"বিশ্বে অধম হতভাগা দল মুসলিম উম্মাহ- সংগ্রামী পথ ঘৃণা করে খোঁজে নির্ভুল সুন্না।"
লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ২১ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৪৮:১৭ দুপুর
ফেসবুক বা ব্লগ খুললেই কতো ধরণের ওয়াজ শুনতে হয়। কতো বন্ধু যে কতো ধরণের পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকতে আমন্ত্রণ জানান। ইচ্ছার বিরদ্ধেও অনেক কিছু ট্যাগ করে দেন। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন গ্রুপে এড করেও দেন। কেঊ কোনো বই এর লিঙ্ক দেন। সবকিছু দেখাও সম্ভব হয়না, আর সবকিছু পড়াও সম্ভব হয়না।
তবে কিছু কিছু কিছু পেইজ বা গ্রুপের উপর নজর বুলাই, আবার কিছু কিছু ওয়াজ বা লেকচারও শুনি। মাঝে মাঝে পুরা লেকচারও শুনি। কারো লেখা দেখলেই পড়ি, কারো আধা পড়েই বুঝে নেই কি বলতে চাইছেন। কারো লেখা না পড়েই জানি তিনি কি বলবেন।
তবে ইদানিং বড়ো বড়ো শায়েখদের লেকচার শুনতে গিয়ে একটা ধাঁধায় পড়ে গেছি। সম্ভবত আমার মতো কম জানা অনেক মুসলমানেরাও এমনি ধাঁধায় পড়ছেন প্রতিনিয়ত।
বিগত অর্ধ শতাব্দী ধরে আল্লাহর দুনিয়ায় তার হুকুম কায়েম করতে যারা আওয়াজ তুলেছিলেন তারা জীবনের প্রতিটী ক্ষত্রে আল্লাহর বিধান কায়েমের চেষ্টা করেছেন নিজেদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সম্পদ, শক্তি সামর্থ্য এমনকি নিজের প্রাণ দিয়ে। এই কাজ করতে গিয়ে তাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ ছিল হক্কের দাওয়াত দেয়া। তাদের দাওয়াতে যারা সাড়া দিয়েছেন তাঁদেরকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষার উপর নির্ভেজাল এবং সঠিক পধতিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে মান সম্পন্ন মুসলমান হিসেবে গড়ে তুলার ব্যবস্থা তারা করেছেন। তাদের পরবর্তী কর্মসূচী হল সমাজ সংস্কার। এই লক্ষ্যে তারা নিজেদের মাঝে সঠিক ইসলামের শিক্ষা বাস্তাবায়নের সাথে সাথে সমাজের বিভিন্ন অনাচার, অবিচার, বিশৃঙ্খলা, অনৈতিকতা, পাপাচার, ব্যক্তি পুজা, পীর পুজা, মাজার পুজা, এবং ইসলামের নামে ভুল কাজ কর্ম তথা শীরক বিদআত থেকে মুক্তির জন্য প্রচেষ্টা চালান। এই প্রচেষ্টার ফলে বিগত দিনের চেয়ে মানুষ ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পেরেছে। সমাজে শিরক বিদআত সহ আনেক অনৈসলামিক কাজ কমছে এবং মানুষ বুঝে শুনে ইসলামের রুকন পালন করা শুরু করেছে। এই কর্মসূচি চলার কারণে আজ হাট বাজার থেকে শুরু করে অফিস আদালত এমনকি বিশবিদ্যালয়েও অনেক মানুষ ইসলামের কথা বলে এবং সে অনুযায়ী নিজে চলে। মহিলারাও আগের চেয়ে অধিক সংখ্যায় হিজাব পরছেন এবং বুঝে শুনে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলছেন। তারাও নিজেদের মাঝে ইসলামের দাওয়াতি কাজ শুরু করেছেন। মসজিদেও মুসল্লির সংখ্যা বেড়েছে। ধর্মীয় ক্ষেত্রে তাদের এই কর্মসূচির কারণে শিরক বিদআত যেমন কমছে তেমনি পীর পুজা, মাজার পুজাও কমছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের সংস্কার প্রক্রিয়ার ফলে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান সহ উত্তীর্ণ দের তালিকার প্রথম দিকে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্ররা স্থান করে নিচ্ছে যেখানে সারা জীবন সেটা নাস্তিকদের দখলে ছিল। অর্থনৈতিক ক্ষত্রে হালাল হারামের পার্থক্য চিহ্নিত হওয়ার ফলে কিছু মানুষ অন্তত হারাম থেকে বেঁচে থাকার চিস্টায় আছেন। ব্যংকিং ক্ষত্রে যুগান্তকারী সংস্কার করে সারা বিশ্বে ইসলামি ব্যাংকিং চালু করে মুসলমানদেরকে সুদের খপ্পর থেকে রক্ষার প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে। এভাবে স্বাস্থ্য, বিমা সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাদের সংস্কারের প্রমান দেখা যাচ্ছে।
যেহেতু সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন যে ইসলাম একটি পুরনাঙ্গ জীবন বিধান এজন্য সেটা অবশ্যই জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন জরুরী। এই বিষয়েও শায়েখদের মধ্যেও কারো দ্বিমত নেই। কিন্তু যখনি ইসলামকে রাষ্ট্রীয় তথা হুকুমত চালাতে চেষ্টা করা হয় তখনি তারা খুত ধরতে শুরু করেন। তারা বলা শুরু করেন যে, হুকুমত দিয়ে ইসলাম কায়েম সম্ভব না। তারা জোরদেন শুধু দাওয়াত এর মধ্যমে মানুষকে পরিবর্তন করতে হবে। মানুষ যদি পরিবর্তিত হয়ে যায়, দ্বীন তখনি কায়েম হবে এর আগে নয়। একদম তাবলীগি ভাইদের মতো মুখস্ত কথা। এই কথা দিয়ে শুরু করে আমাদের শায়েখরা শুরু করেন আর শেষ করেন একথা বলে যে যারা আব্রাহাম লিংকনের দেয়া সুত্র দিয়ে ইসলাম তথা দ্বীন কায়েম করতে চান তারা গুমরাহ। আর এইসব কথা তারাই বলছেন যারা কুরআন আর সহি হাদিসের কথা সবসময় বলেন। তাঁরা সব সময় শিরক বিদআতের বিরুদ্ধে কথা বলেন। অথচ বাংলাদেশে শিরক বিদআতের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছেন এই আন্দোলনের সিপাহ সালার গন যখন এইসব কথা বলার সাথে সাথে সকল স্থান থেকে বিরধিতার সম্মুখীন হতে হতো। এখন প্রিন্ট, এবং ইলেক্ট্রনিক মিডীয়া দিয়ে যেভাবে মানুষকে বুঝানো সম্ভব, তখন সেটা চিন্তাই করা যেতোনা।
এই কর্মসূচি শুরুর সময় থেকেই এক শ্রেণীর আলিম, পীর এবং হাক্কানি নামধারী ব্যাক্তিরা ইন্ডিভিজুয়েলি এবং কালেক্টিভলি একে বিভ্রান্ত বলে আদাজল খেয়ে লেগেছিলেন এবং এখনো তারা হাল ছেড়ে দেন নি। কুরআন এবং সুন্নাহ অনুসারে যেসব হক্ক তাঁরা প্রচার করেছেন, বলেছেন এবং আমল করেছেন সেগুলো এখনো তথাকথিত আলিমরা মেনে নিতে পারেন নাই। কুরআনকে সংবিধান বলা, রাসুল (স)কে নেতা বলা, তাকে সত্যের মাপকাঠি বলে মনে করা, পীর মুরিদি প্রথাকে মেনে না নেয়া, ইত্যাদি ইস্যুকে বিভিন্ন কায়দায় জনগণের সামনে এনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাই ছিল এঁদের কাজ। কিন্তু কুরআন আর সহি হাদিসের অনুসারী যেসব শায়েখ এখন এই কর্মসূচীকে সমালোচনা করছেন তারা অবশ্য গত ত্রিশ চল্লিশ বছর এসব কথা বলেন নাই বরং দেখেছি তারা এই কর্মসূচিকে সঠিক বলেছেন এবং নিজেদেরকেও এতে সংযুক্ত করেছেন। তারা এখন কথায় কথায় হুকুমতের আসারতা প্রমানের জন্য দলীল দেন। অথচ এই দ্বীনি আন্দোলনের প্রথম এবং প্রধান ক্রমসুচিই হল দাওয়াত ও তাবলীগ যাতে মানুষকে ইসলামের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলা যায়। সাথে সাথে এদেরকে সংগঠিত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পূর্ণ মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলা যায়। এদের মাধ্যমে সমাজকে সংস্কার করে যথাসময়ে আল্লাহর হুকুম হলে হুকুমত প্রতিস্টা করা সম্ভব হলে হবে, না হলে না। কিন্তু এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে। এরই নাম ইসলামী জিহাদ বা জিহাদ ফি সাবি লিল্লাহ।
একদিকে শায়েখরা বর্তমান শাসন ব্যবস্থার সমালোচনা করবেন কিন্তু এ থেকে মুক্তির জন্য চেষ্টা করাকে বিভ্রান্তি বলবেন আবার নিজেরাও বিকল্প কোনো কর্মসূচি দেবেন না তখন মনে ধাঁধা তো লাগবেই। যে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিস্টাতা এবং প্রথম কারিকুলাম প্রণয়ন কারী এক আল্লাহর বান্দাহ যিনি এই আন্দোলনের সুচনা করেছিলেন, আমাদের অধিকাংশ শায়েখরা দেখেছি সেখান থেকেই বের হয়েছেন। তারা আগে কিন্তু এখনকার মতো তাকে সমালোচনা করেন নি বরং তাঁর সমালোচকদের সমালোচনা করেছেন। আর তাদের মধ্যে এমনও শায়েখ রয়েছেন যারা এই আন্দোলনের অগ্রপথিককে সমালোচনা করার সাথে সাথে তিনি যা বলেন নাই, যা করেন নাই এমন কথা এবং কাজকে তাঁর উপর আরোপ করছেন যা তাঁর উপর জুলুম। মনে প্রশ্ন জাগে, একটা দ্বিনি আন্দোলনকে না জেনে কি তাঁরা এমন কথা বলছেন? বিশ্বাস করতে পারিনা।
বিশ্বরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আধিপ্ত্যবাদি শক্তি যখন মধ্যপ্রাচ্য সহ মুসলিম বিশ্বকে কব্জা করার জন্য উপসাগরীয় যুদ্ধ শুরু করলো, মুসলমান রাজা বাদশাহরা নিজেদের গদি এবং অনৈতিক ভাবে ভোগ বিলাসকে রক্ষা কারার জন্য তারাও সেইসব কুফরি শক্তির সাথে আঁতাত করলো। অনেকের মতে তখন থেকেই মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি খোদ প্রধান মুফতির জন্য সত্য বলা অসম্ভব হয়ে পড়ল। শুরু হল নিজেদের গদি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আয়াত এবং হাদিস তালাস করা এবং প্রকৃত জিহাদ ফি সবি লিল্লাহকে ইসলামের সাথে বৈপরীত্য সৃষ্টিতে কাজে লাগানো যাতে মুসলমানেরা নপুংসক হয়ে যায়। এখন তারা এমন ফতোয়াও দিতে শুরু করেছেন যে, শাসক যদি নামে শুধু মুসলমান হয় তবে সে যা কিছুই করুক না কেনো, তাঁর বিরদ্ধে কোনো মুসলমনের বিদ্রুহ করা সম্পূর্ণ না জায়েজ। সেদিন তো আমাদের কিবলাহর রক্ষক দেশের গ্র্যন্ড মুফতি ফতোয়া দিলেন ইসরাইলের বিরদ্ধে মিছিল করাও হারাম। কেউ কেউ নাকি এমন কথাও বলেছেন যে, ফিলিস্তিনে নারি শিশু সহ হাজার হাজার মানুষকে ইসরাইল হত্যা করেছে সেটা সে করতেই পারে কারণ ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাসী। একদম ওবামার কথার প্রতিধ্বনি।
গত কয়েকদিন আগে এক বন্ধু একটা লেকচারের লিঙ্ক পাঠালে তা শুনে নিজেকে বড়ো দুর্ভাগা মনে হল। ওই লেকচারটা ছিল 'দ্বীন কায়েম' নিয়ে। শায়েখ যেসব কথা বললেন তা শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম হয়ে যায়। অনেক লম্বা লেকচারটার মুল বক্তব্যই ছিল ইসলামি আন্দোলনের ব্যখ্যা করা দ্বীন কায়েম আর সালাফদের দ্বীন কায়েম ভিন্ন জিনিষ। তিন জন নবীর উদাহরণ টেনে বললেন এঁদের দুজন তো হুকুমত প্রতিস্টা করেন নি, শধু মুহাম্মদ (স) হুকুমত প্রতিস্টা করেছেন। তাহলে কি ঐসব নবীরা ব্যর্থ এই প্রশ্ন করে বললেন তাঁরা হুকুমত প্রতিস্টা না করেও সফল। আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করছিল, তাহলে কি আমরা মুহাম্মদ(স) এর উমমাত নাকি ঐসব নবীদের উম্মাত? মুহাম্মাদ (স) যেখানে হুকুমত প্রতিস্টা করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন সেখানে পূর্বেকার নবীদেরকে অনুসরণের প্রশ্ন আসে কি করে? এক পর্যায়ে তিনি মাওলানা মওদুদি (রাহ) এর উপর এমন সব কথা চাপিয়ে দিলেন যা তিনি বলেন নি এবং করেনও নি।
মনে মনে বললাম, আমাদের দুর্দশা কখন যে কাটবে সেটা আল্লাহই ভাল জানেন।
বিঃদ্রঃ শিরোনামটা আমার দেয়া নয়, ব্লগার আবু সাইফ এর দুইটা লাইন ধার করেছি।
বিষয়: বিবিধ
২৯৩১ বার পঠিত, ৮৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভুল করাটাই স্বাভাবিক। তারা ইতিহাসে চোখ বুলায় না, রাসূল(সা)এর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস পড়েন না-এ হতে শিক্ষাও নেন না। শুধু গ্রন্থিত সহীহ হাদীস বিচ্ছিন্ন ভাবে পড়লে বিভ্রান্তিই বাড়বে, পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে ইসলামকে আয়ত্ত্ব করা হবে না।
সুন্দর পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার ইঙ্গিতটি যেন সকলে বুঝতে ও উপলব্ধি করতে পারে সে কামনা করছি।
এক কাঠি সরেস। তাদের পোস্ট আর লেখালেখি দেখে মনে হয় যেনো নিজেই এক একজন আল্লামা। দিন রাত শুধু শিরক আর বিদআত নিয়ে লিখেই যাচ্ছেন আর তাদের শায়েখদের ওয়াজ আপলোড করেই যাচ্ছেন। তাকলিদ, শিরক আর বিদআত নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথার কারণে নিজেরাই যে মুকাল্লিদ হয়ে গেছেন সেকথা তাদের মালুমই হচ্ছেনা।
নিজেরাই যে মুকাল্লিদ হয়ে গেছেন সেকথা তাদের মালুমই হচ্ছেনা।
১০০% বাস্তব কথা।
অসাধারণ লিখেছেন-
কলিজায় খুন ঝরে ঐসব শায়েখদের বক্তৃতা আর লেখনীর কারবার দেখে,
কিন্তু
কইলে মা-য়ে মার খায়,
না কইলে বাপ কুত্তা খায়
এমন অবস্থা
মাঝে মাঝে যেন হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
তবে পড়েছেন জেনে আপনাকে মোবারকবাদ।
জাযাকাল্লাহ।
আমাদের কি করা উচিত ,কিভাবে চলা উচিত এসব প্রশ্নের উত্তরগুলা বড়ই কনফিউজিং।
ধন্যবাদ।
এ বিষয়ে ওভারঅল আমার অনুভূতি অনেকটা এমন -
ইন্টারনেট এর বদৌলতে - যে সব আলেম ওলামার বক্তব্য পড়ার কিংবা শোনার সুযোগ আমার হয়েছে - তাদের এক বিরাট অংশের আলোচনার কোন না কোন অংশে -সমালোচনা করতে শুনেছি এই বলে যে - মুফতি গুগুল, শেখ উইকিপিডিয়া, ওলামা/স্কলার ইউটিউব ইত্যাদি। যা আমার কাছে কন্ট্রাডিক্টরী মনে হয়েছে - কারন আমি ওনাদের বক্তব্যই ওখানে পড়ছি কিংবা শুনছি।
ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে - পারস্পরিক আলোচনার কিংবা শেয়ারিং এর এই বিস্তৃত পরিসর অনেকাংশ পজেটিভ - যদিও যথাযথ ফিল্টারিং এর অভাবের জন্য আমরা ওভারলোডেড হই। আর সে সাথে মিসইনফরমেশান এর ও মুখোমুখি হই (যার অনেকগুলো উদাহরন আপনি দিলেন) - যা অনেকসময় চিন্তাভাবনা ও আমলকে মিসলিডিং করে।
আল্লাহ আমাদেরকে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করার সুযোগ দিন এবং আমাদের আরো বিনীত হবার শক্তি দিন।
ধন্যবাদ
আপনার সাথে আমিও আমীন বললাম।
আমাদেরকে আল্লাহ কবুল করুন।
ইজরাঈল একজন নবীর নাম হয়ে থাকলেও সারা দুনিয়ার মানুষ যখন ইজরাইলকে মন্দ ভাষায় গালি দেয় তখন কিন্তু নবী ইসরাইলকে গালি দেয়না। এই সাধারণ কথাটাও যদি আমাদের গ্র্যন্ড মুফতি না বুঝেন তবে আর কি বলবো। সত্য বললেই কিন্তু আমাকে ধরা হবে।
'টুইটার শয়তানের উৎস'...।সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি।
দেখুন
http://www.bdmonitor.net/newsdetail/detail/200/95418
আর আপনি শুধু এ বিষয়ে দৃষ্টি দিচ্ছেন কেন? উনার এ পোস্টে অনেক চিন্তার খোরাক আছে।
আপনার সাথে আমিও আমীন বললাম।
আমাদেরকে আল্লাহ কবুল করুন।
শুধু মুসলিম ব্যক্তিত্বদের মাঝেই নয়; মুসলিম রাষ্ট্র সমূহেও চলছে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের খেলা। খুব বড় বিষয় নিয়ে নয়; মামুলি বিষয় নিয়ে। এগুলো সমাধানের জন্য তেমন কোন উদ্যোগেরও প্রয়োজন হয় না। আলোচনা-পর্যালোচনা দ্বারাই সম্ভব।
মুসলমান পরস্পরে ভাই ভাই। সে হিসেবে পারস্পরিক সম্পর্ক হওয়া উচিত ভ্রাতৃত্বের, সম্প্রীতি ও মাধুর্যের। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়। যিনি কাজ করেছেন তার দিকে নয়, চেয়ে দেখা উচিত কী কাজ করেছেন। ভাল কাজ হলে তার স্বীকৃতি দেয়া। ব্যক্তি যে কেউই হোক। ইসলাম ও গঠণমূলক সামাজিক কাজের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা বাঞ্ছণীয়। কিন্তু যখন কাজের চেয়ে কর্তা বেশি গুরুত্ব পায়; প্রত্যেক কাজকে নিজের অবদান মনে করা হয় এবং খ্যাতির আশা থাকে, তখনই ঘটে বিপত্তি।
বর্তমানে ইসলামী কর্মীদের অভ্যাস এই দাঁড়িয়েছে যে, তাঁরা শুধু অন্যের দোষ-ত্র“টিই দেখে। অন্যের ভুলগুলো প্রকাশ করেই শান্তি পায়। নিজের ভুল কিছুই ধরা পড়েনা তাদের রঙ্গীন চশমায়। নিজের মধ্যে হাজার দোষ থাকার পরও অন্যের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে মজা পায়। নিজেরটি একমাত্র কাজ; অপরেরটি কিছুইনা; এই ধারণা তাদের ভেতর। তাদের ভাব দেখে মনে হবে ইসলামের রক্ষক একমাত্র তারাই। তাদের অস্তিত্ব ও পতনের মাঝে ইসলামের উত্থান-পতন নিহিত!
শহীদ ভাই আমার মনের কথাগুলোই বলে দিলেন, ধন্যবাদ আয়না ভাই আর শহীদ ভাই দুজনকেই।
জাযাকাল্লাহ।
স্টিকি পোষ্টের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জাযাকাল্লাহ খাইর।
আসলে যে কোন ক্ষেত্রেই বেশি বাড়াবাড়ি খারাপ। একটি হাদিসেও এ্ বাড়াবাড়ি নিষেধ করা হয়েছে। ইসলামের স্বর্নযুগে তাই দেখা যায় মানুষ শৃঙ্খলার মধ্যেও ছিল আবার ব্যাক্তি স্বাধিনতাও ছিল। সবাইকে একই রকম করতে গেলে কিন্তু একটি বদ্ধ সমাজের সৃষ্টি হবে। কম্যুনিষ্ট কিংবা ফ্যাসিষ্ট দের মত। ইসলামে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেওয়া আছে মূল নিতি। যার ভিত্তিতে যুগোপযুগি সিদ্ধান্ত দেওয়ার অবকাশ আছে। কিন্তু আমরা এখন অন্ধ অনুসরন কেই মনে করছি সহিই।
আমরা আজ ‘চোখ থাকিতেও অন্ধ! ইসলামকে ‘সেই অন্ধদের’ মতই - আমাদের সুবিধা অনুযায়ী ভাগ করে নিয়েছি। সেই অনুযায়ী সুন্নাহর আমল ও চলছে! আজকের দুনিয়ায় পরিপূর্ণ অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ ইসলাম যেন বহুদূরের কোন গ্রহান্তরের জীবণ বিধান!
অথচ আমরা চাই মানুষ ইসলামকে পুরনাঙ্গ রুপেই জানুক, দেখুক, মানূক এবং নিজে, নিজের প্রবারে, সমাজে এবং রাষ্ট্রে তা পালন করুক।
জাযাকাল্লাহ খাইর।
সুরঞ্জিতের মত তার মুখভঙ্গি দেখলে মনে হয়, ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু । আসল বিষয়টি অন্য জায়গায় । অতি-সালাফিরা তাকলিদের ঘোর বিরোধিতা করেন । তারাই আবার ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারেন না । তারা চান দ্বীনের ব্যখ্যা এবং বিশ্লেষণে শুধুমাত্র তাদের তাকলিদ বা অন্ধ আনুগত্য করা হোক । কোন আলেম তার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হোক এটা তাদের কাছে অসহনীয় ।
আরব বিশ্বে স্বাধীনতার প্রহরী এবং ইসলামী সমাজ কায়েমের সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলেমিন এবং এই উপমহাদেশের জামাআতে ইসলামীকে তারা মারাত্মক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে । কারণ, এরা স্বাধীনভাবে ভাবে, স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চায় ।
অতি সালাফিদের দেশে আমেরিকান সেনাবাহিনী ঘাঁটি গড়ে বসে আছে, এতে তাদের বোধোদয় হয় না । আমেরিকানরা নির্বিচারে বোমা হামলা করে ইরাক এবং আফগানিস্তানে শত শত নিরপরাধ নারী-শিশু-বৃদ্ধকে হত্যা করেছে, এতে তাদের ঈমানী চেতনায় আঘাত লাগে না । গাজায় গণহত্যা হয়, তখন এদের সামান্য কষ্ট বোধ হয় না । কারণ, তারা জনগণের সম্পদ ভোগ করা রাজা বাদশাহদের স্তাবক । তাদের রাজা বাদশাহরা আমেরিকানরা গণহত্যাকারি আমেরিকানদের পদলেহি । তাই অতি সালাফিদের কাছে ফিলিস্তিনের মুক্তিযুদ্ধ একটি সন্ত্রাসী আন্দোলন, উপমহাদেশের ইসলামী আন্দোলন হারামকর্ম ।
কোরআন বারবার বলেছে, মুসলমানদের বাদ দিয়ে ইহুদী ও খৃস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না-করতে । বুকে ঈমানী চেতনা থাকলে আমেরিকান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে দেখুক ! অর্থগৃধ্নু রাজা বাদশেদের স্তাবকতা করতে করতে এদের স্বাধীন বিবেচনা শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে । এই পরাধীন বেশরমদের ব্যাপারে খুব বেশী না-ভাবাই ভাল ।
কিন্তু এরা সবকিছুকে বেমালুম গায়েব করে দিয়ে ইসলামি আন্দোলনকে মানুষের কাছে ক্ষমতা দখলের লড়াই, গদিতে বসার তৎপরতা,মারামারি কাটাকাটি এবং নাজায়েজ গণতন্ত্রচর্চা যা ইসলামে হারাম বলে যখন কুরআন হাদিস দিয়ে বুখায় তখা সত্যিকার ইসলাম পন্থীদের মাঝে ধাঁধা লেগে যায়। আমি এইসব ধাঁধা বাজ দের থেকে সাবধান থাকার জন্য ইসলামি আন্দোলনের সাথীদেরকে সচেতন করতে চাই। অবশ্য এই কাজে মতিউর রহমান মাদানি কাজ্জাবও কম যায়না।
সারা দুনিয়ায়র মুসলমানদের সম্পদ অনৈতিক ভাবে ভোগ করার জন্য যারা এইসব লোকদের প্রিস্টপোষকতা করছে তাদের দ্বারা কৃত শুরক, বিদআত কিংবা হারাম কাজের কথা ওরা মুখেই আনে না। কেন তা আপনার বক্তব্যে ফুটে ঊঠেছে।
জাযাকাল্লাহ খাইর।
আরেকটা কথা, আপনারা মনে হয় ভুলে যাচছেন যে মাদখালি সালাফি এবং আগের সালাফিদের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। সালাফিদের কে কখনো ইসলামি আন্দোলনের বাইরের শক্তি মনে করা হয় না। তাদের অর্থ ও নৈতিক সমর্থন না থাকলে বাংলাদেশ জামাআত কখনো এই পর্যায়ে আসতে পারতো না। কিন্তু মাদখালি সালাফিদের হয়েছে আরেক মতি গতি। সৌদি সরকারের এজেন্ট হয়ে এখন তারা ইসলামি আন্দোলন গুলোর বিকল্প হয়ে উঠতে চাইছে, কারন ইসলামি আন্দোলনের স্থবিরতা।
যাহোক, আল্লাহ আমাদের বলেছেন:"হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত।" ৫:৮
তারা যখন ইখওয়ানকে সন্ত্রাসী দল বলে, যে রাজারা আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়েছে শুধুমাত্র ইসলামপন্থীদের হত্যা করার জন্য, সেই জালিম রাজাদের স্তাবকতা করে, তখন মনে বড় কষ্ট পাই ।
আলেমদের দেখলে শ্রদ্ধা করি, ভয়ও পাই । কোরআনের আলেমদের সম্মান করা আল্লাহকে সম্মান করার অন্তর্ভুক্ত; আবার কিয়ামতের দিনে সবার আগে জাহান্নামে প্রবেশ করবে আলেমরাই ( এবং শহীদ, দানবীররাও জাহান্নামে যাবার ব্যাপারে অগ্রগামী থাকবে ) ।
তবে মতিউর রহমান মাদানি যে জেনে বুঝে এবং ইচ্ছা করে মিথ্যা বলেন তাঁর অনেক গুলো প্রমান আমার কাছে আছে। এমনকি তিনি একটা মিথ্যাকে স্যত্যে প্রতিভাত করতে গিয়ে আরো শক্ত এবং ঢাহা মিথ্যা বলেছেন সেটাও টিক। একজন মিথ্যাবাদিকে মিথ্যাবাদি না বলাটাও সত্যের প্রতি জুলুম নয়কি?
মাত্র একটা প্রমানের কথা বলি,
তাঁর এক লেকচারে মাওলানা মোওদুদী (রাহ)এর কথা বলতে গিয়ে বলেন, আমি মওদুদীকে খুব কাছে থেকে স্টাডি করেছি। আলীগড় থেকে সিম্পুল বিএ পাশ। আরবী জীবনেও জানতেন না। শেষ জীবনে কিছু আরবী তিনি বুঝতেন, সামান্য । আরেক লেকচারেও উপরের কথাগুলো বলে শেষে বলেন তাফসিরের ত ও জানেনা হাদিসের হ ও জানেনা। তাফহিমুল কুরআনের আসারতা প্রমান করতে গিয়ে বলেন যদি সেটা এতই বিখ্যাত তফসির হতো, তবে সবার আগে আরবিতে অনুবাদ হতো। কিন্তু আরবীতেও সেটা অনুবাদ হয়নি। আরো অনেক বিদঘূটে কথা বলে তাঁর এই মিথ্যাকে প্রতিস্টিত করতে প্রমান হিসেবে বলেন, রাহিকুল মুখতুম নামক সিরাতের কিতাব যা আল্লামা শাফিউড়রহমান মোবারকপুরি লিখিত এবং তা উর্দু ভাষায়,যিনি নাকি তাঁর উস্তাদ। সেই কিতাব সাথে সাথেই আরবিতে অনুবাদ হয়েছে। কিন্তু তাফহিমমিল কুরান আরবিতে হয়নি।
এবার দেখুন, যে মওদুদী কে তিনি কাছে থেকে স্টাডি করেছেন বললেন, তাকে তিনি পেলেন আলীগড়ের একজন 'সিম্পুল বিএ পাশ'। কাছে থেকে স্টাডি করার এই হল ফলাফল। এবার আপনিই বলুন, তিনি কি এই কথা ইচ্ছা করে মিথ্যা বলেন নি? কাছে থেকে না শত মাইল দূর থেকে স্টাডি করে কি কেউ মাওলানা মওদুদীকে 'সিম্পুল বিএ পাশ' হিসেবে কেউ দেখতে পাবে? তাহলে আমাদেরকে বলতেই হবে তিনি তাকে একদম স্টাডি করেন নি,স্টাডি না করেই একটা শুনা কথা বলে দিয়েছেন আর মিথ্যা স্টাডি করেছেন বলেছেন। অথবা জেনে বুঝে মিথ্যা বলেছেন। একথা মনে রাখা দরকার যে, তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন যার প্রতিস্টাতাদের একজন হলেন মাওলানা মওদুদী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কারিকুলাম প্রনেতা হলেন মাওলানা মওদুদী। তিনি এসব জানেন না সেকথা কি করে বিশ্বাস করি। এবার আসুন রাহিকুল মাখতুম এবং এর লেখক নিয়ে তাঁর মিথ্যাচার শুনি। একই লেকচারে রাকিকুল মাখতুমের লেখক আল্লামা শফিউর রহমান মোবারকপুরিকে তিনি তাঁর উস্তাদ বললেন এবং বললেন ওই কিতাবটি উর্দু ভাষায় রচিত এবং আরবিতে অনুবাদ হয়েছে। এই কথাটিও মিথ্যা। চিন্তা করুন, যিনি মোবারক পুরি সাহেবকে নিজের উস্তাদ বললেন, তাঁর লেখা বিশ্ব বিখ্যাত কিতাব যে সরাসরি আরবিতে লেখা হয়েছিল এবং সেটা আরবিতে অনুবাদের দরকারই হয়নি সেটাও জানেন না অথবা জেনেও নিজের একটা মিথ্যাকে প্রতিস্টিত করতে প্রমান হিসেবে আরেকটা মিথ্যা বললেন। আসলে রাহিকুল মাখতুম সৌদি বাদশাহর ঘোষিত সিরাত প্রতিযগিতায় প্রথম স্থান লাভ করায় তা পুরস্কৃত হয়েছিল এবং সেটা সরাসরি লিখিত ছিল এবং আরবীতে প্রথম সৌদি আরব সরকার প্রকাশ করেন। পরে লেখক নিজে তা উর্দু ভাষায় অনুবাদ করেন এবং ভারতে সেটা প্রকাশিত হয়। রাহিকুল মাখতুমের ভুমিকায় স্বয়ং লেখক সেটা উল্লেখ করেছেন। আপনার পক্ষে সেই সত্যতা জানা আস্মভব হবেনা। লন্ডনে এই কিতাব পাওয়া যাবে বলে মনে হয়, দয়া করে যাচাই করে দেখুন।
আমার কথা হল, সত্যের দাওয়াদ দিতে গিয়ে কি করে একজন লোক মিথ্যা বলতে পারে? আর যে সরাসরি জেনে বুঝে মিথ্যা বলে তাঁর থেকে হক্কের আশা করা যায়?
'ফালইউক্বাতিল ফী সাবিলিল্লাহিল্লাযীনা ইয়াশরূনাল হায়াতাদ দুনইয়া বিল আখিরাহ...[নিসা: ৭৪] জাযাকাল্লাহ খাইরান...
জনসেবার কারার মতো কঠিন কাজটী তারাই করতে পারে যারা তাদের উদ্দেশ্য এটাই হয়।
আমি কারো নিয়তের উপর হামলা করতে চাইনা তবে কথায় আছে 'পাদেই বুঝা যায় নজরের আলামত'।
সঠিক কথাটি বলার জন্য মোবারকবাদ।
উম্মাহর ছোটকাট বিভক্তি দূর করা সম্ভব নয়,আর তা জরুরিও নয়। এক আল্লাহ এক রাছুল স. এক কোরআন এক কালেমা এক কা'বা সহ মূলনীতিসমূহতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একে অন্যকে সম্মান করলে শক্তিশালী মুসলিম বিশ্ব গঠন করা সম্ভব।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
আমার লেখা আপনি লিখে ফেললেন। তবে আমি এরকম সুন্দর অথচ আসল কথাগুলো লিখতে পারতাম না। এজন্য আপনাকে আবার ও হৃদয় থেকে মোবারকবাদ।
আমি ঠিক করেছিলাম লিখবো 'উম্মার জন্য কাজ করা না নিজের জন্য কাজ করা'।
আলহামদুলিল্লাহ। আপনি সঠিক বিষয় ধরেছেন।
আমি আমার আবু সাইফ ভাইর মন্তব্যের সাথে একমত-
এই বিষয়টা নিযে আরো বিস্তারিত লেখা প্রয়োজন।
আপনার উপস্থাপনা অনেক অনেক ভাল লেগেছে, সময় নিয়ে মনোযোগের সাথে পড়ে নিলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ে এই বিষয়ে আর বিস্তারিত খুলামেলা লিখা কামনা করছি।
তবে এই লিখা থেকে খোরাক নিবার মত অনেক কিছুই আছে।
যারা এই লিখাগুলি পড়বে আশা করি এই ব্যাপক ও সময়োপযোগী গুরত্ত্বপূর্ন বিষয়ে নিজের চিন্তা-গবেষনা করার প্রয়াশ পাবে।
াআল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমীন
এই দোয়াটা জারী রাখবেন আশাকরি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন