বিশ্ব কিভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় - ৩য় পর্ব ( মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ)
লিখেছেন লিখেছেন তট রেখা ২৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:১৫:১৯ রাত
বিশ্ব কিভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় - ১ম পর্ব ( ছায়ার ভেতরে বসে)
বিশ্ব কিভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়-২য় পর্ব ( রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অর্জন)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ وَمَن يَتَّبِعْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهُ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ مَا زَكَا مِنكُم مِّنْ أَحَدٍ أَبَدًا وَلَكِنَّ اللَّهَ يُزَكِّي مَن يَشَاء وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে। যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন। আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন।
(সুরা নুরঃ আয়াত-২১)
২য় পর্বের পর-----
বিভিন্ন দেশকে নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনৈতিক মতামত কে নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তন করা ঐতিহাসিক ভাবে ফ্রীমেসন্সদের প্রধান অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে। যখন কোনো দেশের শাসক ও রাজনীতিবিদরা বশিভূত হয়ে যায়, তখন তারা সে দেশের আইন ও রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন করে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য। যেহেতু শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ মন নিয়ন্ত্রণ নয়, তারা মনোজগত নিয়ন্ত্রণের কলা কৌশল প্রয়োগ করে। ফ্রীমেসন্সরা বিশেষ ভাবে বিশ্বাস করে যে, বিশ্ব সরকারের জন্য তাদের যে পরিকল্পনা, তা বাস্তবায়ন নির্ভর করে সাধারণ জনগোষ্ঠিকে তাদের আদর্শ ও লক্ষ্যের প্রতি অনুগত করার মাধ্যমে। এবং এভাবে তাদের বিরোধীরা যারা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি হুমকি তাদের নির্মূল করে। মুক্ত চিন্তার অধিকারীরা তাদের কাছে নাম করা কোনো সৈন্য বাহিনীর চেয়েও হুমকি হিসাবে বিবেচিত হয়। এই সব হুমকি নির্মূল করে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ফ্রী মেসন্সরা এক সাহসী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে, এমন সাহস তারা আগে কখনো দেখাননি, আর তা হলো মানুষের জীবনের, আপনার জীবনের প্রতিটা দিক নিয়ন্ত্রণ করা । আর সেই নিপুন অস্ত্রটি প্রতিটা গৃহে আপনাকে বিনোদন দিচ্ছে, আপনার অজান্তে আপনাকে, আপনার সন্তানকে ক্রমান্বয়ে তাদের মন্ত্রে দীক্ষিত করছে, অথচ আপনি কিছুই বুঝছেননা। আজকের সমাজে মানুষ অধিক থেকে অধিক হারে আধুনিক মিডিয়া নিয়ে সময় কাটাচ্ছে। টেলিভিশন, সিনেমা, কম্পিউটার গেমস, ইন্টারনেট, জনপ্রিয় কাহিনী/ উপন্যাস, জনপ্রিয় সঙ্গীত সব কিছুই এখন জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটা আপনাকে তথ্যের সাগর উপহার দিচ্ছে, যা আপনি সচেতন ভাবে অথবা অবচেতন ভাবে আপনার অন্তরে ধারণ করছেন। আদর্শ ও মূল্যবোধ থেকে শুরু করে সমাজের সকল তথ্য, ব্যাক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে ন্যায় ও অন্যায় এর পার্থক্য কিভাবে নিরূপিত হবে তা প্রতিনিয়ত আপনার সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আপনি তাদের তথ্যের স্বঠিকতা নিরূপনের বোধ এবং মানসিকতা নিরূপনের শক্তি হারিয়ে মিডিয়ার দাসে পরিণত হচ্ছেন।
এই বিশ্ব এবং এতে যা কিছু আছে সে সম্পর্কে একজন মানুষের একটি চিন্তা ধারা তৈরী করার জন্য প্রচার মাধ্যম একটি তাৎপর্য পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ভাবে, যদি এমন একটি গ্রুপ যারা এ সকল তথ্য প্রবাহের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে প্রচার মাধ্যমে উপস্থাপন করে, তাহলে প্রচার মাধ্যমের সেই সামর্থ্য থাকবে, যাতে করে, বিশ্বের তাবত জনগোষ্ঠীকে বাস্তবিক ভাবে তাদের চিন্তা-চেতনার আলোকে দীক্ষিত করা যাবে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফ্রীমেসন্সরা তাদের কার্য সিদ্ধি করছে। মেসন্সরা বিশেষ ভাবে বিনোদন শিল্পকে পরিপূর্ণ মাত্রায় ব্যাবহার করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তাদের আদর্শের ধ্বজা ধারী বানাচ্ছে। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে তারা যে পদ্ধতি প্রয়োগ করে, তাতে হয়ত পার্থক্য আছে, কিন্তু লক্ষ্য একটাই। আর সে লক্ষ্য হলো তাদের বিশ্বাস, আদর্শ ও উদ্দেশ্য আপনার উপরে এমন ভাবে চাপিয়ে দেয়া যাতে তাদের আপনার নিজের লোক বলে মনে করেন। জনপ্রিয় বিনোদন জগতে তাদের উপস্থিতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, একটি চোখ মেললেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। এ জগতে মেসন্সদের উপস্থিতি নতুন কিছু নয়। উলফ গ্যাং এমেডিয়াস মোজার্ট নিজেই এক জন ফ্রীমেসন্স ছিলেন, যিনি একটি সিম্ফোনী কম্পোজ করে ছিলেন যা ছিলো ফ্রী মেসনরীর উন্মুক্ত প্রদর্শনী। এই সিম্ফোনী আয়সুস এবং সাইরাস নামে এক প্রাচীন মিশরীয় পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে রচিত। প্রাচীন মিশরে পৌত্তলিক দের পুজা-অর্চনা হতো কাবালার ( এক প্রকার কালো যাদু) মাধ্যমে যা ফ্রীমেসন্সদের উপাসনার (শয়তানের পুজা) এক মৌলিক উপাদান। দুটোর উৎসই এক প্রাচীন মিশরের পৌত্তলিকদের উপাসনার পদ্ধতিকে নির্দেশ করে যেখান থেকে এক চোখা সংকেত উদ্ভূত।
বর্তমান সময়ের পপ সঙ্গিতে ফ্রিমেসন্স দের উপস্থিতির আকছার প্রমান পাওয়া যায়। মাইকেল জ্যাকসন যাকে সর্বকালের সেরা এন্টারটেইনার বলা হয়, যার অনেক বেস্ট সেলিং অ্যালবাম রয়েছে, তার বিরুদ্ধেও ফ্রি-মেসন্সদের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে (মুসলমান হওয়ার কারণে ফ্রিমেসন্সরা তাকে হত্যা করেছে এই অভিযোগও এখন উঠেছে) তার ডেনজারাস নামক অ্যালবাম এর কাভারে ফ্রিমেসন্সদের এক চোখের চিহ্ন ছিল। কাভারে টেকো মাথার এক ব্যাক্তির ছবি ছিল যিনি অকাল্টের কাছে খুবই পরিচিত তার নাম এলিস্টেয়ার ক্রাওলি। তিনি নিজে একজন ফ্রিমেসন্স এবং তাকে আধুনিক শয়তানের পুজারীদের জনক বলা হয়। তিনি একটি বই লিখেছেন, বইটির নাম “The New Law of Man” যেখানে বলা হয়েছে এই বইটি এক দিন কুরান শরীফ কে আইনের বই হিসাবে প্রতিস্থাপন করবে। ( এই ব্যাক্তিটি আমেরিকার ভুতপূর্ব প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ এর নানা)
অকাল্ট এবং ফ্রিমেসনরির মধ্যে সম্পর্ক এখানেই শেষ নয়। মেসন্সদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ধাঁধাঁর মত করে আপাত মহান শয়তানি মেসেজ পরিবেশন করে। প্রত্যক্ষ ট্র্যাকের পেছনে প্রচ্ছন্ন ট্র্যাকে তাদের ধারণ কৃত মেসেজ এমন ভাবে স্থাপন করে, যে ঐ ট্র্যাক পেছনের দিকে বাজালে( back tracking) তা স্পষ্ট হয়। যখন এটা সামনের দিকে বাজানো হয়, শ্রোতা এ ব্যাপারে অসচেতন থাকে যে, একটি ভিন্ন মেসেজ তাকে শোনানো হচ্ছে, কিন্তু অবচেতন মন তা গ্রহণ করে এবং বার বার শোনার ফলে তা অন্তরে গেঁথে যায় যার প্রভাব ঐ ব্যাক্তির আচার আচরণে পরিলক্ষিত হয়। অনেক ভাবেই এই পেছনের দিকে বাজানো সম্মোহনের পদ্ধতি অথবা মগজ ধোলাই হিসাবে ব্যাবহৃত হয় এবং তা ক্ষতিকারক হওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি সম্পন্ন। এই প্রচ্ছন্ন ট্র্যাকিং এর প্রথম উদাহরণ হলো বিখ্যাত গায়িকা ম্যাডোনা। তার সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যালবামের ‘ Like a prayer’ গানটিতে এ পদ্ধতির ব্যাবহার করা হয়েছে। আপনি যখন সতর্ক ভাবে গানটি শুনবেন, তখন বুঝতে পারবেন এই প্রার্থনা ঈশ্বরের প্রতি নিবেদিত নয়, তা বরং শয়তানের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। যখন পেছনের দিকে বাজানো হয়, তখন "Oh hear us Satan" পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়। এই অ্যালবামে ফ্রিসন্সদের এক চোখা প্রতীক দেখানো হয়েছে, যা ম্যাডোনার কপাল থেকে বের হয়ে আসছে। অন্য একটি ভিডিওতে ম্যাডোনা ফ্রিমেসন্সদের পিরামিড ও এক চোখা প্রতীক সম্বলিত পোশাক পরিধাণ করেছে। অন্য আর একটি ভিডিওতে গান গায়বার সময়, কোনো একটি বস্তুর উপর দাঁড়িয়ে আছে, নিবিড় পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সে একটি কাগজের উপর দাঁড়িয়ে আছে, যার উপর আরবি লিখা, যা পবিত্র কুরানের ভাষা।
প্রচ্ছন্ন ট্র্যাকের আর একটি উদাহরণ হলো ঈগল নামের একটি ব্যান্ড গ্রুপের বিখ্যাত গানে, গানটির নাম হলো "Hotel California" গানটি যখন পেছনের দিকে বাজানো হয়, তখন ‘ইয়া শয়তান’ শব্দটি শোনা যায়। তাছাড়া এই গান নিজেই একটি মেসেজের বাহক। এখানে যে ক্যালিফোর্নিয়ার কথা বলা হয়েছে, এটা একটি রাস্তার নাম। এটা সেই রাস্তা যেখানে একটি চার্চের সদর দপ্তর অবস্থিত, এটা সে ধরণের চার্চ নয়, যা মানুষ সাধারণত চিন্তা করতে পারে, এটা হল শয়তানের চার্চ। এই চার্চ ‘এন্থোনী সান ডেলিভী’ নামক এক ব্যাক্তির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ভয়েছিল যিনি ‘ দ্যা স্যাটানিক বাইবেল’ এর রচয়িতা। এটা বোঝা যায় যে, এই চার্চ বিনোদন জগতের অনেক খ্যাতনামা ব্যাক্তিত্বের বিশ্বাসের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রক গ্রুপ থেকে মূল ধারা সর্বত্রই তারা তাদের এই বিশ্বাসের ফেরি করে বেড়াচ্ছে। মিক জ্যাগার যিনি ‘রোলিং স্টোনের’ প্রধান গায়ক, যাকে এই চার্চের এক জন সদস্য বলে মনে করা হয়, তিনি একটি গান লিখেছেন যার নাম "Sympathy for the Devil" এটা বোঝা যায়, যা একদিন খ্রীস্টানদের সংগঠন হিসাবে শুরু করেছিল, যা পরবর্তিতে খ্রিস্টানদের নিকট ধর্মদ্রোহী হিসাবে পরিচয় লাভ করে, তার ভেতর আজ শয়তানী উপাদান মিশ্রিত হয়েছে। পুরো বিনোদন জগত আজ ফ্রিমেসন্সদের উপস্থিতির ঘোষণা করছে, তারা প্রকাশ্য অথবা ছদ্মবেশে তাদের বিশ্বাস এবং আদর্শ প্রচার করছে।
.
বড় পর্দা থেকে ছোট পর্দার চলচ্চিত্র শিল্পেও এদের উপস্থিতি বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। বৃহৎ বাজেটের ছবি থেকে শুরু করে স্বল্প বাজেটের কার্টুন ছবি যেখানেই হোক না কেন, ফ্রিমেসন্সরা তাদের বিশ্ব সরকারের আদর্শ প্রচারে কোনো কিছুই বাদ রাখেনি। ম্যাট গ্রাউনিং যিনি ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি কার্টুন সিরিজ "The Simpsons" এর নির্মাতা একজন স্বঘোষিত খ্রিস্টবিরোধী ( Anti Christ) । ম্যাট গ্রাউনিং ঘোষণা করেন যে, তিনি তার কর্মের মাধ্যমে তার বিশ্বাস ও রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার করতে চান, কিন্তু কাজটি তিনি এমন ভাবে করতে চান যেন সবাই তা সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারে আর তাই তিনি তার জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ "The Simpsons" কে বেছে নিয়েছেন। "The Simpsons" আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের কি শিক্ষা দিচ্ছে? অনেক ধরনের শিক্ষা আমাদের মধ্যে প্রোগ্রাম করছে, তার মধ্যে আছে, পিতৃ কর্তৃত্ব বা সরকারী কর্তৃত্বকে অস্বীকার করা, নিষ্ঠুর, আনুগত্যহীনতা এবং বাজে আচরণের মাধ্যমে মানুষের মাঝে মর্যাদা হাসিল করা, অজ্ঞতা হলো শীতল প্রবণতা আর শিক্ষা হলো ফ্যাশনের সাথে যায়না। যাইহোক, বিশেষ করে একটি পর্বে মেসন্সদের প্রচ্ছন্ন শিক্ষা দুশ্চিন্তার কারণ। এই পর্বে পরিবারের প্রধাণ ‘ হোমার সিম্পসন’ প্রস্তর খোদকদের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের সাথে যোগ দেয়, এখানে তার অন্যান্য সহ কর্মীরা তার শরীরে একটা বিশেষ চিহ্নের কারণে তাকে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী মনে করে এবং তাকে সে ভাবে স্মমানের স্থানে ভূষিত করে। এদিকে ‘হোমার সিম্পসন’ এই হঠাৎ প্রাপ্ত সম্মানের কারণে নিজেকে ঈশ্বর ভাবতে শুরু করে। অনেকে হয়ত একে ছোটদের মজার কার্টুন বিধায় আমাদের উদ্বেগকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু এর যে প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া মানব মনে থেকে যায় তা উপেক্ষা করার মত নয়, হয়ত অজান্তে কখনো মানুষ এ রকম আচরণ করা শুরু করতে পারে। যেখানে নির্মাতা নিজেই স্বীকার করেছেন, বিনোদণের আবরনে উনি তার রাজনৈতিক বিশ্বাস প্রচার করেন। গৃহ অভ্যন্তরস্থ টেলিভিশনের মাধ্যমে যেভাবে চিন্তা-চেতনা বৃহৎ জনগোষ্ঠির কাছে প্রচার করা যায়, মুভি বা সিনেমাতে সেভাবে সম্ভব হয়না। এখানে একটি কথা না বললেই নয়, আমাদের উপমহাদেশও এই বিষ বাষ্প থেকে মুক্ত নয়। ভারতীয় টিভি সিরিয়াল গুলো এবং বলিউডের ছবি গুলো তার প্রমান। হালের জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বস ফ্রিমেসন্সদের এক চোখা চিহ্ন বহণ করছে। সাইফ আলী খানের প্রোডাকশন হাউজের নাম ‘ Illuminati film’ Illuminati হলো ফ্রিমেসন্সদের অপর নাম। ভারতীয় বাংলা ও হিন্দি সিরিয়াল গুলো দর্শকদের মানস জগতে কি প্রভাব বিস্তার করছে তা বোধ করি বলার অপেক্ষা রাখেনা। হিন্দি সিনেমার কু-প্রভাবের কথা সকলেই জানে। ভারত আজ ধর্ষকদের তীর্থস্থান। আজ এ সব মিডিয়ার মাধ্যমে একটি ধারণা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, ‘Independence day’ সিনেমার মাধ্যমে তা বোঝা যায়, আর তা হলো একজন বিশ্বনেতার ধারণা। (THE CONCEPT OF ONE GLOBAL LEADER.)
বিশ্ব কিভাবে বুদ্ধি বৃত্তিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়- ৪র্থ পর্ব ( সাহিত্য ও চলচ্চিত্র)
বিঃদ্রঃ লেখাটি আগে ভিন্ন নামে প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু সিরিজটি সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। নতুন অনেক পাঠকের জন্য তাই পুনঃপ্রকাশ করা হলো।
RELATED READINGS:
কামাল আতাতুর্ক কে ছিলেন- ইহুদী? ফ্রী-মেসন? - শেকড়ের সন্ধানে (পর্ব-৩)
বিষয়: বিবিধ
১৯৬৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লেখাতো মনোযোগ দিয়েই পড়লাম কিন্তু কি মন্তব্য করব বুঝতাছিনা
হতভম্ব
আর ব্যস্ততার জন্য সকল ব্লগ পড়া হয়ে উঠেনা, কিছু মনে করবেননা। দয়া করে আমাকে পড়ার আমন্ত্রণ পাঠালে আমি সময় করে পড়ে নিতে পারব ইন শা আল্লাহ।
খৃস্টান মিশনারীদের একটি বিষয় খেয়াল করে দেখবেন। এদের টার্গেট দারিদ্র্যপীড়িত, অজ্ঞ, আদিবাসী লোকজন যাদেরকে আদর্শ দিয়ে নয় অজ্ঞাতার সুযোগে ভুল বুঝিয়ে এবং প্রলুব্ধ করে ধর্মান্তরিত করা যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন