হিদায়া কিতাব খানা কি কুরআনের মতোই!?!?!
লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ১৩ মার্চ, ২০১৬, ১১:২৪:৪৩ সকাল
হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ।
এর লেখক শত শত বছর পর ৫৯৩ হিজরীতে এসে "মার গানের অধিবাসী"বুরহানউদ্দীন মারগানী" হিদায়া নামক কিতাব রচনা করে ঘোষণা দিলেন:
"নিশ্চয় হিদায়া কিতাব খানা কুরআনের মতো"নিশ্চয় এটা তার পূর্ববর্তী রচিত সকল গন্থরাজীকে রহিত করে ফেলেছে"(নাউযুবিল্লাহ)(হিদায়া মুকাদ্দামা আখেরাইন-৩য় খন্ড)
"হানাফিদের কাছে কুরআনের মত"(হিদায়া ৩য় খন্ড ২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আরবি। মাদ্রাসা পাঠ্য হিদায়াঃ ফাজিল পাঠ্য ভূমিকা পৃঃ ৬ আরাফাত পাবলিকেশন্স)
এই মতবাদের খন্ডন।
আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিনকে উদ্দেশ্য করে নিচের আয়াতে চ্যালেঞ্জ করেছে=
"আপনি বলে দিন,যুদি মানুষ এবং জ্বিন সকলে এ উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় যে এ কুরআনের মতো (কুরআন) রচনা করে আনবে তথাপিও কুরআনের অনুরূপ আনয়ন করতে পারবে না,যুদিও তারা একে অন্যের সাহায্যকারী হয়"(সূরা বানী ইসরাঈল/ইসরা ১৭নং আয়াত ৮৮![]()
সূরা হূদ ১১ আয়াত ১৩; সূরা বাকারাহ ২ আয়াত ২৩-২৪;
আলোচক মুফতি মীর মোয়াজ্জম হোসাইন সাইফী
#হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ
#হিদাইয়াহ গ্রন্থ কি আল- কোরআনের সমান?
http://www.jomarkhotba.com/2014/03/blog-post_26.html?m=1
কওমীদের জন্য ।
আবূ হানিফার (রঃ) জন্ম - ৮০ হিজরীতে ।
আল হিদায়া গ্রন্থ পরিচয় : এ গ্রন্থখানি মুখতাসারুল কুদূরীর ব্যাখ্যা ।লেখক হলেন আলী বিন আবী বকর । ব্যাখ্যা গ্রন্থকানি লেখা হয় ৫৯৩ হিজরীতে ।
মুখতাসারুল কুদূরীর (৫৯৩-৪২৮)=১৬৫ বছর পর ।মুখতাসারুল কুদূরীর লেখকের সাথে হিদায়ার লেখকের কোন দিন সাক্ষাত হয় নাই ।তিনি কোন দলিলের ভিত্তিতে কোন মাসআলাহ বলেছেন তা কোন প্রকারে তার নিকট হতে জানতে পারেন নাই ।তবুও মুখতাসারুল কুদূরীর বিরট ব্যাখ্যা তানি লিখেছেন ।
এই ব্যাখ্যার মূল্যায়ন হানাফীদের নিকট কুরআনের ন্যায় । হিদায়া ৩য় খন্ড,২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আরবী ।মাদ্রাসার পাঠ্য হিদায়াঃ ফাজেল ক্লাসের পাঠ্য, ভূমিকা পৃঃ ৬, আরাফাত পাবলিকেশন্স ।গ্রন্থখানি কওমী মাদ্রাসা ও উঁচু শ্রেণীতে পড়ানো হয় ।
গ্রন্থকার পরিচিতি : হিদায়ার লেখক কোন হাদীসবিশারদ ছিলেন না ।ফলে তিনি জাল ,যঈফ সকল শ্রেণীর হাদিশ নির্বিচারে দলিল হিসাবে পেশ করেছেন ।
তিনি ৫১১ হিজরিতে তুর্কি আঞ্চলের কারাগার নামক প্রদেশের মুরগিনান নামক শহরে জন্মগ্রহন করেন।
তিনি সমরকন্দ (তুর্কিঅঞ্চলের)নামক শহরে ৫৯৩ হিজরিতে মৃত্যুবরন করেন ।
ঐ শহরে মুসলিমদের ,খৃষ্টানদের ,ইহুদীদের কবরস্থানের নাম ছিল আলাদা আলাদা । ঐ আঞ্চলের মুসলিমরা কেবল মাত্র কোরআন ও হাদিশ মানে চলতেন ,কোন মাঝাব কেও মানত না । কবর স্থানের নাম গুলি হল ,
মুসলিম _ মুহাম্মাদী
খৃষ্টান _ঈসায়ী
ইহুদী _ইহুদী
হিদায়ার লেখক মারা যাবার পর মুহাম্মাদী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে দাফন করতে বাঁধা দেওয়া হয় ।তখন লেখকের ভক্তগন অন্যত্র দাফন করেন ।
হিদায়া -ইমাম আবু হানিফার মৃত্যুর (৫৯৩-১৫০)=৪৪৩ বত্সর পর (মৃত্যুর বছরকে লেখার বত্সর ধরা হয়েছে) লেখা হয়েছে ।
হিদায়ার লিখক ইমাম আবু হানিফার মূত্যুর (৫১১-১৫০)=৩৬১ বছর পর জন্ম নিয়ে কিভাবে ইমাম আবু হানিফার মতামত অবগত হলেন তার কোন সূত্রই বলেন নাই হিদায়াতে ।
অতএব সূত্রবিহীন কারো কোন কথা মান্য করা ইসলামে জায়েয নাই ।(সহিহ মুসলিম ১ম খন্ড) ।
[উপরোক্ত বিষয় লিখার মদ্ধ্য ভূল থাকলে আমাকে জানাবেন ।]
(ফেসবুক হতে কপিপেষ্ট)
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন