শহীদেরা নাকি জান্নাতে পাখি হয়ে উড়ে বেড়াবেন।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ০১:২৯:৪১ দুপুর
শহীদেরা নাকি জান্নাতে পাখি হয়ে উড়ে বেড়াবেন।
আচ্ছা,
তারা কি ডুবুরী হয়ে মহা সমুদ্রের তলদেশেও সাঁতার কাটবেন?
তারা কি নিজেদের আঙিনায় জান্নাতের বাগান বানাবেন?
তারা কি সেই বাগানে পানি সিঞ্চন করবেন?
তাদের দেখতে কি অপরূপ সুন্দর মনে হবে?
তারা কি নিজেদের দুনিয়াবী স্ত্রীদেরকে শতর্ক করবেন?
দুনিয়ার লোকেরা কি হাটতে হাটতে পথে পথে তাদের জন্য প্রশংসা করবেন?
উত্তর যদি 'হ্যা' হয়, তাহলে আজ ফজরের নামাযের পর এমনই একজন শহিদের সাথে স্বাক্ষাত হয়েছে।
তিনি নদীর স্বচ্ছ পানিতে ডুবুরীর মত সাঁতার কাটছিলেন।
লোকেরা তার গুণগান করতে করতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।
তার বাড়ির আঙিনায় তার স্ত্রী বাগানে পায়চারি করছিলেন।
তিনি সাঁতার শেষে বেলাভূমিতে উঠে এসেছিলেন।
তার পিঠের সাথে লাগিয়ে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বাগানে পানি সিঞ্চন করছিলেন।
তার চিবুকের ঘণ কালো দাড়ি গুলোকে সতেজ মনে হচ্ছিল।
তার ঠোট দুট, গ্রীবাযুগল এবং চোখের পাতাদ্বয় রক্তাক্ত পলাশের মত লাল ছিল।
সব মিলিয়ে তাকে অপরূপ সুন্দর লাগছিল।
এক দৃষ্টিতে তাকে যতই দেখছিলাম একটা স্বর্গীয় অনুভুতি ততই মোহাবিষ্ট করে রেখেছিল।
হয়ত এই সুখ স্বপ্ন আরো কিছুক্ষণ স্থায়ী হত যদিনা মোবাইলটা অফিসের সময় হয়েছে বলে এলার্ম দিত।
হ্যা, যার সাথে আজ আমার এই স্বাক্ষাত তিনি ইসলামী আন্দলনের এক শহীদ সিফাহসালার।
আমরা যেন তাদেরকে ভুলে না যাই। তাদেরকে যেন সর্বদা আমাদের দুয়ায় সামিল রাখি।
হে আল্লাহ! আমরা স্বাক্ষ দিচ্ছি, আমাদের এই সিপাহ সালারগণ নির্দোষ ছিলেন, তারা তোমার জমিনে তোমার দীন কায়েমের জন্য নিবেদিত ছিলেন।
তারা আমাদের মত অসংখ্য পথ হারা যুবক যুবতী, আবাল বৃদ্ধ বনীতাদের তোমার দীনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তোমার আদেশ নিষেধ মানা এবং তোমার রাসূল(সঃ) এর অনুসরণের জন্য উদ্ভুদ্ধ করেছিলেন।
হে মালিক! আমারা আমাদের এই নেতাদের প্রতি সন্তুষ্ট, তুমিও তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাও। আমাদেরকে এবং আমাদের স্ত্রী সন্তানদেরকেও কবুল কর। তাদেরকে আমাদের জন্য চক্ষু শীতলকারী এবং মুমিনদের ঈমাম বানাও।
বিষয়: বিবিধ
৮৫১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন