জিপিএ৫
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৮:১৬:০৩ রাত
জিপিএ৫ নিয়ে বিগত বছর কয়েক যাবৎ বেশ বিতর্ক হচ্ছে। এবারতো একজন পরীক্ষা না দিয়েই জিপিএ৫ পেয়েছে! ওয়াও আন্ডার গ্রাজুয়েট মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ওয়াও! এই না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের শিক্ষার মান? অনেকেই ভাগ্যগুণে আর মননীয় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহীদের বদান্যতায় জিপিএ৫ পয়েছে। তবে যে সকল বাচ্চারা সত্যি সত্যিই লেখা পড়া করে জিপিএ৫ পেয়েছে তাদের মধ্যে ওরা তিন জন যথাক্রমে, আনিকা নাওয়ার খান, জেরীন তাসনীম ভূঁইয়া এবং ইন্নি তাসনিয়া তাবাসসুম অন্যতম।
এই সাফল্যের জন্য ওদের সহ সারা দেশের কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ জানাচ্ছি।
ওদের এই সাফল্যের পিছনে ওদের পাশাপশি আর যাদের অবদান সবচেয়ে বেশী তারা হলেন ওদের গর্বিতা মায়েরা। তাই ওদের মায়েদেরও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
ওদের একজনের মায়ের সাথে আমার দূরকিয়া সম্পর্ক আছে, সেই সূত্রে আমি বিষয়টা জানি। কেউ আবার পরকীয়া ভেবে ভুল করবেন না। দূরকীয়া সম্পর্ক নয়ত কি? তার আর আমার মাঝে যে ৬০০০ কিলোমিটারের বেজায় দূর। সেই ভদ্রমহিলার কর্মের ফিরিস্ত যদি দেই তাহলেই বুঝবেন যে জিপিএ৫ পাওয়ার পিছনে তার কতবড় হাত।
সকালে উঠিয়া তিনি
মনে মনে বলেন
নামাজ পড়িয়া তিনি
কি করিবেন?
দুধ ডিম বানিয়ে তিনি
বাচ্চাকে খাওয়ান
বই খাতা গুছিয়ে নিয়ে
বিদ্যালয়ে যান।
দুপুর হতে না হতেই হয়
বিদ্যালয় ছুটি
আগে ভাগেই হাজির হন
নিয়ে ভাত রুটি।
নিজ হাতে খাওয়ায়ে
যান কোচিং এ
ঘণ্টাদুয়েক পরে যান
বাচ্চাকে আনিতে।
গা-গোছল করিয়ে দেন
দুপুরের খাবার
খাওয়া শেষে আর্ট ক্লাসে
যেতে হয় আবার।
আর্ট করিয়ে রাস্তা ধরেন
গণিত স্যারের বাসার
ইংরেজী পড়ানর পরেই
সময় হয় ফেরার।
বাসায় এসে দেখেন
হুজুর হাজির
কুর’আন পড়েই তবে হয়
রুমের বাহির।
খেলা-ধুলোর সময় বাচ্চারা
পায়না মোটে
সন্ধ্যার আগে যৎসামান্য যদি
ভাগ্যে জোটে।
ইত্যবসরে তিনি
ঘর-দোর গোছান
মাগরিবের নামায শেষে
বাচ্চাকে পড়তে বসান।
পড় পড় সোনামণি
রাতের পড়া
এবার তিনি শিক্ষিকা
বেজায় কড়া!
রাতের এগার-বারটা
নয় বড় কথা
পড়া শেষ করতেই হবে
যথ যথা।
পড়ালেখা শেষ করে
খেয়ে রাতের খাবার
প্রস্তুতি নিয়ে শোন
সকালে ওঠার।
এভাবেই সময় যায়
বাচ্চার মার
জিপিএ৫ পেলে বুক ফুলে
বাচ্চার বাবার!
বিষয়: বিবিধ
১১৩৪ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটি ঘটনা দেখুন-
প্রায় তিন মাস আগে স্বপরিবারে হাতীবান্ধা ছেড়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ নেয় সাজ্জাদ হোসেন সাকিব। স্কুলের মডেল টেস্ট পরীক্ষাতেও অংশ নিতে পারেনি। অথচ সেই সাজ্জাদ পিএসসি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই পেল জিপিএ-৫।- Click this link
এত কষ্ট করে জিপিএ-৫ নিয়ে বাবা-মার বুক ফুলল কিন্তু সেই শিশুটির যে শৈশব নষ্ট হলো সেটা তো আর ফিরে আসবে না!
কালজয়ী কবিতা। বাবা সাফল্যের অংশীদার, ব্যর্থতার নয়।
আপনার দুরকিয়া প্রেমের জন্য লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন