গ্রাম বাংলার আলোবাতাসে পূর্ণ ৬ মাস- ও আমার অনুভুতি।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী২০১৫ ২৯ মার্চ, ২০১৫, ০৬:০৪:০২ সন্ধ্যা
সেই ১৯৮৩ সালের পর থেকে তারুন্নের চেনা সৃতি ভুলে গিয়ে পার করেছি দীর্ঘ ৩২ বছর। হঠাত করে একান্ত পারিবারিক কারনে গত বছর ছুটে গেলাম একটা দীর্ঘ সময় হাতে নিয়ে। মউছুম টাও ছিল একেবারে শীতের শুরু থেকে ফাগুনের বিদায় বেলা। একসময় যাদেরকে ফেলে এলাম তারইন্নে লালিত খেলার মাঠে, আজ তাদের সকলের চেহারায় বারধক্কের চাপ আর পাকা-পাকা দাড়ি আর গোঁফ। নিজেকেও আর বুঝতে বাকী রইলনা। যাক, প্রায় প্রতিদিন-ই কারো বিবাহ অনুষ্ঠান কারো বা ছেলের আকীকা, অথবা অন্যকিছু। ডাইট কন্ট্রলের ইচ্ছা থাকলেও সহপাটি বা আত্মীয়ে দের চাপে অনেক অনুষ্ঠান-ই বয়কট করতে পারিনি। সব-চাইতে হতবাকের ব্যাপার ছিল আতিথেয়তার নানান রকমারী আয়োজন। ভেবে পাচ্ছিলামনা যেই দেশে ৭ কোটি জনগনের খাদ্য সামাল দিতে না পেরে ১৯৭৪-১৯৭৫ সালে দুইলক্ষ মানুস না খেয়ে মারা যায়। আজ ৪০ বছর পর ১৭ কোটি মানুস যে ভাবে খাদ্য বিলাসের প্রতিযোগী। এক একটি অনুষ্ঠানে পোলাও বিরানী, গরুর গোস, খাসীর গোস, কবুতরের গোস, হাঁসের গোস, পাখীর গোস, রুই মাছ, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, বাটা মাছ, কই মাছ, রকমারী সব্জী, রকমারী ভর্তা, দদি, পিরনী, সাথে পরিবেশন করা হয় নানান কোম্পানির জুইছ। শেসে পান বিড়ি সিগারেট তো আছেই। আর এই জন্য বিশাল ক্লাব বা কমিনিটি সেন্টার, নামী দামী ডেকরেশান কোম্পানির সার্ভিস। কেউ কি ভেবেছে এমন হবে আজকের এই সময় বা এই যুগে?
ভাবনার বিশয় এখানেই, যেই আল্লাহ মানুস সৃষ্টি করেছেন, আর তিনি-ই তাদের রিজিকের সমাধান রেখেছেন। সেই রিজিক দাতাকে আমরা কয়জন-ই বা স্মরণ রাখি বা তার কৃতজ্ঞতা সীকার করি? কিন্তু আমরা আল্লাহ নির্ভর না হয়ে তার উল্টপথে হাটি বলেই যত বিপর্যয়।
তাই আসুন, নিজেকে ও নিজের মহান প্রভুকে জানার চেস্টা করি, আর সেটাই আমাদের কল্যাণের আসল পথ।
বিষয়: বিবিধ
৯০৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন