দুয়া বেচা কেনার হাট বাজার!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ২৩ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:১৬:৪৯ সকাল
দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার দুয়া বেচা-কেনা হয় আমাদের দেশে। এটি যেন একটি অ-ঘোষিত ‘ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী ফর দুয়া’। রোগ মুক্তির আশায় দুয়া, মৃত মা-বাবা-নিকটাত্মীয়ের জন্য দুয়া, সন্তান হওয়ার জন্য দুয়া, সন্তান সুস্থ থাকার জন্য দুয়া, আয় রোজগার বৃদ্ধির জন্য দুয়া, ঘরে ভূত-প্রেত না আসার জন্য দুয়া এবং আরো অনেক বিষয়ে এক ঝাঁক মৌলভী দিয়ে দোয়া কামনা করা হয়ে থাকে।
দেশের প্রায় প্রতিটি মসজিদ এবং মাজার কেন্দ্রীক ইমাম-মোয়াজ্জিনদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠেছে একেকটি সিন্ডিকেট। এ বানিজ্য চলছে দেদারছে। এসব দুয়া অনুষ্টাণের কয়েকটির নাম- শেফার দুয়া, সফিনা খতম, খতমে কুরআন, খতমে বুখারী/মুসলিম শরীফ, খতবে খাজেগান, খতমে গৌসিয়া এবং আরো অনেক অনেক নাম রয়েছে দুয়ার।
এসব দুয়া ব্যবস্থাপনার ফিঃ (হাদিয়া!)ও কিন্তু খুব একটা কম নয়, দুয়ার ধরন হিসেবে কয়েক শ থেকে কয়েক হাজারও হয়ে থাকে ফিঃ (হাদীয়া!)
দোয়া বিক্রেতাদের অকাঠ্য ফতোয়- বিচারকের সাথে আর্গুমেন্ট করার জন্য যেমন উকিল প্রয়োজন, তেমনি আল্লাহর নিকট কারো দোয়া পৌঁছানোর জন্যও তাদের মাধ্যম প্রয়োজন। অথচ আল্লাহ বলেন- ‘তোমরা আমাকে ডাকো; আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’- ৪০ :৬০ ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করবো।’ - (২ : ১৫২)।
একটু ভেবে দেখুন! আমার রোগমুক্তি সহ সকল প্রয়োজন পূরণের জন্য আমার চেয়ে বেশী আন্তরিকতা আর দরদ দিয়ে অন্য কেউ আল্লাহর নিকট চাইতে পারে? আমার প্রিয় মাতা-পিতার জন্য আমার চেয়ে বেশী আন্তরিকতা দিয়ে কেউ কি দোয়া করতে পারে? আল্লাহ তো সব ভাষা বুঝেন, এমন কি বোবার ভাষা এবং মনের ভাষাও।
এর মানে এই নয় যে, কেউ কারো জন্য দোয়া করতে পারবে না। অবশ্যই মু’মিনরা পরস্পরের জন্য দোয় করবেন। এজন্য হাট-বাজার খুলে বসার কোনই প্রয়োজন নেই।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন