সৌদিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে চরমোনাই পীরের কারা বাস বনাম দেশে ফিরে জামায়াতকে পেঁচিয়ে মিথ্যাচার
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ১২ জুলাই, ২০১৫, ০১:৩৭:৩৪ রাত
মরহুম পীর জনাব ফজলুল করীমের দ্বীতিয় ঘরের দ্বীতিয় ছেলে ফায়জুল করীম । বর্তমান পীরের ইমিডিয়েটলি ছোট ভাই । ভাল বক্তা । লেখা পড়া কওমী । আমি তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি । তার সাথে কম বেশি ওঠা বসার সুযোগ হয়েছে ।
গত ২৯ মে শুক্রবার রিয়াদে স্থানীয় সময় রাত ১২টায় একটা মাহফিল থেকে আটক করা হয় । তাকে আটকের পর প্রথমে দল থেকে মিডিয়া বা সমর্থকদের কাছে বিষয়টি গোপন রাখা হয় । তার কারন ইজ্জতের বিষয় ! যে পীর পৃথিবীর আর এক প্রান্ত থেকে বৃদ্ধর হারিয়ে জাওয়া সন্তানকে এনে দেয় সেই পীর ই যদি জেলে আটক থাকে ! এমন গাল গল্প তারা তাদের মাহফিলে শুনায় মুরিদকে বেহুশ করার জন্য )
তিনি ওমান হয়ে সরাসরি সৌদি প্রবেশ করেছিলেন যা সৌদি আইনে বেআইনি । দ্বিতীয় বিষয় হল সৌদিতে এভাবে প্রগাম করাটাও বেআইনি ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক দল বছরের একটা বিশেষ সময়ে বিভিন্ন দেশে দলীয় ফান্ড ভারী করার জন্য যেয়ে থাকে । সেটা দোষের কিছু না । কিন্তুু তিনি যেভাবে আটক হলেন তা বেশ কিছু প্রশ্ন প্রবাসি অনেক বাংলাদেশীর কাছেই অবাক লেগেছে ।
আটকের বিষয়টি জানাজনি হওয়ার পর গত জুন মাসের প্রথম দিকে মুফতী ফয়জুল করীমের আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম শীর্ষ নিউজকে বলেছিলেন যে, বেশি সংখ্যক লোক নিয়ে সৌদী আরবে সভা-সমাবেশ বা মাহফিল করা নিষেধ। ফয়জুল করীম সাহেবের মাহফিলে লোক বেশি হওয়ায় সেদেশের পুলিশ তাকে আটক করেছে। তাকে মুক্ত করার জন্য আমরা চেষ্টা করতেছি।
কিন্তু, মুফতী ফয়জুল করীম দেশে ফিরে অভিযোগ করলেন, লা মাযহাবী আর জামায়াতের লোকজন গোয়েন্দা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করিয়ে দীর্ঘদিন আটকে রেখেছিল।
মজার বিষয় হল গতকাল তিনি বিমান বন্দরে নেমে অভিযোগ করলেন উপস্থিত ভক্তদের উদ্দ্যেশে "সৌদিতে আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাকে ১১ থেকে ১২ টি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। আহলে হাদীসরা অভিযোগ করেছিল, আমি নাকি জঙ্গি, আমি নাকি দায়েশ’।
কিন্তুু বিমানবন্দর থেকে দলীয় অফিসে এসে আহলে হাদীসের সাথে "জামায়াত" শব্দটা যোগ করলেন কার পরামর্শে সেটা খুব জানতে ইচ্ছা করে । জামায়াত নিয়ে তাদের আ্যালার্জি অনেক পুরোনো ।
শাহবাগে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে আল্লামা শফীর নেতৃত্তে যখন সারা দেশে ইতিসের অন্য তম বিক্ষোভে উত্তাল সারা দেশ তখন তারা হেফাজত কে নানা ভাবে সরকারের পরামর্শে জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামাতে বা হেফাজতের ১৩ দফার মদ্ধে "জামায়াত নিষদ্ধ" শব্দটা যোগ করাতে না পেরে যশোর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত নির্বাচনি শোডাউন দিয়ে ছিল ।
রাজন্দীদের কারামুক্ত হলে সংবর্ধনা দেয় শুনছি কিন্তু অবৈধ অনুপ্রবেশ করে বিদেশের জেলে জেল খেটে সংবর্ধনা ! পাওয়া জায় তাও দেখলাম ।
তাকে মুকত করার জন্য যখন কোন ভাবেই পারছিলেন না তখন বাংলাদেশী সৌদি দুতাবাস বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমদের সুপারিশ নিয়ে আসতে বললেন আমার জানামতে তার মুক্তির সুপারিশ যারা করেছিল তারা এদেশের জামায়তে ইসলাম এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শীর্ষ নেতা ।
একজন পীরের মুখে এমন মিথ্যাচার শত্যিই অবাক করার মত ।
আজ একটা নিউজে দেখলাম জামায়াতের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ফায়জুল করীমকে চ্যালেঞ্জ করেছে তার অভিযোগের সত্যতা প্রমান করার জন্য । তিনি কি সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন ?
আল্লাহ তায়ালা বলেন
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।[49:6]
এ আয়াতের কোন ব্যাখ্যা পীর সাহেব দিবেন কি??
হাদিসে আছে রাসুল সা: বলেছেন "ইন্নাজ জন্না , ফাইন্নাজ জন্না আকজাবুল হাদিস" অর্থ " নিশ্চয়ই ধারণা অতপর ধারণা হল সবচেয়ে বড় মিথ্যা"
তার কাছে যদি এই অভিযোগের কোন প্রমান না থাকে , যদি সে কারো শুনা কথা বা ধারণা করে বলে থাকে তা হলে আল্লাহর রাসুলের হাদিস অনুযায়ী তার কি অবস্থা হবে ?
র" এর অনেক এজেন্ট তাদের মুরিদ হয়ে দলের বিভিন্ন স্থান দখল করে আছে অনেক আগে থেকে এমন কিছু নিউজ ছিল কিন্তুু আজ যখন অফিসে এসে "জামায়াত" শব্দটা যোগ করলেন তখন সেই নিউজের সত্যটা কিছুটা হলেও মিল পেলাম
বিগত বিএনপি আমলে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন করলেও
ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু আ।লীগের বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের মাহফিলে প্রধান মেহমান বানিয়ে পাশের চেয়ারে বসিয়ে এই রাজধানীতে অসংখ মাহফিল করতে দেখলাম সয়ং পীরকে !
বাংলাদেশে বৃহৎ ইসলামী ঐক্যের একমাত্র অন্তরায় হিসেবে অনেক শীর্ষস্থানীয় আলেমরা চরমোনাই পীরতে দায়ী করে থাকেন । কোন জোট করার আগে তাকে সভাপতির পদ দিতে হবে এর কারন দুইটা হিসেবে তারা দাবী করেন এক সবার থেকে হক্ব ! (সার্টিফিকেট ধারী ! বাংলাদেশের বড় আলেম (বর্তমান পীর সহ , তার ভাই ব্রাদারদের আ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড আমি জানি) দুই বাংলাদেশে আ , লীগ বিএনপির পরেই তাদের স্থান !
সাম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিটি নির্বাচনে তাদের তিন মেয়র প্রার্থীর মোট ভোট (ঢাকা উত্তর ১৭হাজার.., ঢাকা দক্ষিণ ১৮ হাজার.... , চট্টগ্রাম ১১ হাজার...) একত্র করলে জামায়াতের একজন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর সমান না হলেও তারা দাবী করে বসলেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি !
এভাবেই তারা দিন দিন অংহকার আর গোড়ামীর চুড়ান্ত পর্যায় এসে দাঁড়ালেন , যার ফল সরুপ এক জন পীর হয়েও দেশে ফিরে আ,লীগকে খুশি করার জন্য তার অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটকের বিষয়টি জালিম সরকার কর্তিক যুলুমের শিকার জামায়াতের উপর চাপিয়ে নিজের পাপকে অন্যের ঘারে উঠিয়ে দিলেন !
আল্লাহ এমন আলেম (! )দের কে বুঝ দেয়ার তোৌফিক দান করুক..........।
বিষয়: বিবিধ
১৯৫২২ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উনাদের এসব হীন কর্মকান্ডে ইসলামী ঐক্য বলতে কিছু রইলো না দেশে।
বছরের পর বছর আওয়ামী রাজনীতি আসতেছে জামায়াত এর অপপ্রচারের রশি ধরে..... জামায়াত এর অপপ্রচার না হলে ওদের রাজনীতি পঙ্গু! !!!
পীরের পীরগিরি ধরে রাখতে জামায়াতকে ব্যবহার করা হয়েছে......
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে খারাপ না ভালোই....!
জামায়াত ইজ গ্রেট।
উনার এত ক্ষমতা খালি নিজেদের মধ্যে মারামারিতে!!
তাকে নাকি ধর্ম মন্ত্রী সম্মাননা দিয়েছেন। তবে আসল কথা হল: তাকে সম্মাননা দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
তাকে লাল দালানে পেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তাকে চোরদের সাথে থাকতে দিয়েছেন।
অত:পর জেল থেকে তাকে বিমান বন্দরে পাঠিয়ে দেশে পাঠানো ব্যবস্থা করেছেন।
যাস্ত মিডিয়ার সামনে ছুমন্তর দিয়ে জেল থেকে নিয়ে আসা ব্যাস
কিন্তু ফেইল মারলো এরা ভন্ড
মন্তব্য করতে লগইন করুন