জায়গায় হাতে নাতে ধরা খাচ্ছে। এসব ছাত্রিসংথার মেয়েরা নিজেদের জীবনে দ্বীনের চর্চা করে। অন্য বোনদের কাছে দ্বীন চর্চার আহ্বান জানায়। এটা কি তাদের অপরাধ? এটা কি অন্যায়? দ্বীনের দিক বাদ দিয়ে পতিতালয়ের দিকে ডাকলেই শেখ হাসিনা খুশী????? শেখ হাসিনা এবং তার দলের মেয়ে এবং মহিলারা দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত তা আজ সমগ্র দেশ জানে। কিন্তু আজ এসব বোরখা পরা দ্বীনের খাদেমদের কেন গ্রেফতার করে আরেকটি নির্লজ্জতার জন্ম দিলো?
গত কয়দিন আগে ২৪ জন নারিকে কোন অপরাধ ছাড়াই গ্রেফতার করা হোল। রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হোল? অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও মুক্তি দিলনা। আজ আমার হৃদয়ে প্রশ্ন জাগে শেখ হাসিনা তার সন্তানগুলো কীভাবে জন্ম দিলো? পেটে ধারন না করে কোন মেশিনের সাহায্যে? পাঠক আমাকে মাফ করবেন। তার এ আচরণগুলোর জবাব আমি পাইনা। মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা নেই কিন্তু নারি হয়ে কি নারির প্রতিও নেই? যেসব বিচারকরা বসে আছে বিচারের আসনে, তারা কি কোন সন্তানের পিতা – মাতা নয়? যদি তাই হয় তাহলে আমার প্রশ্ন? কীভাবে তুমি এসন্তানের জন্ম দিলে????? কেন পারলেনা গর্ভবতী কোন নারির প্রতি সামান্য সহানুভূতি নয় ন্যায় বিচারটিও করতে? ধিক্কার জানাতে কুণ্ঠাবোধ করিনা তোমাদের আইনের সনদগুলোর প্রতি। আমার পায়ের নিছে রাখতে ইচ্ছে হয় তোমদের সনদ। পারনি তমারা মানবতাকে সম্মান জানাতে। এসব নারিরা যদি তোমাদের স্ত্রীদের মতো বেহায়া হতো তাহলে হয়তো পারতে।
৫ জানুয়ারি যে নারীগুলোকে গ্রেফতার করা হোল তাদের অপরাধ পৃথিবী জানতে চায়। নাহয় আগুণ লাগিয়ে দেয়া হবে টেকনাফে আর সে আগুন নিব্বে তেতুলিয়ায়। আজ বাংলার দ্বীনদার মা- বোনদের প্রতি আমার জানার বিষয়- আপনারা কি ফেরাউনের পতনের ইতিহাস জানেন? নমরুদের পতনের ইতিহাস কারো অজানা থাকার নয়। আপনারা কি ইরানের স্বৈরাচার শাহ এর পতনের ইতিহাস জানেন? আপনারা কি মিশরের মোবারক পতনের ইতিহাস জানেন? আপনারা কি ইসলামের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সমরবিদ মহিলা সাহাবী হজরত খাওলা (রাঃ) এর বীরত্বের ইতিহাস জানেন? যিনি কাফের সৈন্যদের আক্রমণের কথা শুনে মহিলা মুজাহিদদের ডেকে বলেছিলেন- হে সম্মানিতা মহিলা যোদ্ধারা, তোমারা কি চাও জীবন থাকতে আমাদের ইজ্জত- সম্মান কাফেরদের হাতে লুণ্ঠিত হোক? সবাই এক বাক্যে বলেছিল আমাদের জীবন থাকতে তা হতে পারেনা। তখন হজরত খাওলা বলেছিলেন- তাহলে সবাই বেরিয়ে আসো, কাফির সৈন্যরা তোমাদের উপর আক্রমণ করার জন্য আসছে। আমরা জীবন দিয়ে হলেও তা প্রতিহত করবো। তার এ ঘোষণার পর সমস্ত মহিলা সাহাবীরা ঝাঁপিয়ে পড়ল কাফের সৈন্যদের উপর। আর কাফির সৈন্যরা নিজের জীবন নিয়ে যাওয়াটাও দুরূহ হয়ে গেলো। পরাজিত হোল কাফিররা।
ইরানের শাহ এর পতনের মেরুতে ছিল মা এবং বোনেরা। লক্ষ লক্ষ মা বন যখন কোলে কাঁখে তাদের সন্তানদের নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলো তখন শাহ এর সৈন্যরা অস্র সমর্পণ করতে বাধ্য হোল। নির্যাতনকে তারা জয় করে নিয়েছিলেন।
কে আছো আজ বাংলাদেশে সে নাবিক। যে হবে হজরত খাওলার উত্তরসূরি? এভাবে ইজ্জত বিলিয়ে দেয়া যায়না। জালিম, পতিতার সর্দার শেখ হাসিনার পতনের জন্য মাত্র একদল মা- বোন দরকার যারা বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লবের কাণ্ডারি হবে। যারা মানবতা, ইজ্জত- আব্রু বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করবে। আমরা চাইনা জীবন থাকতে কোন মা- বোনের ইজ্জত, স্বাধীনতা, অধিকার ভূলুণ্ঠিত হোক। আমাদের হৃদয় আজ ক্ষত- বিক্ষত। এ হৃদয়ে শান্তির শ্বেত কপোত উড়বে সেদিন যেদিন আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর সেই হাদিসটির বাস্তব রূপ বাংলার জমিনে আমরা দেখতে পাবো। তিনি বলেছিলেন- একটা সময় আসবে যখন একজন সুন্দরী নারি তার ইজ্জত আবরু এবং সন্দরয নিয়ে একাকী হেঁটে যাবে তার কাছে আল্লাহর ভয় ছাড়া আর কোন ভয় থাকবেনা।
বিষয়: বিবিধ
২৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন