আহাম্মক সরকারের, আহাম্মক পুলিশ বাহিনী!
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ০২ জুলাই, ২০১৫, ১১:৫৬:১৫ সকাল
রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনের একটি ঘটনা।
সেই দিন মিঠাপুকুর উপজেলার নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়্যারম্যান এবং ভাইস চেয়্যারম্যানের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান।আমরা আগে থেকেই জানতাম,শপথ নিতে গেলে চেয়্যারম্যান রব্বানী স্যার এবং ভাইস চেয়্যারম্যান মারজান চাচ্চুকে গ্রেফতার করা হবে। আর সেই কারনে,চাচ্চুকে বিদায় দিতে আব্বাও চাচ্চুর সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান।
তখন পুলিশের এক এসআই আব্বাকে বললেন, চাচা আপনাকে দেখে তো বেশ ভদ্র আর সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ মনে হয়।তাহলে আপনি জামায়াত করেন কেন?
আব্বা মুচকি হেসে বললেন,ভদ্র মানুষরাই তো জামায়াত শিবির করে।আপনি কোনদিন অভদ্র নেশাখোরদের জামায়াত শিবির করতে দেখেছেন? উনি জবাবে বললেন,তা অবশ্য ঠিক।ভদ্র আর ভার্সিটিগুলোর সেরা সেরা ছাত্ররাই জামায়াত শিবির করে। কিন্তু এতো ধরপাকড় এর পরও আপনারা কেন জামায়াত করেন,তার উত্তর আমার মাথায় কোন ভাবেই আসে না(!)
আব্বা বললেন,আচ্ছা আপনাকে আমি একটু বুঝানোর চেষ্ঠা করি!দেখি বুঝাতে পারি কি না?
ধরেন, গ্রামের একটা ছেলে ঐ গ্রামের আর একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে।ছেলেটার বাবা,তা কোন ভাবেই সহ্য করতে পারে না।এদিকে ছেলেটির আর একটি অভ্যাস ছিল!সে তার বাবার সুপারি বাগান থেকে সুপারি চুরি করতো। ছেলের এমন কাজে বাবা বিরক্ত হয়ে বললেন, তুই যদি আর একদিন সুপারি চুরি করিস তাহলে ঐ মেয়েটার সাথেই তোর বিয়ে দিব!
আব্বা পুলিশের এসআইকে বললেন, এখন তাহলে ছেলেটা কি করবে?
পুলিশের লোকটা বলল, ছেলের বাবাটা তো খুব আহাম্মক।ছেলেটাতো এখন বেশি করে চুরি করবে!
আব্বা তখন বললেন! আমরা জামায়াতে যোগ দেবার সময় শপথ করেছি, ইকামতে দ্বীনের পথে আমাদের সর্বোচ্চ কামনা শাহাদাত।শাহাদাতের কামনায় আমরা সব সময় আল্লাহপাকের কাছে ফরিয়াদ করি।
এখন আপনারা বলছেন, তোমরা যদি এই পথে চলো তবে তোমাদেরকে গুলি করে শহীদ করা হবে। এখন আপনাদের অবস্থা, গল্পের ঐ বেকুব, আহাম্মক বাবার মতো নয় কি? আমরা যে শাহাদাতের উদ্দেশ্য ইসলামী আন্দোলন করি, আপনারা সেই শাহাদাতের ভয় আমাদের দেখাচ্ছেন।কিন্তু ফলাফল ঐ ছেলেটার মতোই।আমরা আরো নতুন উদ্যমে,তিব্র আকাঙ্খা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন করতেছি।
আজকে সরকারের অবস্থা ঐ, আহাম্মক পিতার মতো।যে ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের জীবনের একমাত্র ব্রত শাহাদাত।সেই নেতাদেরকে ফাঁসির রায় শুনিয়ে, শাহাদাতের ভয়ে তটস্থ করবার চেষ্ঠা করা, পাগলামো ছাড়া আর কিছুই না।
ব্যক্তি কাদের মোল্লা শাহাদাত বরন করছে,কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের আদর্শের মৃত্যুবরন হয়নি। এক ব্যক্তি কামারুজ্জামান কে শহীদ করে,তাঁর কন্ঠরোধ করা হয়েছে।কিন্তু বাংলার জমিনে ছড়িয়ে থাকা ইসলামী আন্দোলনের কোটি কর্মীর মাঝে কামারুজ্জামান ভাই বেঁচে আছেন।
মনে রেখো,ফাঁসি দিয়ে তোমরা হয়তো ব্যক্তি আলী আহসান মজাহিদ ভাইকে হত্যা করতে পারবে। কিন্তু তিনি যে আদর্শের আন্দোলন করেছেন,তাকে নির্মূল করতে পারবে না।
এ দেশে একদিন শুধুমাত্র ইসলামের-ই বিজয়ধব্বনী শোনা যাবে ইনশা-আল্লাহু তায়ালা।
বিষয়: বিবিধ
১২০৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন