"বিশ্বে অধম হতভাগা দল মুসলিম উম্মাহ- সংগ্রামী পথ ঘৃণা করে খোঁজে নির্ভুল সুন্না।"

লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ২১ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৪৮:১৭ দুপুর

ফেসবুক বা ব্লগ খুললেই কতো ধরণের ওয়াজ শুনতে হয়। কতো বন্ধু যে কতো ধরণের পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকতে আমন্ত্রণ জানান। ইচ্ছার বিরদ্ধেও অনেক কিছু ট্যাগ করে দেন। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন গ্রুপে এড করেও দেন। কেঊ কোনো বই এর লিঙ্ক দেন। সবকিছু দেখাও সম্ভব হয়না, আর সবকিছু পড়াও সম্ভব হয়না।

তবে কিছু কিছু কিছু পেইজ বা গ্রুপের উপর নজর বুলাই, আবার কিছু কিছু ওয়াজ বা লেকচারও শুনি। মাঝে মাঝে পুরা লেকচারও শুনি। কারো লেখা দেখলেই পড়ি, কারো আধা পড়েই বুঝে নেই কি বলতে চাইছেন। কারো লেখা না পড়েই জানি তিনি কি বলবেন।

তবে ইদানিং বড়ো বড়ো শায়েখদের লেকচার শুনতে গিয়ে একটা ধাঁধায় পড়ে গেছি। সম্ভবত আমার মতো কম জানা অনেক মুসলমানেরাও এমনি ধাঁধায় পড়ছেন প্রতিনিয়ত।

বিগত অর্ধ শতাব্দী ধরে আল্লাহর দুনিয়ায় তার হুকুম কায়েম করতে যারা আওয়াজ তুলেছিলেন তারা জীবনের প্রতিটী ক্ষত্রে আল্লাহর বিধান কায়েমের চেষ্টা করেছেন নিজেদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সম্পদ, শক্তি সামর্থ্য এমনকি নিজের প্রাণ দিয়ে। এই কাজ করতে গিয়ে তাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ ছিল হক্কের দাওয়াত দেয়া। তাদের দাওয়াতে যারা সাড়া দিয়েছেন তাঁদেরকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষার উপর নির্ভেজাল এবং সঠিক পধতিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে মান সম্পন্ন মুসলমান হিসেবে গড়ে তুলার ব্যবস্থা তারা করেছেন। তাদের পরবর্তী কর্মসূচী হল সমাজ সংস্কার। এই লক্ষ্যে তারা নিজেদের মাঝে সঠিক ইসলামের শিক্ষা বাস্তাবায়নের সাথে সাথে সমাজের বিভিন্ন অনাচার, অবিচার, বিশৃঙ্খলা, অনৈতিকতা, পাপাচার, ব্যক্তি পুজা, পীর পুজা, মাজার পুজা, এবং ইসলামের নামে ভুল কাজ কর্ম তথা শীরক বিদআত থেকে মুক্তির জন্য প্রচেষ্টা চালান। এই প্রচেষ্টার ফলে বিগত দিনের চেয়ে মানুষ ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পেরেছে। সমাজে শিরক বিদআত সহ আনেক অনৈসলামিক কাজ কমছে এবং মানুষ বুঝে শুনে ইসলামের রুকন পালন করা শুরু করেছে। এই কর্মসূচি চলার কারণে আজ হাট বাজার থেকে শুরু করে অফিস আদালত এমনকি বিশবিদ্যালয়েও অনেক মানুষ ইসলামের কথা বলে এবং সে অনুযায়ী নিজে চলে। মহিলারাও আগের চেয়ে অধিক সংখ্যায় হিজাব পরছেন এবং বুঝে শুনে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলছেন। তারাও নিজেদের মাঝে ইসলামের দাওয়াতি কাজ শুরু করেছেন। মসজিদেও মুসল্লির সংখ্যা বেড়েছে। ধর্মীয় ক্ষেত্রে তাদের এই কর্মসূচির কারণে শিরক বিদআত যেমন কমছে তেমনি পীর পুজা, মাজার পুজাও কমছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের সংস্কার প্রক্রিয়ার ফলে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান সহ উত্তীর্ণ দের তালিকার প্রথম দিকে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্ররা স্থান করে নিচ্ছে যেখানে সারা জীবন সেটা নাস্তিকদের দখলে ছিল। অর্থনৈতিক ক্ষত্রে হালাল হারামের পার্থক্য চিহ্নিত হওয়ার ফলে কিছু মানুষ অন্তত হারাম থেকে বেঁচে থাকার চিস্টায় আছেন। ব্যংকিং ক্ষত্রে যুগান্তকারী সংস্কার করে সারা বিশ্বে ইসলামি ব্যাংকিং চালু করে মুসলমানদেরকে সুদের খপ্পর থেকে রক্ষার প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে। এভাবে স্বাস্থ্য, বিমা সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাদের সংস্কারের প্রমান দেখা যাচ্ছে।

যেহেতু সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন যে ইসলাম একটি পুরনাঙ্গ জীবন বিধান এজন্য সেটা অবশ্যই জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন জরুরী। এই বিষয়েও শায়েখদের মধ্যেও কারো দ্বিমত নেই। কিন্তু যখনি ইসলামকে রাষ্ট্রীয় তথা হুকুমত চালাতে চেষ্টা করা হয় তখনি তারা খুত ধরতে শুরু করেন। তারা বলা শুরু করেন যে, হুকুমত দিয়ে ইসলাম কায়েম সম্ভব না। তারা জোরদেন শুধু দাওয়াত এর মধ্যমে মানুষকে পরিবর্তন করতে হবে। মানুষ যদি পরিবর্তিত হয়ে যায়, দ্বীন তখনি কায়েম হবে এর আগে নয়। একদম তাবলীগি ভাইদের মতো মুখস্ত কথা। এই কথা দিয়ে শুরু করে আমাদের শায়েখরা শুরু করেন আর শেষ করেন একথা বলে যে যারা আব্রাহাম লিংকনের দেয়া সুত্র দিয়ে ইসলাম তথা দ্বীন কায়েম করতে চান তারা গুমরাহ। আর এইসব কথা তারাই বলছেন যারা কুরআন আর সহি হাদিসের কথা সবসময় বলেন। তাঁরা সব সময় শিরক বিদআতের বিরুদ্ধে কথা বলেন। অথচ বাংলাদেশে শিরক বিদআতের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছেন এই আন্দোলনের সিপাহ সালার গন যখন এইসব কথা বলার সাথে সাথে সকল স্থান থেকে বিরধিতার সম্মুখীন হতে হতো। এখন প্রিন্ট, এবং ইলেক্ট্রনিক মিডীয়া দিয়ে যেভাবে মানুষকে বুঝানো সম্ভব, তখন সেটা চিন্তাই করা যেতোনা।

এই কর্মসূচি শুরুর সময় থেকেই এক শ্রেণীর আলিম, পীর এবং হাক্কানি নামধারী ব্যাক্তিরা ইন্ডিভিজুয়েলি এবং কালেক্টিভলি একে বিভ্রান্ত বলে আদাজল খেয়ে লেগেছিলেন এবং এখনো তারা হাল ছেড়ে দেন নি। কুরআন এবং সুন্নাহ অনুসারে যেসব হক্ক তাঁরা প্রচার করেছেন, বলেছেন এবং আমল করেছেন সেগুলো এখনো তথাকথিত আলিমরা মেনে নিতে পারেন নাই। কুরআনকে সংবিধান বলা, রাসুল (স)কে নেতা বলা, তাকে সত্যের মাপকাঠি বলে মনে করা, পীর মুরিদি প্রথাকে মেনে না নেয়া, ইত্যাদি ইস্যুকে বিভিন্ন কায়দায় জনগণের সামনে এনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাই ছিল এঁদের কাজ। কিন্তু কুরআন আর সহি হাদিসের অনুসারী যেসব শায়েখ এখন এই কর্মসূচীকে সমালোচনা করছেন তারা অবশ্য গত ত্রিশ চল্লিশ বছর এসব কথা বলেন নাই বরং দেখেছি তারা এই কর্মসূচিকে সঠিক বলেছেন এবং নিজেদেরকেও এতে সংযুক্ত করেছেন। তারা এখন কথায় কথায় হুকুমতের আসারতা প্রমানের জন্য দলীল দেন। অথচ এই দ্বীনি আন্দোলনের প্রথম এবং প্রধান ক্রমসুচিই হল দাওয়াত ও তাবলীগ যাতে মানুষকে ইসলামের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলা যায়। সাথে সাথে এদেরকে সংগঠিত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পূর্ণ মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলা যায়। এদের মাধ্যমে সমাজকে সংস্কার করে যথাসময়ে আল্লাহর হুকুম হলে হুকুমত প্রতিস্টা করা সম্ভব হলে হবে, না হলে না। কিন্তু এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে। এরই নাম ইসলামী জিহাদ বা জিহাদ ফি সাবি লিল্লাহ।

একদিকে শায়েখরা বর্তমান শাসন ব্যবস্থার সমালোচনা করবেন কিন্তু এ থেকে মুক্তির জন্য চেষ্টা করাকে বিভ্রান্তি বলবেন আবার নিজেরাও বিকল্প কোনো কর্মসূচি দেবেন না তখন মনে ধাঁধা তো লাগবেই। যে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিস্টাতা এবং প্রথম কারিকুলাম প্রণয়ন কারী এক আল্লাহর বান্দাহ যিনি এই আন্দোলনের সুচনা করেছিলেন, আমাদের অধিকাংশ শায়েখরা দেখেছি সেখান থেকেই বের হয়েছেন। তারা আগে কিন্তু এখনকার মতো তাকে সমালোচনা করেন নি বরং তাঁর সমালোচকদের সমালোচনা করেছেন। আর তাদের মধ্যে এমনও শায়েখ রয়েছেন যারা এই আন্দোলনের অগ্রপথিককে সমালোচনা করার সাথে সাথে তিনি যা বলেন নাই, যা করেন নাই এমন কথা এবং কাজকে তাঁর উপর আরোপ করছেন যা তাঁর উপর জুলুম। মনে প্রশ্ন জাগে, একটা দ্বিনি আন্দোলনকে না জেনে কি তাঁরা এমন কথা বলছেন? বিশ্বাস করতে পারিনা।

বিশ্বরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আধিপ্ত্যবাদি শক্তি যখন মধ্যপ্রাচ্য সহ মুসলিম বিশ্বকে কব্জা করার জন্য উপসাগরীয় যুদ্ধ শুরু করলো, মুসলমান রাজা বাদশাহরা নিজেদের গদি এবং অনৈতিক ভাবে ভোগ বিলাসকে রক্ষা কারার জন্য তারাও সেইসব কুফরি শক্তির সাথে আঁতাত করলো। অনেকের মতে তখন থেকেই মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি খোদ প্রধান মুফতির জন্য সত্য বলা অসম্ভব হয়ে পড়ল। শুরু হল নিজেদের গদি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আয়াত এবং হাদিস তালাস করা এবং প্রকৃত জিহাদ ফি সবি লিল্লাহকে ইসলামের সাথে বৈপরীত্য সৃষ্টিতে কাজে লাগানো যাতে মুসলমানেরা নপুংসক হয়ে যায়। এখন তারা এমন ফতোয়াও দিতে শুরু করেছেন যে, শাসক যদি নামে শুধু মুসলমান হয় তবে সে যা কিছুই করুক না কেনো, তাঁর বিরদ্ধে কোনো মুসলমনের বিদ্রুহ করা সম্পূর্ণ না জায়েজ। সেদিন তো আমাদের কিবলাহর রক্ষক দেশের গ্র্যন্ড মুফতি ফতোয়া দিলেন ইসরাইলের বিরদ্ধে মিছিল করাও হারাম। কেউ কেউ নাকি এমন কথাও বলেছেন যে, ফিলিস্তিনে নারি শিশু সহ হাজার হাজার মানুষকে ইসরাইল হত্যা করেছে সেটা সে করতেই পারে কারণ ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাসী। একদম ওবামার কথার প্রতিধ্বনি।

গত কয়েকদিন আগে এক বন্ধু একটা লেকচারের লিঙ্ক পাঠালে তা শুনে নিজেকে বড়ো দুর্ভাগা মনে হল। ওই লেকচারটা ছিল 'দ্বীন কায়েম' নিয়ে। শায়েখ যেসব কথা বললেন তা শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম হয়ে যায়। অনেক লম্বা লেকচারটার মুল বক্তব্যই ছিল ইসলামি আন্দোলনের ব্যখ্যা করা দ্বীন কায়েম আর সালাফদের দ্বীন কায়েম ভিন্ন জিনিষ। তিন জন নবীর উদাহরণ টেনে বললেন এঁদের দুজন তো হুকুমত প্রতিস্টা করেন নি, শধু মুহাম্মদ (স) হুকুমত প্রতিস্টা করেছেন। তাহলে কি ঐসব নবীরা ব্যর্থ এই প্রশ্ন করে বললেন তাঁরা হুকুমত প্রতিস্টা না করেও সফল। আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করছিল, তাহলে কি আমরা মুহাম্মদ(স) এর উমমাত নাকি ঐসব নবীদের উম্মাত? মুহাম্মাদ (স) যেখানে হুকুমত প্রতিস্টা করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন সেখানে পূর্বেকার নবীদেরকে অনুসরণের প্রশ্ন আসে কি করে? এক পর্যায়ে তিনি মাওলানা মওদুদি (রাহ) এর উপর এমন সব কথা চাপিয়ে দিলেন যা তিনি বলেন নি এবং করেনও নি।

মনে মনে বললাম, আমাদের দুর্দশা কখন যে কাটবে সেটা আল্লাহই ভাল জানেন।

বিঃদ্রঃ শিরোনামটা আমার দেয়া নয়, ব্লগার আবু সাইফ এর দুইটা লাইন ধার করেছি।

বিষয়: বিবিধ

২৯৩১ বার পঠিত, ৮৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

276678
২১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৫৩
220950
আয়নাশাহ লিখেছেন : লেখাটা পড়েছেন জেনে আমারও ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।
276690
২১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৫
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : বেশিদূর যেতে হবে না। মিশরের সদ্য অতীত ঘটনাবলীতে চোখ বুলান। ড. মুরসি কে সরাতে আদাপানি খেলে লেগেছিল ‘সালাফী নূর পার্টি’। এবং ইহুদীদের দোসর জেনারেল সিসি আর তাদের দাবি এক হয়ে গিয়েছিল। ফলাফল কি হলো সকলেই জানেন। তাঁদের কিছু ভুলের জন্য তারা শত্রু মিত্র চিনতেও ভুল করেন।

ভুল করাটাই স্বাভাবিক। তারা ইতিহাসে চোখ বুলায় না, রাসূল(সা)এর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস পড়েন না-এ হতে শিক্ষাও নেন না। শুধু গ্রন্থিত সহীহ হাদীস বিচ্ছিন্ন ভাবে পড়লে বিভ্রান্তিই বাড়বে, পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে ইসলামকে আয়ত্ত্ব করা হবে না।

সুন্দর পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার ইঙ্গিতটি যেন সকলে বুঝতে ও উপলব্ধি করতে পারে সে কামনা করছি।
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:০১
220920
আয়নাশাহ লিখেছেন : এইসব শায়েখদের চেয়ে তাদের শাগরিদরা আরো
এক কাঠি সরেস। তাদের পোস্ট আর লেখালেখি দেখে মনে হয় যেনো নিজেই এক একজন আল্লামা। দিন রাত শুধু শিরক আর বিদআত নিয়ে লিখেই যাচ্ছেন আর তাদের শায়েখদের ওয়াজ আপলোড করেই যাচ্ছেন। তাকলিদ, শিরক আর বিদআত নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথার কারণে নিজেরাই যে মুকাল্লিদ হয়ে গেছেন সেকথা তাদের মালুমই হচ্ছেনা।
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:৩৫
221793
ইউসুফ বিন রফিক লিখেছেন : এইসব শায়েখদের চেয়ে তাদের শাগরিদরা আরো এক কাঠি সরেস।

নিজেরাই যে মুকাল্লিদ হয়ে গেছেন সেকথা তাদের মালুমই হচ্ছেনা।

১০০% বাস্তব কথা।
276696
২১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : আমরা আসলে একটা দ্বিধা আর দ্বন্দ্বের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। কুত্তার ছাতার মত (সবাই না) বেড়ে ওঠা আলেমওলামারা তাদের ইচ্ছেমত মনগড়া মতবাদ দিয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন যা শুনে ও দেখে আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি।
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:১৪
220957
আয়নাশাহ লিখেছেন : যেসব শাইখগন অত্যন্ত শুক্ষ্ণ ভাবে সারা দুনিয়ার মুসলমানদেরকে বিভক্ত করে স্বৈরাচারকে সাহায্য করছেন তাদের কাজ কর্ম এবং বক্তব্যও আমাদেরকে ভাল করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। এজন্যই আমার এই লেখা। লেখাটা পড়েছেন বলে আপনাকে মোবারকবাদ।
276826
২১ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

Thumbs Up Praying

অসাধারণ লিখেছেন-
কলিজায় খুন ঝরে ঐসব শায়েখদের বক্তৃতা আর লেখনীর কারবার দেখে, Surprised

কিন্তু

কইলে মা-য়ে মার খায়,
না কইলে বাপ কুত্তা খায়

এমন অবস্থা Crying Crying

মাঝে মাঝে যেন হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি Praying



অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ

২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
220959
আয়নাশাহ লিখেছেন : বিপদ। ভারী বিপদ। এরকম অবস্থায় একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মুসলমান হিসেবে আমাদেরকে ভাল করে ভাবতে হবে। সবাইকে সম্মান করেও তাদের কাজ কর্ম বিচার বিশ্লেষণ করা কিন্তু দোষের কিছু না। মা'কে যেমন বাঁচানো উচিত তেমনি বাবাকেও। জাযাকাল্লাহ খাইর।
২২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
221070
শহীদ ভাই লিখেছেন : প্রতিটি মুসলমান যদি তার সামর্থ অনুযায়ী কুরআন বুঝে পড়ার অনুশীলনী করে এবং সেখান থেকে পাওয়া মূলনীতিসমূহ খোদ রাসূল (স) এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী বাস্তবায়নের চেষ্টা করে তাহলে ইনশাআল্লাহ একদিন এই বিভক্তি দূর হয়ে যাবে এবং আমরা ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী এক ‘উম্মাহ’ হয়ে আত্মপ্রকাশকরতে সমক্ষ হবো
276828
২১ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮
জহুরুল লিখেছেন : পড়ে ফেললাম ভাই
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৪
220960
আয়নাশাহ লিখেছেন : শুধু পড়লেন,কিছুই বলবার নাই?
তবে পড়েছেন জেনে আপনাকে মোবারকবাদ।
276847
২১ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
শেখের পোলা লিখেছেন : দুর্দশা কাটাতেই হবে, আর তা কাটবেও৷ তবে তার আগে আমাদের প্রায়শচিত্ত হয়ে শুদ্ধ হব তার পর৷ তাই অপেক্ষা৷ আসুন ভুলপথে চলার জন্য তওবা করি৷ সুরা যুমার ৫৩ তে নিরাশ নাহয়ে তওবা করতে বলা হয়েছে৷ আর আমরাই জয়ী হব যদি মুসলীম হই৷ তাই ইসলামিত্বের ভেজাল দূর করতে হবে৷ধন্যবাদ৷
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৬
220961
আয়নাশাহ লিখেছেন : আপনার সাথে একমত। আসুন আমরা মুসলিম হাই।
জাযাকাল্লাহ।
276874
২১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:০৩
নিরবে লিখেছেন : হুমম...সবাই নিজের সুবিধামতো ইসলামকে মানে বা ব্যবহার করে।এটাই সমস্যা।
আমাদের কি করা উচিত ,কিভাবে চলা উচিত এসব প্রশ্নের উত্তরগুলা বড়ই কনফিউজিং। At Wits' End At Wits' End At Wits' End
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
220963
আয়নাশাহ লিখেছেন : না ভাই, সবাই করেনা। সবাই নিজের সুবিধা মতো ইসলামকে ব্যবহার করলে হাসিনার কারাগারে তাঁরা থাকতে হতোনা, কাদের মোল্লাকেও ফাঁসিতে ঝুলতে হতোনা। ইস্লামকে তারাই ব্যবহার করে যারা গাছেরটাও খায়, তলেরটাও কুরায়। তাঁরা একেজন বিরাট দায়ী, লেকচারার, শাইখ, মুফতি, মুফাসসির কিন্তু তাদের গায়ে কখনো প্রশাসনের আঁচড় লাগেনা। তাঁরা এমনকি গজা মঞ্চেও স্থান পায় আবার বড়ো ঈদগাহেও ইমামতি করে। তাঁরা সৌদির ভাতা যেমন পায় তেমনি দেশেও সম্মান পায়। আপনাকে ভেবে চিনতে বুঝতে হবে কে কোন খোঁয়াড়ের গরু।
ধন্যবাদ।
276876
২১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:০৮
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : সেদিন তো আমাদের কিবলাহর রক্ষক দেশের গ্র্যন্ড মুফতি ফতোয়া দিলেন ইসরাইলের বিরদ্ধে মিছিল করাও হারাম। কেউ কেউ নাকি এমন কথাও বলেছেন যে, ফিলিস্তিনে নারি শিশু সহ হাজার হাজার মানুষকে ইসরাইল হত্যা করেছে সেটা সে করতেই পারে কারণ ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাসী। একদম ওবামার কথার প্রতিধ্বনি। ভালো লাগলো , অনেক ধন্যবাদ।
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
220965
আয়নাশাহ লিখেছেন : একমত পোষণের জন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
276915
২১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৫০
বড়মামা লিখেছেন : সুন্দর ভালো লগলো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৫০
220967
আয়নাশাহ লিখেছেন : পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য আপানাকে ধন্যবাদ।
১০
276924
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৩৬
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ভালো বলেছেন
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৫১
220968
আয়নাশাহ লিখেছেন : জাজাকাল্লা।
১১
276940
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:০৩
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনার লিখার বিষয়বস্তুর সাথে একমত পোষন করছি।

এ বিষয়ে ওভারঅল আমার অনুভূতি অনেকটা এমন -

ইন্টারনেট এর বদৌলতে - যে সব আলেম ওলামার বক্তব্য পড়ার কিংবা শোনার সুযোগ আমার হয়েছে - তাদের এক বিরাট অংশের আলোচনার কোন না কোন অংশে -সমালোচনা করতে শুনেছি এই বলে যে - মুফতি গুগুল, শেখ উইকিপিডিয়া, ওলামা/স্কলার ইউটিউব ইত্যাদি। যা আমার কাছে কন্ট্রাডিক্টরী মনে হয়েছে - কারন আমি ওনাদের বক্তব্যই ওখানে পড়ছি কিংবা শুনছি।

ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে - পারস্পরিক আলোচনার কিংবা শেয়ারিং এর এই বিস্তৃত পরিসর অনেকাংশ পজেটিভ - যদিও যথাযথ ফিল্টারিং এর অভাবের জন্য আমরা ওভারলোডেড হই। আর সে সাথে মিসইনফরমেশান এর ও মুখোমুখি হই (যার অনেকগুলো উদাহরন আপনি দিলেন) - যা অনেকসময় চিন্তাভাবনা ও আমলকে মিসলিডিং করে।

আল্লাহ আমাদেরকে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করার সুযোগ দিন এবং আমাদের আরো বিনীত হবার শক্তি দিন।
ধন্যবাদ
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৩
220970
আয়নাশাহ লিখেছেন : আল্লাহ আমাদেরকে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করার সুযোগ দিন এবং আমাদের আরো বিনীত হবার শক্তি দিন।
আপনার সাথে আমিও আমীন বললাম।
আমাদেরকে আল্লাহ কবুল করুন।
২২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
221071
শহীদ ভাই লিখেছেন : প্রতিটি মুসলমান যদি তার সামর্থ অনুযায়ী কুরআন বুঝে পড়ার অনুশীলনী করে এবং সেখান থেকে পাওয়া মূলনীতিসমূহ খোদ রাসূল (স) এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী বাস্তবায়নের চেষ্টা করে তাহলে ইনশাআল্লাহ একদিন এই বিভক্তি দূর হয়ে যাবে এবং আমরা ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী এক ‘উম্মাহ’ হয়ে আত্মপ্রকাশকরতে সমক্ষ হবো

২২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০০
221128
সাদাচোখে লিখেছেন : ইনশাল্লাহ @ শহীদ ভাই।
১২
276999
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
চির উন্নত মম শির লিখেছেন : ভাই আপনি মনে হয় গ্র্যান্ড মুফতির ফতোয়া না পড়েই এ পোস্ট দিয়েছেন। গ্র্যান্ড মুফতি ইসরায়েল কে গালি দিতে না করেছেন কারণ ইসরায়েল একজন নবীর নাম। আর ঐ স্টেটমেন্ট টি আসলে ফতোয়া ছিল না। এবং ওটি ছিল ২০০৯ সালের স্টেটমেন্ট। আমার অনুরোধ: গ্র্যান্ড মুফতির মত একজন বিদগ্ধ আলেমের বিরুদ্ধে এ ধরণের অপপ্রচার করবেন না। আল্লাহ সব জানেন।
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:০৭
220992
আয়নাশাহ লিখেছেন : হতে পারে আপনার কথা সঠিক। আমার মনে হয় কোন পত্রিকায় সেটা পড়েছি এবং এই ফতোয়া নিয়ে ব্লগে এবং ফেসবুকে অনেক লখালেখি হয়েছে। কিন্তু কেঊ আপনার মতো করে বলেছেন বলে মনে পড়েনা।
ইজরাঈল একজন নবীর নাম হয়ে থাকলেও সারা দুনিয়ার মানুষ যখন ইজরাইলকে মন্দ ভাষায় গালি দেয় তখন কিন্তু নবী ইসরাইলকে গালি দেয়না। এই সাধারণ কথাটাও যদি আমাদের গ্র্যন্ড মুফতি না বুঝেন তবে আর কি বলবো। সত্য বললেই কিন্তু আমাকে ধরা হবে।
২২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
220998
আয়নাশাহ লিখেছেন : গ্র্যান্ড মুফতি'র আজকের ফতোয়া .....
'টুইটার শয়তানের উৎস'...।সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি।
দেখুন
http://www.bdmonitor.net/newsdetail/detail/200/95418
২২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
221059
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : গ্র্যান্ড মুফতি তো ভাই মানুষ। তিনি তো ভুলের উর্ধ্বে নন নিশ্চয়ই বা তাকে সেটি মনে করাও ঠিক নয়। তাহলে তো আপনি অন্ধ তাকলীদ করলেন তাঁর। তা নয় কি?
আর আপনি শুধু এ বিষয়ে দৃষ্টি দিচ্ছেন কেন? উনার এ পোস্টে অনেক চিন্তার খোরাক আছে।

১৩
277015
২২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:১০
সাইফুল সাইমুম০১ লিখেছেন : আল্লাহ আমাদেরকে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করার সুযোগ দিন এবং আমাদের আরো বিনীত হবার শক্তি দিন।
আপনার সাথে আমিও আমীন বললাম।
আমাদেরকে আল্লাহ কবুল করুন।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৪
221225
আয়নাশাহ লিখেছেন : আমীন! সুমমা আমীন!
১৪
277053
২২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : দারুণ পোস্টটিকে স্টিকি করার জন্য মডারেটরকে ধন্যবাদ। অনেক চিন্তার খোরাক আছে।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
221226
আয়নাশাহ লিখেছেন : এমন একটা লেখা স্টিকি করে সম্মানিত মডারেটর আমাকে ঋণী করেছেন। আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দিন। আমীন!
১৫
277064
২২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৪
শহীদ ভাই লিখেছেন : হুম! ভালই লিখেছেন, বড়ই আফসোস ও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, আমরা মুসলমানরা ভাঙ্গা ও নষ্টের দিকে এগুচ্ছি; অথচ স্থাপন ও গড়ার অলিক স্বপ্ন দেখছি। যখন শত্ররা সবাই ঐক্যবদ্ধ; চালাচ্ছে ইসলাম নির্মূলের সম্মিলিত প্রয়াস; বাতিলচক্র নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে এগুচ্ছে দৃঢ়গতিতে। তখন মুসলমানরা আত্মকলহে লিপ্ত। হালকা এবং সাধারণ জিনিসকে কেন্দ্র করে চলছে অঘোষিত লড়াই। আত্ম-প্রতিষ্ঠার জন্য সবাই মরিয়া।

শুধু মুসলিম ব্যক্তিত্বদের মাঝেই নয়; মুসলিম রাষ্ট্র সমূহেও চলছে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের খেলা। খুব বড় বিষয় নিয়ে নয়; মামুলি বিষয় নিয়ে। এগুলো সমাধানের জন্য তেমন কোন উদ্যোগেরও প্রয়োজন হয় না। আলোচনা-পর্যালোচনা দ্বারাই সম্ভব।

মুসলমান পরস্পরে ভাই ভাই। সে হিসেবে পারস্পরিক সম্পর্ক হওয়া উচিত ভ্রাতৃত্বের, সম্প্রীতি ও মাধুর্যের। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়। যিনি কাজ করেছেন তার দিকে নয়, চেয়ে দেখা উচিত কী কাজ করেছেন। ভাল কাজ হলে তার স্বীকৃতি দেয়া। ব্যক্তি যে কেউই হোক। ইসলাম ও গঠণমূলক সামাজিক কাজের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা বাঞ্ছণীয়। কিন্তু যখন কাজের চেয়ে কর্তা বেশি গুরুত্ব পায়; প্রত্যেক কাজকে নিজের অবদান মনে করা হয় এবং খ্যাতির আশা থাকে, তখনই ঘটে বিপত্তি।

বর্তমানে ইসলামী কর্মীদের অভ্যাস এই দাঁড়িয়েছে যে, তাঁরা শুধু অন্যের দোষ-ত্র“টিই দেখে। অন্যের ভুলগুলো প্রকাশ করেই শান্তি পায়। নিজের ভুল কিছুই ধরা পড়েনা তাদের রঙ্গীন চশমায়। নিজের মধ্যে হাজার দোষ থাকার পরও অন্যের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে মজা পায়। নিজেরটি একমাত্র কাজ; অপরেরটি কিছুইনা; এই ধারণা তাদের ভেতর। তাদের ভাব দেখে মনে হবে ইসলামের রক্ষক একমাত্র তারাই। তাদের অস্তিত্ব ও পতনের মাঝে ইসলামের উত্থান-পতন নিহিত! At Wits' End
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:০৮
221233
আয়নাশাহ লিখেছেন : শহীদ ভাই, আমি আসলে সমালোচনাকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখিনা। সমালোচনা করার দরকার আছে এবং সেটা জরুরীও যদি সেটা করা হয় সংশোধনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু যারা একটা সঠিক এবং সার্বিক ইসলামী আন্দোলনকে রুখে দেবার জন্য, আন্দোলনের কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মানুষকে আসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন তাদের কাজকে তো সমালোচনা বলে না, এটা হিংসার বহিঃপ্রকাশ। আল্লাহর কাছে এঁদের হিংসা থেকে নিরাপত্তা চাই। আউজুবিল্লাহ।
১৬
277066
২২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৩
সালাম আজাদী লিখেছেন : যখন বড় বড় বিষয় মুসলমানরা ছেড়ে দেয়, ছোট ছোট বিষয় তখন তাদের নাকে মুখে চোখে, মস্তিস্কে এবং পেটে স্থান নেয়। আমরা ঐসব যায়গা থেকেই দেখতে পারি, শুনতে পারি, বুঝতে পারি কি সুন্দর বাজে জিনিষ বের হচ্ছে
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:১২
221234
আয়নাশাহ লিখেছেন : কিছু দোষ যে আমাদের নাই সেকথা তো বুকে হাত রেখে বলা যাবেনা আজাদী ভাই। কিন্তু লঘু পাপে গুরু দণ্ড কেনো আমাদেরকে বইতে হবে। আপনাদের মাতো বিজ্ঞদেরকে এগিয়ে আসতে হবে এবং মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে কোনটা বড়ো এবং কোনটা ছোট বিষয়। পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য মোবারকবাদ।
১৭
277075
২২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
আহমদ মুসা লিখেছেন : স্টীকি পোস্ট দেখে ওপেন করলাম। চোখের সমস্যার কারণে বেশিক্ষণ মনিটরের দিকে থাকাতে পারছি না। তবুও স্ক্রীন জুম বাড়িয়ে লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়েছি। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর করুণ অবস্থাটাই আপনি তুলে ধরেছেন। আপনার এই লেখাটির সাথে আরো কিছু প্রাসংগিক আলোচনা করতে ইচ্ছে ছিল। কিন্তু চোখের সমস্যার কারণে পারছি না। দোয়া করবেন।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:১৫
221235
আয়নাশাহ লিখেছেন : বর্ণিত বিষয়ে আরো প্ংখানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ পড়ার আশায় আল্লাহর কাছে আপনার সুস্থতার দোয়া করছি। অসুস্থ অবস্থায়ও লেখাটা পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন দেখে উৎসাহিত হলাম। জাযাকাল্লাহ।
১৮
277083
২২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
ইবনে হাসেম লিখেছেন : শহীদ ভাই লিখেছেন : প্রতিটি মুসলমান যদি তার সামর্থ অনুযায়ী কুরআন বুঝে পড়ার অনুশীলনী করে এবং সেখান থেকে পাওয়া মূলনীতিসমূহ খোদ রাসূল (স) এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী বাস্তবায়নের চেষ্টা করে তাহলে ইনশাআল্লাহ একদিন এই বিভক্তি দূর হয়ে যাবে এবং আমরা ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী এক ‘উম্মাহ’ হয়ে আত্মপ্রকাশকরতে সমক্ষ হবো"
শহীদ ভাই আমার মনের কথাগুলোই বলে দিলেন, ধন্যবাদ আয়না ভাই আর শহীদ ভাই দুজনকেই।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:১৯
221243
আয়নাশাহ লিখেছেন : বিষয়টা নিয়ে সবারই নাড়াচাড়া করা দরকার যার যার স্থান থেকে। নতুবা এই বিপদ আমাদের নতুন প্রজন্মকে গ্রাস করতে দেরী হবেনা। আমরা যাদেরকে কম্যুনিস্টদের খপ্পর থেকে অনেক কষ্টে বের করে এনেছি, কমরেড ল্কবের স্থলে সাথী করেছি তাদেরকেই এখন টার্গেট করে নপুংসক বানানোর পাঁয়তারা দেখে কেউ কি নিরব থাকতে পারেন?
জাযাকাল্লাহ।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
221291
তারাচাঁদ লিখেছেন : (এই প্রতিমন্তব্যে) আয়নাশাহ ভাই ঠিক কথা বলেছেন ।
১৯
277099
২২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৯
মামুন লিখেছেন : দুর্দান্ত লিখনি মন ছুঁয়ে গেলো। লেখাটি খুব ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
স্টিকি পোষ্টের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:২০
221246
আয়নাশাহ লিখেছেন : পড়ে আপনার মুল্যবান অনুভূতি প্রকাশের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। দোয়া করবেন।
২০
277127
২২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
আবু ফারিহা লিখেছেন : এসব শায়েখদেরই অাল্লাহ প্রথম বিচার করবেন। কারন তাদের জন্যেই অামাদের মতো সাধারণ লোকেরা সঠিক পথের সন্ধ্যান পাচ্ছেনা। অার তাদের কারণেই সম্মানিত লোকেরা অাজ অসম্মানিত হচ্ছে।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:২২
221247
আয়নাশাহ লিখেছেন : জী, আল্লাহ শুধু তাদের নয়, আমাদের সবারই বিচার করবেন। সেই বিচারের সম্মুখীন হতে তো পারবোনা তাই যা কিছু সম্ভব কাজ করতে হবে। মানুষকে বিপথগামী করা থেকে বিরত রাখতে হবে। আসুন, আমরা সেই কাজটি করি।
জাযাকাল্লাহ খাইর।
২১
277140
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আবুল মনসুর আহমদ এর "আয়না" গ্রন্থের "মুজাহিদিন" গল্পটির মতই আমরা এখন খুবই ছোট বিষয়ে পারস্পরিক বিতর্কে লিপ্ত হওয়াকেই মনে করছি ইসলামের বড় থেদমত!
আসলে যে কোন ক্ষেত্রেই বেশি বাড়াবাড়ি খারাপ। একটি হাদিসেও এ্ বাড়াবাড়ি নিষেধ করা হয়েছে। ইসলামের স্বর্নযুগে তাই দেখা যায় মানুষ শৃঙ্খলার মধ্যেও ছিল আবার ব্যাক্তি স্বাধিনতাও ছিল। সবাইকে একই রকম করতে গেলে কিন্তু একটি বদ্ধ সমাজের সৃষ্টি হবে। কম্যুনিষ্ট কিংবা ফ্যাসিষ্ট দের মত। ইসলামে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেওয়া আছে মূল নিতি। যার ভিত্তিতে যুগোপযুগি সিদ্ধান্ত দেওয়ার অবকাশ আছে। কিন্তু আমরা এখন অন্ধ অনুসরন কেই মনে করছি সহিই।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
221252
আয়নাশাহ লিখেছেন : অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, নিজের শেখা এবং দেখা ইবাদত পদ্ধতি যদি কোনো নির্দিষ্ট মাজহাবের মতানুযায়ী হয় তখন কেউ কেউ এমন মন্তব্য করেন যেনো সেটা ইসলামেই নেই বরং সেটা ভিন্ন ধর্ম পালন হচ্ছে অথবা কোন ব্যাক্তিকে অনুকরন করা হচ্ছে। ক'দিন আগে শুনা এক প্রশ্নের জবাবে এক শায়েখ বললেন, তাবলীগে গিয়ে আপনি কি শিখেছেন? লোকটি বললেন আমি নামাজে পাবন্দ হয়েছি, আমল আখলাক ঠিক করার চেষ্টা করছি। জবাবে শায়েখ বললেন আপনি তাবলীগে গিয়ে শুধু আবু হানিফার নামাজ শিখেছেন। য়ামি নিজেও তাবলীগ জামায়াতের সব কাজের সাথে একমত না, কিন্তু তাঁরা মানুষকে নামাজের দিকে আহ্বান করছেন, মানুষকে নামাজী বানাচ্ছেন, আমল আখলাক্ক দুরস্ত করার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন একথা তো অস্বীকার করতে পারিনা। আর ইমাম আবু জানিফা (রহ) কি যেই সেই ব্যক্তি যে তাকে এমন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে হবে? তাক্কলিদের বিরোধী হলেই কি মাজহাবের ইমামকে অস্বীকার করা যায়? আর সত্য কথা হল, আল্লাহর রাসুল (সঃ) এর পর আমাদেরকে অবশ্যই কারো না কারো তাক্কলিদ মানতেই হবে এবং হচ্ছে।
০১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৯
223982
চির উন্নত মম শির লিখেছেন : তাকলীদ শুধু নবী-রাসুল (আঃ) গণকেই করা যায়। ইমাম আবু হানীফা (রঃ) এর তথাকথিত মাজহাব পন্হীরাই এসব নিয়ে বেশী ক্যাচাল করে। ইমাম আবু হানীফা (রঃ) এর লিখিত একটি বই এর নাম বলেন তো? পারবেন? ইমাম আবু হানীফা (রঃ) এর মাযহাব টির রেফারেন্স কি ? তিনি কোনো কিছুই লিখে রাখতেন না আর তাঁর ছাত্রদের কে ও লিখতে বারণ করতেন। আর আপনি যদি কোনো স্কলারকে তাকলীদ করতেই হবে মনে করেন তাহলে তো ইজতিহাদকে অস্বীকার করলেন।
২২
277141
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:১৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তাৎপর্যপূর্ণ লেখাটি পড়ে ভাল লাগল
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
221253
আয়নাশাহ লিখেছেন : আপনার ভাল লাগার জন্য জাযাকাল্লাহ।
২৩
277162
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:১৬
আফরা লিখেছেন : দ্য স্লেভ লিখেছেন : তাৎপর্যপূর্ণ লেখাটি পড়ে ভাল লাগল, আমার ও ।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
221254
আয়নাশাহ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর।
২৪
277180
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৪৯
আবু আশফাক লিখেছেন : চেতনায় নাড়া দেয়া পোস্ট। চিন্তাশীলদের জন্য চিন্তার খোরাক যোগাবে সন্দেহ নেই। জাযাকাল্লাহ খাইরান ফিদদুনিয়া ওয়া আখেরাহ।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
221255
আয়নাশাহ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইরান ফিদদুনিয়া ওয়া আখেরাহ। আমীন!
২৫
277181
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৫০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগলো গুরুত্ব পূর্ন লেখাটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ তায়ালা বলেন: আমি প্রত্যেক জাতির জন্য নবী রাসুল প্রেরন করেছি,তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করেন এবং তাগুতকে বর্জন করেন। দুঃখ যনক হলেও সত্যযে আমাদের ততাকতিত আলেম সমাজ এবং রাজতন্ত্র রক্ষাকারী শেখগন ত্বাগুতএর ওয়াজ করেননা।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
221257
আয়নাশাহ লিখেছেন : তারা সব সময় তাহহীদের কথা বলেন, শিরক এবং বিদআতের কথাও বলেন। কিন্তু তাওহিদ, শিরক এবং বিদআত লালন পালন, দুধ কলা দিয়ে পোষণ, এইসবকে ফুলে ফলে শোভিত করে এক শ্রেণীর ভন্ড ব্যবসায়ী এবং স্থানিয় এবং রাষ্ট্রীয় পরিচর্যা। এরাই হল তাগুত। বাংলাদেশে তাঁরা একের পর এক সেমিনার, লেকচার আর বৈঠক করেই চলেছেন কিন্তু একটিবারের মতো শুনতে পেলাম না যে, সরকারী টাকায় কোন শিরকি অনুস্টান করা যাবেনা। করলে তাঁরা সরকারের বিরদ্ধে অন্তত কথা বলবেন বা মানুষকে মুজাবেন। দেশের মুসলমানদের টেক্সের টাকায় যখন শিখা অনির্বাণ বানানো হয় এবং সেখানে গিয়ে মাথা নত করা হয় তখন তো সারা দেশই শিরকে লিপ্ত হয়ে যায়। কেউ কি বাকী থাকে? আফসোস, তাঁরা শুধু একটি আন্দোলনের সাথে সংযুক্ত মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই কাজ করেন।
২৬
277184
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৫২
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : একদল অন্ধের হস্তী দর্শনের গল্প মনে পড়ল। যে অন্ধ হাতির পায়ের নাগাল পেল, সে বলল, আর হাতি দেখি গাছের গুড়ির মত! যে কান ছুঁতে পেল, সে বলছে- আরে হাতি দেখি কূলার মত! যে অন্ধ লেজে হাত রেখেছে সে বলছে, আরে হাতি দেখছি মোটা রশির মত, নীচের দেকে ঝালর মত!
আমরা আজ ‘চোখ থাকিতেও অন্ধ! ইসলামকে ‘সেই অন্ধদের’ মতই - আমাদের সুবিধা অনুযায়ী ভাগ করে নিয়েছি। সেই অনুযায়ী সুন্নাহর আমল ও চলছে! আজকের দুনিয়ায় পরিপূর্ণ অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ ইসলাম যেন বহুদূরের কোন গ্রহান্তরের জীবণ বিধান!
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:০৩
221261
আয়নাশাহ লিখেছেন : আনার কথা ঠিক কিন্তু আমার ধারণা তাঁরা আন্ধও নয়, বধীরও নয়। তাঁরা হাতিকে ঠিকই দেখেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি। কারণ তাঁরা যেই সেই লোক না। তাঁরা ইসলামের মূল কেন্দ্র থেকে অনেকেই পিএইচডি ও করেছেন। তাঁদেরকে অন্ধ কি করে ভাবি? আসলে তাঁরা মানুষকে অন্ধ বানানো'র কন্ট্রাক্ট নিয়েছেন যাতে এই অন্ধরা ইসলামের সবকিছুতে নাক না গলায় বরং তথাকথিত সশিরক বিদআত নিয়েই ব্যস্ত থাকে।
অথচ আমরা চাই মানুষ ইসলামকে পুরনাঙ্গ রুপেই জানুক, দেখুক, মানূক এবং নিজে, নিজের প্রবারে, সমাজে এবং রাষ্ট্রে তা পালন করুক।
জাযাকাল্লাহ খাইর।
২৭
277212
২৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:০২
তারাচাঁদ লিখেছেন : আয়নাশাহ ভাই, কোন লেকচার আপনাকে এ লেখা লিখতে বাধ্য করেছে, তা আমি জানি । ইদানিং একজন অতি-সালাফির উদয় হয়েছে, যিনি তার ভিডিও লেকচারের মাধ্যমে শুধু মানুষের দোষ খুঁজে বেড়ান । রবিঠাকুরের বাড়ির কাছে বাড়ি, তারই মত লম্বা দাড়ি সউদি বেতনভুক্ত একজন সালাফি আছেন, যিনি 'দ্বীন কায়েম' শব্দের ভুল ব্যাখ্যা করছেন । তিনি যা বুঝেন না, সে বিষয়ে কথা বলতে যান কেন ? তার মতে নামাজ পড়া, রোজা রাখা-এতেই দ্বীন কায়েম হয়ে যায় । ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা-- এগুলো দ্বীন কায়েম নয় । ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা শুনলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন । মদিনা শহরে কিছু পড়াশোনা করে নিজেকে সর্ববিষয়ে পণ্ডিত মনে করা আত্মগরিমার লক্ষণ ।
সুরঞ্জিতের মত তার মুখভঙ্গি দেখলে মনে হয়, ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু । আসল বিষয়টি অন্য জায়গায় । অতি-সালাফিরা তাকলিদের ঘোর বিরোধিতা করেন । তারাই আবার ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারেন না । তারা চান দ্বীনের ব্যখ্যা এবং বিশ্লেষণে শুধুমাত্র তাদের তাকলিদ বা অন্ধ আনুগত্য করা হোক । কোন আলেম তার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হোক এটা তাদের কাছে অসহনীয় ।
আরব বিশ্বে স্বাধীনতার প্রহরী এবং ইসলামী সমাজ কায়েমের সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলেমিন এবং এই উপমহাদেশের জামাআতে ইসলামীকে তারা মারাত্মক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে । কারণ, এরা স্বাধীনভাবে ভাবে, স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চায় ।
অতি সালাফিদের দেশে আমেরিকান সেনাবাহিনী ঘাঁটি গড়ে বসে আছে, এতে তাদের বোধোদয় হয় না । আমেরিকানরা নির্বিচারে বোমা হামলা করে ইরাক এবং আফগানিস্তানে শত শত নিরপরাধ নারী-শিশু-বৃদ্ধকে হত্যা করেছে, এতে তাদের ঈমানী চেতনায় আঘাত লাগে না । গাজায় গণহত্যা হয়, তখন এদের সামান্য কষ্ট বোধ হয় না । কারণ, তারা জনগণের সম্পদ ভোগ করা রাজা বাদশাহদের স্তাবক । তাদের রাজা বাদশাহরা আমেরিকানরা গণহত্যাকারি আমেরিকানদের পদলেহি । তাই অতি সালাফিদের কাছে ফিলিস্তিনের মুক্তিযুদ্ধ একটি সন্ত্রাসী আন্দোলন, উপমহাদেশের ইসলামী আন্দোলন হারামকর্ম ।
কোরআন বারবার বলেছে, মুসলমানদের বাদ দিয়ে ইহুদী ও খৃস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না-করতে । বুকে ঈমানী চেতনা থাকলে আমেরিকান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে দেখুক ! অর্থগৃধ্নু রাজা বাদশেদের স্তাবকতা করতে করতে এদের স্বাধীন বিবেচনা শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে । এই পরাধীন বেশরমদের ব্যাপারে খুব বেশী না-ভাবাই ভাল ।
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
221275
আয়নাশাহ লিখেছেন : ধন্যবাদ তারাচাঁদ ভাই। তবে আপনি যে লোকটির কথা অনুমান করেছেন আমি তাঁর কথা এখানে বলিনি। আমি তাকে চার পয়সার দামও দেইনা। এই মতিউর রহমান মাদানি একটা মিথ্যুক, কাজ্জাব। তাঁর কথাবার্তা ইসলামি আন্দোলনের করমীদের কাছে পাত্তা পবেনা। তাঁর স্বরূপ আমি বছর দুই আগেই উন্মোচন করেছি। স যে একটা মিথ্যাবাদি কাজ্জাব সেকথা প্রমান করেছি। হ্যা, সে কিছু সরল প্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পেরেছে এটা ঠিক কিন্তু কমিউনিস্টদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করে আনা ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদেরকে বিভ্রান্ত তেমন একটা করতে পারেনি বলেই মনে হয়। কারণ ইতো মধ্যে তাঁর স্বরূপ মানুষের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে। কিন্তু তার মতো আরো অনেকেই এখন এই কাজে যুক্ত হয়েছে যাদের নামের পেছনে ডঃ লাগানো। যারা কথা বলার সময় সুরঞ্জিতের মতো মুখ ভেংচায় না, যারা বাংলা ইংরেজী এবং আরবীতেও দক্ষ। তারা কুরআন আর সহি হাদিস ছাড়া কথা বলেনা। এরা এমন সুক্ষভাবে ইসলামি আন্দোলনের শীকড় কাটছে যে বাইরে থেকে মনে হবে ওরা সত্যিকার ইসলামের সেবক। তারা শিরক বিদআত এবং তাওহিদের কথা বলতে গিয়ে দ্বীন কায়েমের ধারনাই বদলে দিতে চাচ্ছে। তারা এমন ভাবে কথা শুরু করে শুনে যে কারো মনে হবে তারাই সত্যিকারের ইস্লামিস্ট। এঁদের চেয়ে পুত পবিত্র মানুষ আর নাই। তারা যা ই বলবে তা হক্ক না হয়ে যায়না। এভাবে নিজেদেরকে মহা জ্ঞানী রুপে মানুষের কাছে উপস্থাপন করে ইসলামি আন্দোলনের চতুর্থ ধাপ যা একেবারে চুড়ান্ত এবং শেষ ধাপকে সামনে নিয়ে আসবে। তারা বর্তমান রাজনৈতিক ময়দানে জাহিল, জালিমদের চাপিয়ে দেয়া সংঘর্ষ এবং সংঘাতকে বিশাল আকারে উপস্থাপন করে তাকে মুসলমান মুসলমান সংঘর্ষ রুপে বয়ান করবে। এর পর এসবই যে দ্বীন এর সাথে ইসলামের সাথে যায়না সেটা প্রমানের জন্য কুরআন এবং হাদিসের বাছাই করা কিছু রেফারেন্স দেবে। এর পর আসবে দ্বীন কায়েম এর মর্মার্থ বয়ানে যেখানে তারা নামাজ রোজা হজ্ব জাকাত এর সাথে বিবিকে পর্দা করানো পর্যন্তই দ্বীন কায়েম বলে প্রমান করবে। এর বাইরে দ্বীন কায়েমের কথা যারা বলেন তারা গদিতে বসার জন্যই তা করেন এবং আল্লাহর রাসুল (সঃ) কে বাদ দিয়ে আব্রাহাম লিঙ্কনের হারাম গণতন্ত্র অনুসরণ করে হালুয়া রুটীর জন্যই তা করেন একথা বলে লোকদেরকে ইসলামি আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। তারা একবারের জন্যও বলেন না বা ভাবেন না যে, এই আন্দোলনের মুল এবং এক নাম্বার কাজই হল দাওয়াত। এর পর সংগঠন এবং প্রশিক্ষণ। এর পরে তৃতীয় দফার কাজ হল সমাজ সংস্কার। এভাবে ক্রমে মানুষকে মানসিক ভাবে, জ্ঞানগত ভাবে, আধ্যাত্নিক ও নৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ তৈরি করে তবেই চতুর্থ বা চুড়ান্ত দফা তথা রাষ্ট্রীয় সংস্কার করা হবে। সেই সংস্কারে এমনও হতে পারে যে নিজেরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার প্রয়োজন না ও হতে পারে। যদি যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করেন তবে যে বা যারাই কাজটি করতে পারবেন তাদের আনুগত্য হবে ফরজ।
কিন্তু এরা সবকিছুকে বেমালুম গায়েব করে দিয়ে ইসলামি আন্দোলনকে মানুষের কাছে ক্ষমতা দখলের লড়াই, গদিতে বসার তৎপরতা,মারামারি কাটাকাটি এবং নাজায়েজ গণতন্ত্রচর্চা যা ইসলামে হারাম বলে যখন কুরআন হাদিস দিয়ে বুখায় তখা সত্যিকার ইসলাম পন্থীদের মাঝে ধাঁধা লেগে যায়। আমি এইসব ধাঁধা বাজ দের থেকে সাবধান থাকার জন্য ইসলামি আন্দোলনের সাথীদেরকে সচেতন করতে চাই। অবশ্য এই কাজে মতিউর রহমান মাদানি কাজ্জাবও কম যায়না।
সারা দুনিয়ায়র মুসলমানদের সম্পদ অনৈতিক ভাবে ভোগ করার জন্য যারা এইসব লোকদের প্রিস্টপোষকতা করছে তাদের দ্বারা কৃত শুরক, বিদআত কিংবা হারাম কাজের কথা ওরা মুখেই আনে না। কেন তা আপনার বক্তব্যে ফুটে ঊঠেছে।
জাযাকাল্লাহ খাইর।
২৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:০৬
221694
সালাম আজাদী লিখেছেন : তাঁরাচাদ ও আয়নাশাহ মুতিউর মাদানির বিরুদ্ধে যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন তা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। উনি ভালো আলিম সন্দেহ নেই, অনেক সুন্দর করে কথা বলতে পারেন, তাও আমি বিশ্বাস করি, তবে তাদের দলের এই একটি এপ্রোচ, মানুষকে পারসোনাল ম্যাটারে আঘাৎ করা। তার পদ্ধতির সাথে একমত না, কিন্তু তিনি কাযযাব নন।
আরেকটা কথা, আপনারা মনে হয় ভুলে যাচছেন যে মাদখালি সালাফি এবং আগের সালাফিদের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। সালাফিদের কে কখনো ইসলামি আন্দোলনের বাইরের শক্তি মনে করা হয় না। তাদের অর্থ ও নৈতিক সমর্থন না থাকলে বাংলাদেশ জামাআত কখনো এই পর্যায়ে আসতে পারতো না। কিন্তু মাদখালি সালাফিদের হয়েছে আরেক মতি গতি। সৌদি সরকারের এজেন্ট হয়ে এখন তারা ইসলামি আন্দোলন গুলোর বিকল্প হয়ে উঠতে চাইছে, কারন ইসলামি আন্দোলনের স্থবিরতা।
যাহোক, আল্লাহ আমাদের বলেছেন:"হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত।" ৫:৮
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
221828
তারাচাঁদ লিখেছেন : মুহতারাম আবদুস সালাম আজাদি ভাই, আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আমি সালাফীদের শ্রদ্ধা করি, তাই এখানে 'সালাফী'শব্দটি ব্যবহার না-করে ''অতি সালাফী" শব্দ ব্যবহার করেছি । মতিউর রহমান মাদানি নি:সন্দেহে ভাল আলেম । তবে তার ইলম তাকে ন্যায়পরায়ন হতে শেখায়নি, তার মনের বদগুমানি তাকে অসহিষ্ণু এবং বিদ্বেষপরায়ণ বানিয়েছে ।
তারা যখন ইখওয়ানকে সন্ত্রাসী দল বলে, যে রাজারা আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়েছে শুধুমাত্র ইসলামপন্থীদের হত্যা করার জন্য, সেই জালিম রাজাদের স্তাবকতা করে, তখন মনে বড় কষ্ট পাই ।

আলেমদের দেখলে শ্রদ্ধা করি, ভয়ও পাই । কোরআনের আলেমদের সম্মান করা আল্লাহকে সম্মান করার অন্তর্ভুক্ত; আবার কিয়ামতের দিনে সবার আগে জাহান্নামে প্রবেশ করবে আলেমরাই ( এবং শহীদ, দানবীররাও জাহান্নামে যাবার ব্যাপারে অগ্রগামী থাকবে ) ।
২৬ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
222073
আয়নাশাহ লিখেছেন : সালাম আজাদী ভাই। আবারও আমার নিজের অক্ষমতা স্বীকার করে নিচ্ছি। আসলে এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলার শিক্ষা, যোগ্যতা,অভিজ্ঞতা বা ভাষা কোনোটাই আমার নাই। তাঁর পরও শুধু আবেগের কারণে বা বলতে পারেন অল্পবিদ্যার কারণে নাঝে মাঝে আপনাদের মনঃপীড়ার কারন হয়ে যাই।
তবে মতিউর রহমান মাদানি যে জেনে বুঝে এবং ইচ্ছা করে মিথ্যা বলেন তাঁর অনেক গুলো প্রমান আমার কাছে আছে। এমনকি তিনি একটা মিথ্যাকে স্যত্যে প্রতিভাত করতে গিয়ে আরো শক্ত এবং ঢাহা মিথ্যা বলেছেন সেটাও টিক। একজন মিথ্যাবাদিকে মিথ্যাবাদি না বলাটাও সত্যের প্রতি জুলুম নয়কি?
মাত্র একটা প্রমানের কথা বলি,
তাঁর এক লেকচারে মাওলানা মোওদুদী (রাহ)এর কথা বলতে গিয়ে বলেন, আমি মওদুদীকে খুব কাছে থেকে স্টাডি করেছি। আলীগড় থেকে সিম্পুল বিএ পাশ। আরবী জীবনেও জানতেন না। শেষ জীবনে কিছু আরবী তিনি বুঝতেন, সামান্য । আরেক লেকচারেও উপরের কথাগুলো বলে শেষে বলেন তাফসিরের ত ও জানেনা হাদিসের হ ও জানেনা। তাফহিমুল কুরআনের আসারতা প্রমান করতে গিয়ে বলেন যদি সেটা এতই বিখ্যাত তফসির হতো, তবে সবার আগে আরবিতে অনুবাদ হতো। কিন্তু আরবীতেও সেটা অনুবাদ হয়নি। আরো অনেক বিদঘূটে কথা বলে তাঁর এই মিথ্যাকে প্রতিস্টিত করতে প্রমান হিসেবে বলেন, রাহিকুল মুখতুম নামক সিরাতের কিতাব যা আল্লামা শাফিউড়রহমান মোবারকপুরি লিখিত এবং তা উর্দু ভাষায়,যিনি নাকি তাঁর উস্তাদ। সেই কিতাব সাথে সাথেই আরবিতে অনুবাদ হয়েছে। কিন্তু তাফহিমমিল কুরান আরবিতে হয়নি।

এবার দেখুন, যে মওদুদী কে তিনি কাছে থেকে স্টাডি করেছেন বললেন, তাকে তিনি পেলেন আলীগড়ের একজন 'সিম্পুল বিএ পাশ'। কাছে থেকে স্টাডি করার এই হল ফলাফল। এবার আপনিই বলুন, তিনি কি এই কথা ইচ্ছা করে মিথ্যা বলেন নি? কাছে থেকে না শত মাইল দূর থেকে স্টাডি করে কি কেউ মাওলানা মওদুদীকে 'সিম্পুল বিএ পাশ' হিসেবে কেউ দেখতে পাবে? তাহলে আমাদেরকে বলতেই হবে তিনি তাকে একদম স্টাডি করেন নি,স্টাডি না করেই একটা শুনা কথা বলে দিয়েছেন আর মিথ্যা স্টাডি করেছেন বলেছেন। অথবা জেনে বুঝে মিথ্যা বলেছেন। একথা মনে রাখা দরকার যে, তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন যার প্রতিস্টাতাদের একজন হলেন মাওলানা মওদুদী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কারিকুলাম প্রনেতা হলেন মাওলানা মওদুদী। তিনি এসব জানেন না সেকথা কি করে বিশ্বাস করি। এবার আসুন রাহিকুল মাখতুম এবং এর লেখক নিয়ে তাঁর মিথ্যাচার শুনি। একই লেকচারে রাকিকুল মাখতুমের লেখক আল্লামা শফিউর রহমান মোবারকপুরিকে তিনি তাঁর উস্তাদ বললেন এবং বললেন ওই কিতাবটি উর্দু ভাষায় রচিত এবং আরবিতে অনুবাদ হয়েছে। এই কথাটিও মিথ্যা। চিন্তা করুন, যিনি মোবারক পুরি সাহেবকে নিজের উস্তাদ বললেন, তাঁর লেখা বিশ্ব বিখ্যাত কিতাব যে সরাসরি আরবিতে লেখা হয়েছিল এবং সেটা আরবিতে অনুবাদের দরকারই হয়নি সেটাও জানেন না অথবা জেনেও নিজের একটা মিথ্যাকে প্রতিস্টিত করতে প্রমান হিসেবে আরেকটা মিথ্যা বললেন। আসলে রাহিকুল মাখতুম সৌদি বাদশাহর ঘোষিত সিরাত প্রতিযগিতায় প্রথম স্থান লাভ করায় তা পুরস্কৃত হয়েছিল এবং সেটা সরাসরি লিখিত ছিল এবং আরবীতে প্রথম সৌদি আরব সরকার প্রকাশ করেন। পরে লেখক নিজে তা উর্দু ভাষায় অনুবাদ করেন এবং ভারতে সেটা প্রকাশিত হয়। রাহিকুল মাখতুমের ভুমিকায় স্বয়ং লেখক সেটা উল্লেখ করেছেন। আপনার পক্ষে সেই সত্যতা জানা আস্মভব হবেনা। লন্ডনে এই কিতাব পাওয়া যাবে বলে মনে হয়, দয়া করে যাচাই করে দেখুন।
আমার কথা হল, সত্যের দাওয়াদ দিতে গিয়ে কি করে একজন লোক মিথ্যা বলতে পারে? আর যে সরাসরি জেনে বুঝে মিথ্যা বলে তাঁর থেকে হক্কের আশা করা যায়?
২৮
277224
২৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:৫৭
ভিশু লিখেছেন : খুবি চমৎকার একটি লেখা। বড়ই সময়োপযোগী। কয়েকটি ভিডিও, বই প্রকাশ ও স্ট্যাটাস দিয়ে যে দীন প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব পালন করা হয়ে যায় না, তৃপ্তি পাওয়ার কোনো কারণ নেই - তা খুব ভালো করেই ফুটিয়ে তুলেছেন। আর অতিরিক্ত শান্তিপ্রিয়-নিরাপদ(!) মুসলিমদের নিয়ে তো কোনো কথাই নেই। তাঁরা যুগে যুগে ফিতনা'র নতুন নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়ে এসি'তে বসে, কোল-বালিশের পাশ দিয়ে, কম্বলের নিচ দিয়ে, ফুলের বাগানের উপর দিয়ে শুধুই মুচকি-মুচকি হাসতে-হাসতে জান্নাতে চলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন - অন্যান্য আপোষহীন-সংগ্রামীদেরও আশাহত/ব্যাহত/সন্দিগ্ধ/অবশ/নীরব করে তুলছেন। ইসলামী আন্দোলন আরামপ্রিয়-ভীতুদের জন্য নয়।
'ফালইউক্বাতিল ফী সাবিলিল্লাহিল্লাযীনা ইয়াশরূনাল হায়াতাদ দুনইয়া বিল আখিরাহ...[নিসা: ৭৪] জাযাকাল্লাহ খাইরান... Praying Praying Praying
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
221276
আয়নাশাহ লিখেছেন : ডাক্তার সাহেব,ছটবেলায় এইম ইন লাইফ রচনা লিখতে গিয়ে বেশিরভাগ ছেলে মেয়েই ডাক্তার হয়ে জনসেবার কথা লিখে। কিন্তু ক'জন আদতে ডাক্তার হতে পারে? আর পারলেও এদের ক'জন জনসেবা করে?
জনসেবার কারার মতো কঠিন কাজটী তারাই করতে পারে যারা তাদের উদ্দেশ্য এটাই হয়।
আমি কারো নিয়তের উপর হামলা করতে চাইনা তবে কথায় আছে 'পাদেই বুঝা যায় নজরের আলামত'।
সঠিক কথাটি বলার জন্য মোবারকবাদ।
২৯
277226
২৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:০৩
তহুরা লিখেছেন :
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
221278
আয়নাশাহ লিখেছেন : দোয়া করুন, আল্লাহ যাতে কোনও ছুতা ধরে এঁদের সাথে আপনাকে এবং আমাকেও রাখেন। জাজাকাল্লাহ।
৩০
277286
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৫০
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : অনেক ভাল একটা পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
221279
আয়নাশাহ লিখেছেন : পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও মোবারকবাদ।
৩১
277361
২৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:২৮
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : মতিউর রহমান সাহেবের বেদাতের বিরুদ্ধে লেকচার গুলিতে ইসলামকে লেমু বানিয়ে ফেলছেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে ওনার কাছে বিনীত অনুরুধ করছি আরো একটু সচেতন সর্তক হওয়ার জন্য।
উম্মাহর ছোটকাট বিভক্তি দূর করা সম্ভব নয়,আর তা জরুরিও নয়। এক আল্লাহ এক রাছুল স. এক কোরআন এক কালেমা এক কা'বা সহ মূলনীতিসমূহতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একে অন্যকে সম্মান করলে শক্তিশালী মুসলিম বিশ্ব গঠন করা সম্ভব।
জাযাকাল্লাহ খায়ের

২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
222050
আয়নাশাহ লিখেছেন : তাঁর কাছে বারংবার এই কথা পৌঁছাতে চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হইনি। আপনি যেহেতু জেদ্দায় আছেন, একটু চেষ্টা করুন। ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে যেনো আর বিভক্তি সৃষ্টি না হয়। জাযাকাল্লাহ।
৩২
277397
২৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৭
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : দুর্দান্ত উপস্থাপনা। খুব ভালো লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
222049
আয়নাশাহ লিখেছেন : পড়া এবং সুন্ধর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩৩
277437
২৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৪
ইক্লিপ্স লিখেছেন : অসাধারণ লিখেছেন। আপনাদের মত জ্ঞানীরা এভাবে হাল ধরলে কারো প্ররোচনায় মুসলিম উম্মাহকে ভ্রান্তি বা কনফিউশনে পড়তে হবে না। নিয়মিত লিখে যাবেন আশা রাখছি।
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
222048
আয়নাশাহ লিখেছেন : এভাবে বলতে নেই। আর আমি আসলেই এমন কোনোকিছু নই। মাঝে মাঝে নিজের চিন্তা শেয়ার ক্রি,এই যা। পড়েছেন জেনে ভাল লাগছে।
৩৪
277534
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।
আমার লেখা আপনি লিখে ফেললেন। তবে আমি এরকম সুন্দর অথচ আসল কথাগুলো লিখতে পারতাম না। এজন্য আপনাকে আবার ও হৃদয় থেকে মোবারকবাদ।
আমি ঠিক করেছিলাম লিখবো 'উম্মার জন্য কাজ করা না নিজের জন্য কাজ করা'।
আলহামদুলিল্লাহ। আপনি সঠিক বিষয় ধরেছেন।
আমি আমার আবু সাইফ ভাইর মন্তব্যের সাথে একমত-
এই বিষয়টা নিযে আরো বিস্তারিত লেখা প্রয়োজন।

২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
222047
আয়নাশাহ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমরা সবাই যদি আমাদের চিন্তা ভাবনা শেয়ার করি তবে প্রত্যেকেই উপকৃত হবো। আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায়।
৩৫
277554
২৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:১২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সুবিধাবাদীদের খাসলত এমনি, হোক সে বড় মোল্লা মৌলভী!

আপনার উপস্থাপনা অনেক অনেক ভাল লেগেছে, সময় নিয়ে মনোযোগের সাথে পড়ে নিলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪১
222046
আয়নাশাহ লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমীন!
৩৬
277932
২৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:২১
রফিক ফয়েজী লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ।আপনার লেখাটি পড়ে বেশ ভাল লাগলো। আগামীতে আরও ভাল লেখা আশা করছি।
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪০
222045
আয়নাশাহ লিখেছেন : ভাল লেগেছ জেনে আমারও ভাল লাগছে। জাযাকাল্লাহ খাইর।
৩৭
277950
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:৫২
ইউসুফ বিন রফিক লিখেছেন : এই পুরু লিখাটা একটি হেড লাইন মাত্র।
ে এই বিষয়ে আর বিস্তারিত খুলামেলা লিখা কামনা করছি।
তবে এই লিখা থেকে খোরাক নিবার মত অনেক কিছুই আছে।
যারা এই লিখাগুলি পড়বে আশা করি এই ব্যাপক ও সময়োপযোগী গুরত্ত্বপূর্ন বিষয়ে নিজের চিন্তা-গবেষনা করার প্রয়াশ পাবে।

াআল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমীন
৩৮
278241
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪০
আয়নাশাহ লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমীন!
এই দোয়াটা জারী রাখবেন আশাকরি।
৩৯
282342
০৮ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
সুজন মাহমুদ লিখেছেন : াপনার লেখায় ওনেক ভুল রোয়েছে। সোমোয় নাই জননো বোলটে পারলাম না।
৪০
288058
২৫ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২১
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : খুব সুন্দর লিখা ,পড়ে ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File