রামাদানে সংযম-১
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ২৬ মে, ২০১৬, ০৯:৩৭:২২ সকাল
আসসালামু’আলাইকুম
অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকে লেখা পড়ার আমন্ত্রন দেখে ভালো লেগেছে কিন্তু আমি দুঃখিত যে এতো ব্যস্ততা থাকে সময় নিয়ে পড়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। রামাদান আগত। সংযমের মাসকে যেন আমরা নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করতে পারি,হতে পারি মুত্তাকী সে প্রচেষ্টার তাওফিক আল্লাহ আমাদের দান করুন। সংযম সাধনার অনেক দিকের মাঝে আমি একটি দিক তুলে ধরলাম যা আমাদের লক্ষ্য করা প্রয়োজন।
রাসূল(সঃ) বলেছেন—স্বাস্হ্য এবং অবসর এ দুটি নেয়ামতের (ব্যবহারের) ব্যপারে অধিকাংশ মানুষ ধোঁকার মধ্যে রয়েছে।–বুখারী-কিতাবুর রিকাক ৫৯৬৪
রাসূল(সঃ) বলেছেন—তুমি আলাহর নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি , নিরাপত্তা, স্বাস্হ্য ও সুস্থতার জন্য দোয়া করবে।–তিরমিযী
আমাদের পরিবারের নারী ও গৃহপরিচারিকারা এই রামাদানের ইফতার ও সেহরীর প্রস্তুতি নিয়ে যে সময় শ্রম ও মেধা খরচ করে থাকেন নিজের ও পরিবারের সদস্যদের তৃপ্তির জন্য,তা একদিকে প্রশংসনীয় কিন্তু অন্যদিকে সংযমের পরিপন্থি। সারা বছরে এই একটি মাত্র মাস দেয়া হয় প্রশিক্ষনের জন্য,আমরা কি পারি না এই মাসটি পরিকল্পিতভাবে নিজে সহ অন্যদেরকেও সহযোগীতা করতে যেন পরিকল্পিতভাবে তাকওয়া অর্জনের পথে চলে নিজেকে মুত্তাকি মানে উন্নীত করতে?
গত রামাদানে যারা ছিলেন অনেকে এই রামাদানে নেই, আগামীতে আপনি আমি কেউ হয়তো থাকবো না,সময় চলে যাচ্ছে,তাই এই রামাদানকে পূর্ণ ফায়দা লাভে নিজেকে নিয়োজিত করা খুব প্রয়োজন।
অনেক পরিকল্পনার মাঝে একটি পরামর্শ- খাওয়া দাওয়ার বাহারি আয়োজন থেকে নারীকে বিরত রাখুন। আসর থেকে মাগরিব এই সময়ে রান্না ঘরে যাওয়া বন্ধ করে পরিবারের সবাইসহ গৃহপরিচারিকা সহ কুর’আন হাদীস অধ্যয়ন ও দুয়া ইবাদাতে ব্যস্ত থাকার পরিকল্পনা নিন। ৩০ দিনে কিছু দুয়া শিখাসহ সালাত পবিত্রতা ও পারস্পরিক চরিত্রের ত্রুটি সংশোধনমূলক কাজে ব্রতি হোন।
ইফতার ও সেহরি সুন্নাত মুতাবিক করুন। পারিবারিকভাবে মোটিভেশন থাকলে ইফতারের মেন্যু এমন করা যায় যা আসর থেকে রান্না ঘরে যাওয়া লাগে না।
দাওয়াতের পর্ব সারা বছর চলে, এই মাসে সময় বাচানোর জন্য ইফতার ঘরে পৌছে দিন,মূলত ইফতার গরিব মিসকীনকে প্রতিদিন আসরের সময় ঝটিকাভাবে কোন একজায়গায় দিয়ে আসতে পারেন।
আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোকে আমল করার তাওফিক দান করুন।
¨ রাসূল(সঃ) বলেছেন: মানুষ পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোন পাত্র ভর্তি করে না। মেরুদণ্ড সোজা রাখার জন্য কয়েক গ্রাস খাবারই আদম সন্তানের জন্য যথেষ্ট। তার চেয়েও যদি বেশী দরকার হয় তবে পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে। তিরমিযী-আবওয়াবুয যুহদ-২৩২১
¨ জনৈক ব্যক্তি রাসূল(সঃ) এর সামনে ঢেকুর (belching) তুলল। তিনি বলেন: আমাদের থেকে তোমার ঢেকুর বন্ধ কর। কেননা দুনিয়াতে যারা বেশী পরিতৃপ্ত হবে কিয়ামতের দিন তারাই সবচেয়ে বেশী ক্ষুধার্ত থাকবে।
তিরমিযী -২৪২০
¨ রাসূল(সঃ) বলেছেন: মুসলমান একটি উদরপূর্ণ করে খায়। আর কাফের খায় সাতটি উদরপূর্ণ করে।
বুখারী - কিতাবুল আতয়েমা – ৪৯৯৫
https://youtu.be/2VeAfRXsxaQ
বিষয়: বিবিধ
১০০০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ আহবানটি খুবই সুন্দর তাতে কোনই সন্দেহ নেই ।
রোজার সময়ে কর্মদিবসগুলোতে বাড়ির কর্তাদের বাসায় আসতে আসতে ইফতারের সময় হয়ে যায় ।
সে যে চাকরিতে যায় সেটা পরিবারের ভরণপোষনের জন্যই , এটা কি কোনই সওয়াবের কাজ নয় ?
স্ত্রীদেরকে বলা আছে স্বামীর সংসারের হেফাজত করার জন্য । সেটা করা কি একেবারেই হীন কোন কাজ বা না-সওয়াবের কাজ ?
বিকেলের দিকে রান্না করলে সেটা গরম গরম থাকে ইফতারের সময় ।
ইবাদত বন্দেগীর কাজ সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ২/৩ টা পর্যন্ত করা যেতে পারে ।
নারীদেরকে সুযোগ দিলে তারা ওভার স্মার্ট হয়ে যাবে । আপনি ভাল মনে ভারী রান্না না করে ইবাদত করার জন্য সময় দিতে চেয়েছেন ।
উনারা কি আসলেই সেটা করবে ? রোজার সময়ে মুসলমানদের আরও বেশী ডিরেইলড করতে শয়তানের অনুপস্থিতিতে তার রেখে যাওয়া চ্যালারা শত চটকদার প্রোগ্রাম এনে হাজির করবে ।
আর কে না জানে এসব প্রোগ্রাম করা হয় নারীদেরকে টার্গেট করেই আর নারীরা ধর্মীয় জিনিসের চেয়ে এসব দুনিয়াবী চাকচিক্যময় জিনিসের প্রতি বেশী আকর্ষিত হয় ।
রান্না চালিয়ে যাওয়া উচিত , এটাও স্বামীর সংসারের হেফাজতেরই একটা অংশ (আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে)
মন্তব্য করতে লগইন করুন