পুলিশের বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। বাদ পড়বে ১৭৭০ জন। এর দায় কি ধর্ষক লীগ নেবে না কি কূলাংগার বেনজীর, মেহেদী হাসান?
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ১৪ মার্চ, ২০১৩, ১০:৪৮:২৯ রাত




পুলিশের উচিত ছিল এত উতসাহী হয়ে গণহত্যায় মেতে না উঠা। তাদের ভাবমূর্তি বলে কি কিছু বাকী রইল?
নির্বিচার গুলি চালিয়ে বিপাকে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলিতে গত কয়েক সপ্তাহে দেশে অন্তত দেড় শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে। প্রধান বিরোধীদল বিএনপি’র দেয়া তথ্যমতে, এই সংখ্যা ১৭০’র বেশি।
শুধু গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক দিনেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৬ জন।
এসব ক্ষেত্রে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো ধরনের আইন-কানুন মানেনি পুলিশ; এমনই অভিযোগ উঠেছে।
অপরাধ প্রতিরোধ ও সংঘটনকারীদের সঙ্গে আচরণ বিষয়ে জাতিসংঘের অষ্টম কংগ্রেসে গৃহীত ‘আইন প্রয়োগকারী বাহিনী কর্তৃক বল প্রয়োগ ও অস্ত্রের ব্যবহার বিষয়ক মূলনীতি’সহ (হাভানা, ১৯৯০) বিভিন্ন মানবাধিকার সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের অনুসারে এমন নির্বিচার গুলি চালাতে পারেনা বাংলাদেশি পুলিশ। কিন্তু তেমনটি’ই ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবেই এর বিপরীতে নানা প্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করতে হচ্ছে সরকারকে।
এরই মধ্যে খবর এসেছে, পুলিশের এক হাজার ৭৭০ জন সদস্যকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। এ বিষয়টি জাতিসংঘ বিবেচনা করছে শুরু করেছে বলে খবর বেরিয়েছে।
এই প্রতিটি মৃত্যু ও পুলিশের বাড়াবাড়ির অভিযোগ তদন্তে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’ও সরব হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই ব্যাপক প্রাণহানিকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা করেছেন। বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় এলে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অভিযুক্তদের বিচার করবে। গতকাল বুধবার ঢাকায় এক জনসমাবেশে এ কথা তিনি জোর দিয়ে বলেন।
এদিকে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক বাংলা সাপ্তাহিক ঠিকানা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘ হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস জনগণের ওপর গুলিবর্ষণ, কয়েকদিনে শতাধিক বেসামরিক লোক ও কতিপয় পুলিশ সদস্যের ‘রহস্যময় মৃত্যু’ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের আচরণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদ সংশ্লিষ্ট অনেকেই পুলিশের জন্য মানবাধিকার সম্মত আচরণবিধির নিরিখে বাংলাদেশের পুলিশের আচরণ ও তাদের মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিচার বিশ্লেষণ শুরু করেছেন। দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুলিশের আচরণ ভয়াবহ।’’
বাংলাদেশের পুলিশের জাতিসঙ্ঘের মানদণ্ডে মানবাধিকার চর্চার যোগ্যতা পুনরায় খতিয়ে দেখার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘যদি বাংলাদেশের পুলিশের যোগ্যতা প্রশ্নের সম্মুখীন হয় তাহলে তাদের মিশন থেকে বাদ দেয়া হতে পারে।’’
এক্ষেত্রে বিক্ষোভ দমাতে পুলিশের আচরণ জাতিসঙ্ঘের ‘হিউম্যান রাইটস স্ট্যান্ডার্ড এন্ড প্র্যাকটিস ফর দি পুলিশ’ নির্দেশিকার কী কী ধাপ লঙ্ঘন করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
এদিকে বাংলাদেশে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ অফিস বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস সাইয়িদা ওয়ারসি বুধবার এক বিবৃতিতে দেশটির উদ্বেগের কথা জানান।
বিবৃতিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে প্রাণহানি ও পুলিশের মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের খবরের প্রত্যেকটির তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানান সাইয়িদা।
বিবৃতিতে সাইয়িদা জানান, বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাজ্য।
অন্যদিকে পুলিশের মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগে ধ্বংসযজ্ঞের শিকার বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখতে গিয়ে বুধবার বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া দাবি করেন, সম্প্রতি সহিংসতায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীসহ ১৭০ জন নিহত হয়েছেন।
এই প্রাণহানিকে খালেদা জিয়া ‘গণহত্যা’ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের ঘোষণা দেন।
এ সময় খালেদা জিয়া আরো ঘোষণা দেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরও জবাবদিহি করতে হবে, বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
আমি এই লেখাটা অনেক আগেই লিখেছিলাম।
খুনী অত্যাচারী পুলিশদের নামের তালিকা করতে সাহায্য করুন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানানো হবে।
বিষয়: রাজনীতি
৪৪৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন