সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপকৌশলে মহাব্যস্ত বিএনপি
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ০৭:৫৮:৩৩ সন্ধ্যা
বিএনপি অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে এবং বর্তমানেও দলটি সহায়ক সরকারের নামে পুনরায় নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওয়াজ উঠিয়ে বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। ওই সময় তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে পাঁচ জন প্রতিনিধি দেয়ার একটি যৌক্তিক প্রস্তাব দেয়া হলেও তাতে রাজি হয়নি তারা। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামক একটি অসাংবিধানিক পদ্ধতির দাবিতে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে এবং বর্তমানেও তারা সহায়ক সরকারের নামে পুনরায় নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তবে এতে এখনও কোন দৃশ্যমান সফলতা অর্জন করতে না পেরে বর্তমানে তারা নতুন কোনো ইস্যু তৈরির পথ খুঁজছে। সম্প্রতি দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রধান আলোচ্য সূচি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে। আর এ বিষয়টিকে অন্য মাত্রায় উন্নীত করতে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানা অপকৌশল নিয়ে এখন মহাব্যস্ত হয়ে উঠেছে বিএনপি। দেশে চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যাকে কেন্দ্র করেও তাদের অপপ্রচার থেমে থাকেনি। তারা যতটা না বন্যা কবলিত মানুষদের সহায়তার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে তার চেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে যে কেউ সরকারের ভুল-ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করতেই পারে, তাতে সরকারই উপকৃত হয়। এতে ভুল ত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হয়। সামগ্রিকভাবে দেশবাসীর জন্যও সুফল বয়ে আনে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার যে কোনো গঠনমূলক সমালোচনাকেই সর্বদা ইতিবাচক হিসেবে দেখে। এটাই গণতান্ত্রিক চেতনা। কিন্তু বিএনপির কার্যকলাপ গণতান্ত্রিক ধারার সম্পূর্ণ বিপরীত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চোখ রাখলেই বিষয়টি স্পষ্ট বুঝা যায় যে, দেশের মানুষের উপকার তাদের মুখ্য ইস্যু নয়। তাদের মুখ্য বিষয় সরকারকে হেয় করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমুর্তি তথা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, দেশের চলমান অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছিল অনেক দেরিতে হলেও তারা তা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু ওই অবৃমিষ্যকারিতার তিক্ত ফলভোগ তাদের সহ্য হচ্ছে না, মেনে নিতে পারছে না। ফলে তারা এখন সরকারের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপপ্রচারে মেতে উঠেছে। অতীতে বহুবার ব্যর্থতার বোঝা কাঁধে চাপার পরেও তাদের কোনো বোধদয় হচ্ছে না, তারা বুঝতে চাইছে না দেশের মানুষ তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সবকিছু বুঝেও কেন যেন ক্ষান্ত হচ্ছে না দলটি তাদের নিত্য অপকর্ম থেকে। দেশের বিদ্যমান গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তারা একগুঁয়েমির মনোভাব ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির অপপ্রয়াস ত্যাগ করলেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমুর্তি যেমন ক্ষুন্ন হবে না তেমনি তাদের গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে। কিন্তু কবে যে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে?
বিষয়: বিবিধ
৫৮২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন