আপনি পঁচে গেছেন জাফর স্যার, নড়াচড়া করে আর দুর্গন্ধ ছড়াবেননা প্লীজ...!

লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:৩৬:১৮ বিকাল



“মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়, কারনে অকারনে বদলায়”

মুনির চৌধুরীর এই অসাধারন এবং বিখ্যাত উক্তিটিকে মিথ্যা প্রমান করলেন আমাদের জাফর ইকবাল স্যার!!

তিনি প্রমান করলেন, শুধু মরার পরই মানুষ পঁচে না, বেঁচে থেকেও পঁচা যায়!! যার জ্বলন্ত সাক্ষী তিনি নিজে!!

মুক্তিযুদ্ধের ফিল্টারের নামে ব্যাক্তিত্ব আর নীতি নৈতিকতাকে বিষর্জন দিয়ে অনির্বাচিত, গনবিরোধী এবং অবৈধ একটি সরকার ও তার অঙ্গ সংগঠন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যান্সার ছাত্রলীগের একের পর এক অপকর্মের সমর্থন দিয়ে তিনি আজ এতটাই পঁচে গেছেন যে, ওনার সামান্য নড়াচড়াতেই আজ দুর্গন্ধ বেরোয়!!

নিজের চোখের সামনে পিতৃতুল্য শিক্ষকদের ওপর হাত তোলা আর নিজের স্ত্রীকে হেস্তনেস্ত করার পরও তিনি ছাত্রলীগের কোনো দোষই খুঁজে পাচ্ছেন না!! তার বিশ্বাসই হচ্ছেনা ছাত্রলীগ এমনটা করতে পারে!! ওরা নাকি বাচ্চা ছেলে!! ওদের শাস্থি দেয়াতে তিনি কষ্ট পেয়েছেন!!

তার এই কষ্ট পাওয়া দেখে আমরা আম পাবলিক আর কি বলবো, ওনার শিষ্য এবং সমচেতনার ধারক ও বাহক আরিফ জেবতিকও বিষ্মিত হয়ে ফেসবুকে স্যারকে স্যাটায়ার করে লিখেছেন-

“অনন্ত বিজয় খুনের দায় স্বীকার করেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া এক ছাত্র মান্নান রাহী। এর স্বাক্ষীতে আরো খুনিদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এর এখন খুনের দায়ে বিচার হবে।

“এই বাচ্চা ছেলেগুলোকে মিসগাইডেড করে পাঠিয়ে দিয়েছে, এখন তারাই বিপদে পড়েছে। ওরা কী দোষ করেছে? কাজেই, এখন আমার খুবই খারাপ লাগছে। এই ছেলেদের শাস্তি দেওয়াটা এক ধরনের অন্যায়। যে তাদের পাঠিয়েছে, তাদেরকে শাস্তি দেন।”

অনন্ত বিজয়ের উপর কে হামলা করেছে? জঙ্গী ছেলেরা? না। এরা তো ছাত্র। এত কমবয়সী ছেলে, এরা কী বোঝে? ওদেরকে আপনি যা বোঝাবেন, সেটাই করবে। কাজেই আমি যখন দেখলাম যে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে, এখন আমার লিটারালি ওদের জন্য মায়া লাগছে।”


স্যারের অন্ধভক্তদের সামনেও এখন স্যারের নগ্ন রুপটা প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। প্রকাশ করছেন তারই শুভাকাঙ্খীগন!!

সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান তার ফেসবুক স্টেটাসে লিখেছেন(যেটি তিনি পরবর্তিতে সরিয়ে ফেলেছেন):

“ড. জাফর ইকবাল ও তার মিসেস ড. ইয়াসমিন হক সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টা শেষ করে দিচ্ছেন। ড. ইয়াসমীন হককে সমিহ না করার জন্য ভিসি বিরোধী আন্দোলন। ছাত্রলীগের হামলা যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি জাফর ইকবাল ও উনার বউয়ের কর্তৃত্ব প্রতিষ্টার আন্দোলন ও গ্রহণযোগ্য নয়। যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি চাই।

অনেক আগে সিলেটে যুগান্তরের এক অনুষ্ঠানে দাওয়াত করতে গেলাম জাফর ইকবালকে। ওরে বাবা কি সিলেট বিদ্ধেষী কথা, ও চেহারা! কোন অনুষ্ঠানেই যাবেন না। কি বই মেলা, কি ভার্সিটি সবখানে বউয়ের প্রভাব ড. জাফর ইকবালের ওপর। আল্লাহ এ ভার্সিটিকে এই দম্পতির হাত থেকে রক্ষা করো ”



পুরো স্টেটাস পড়লে বুঝা যায় আমাদের প্রিয় স্যার আসলে কতটা হিংসুটে আর ডেঞ্জারাস!!

এবার ওনার এক সাবেক ছাত্রের মুখেই শুনুন ওনার আংশিক কু-কীর্তি:

“২০০৬ সালে তৎকালীন শবিপ্রবি ভিসি মুসলেহ উদ্দিন তারেক স্যারের বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ,বাম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা একযোগে ভয়ংকর হামলা চালায়। দোতালা বাসার নীচতালার সকল আসবাবপত্র এবং দুটি সরকারী গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়, দোতলার সকল কিছু ভাঙচুর করা হয়, প্রানে মারার চেষ্টা করা হয় তারেক স্যার কে। কিন্তু আক্রমণ টের পেয়ে বৃদ্ধ মা, অসুস্থ সন্তান আর স্ত্রী সহ স্যার কোনমতে ছাদে আশ্রয় নেন। সৌভাগ্যক্রেমে ছাদের দরজায় মজবুত লোহার গেট থাকায় তারেক স্যারের কাছে আক্রমণকারীরা যেতে পারেনি।

দূর্ভাগ্যজনক হলো, জাফর ইকাবাল স্যার সহ গত ৩০আগস্ট ছাত্রলীগের হাতে মার খাওয়া এই স্যাররাই কিন্তু সেদিন ঐসব ছাত্রদের লেলিয়ে দিয়েছিলো । বিশেষ করে জাফর ইকাবাল স্যার গোল চত্বরে দাঁড়িয়ে সেই আক্রমণকারীদের উত্তেজিত করার জন্য বক্তৃতা দিয়ে ক্যাম্পাসেই উনার বাসায় চলে যান। এবং যাবার সাথে সাথেই আক্রমণ হয়। ওই ঘটনার সাক্ষ্যি এখনো চাইলে হাজার মানুষকে পাওয়া যাবে।”


অন্যকে নোংরা হেস্তনেস্ত করতে যে ছাত্রদেরকে তিনি একসময় লেলিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ছাত্ররা আজ তাদের ওপরই হাত তুলছে!! পরের জন্য করা গর্তে আজ স্যার নিজেই পতিত হয়েছেন। এমন ভাবে পতিত হয়েছেন যে এখান থেকে উত্তলন আর কস্ষিনকালেও সম্ভব নয়। কারন তরুন প্রজন্ম আপনার নগ্ন রুপটি পর্যবেক্ষণ করে ফেলেছে। আপনার প্রিয় ছাত্রলীগকে বোকা বানাতে পারলেও বাকি সিংহভাগ তরুণ প্রজন্মকে আর বোকা বানানো সম্ভব নয়।

তাই, আপনার কল্যানেই বলছি, আপনি এবার সাইডে যান প্লীজ...। প্রকাশ্যে এসে আর নড়াচড়া কইরেননা।

কারন আপনার নড়াচড়াতে এখন কেবল দুর্গন্ধই বের হয়!!

বিষয়: বিবিধ

১৫৩৯ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339434
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৮
শেখের পোলা লিখেছেন : ডিজিটাল দেশের ডিজিটাল স্যার, তার চরিত্রেও ডিজিটালের চিহ্ন তো থাকবেই৷ এদের এমনটাই পাওনা হয়েছে৷
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৮
280791
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : সবই আল্লাহর লীলাখেলা
339438
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৩
রক্তলাল লিখেছেন : দুর্গন্ধ। এই মাতাল লোকরে শিক্ষক বলে তোয়াজ করার কারণ কি?
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৬
280789
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : ধন্যবাদ। ভুল শুধরে দেয়ার জন্য। ভদ্র ভাষায় তোয়াজ করলাম আরকি ভাই।
339447
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : উনার যা চরিত্র তাতে সারা জিবন দুর্গন্ধই ছড়িয়ে যাবেন!!
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৭
280790
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : এজন্যই প্রকাশ্যে আসতে বারন করলাম ভাই।
339485
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৫৭
হতভাগা লিখেছেন : এই লোককে দিয়ে কখনও দেশের জন্য ভাল কাজ হবে না । বয়স থাকা সত্ত্বেও উনি যুদ্ধে যান নি , অথচ তিনিই নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বলে চালিয়ে যাচ্ছেন !

পর পর দুইদিন স্ববিরোধি কথা বলার পর আশা করি এখন থেকে জাফর স্যারের অন্ধভক্তরা তার আসল চেহারা দেখা শুরু করবে । এরপরেও যদি ভক্তরা অন্ধ থাকে তাহলে এটা প্রমাণ হয়ে যাবে যে এদের ন্যাচারও জাফর স্যারের মতই।

সামুতে জাফর স্যারের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ হতাশা দেখা যাচ্ছে ।

http://www.somewhereinblog.net/blog/gameChanger/30067389

এতদিন সামু ও জাফর স্যারেরা মজা নিয়েছে মিথ্যার বেসাতি করে চেতনার ধারক হয়ে । একচোখা আচরণ করে গেছে ।

এখন উনারা নিজেদের জালে আটকা পড়ে গেছে । উনারা এটা বুঝে নাই যে , পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৫৯
280877
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : কথা সেটাই ভাই....
পাপ বাপকেও ছাড়ে না
হয়তো কিছু সময় নেয়।
ভদ্রতার মুখোশ পড়া জাফর সাবকে ফ্রন্ট থেকে ছুঁড়ে ফেলার এখনই সময়।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:১৪
280880
হতভাগা লিখেছেন : এ ধরনের স্ববিরোধী কথা বলার লোক এরশাদ ৭১ এ যুদ্ধে নামেন নি বাংলাদেশের পক্ষে । আর এধরনের স্ববিরোধী কথা বলা আরেকজন জাফর স্যার হয়ে আছেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফিল্টার !

আশা করি নতুন প্রজন্মের পোলাপানেরা এখন উনার চেতনা মার্কা কথা বলার সময় বলবে - স্যার, থামলে ভাল লাগে ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
280888
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : এজন্যই শিরোনামে নড়াচড়া করতে বারন করলাম। কারন এখন তার নড়াচড়ার দুই আনা দামও নাই।
339506
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:৫৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : জাপর একটি বলদ যুগে যুগে প্রমাণিত! ওনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কলংকিত করেছে বার বার! যুদ্ধে না গিয়ে চেতনা ধরে বসে থাকে নিজের গায়ে চেতনার আঘাত পেয়ে লুকাতে না পেরে ভিজিয়েছে নিজেকে। ফাঁসিরও নাকি চিন্তা করেছিলেন!!! লজ্জা.....।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:০০
280878
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : এবার ওনাদের শিষ্যদের কাছেও প্রমান হলো।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:১৮
280881
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ওরা প্রমান মুছে দেবে!!! Crying
339519
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:৫৫
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : স্যারকে এত পেছানো হচ্ছে যে গন্ধ বের হচ্ছে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:০০
280879
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : এবার কবরস্ত হবে।
339542
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
পাকিস্তানি চাচা লিখেছেন : ষাঁড় কোন দিন ভালো ছিল? সারা জীবন ষাঁড় থেকে দুর্গন্ধ ছাড়া ভালো কিছুই পাওয়া যায় নাই।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
280886
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : ওনার ভক্তরা তো এটা মানতে নারাজ।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
281037
পাকিস্তানি চাচা লিখেছেন : ষাঁড়ের ভক্তরাও ষাঁড়ের মত তাই এই সব কিছু মানতে নারাজ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File