শিবিরকে নিয়ে সাংবাদিক নামক সাংঘাতিকদের মিথ্যাচার
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:৪৮:১০ দুপুর
গত ১৬ই ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কলেজে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং সাংবাদিক নামের জন্ডিস আক্রান্ত হলুদ হাম্বাদিকদের কারসাজি সম্পর্কে দু’টো কথা বলতেই হয়। ওইদিন কলেজে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগ নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিবির এবং সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। কিন্তু অর্থের কাছে বিবেক বিক্রয় করা সংবাদিকরা রিপোর্ট করলো- ‘ছাত্রলীগের পুষ্পঅর্পন কর্মসূচীতে শিবির হামলা করেছে’। এটা যে একটি পরিকল্পিত হামলা এবং শিবিরকে কোণঠাসা করার গোপন চক্রান্তু তা হোস্টেল বন্ধ ঘোষণা এবং কয়েকজনের নামে এবং শাতাধিক বেনামে মামলা করার মাধ্যমে তা পরিস্কার হলো। অথচ এর চেয়ে বড় ঘটনা হলেও সাধারণতঃ ছাত্রাবাস বন্ধ হয় না।
হাম্বাদিকরা এখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। সাথে ৮১’র তবারক এবং ৮৪’র শাহাদাত নিহত হওয়ার ঘটনার সাথে শিবিরকে দায়ী করে আগুনে ঘি ঢালার ব্যবস্থা করলো।
১৯৮১ সালে আমি চট্টগ্রাম সরকারী বানিজ্য মহাবিদ্যালয়ে একাউন্টিং অনার্স, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলাম। রোজ সাইকেল চালিয়ে চকবাজার থেকে কলেজে আসা যাওয়া হতো আমার। সেদিন কলেজে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম কলেজের প্রধান ফটক বরাবার পৌঁছে দেখতে পেলাম মুহসিন কলেজের পাহাড়ের উপর থেকে সিটি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তবারকের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি সসস্ত্র দল চট্টগ্রাম কলেজে প্রবেশ করে তান্ডব শুরুর কিছুক্ষণ পর ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে পতিত হয়ে পালাতে থাকে। তবারক পালাতে গিয়ে কলেজের দক্ষিণ পাশে ২০/৩০ ফুট নিচু খাদে পড়ে যায় এবং তার হাতের চাকুটি তাকেই আঘাত করে গড়িয়ে পড়ার সময়। এই ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজের শিবির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং পরে তারা খালাস পেয়ে যান, কারন প্রমাণিত হয়েছিল যে, বহিরাগতরা কলেজে হামলা করতে এসেছিল।
৮৪সালে শাহাদাত নামের এক নাস্তিক ছাত্রকে আরেকজন নামাযী ছাত্র ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করে। এটিকেও শিবিরের হত্যাকান্ড বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু
নামাযী ছাত্রটি পরিস্কার সাক্ষ্য দিয়েছিল, তার সাথে শিবিরের কোন সম্পর্কে নেই। উক্ত নিহত ছাত্র তাকে নামায পড়ার কারণে বিভিন্নভাবে উত্তক্ত করতো। অসহ্য হয়ে সে এ হত্যাকান্ড ঘটায়। এখানে ছাত্র শিবিরের কোন হাত ছিল না, অথচ সেটাকেও শিবিরের সাথে যোগ করে দিল হলুদ ওয়ালারা।
বিষয়: বিবিধ
১৩২০ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"সাংঘাতিক"রা তাদের নামের সাথে অবিচার করছেনা!!
ঠিক বলেছেন, আবু সাইফ ভাই।
আওয়ামী পেন্ডেলের বাইরে যারা আছেন সবার অবস্থা হল তীহ প্রান্তরে বন্দী বনী-ইসরাঈল জাতির মত...
তারা গো ধরেছিল জিহাদ করবে না...কিন্তু আল্লাহ তাদের ঐ প্রান্তরে আটকে রেখে শাস্তি দিয়েছেন যতদিন তারা আল্লাহর কথা মত জিহাদ করেনি...
শেষ পর্যন্ত বন্দী বনী-ইসরাঈল জিহাদ করেছিল আর আল্লাহ তাদের পুরস্কার ও দিয়েছেন(একটি দুধ ও মধুর দেশ)।
অত্যাচারী সবসময় ভীত হয়...একসাথে অনেক লোক মাঠে নামলে তারা ভীত হয়ে পালায়...
তবারক সেই সময় সিটি কলেজ থেকে বহিস্কৃত ছিল। তার তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন আমার আব্বা। তার বিরুদ্ধে নারিদের উত্যক্তকরার অভিযোগ ছিল।
দেখেন
ধন্যবাদ আপনাকে লিখাটা উপহার দেওয়ার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন