ও ডাক্তার..............
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২০ মে, ২০১৪, ১০:৩০:২২ রাত
ও ডাক্তার..............
অনেক ডাক্তার বন্ধু আছে। কারো সাথে সম্পর্ক আছে কারো সাথে নেই। যারা সম্পর্ক রেখেছে তাদের সাথে সম্পর্ক আছে। যারা রাখেনি তাদেরকে ভুলে থেকেছি। একটা সময় থেকে ডাক্তারী লাইনটার প্রতি কেমন বিতশ্রদ্ধ ছিলাম। কিছুটা জেদ কিছুটা না পাওয়ার ব্যদনা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ওয়েটিংয়ে ওয়েটার ছিলাম। তারপর থেকে এই লাইনটারে এড়িয়ে চলি।
তবুও এমবিবিএস পড়া বন্ধুদের পড়ালেখা নিয়ে কষ্ট দেখে আমারই কষ্ট হত। আইটেম কার্ড টার্ম প্রফ । কান ঝালাপালা করে ফেলত। কোথাও আড্ডা দিতে আসতে বললে শুধু অজুহাত আর অজুহাত। শ্রোগান হল আইটেম কার্ড টার্ম প্রফ।
সবার অনার্স শেষ হয় চার বছরে এদের আবার ৫ বছরে। সেশানজট থাকলে তো কথাই নেই। এরপর আবার ইন্টার্নি। এরপর এফসিপিএস। এফআরসিএস। এমএস। আরো কত কি! এদের স্টাডি শেষ হয়না।ডাক্তারীতে ঢুকতে কষ্ট ঢুকে কষ্ট বের হয়ে কষ্ট। নিত্য নতুন রোগ জীবানু মেডিসিন নিয়ে এদের পড়তে হয়। কারো বিসিএস হয় কারো হয়না। বিসিএস হলেও এরা বিষন্নতায় ভোগে । কারন গ্রামে সুযোগ কম।ছাত্র জীবনে এত কষ্ট করেও অন্য বিসিএস এর সমান মাইনে। শুধু মাইনে সমান তা না দাপটও কম। মানুষ ক্ষমতা একসিস করতে চায়। ডাক্তাররা নিজেকে ক্ষমতাহীন ভাবতে থাকে। মন:কষ্টে ভোগে। আবার বিসিএস না হলে স্থায়ী চাকরী না থাকার অনিশ্চয়তা। প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষের হুকুম মানতে ইগোতে লাগারও কথা।প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ভিজিট নিতে অনেকেই আনইজি ফিল করেন। তবুও নিতে হয় পেটের তাকিদে। মাসে অনেক নাইট ডিউটি পড়ে। স্বামী স্ত্রী উভয়ে ডাক্তার হলে দুই জনের মিনিমাম ১০ দিন নাইট ডিউটি থাকে। রোগীদের নিয়ে ডিল করতে করতে মেজাজ খিচড়া থাকে। দুজনেতে দেখি ঝগড়া ঝাটিও হয় প্রচুর। সব মিলিয়ে এদেশে মেধাবীরা বঞ্চিত।
ঘরের কথা বাইরে তো আর বলা যায় না। প্রেজটিজ বলে কথা। জীবনের সুন্দর বছর গুলো পড়া লেখাতে বুদ হয়ে থাকতে থাকতে যখন মাথা তুলে পৃথিবী দেখতে শুরু করে তখন ডাক্তাররা দেখে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের জন্যে পৃথিবীটা খুব কুসুমাস্তীর্ন না । অন্তত যতটুকু ভেবেছিল ততটুকু না। এই সময়টা টাকাওয়ালাদের। মেধাবীদের না।
আসুন ডাক্তারদের সমীহ করি। ভালবাসি। তাদের আবেগের সাথে পরিচিত হই।
মনে রাখবেন আমার দেশের বেশিরভাগ ডাক্তার ই ভাল।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন