সেকালের শিক্ষা,একালে গবেষনা.....।
লিখেছেন লিখেছেন আশা নিয়ে বেঁচে আছি ২৪ মে, ২০১৫, ১২:২৫:২৫ রাত
এইতো সেদিনের কথা,স্কুলের গন্ডি ছেড়ে বেরিয়ে আসার। বড় মনে পড়ে আমার শ্রদ্ধাভাজন স্যারদের কথা। পিতৃতুল্য স্যাররা যখন কান ধরে উঠবস করাতো,কিংবা বেত দিয়ে দুচারটা বসিয়ে দিত তখন সাহস হয়নি মুখ পানে তাকানোর। স্যারদের মুখে প্রায় শুনতাম "কত গাধা পিঠিয়ে মানুষ করেছি"।আমার এক বন্ধু দুষ্টুমিতে পাকা ছিল। সে একদিন এক স্যারকে প্রশ্ন করলো,স্যার গাধাকে পিঠালে কি মানুষ হয়? উত্তরে স্যার বলেছিল, মানুষ যদি না হয় তবে তোদের মত গাধার বাচ্চা গুলোকে স্কুলে পাঠায় কেন? স্যারের কথায় আমরা কেউ অবাক হইনি। আজও শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করি স্যারদের। মানুষ হিসেবে খুব বড় হতে না পারলেও অমানুষ যে তৈরি করেননি আমার স্যারেরা তা আত্মউপলদ্ধি থেকে বুঝতে পারি। আমার শিক্ষাগুরুগন অনেকেই বেঁচে আছেন কিন্তু ওনাদের পাঠদান কলাকৌশল আজ সেকালে।
শিক্ষকতা পেশায় সবে মাএ আমার হাতে খড়ি। অনেকেই বলে ১৩ বছর যাবৎ শিক্ষকতা করছ।আমি তাদের কোন উত্তর দেইনা। বলতে কষ্ট হয়,মেনে নিতেও লজ্জা হয়।পরিক্ষাগারে ইঁদুর আর গিনিপিগের শরিরে যেভাবে একটার পর একটা পরিক্ষন চালানো হয়,আমাদের শিক্ষাব্যবস্হায় তাঁর থেকে কোন অংশে কম চালানো হচ্ছেনা। চলবে.....
বিষয়: বিবিধ
৮০২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু এরকম কিছু যখন আমাদের আমলে ছিল তখন এর নেগেটিভ প্রভাবের চেয়ে পজেটিভ প্রভাবই বেশী ছিল । দেখা যেত, পড়া না পারলে মাইর খেতে হবে - এই ভয়ে পোলাপান পড়াশুনা করতো । এবং পড়াশুনার চাপে জন্য অন্যসব বাজে কাজে মন দেওয়ার সময়ই পেত না
মন্তব্য করতে লগইন করুন