উন্নয়নে বাংলাদেশ

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৩ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:২০:৩৭ দুপুর

স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিলো বিধ্বস্ত। বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে দাঁড় করানো ছিল কঠিন কাজ। বর্তমান বাংলাদেশের যতটুকু সাফল্য হয়েছে তার ভিত্তি রচিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর গৃহিত উদ্যোগের উপর। ৯ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন বিশ্বের অধিকাংশ দেশই করতে পারেনি। জাতির পিতার হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের অগ্রযাত্রাকেও ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করে। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর ন্যায় জনগরকে সেবা দিচ্ছে। এর মাঝে যে সকল সরকার এসেছিল তারা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করেছে। সাধারণ জনগণ নয় তারা এলিট শ্রেণি তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধিন গণতান্ত্রিক সরকার ১৯৯৬-২০০১ ও তার পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট নীতি নিয়ে কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্যই ছিল দেশের সম্পদের সর্বাত্নক ব্যবহারের মাধ্যমে আত্ননির্ভরশীল জাতি গঠন করা। যে জাতি বিশ্বে মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে থাকবে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নির্বাসিত। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরেই তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের সেবায়। সকলের সমালোচনাকে অসত্য প্রমাণ করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হয়েছে। সরকারের নীতি ও লক্ষ্য ছিল স্থির। ১৯৯৬ সালে যখন বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার ম্যানডেট পায় সে সময় এশিয়াতে ছিল অর্থনৈতিক মন্দা এবং ২০০৮ সালে যখন দায়িত্ব গ্রহণ করা হয় তখন সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। কিন্তু উভয় সময়ে সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব পড়তে পারেনি। দেশের অর্থনীতিতে ৭% প্রবৃদ্ধি কেবল বঙ্গবন্ধু-ই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর পর বর্তমান সরকার ব্যতিত মধ্যবর্তী কোন সরকার সে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি। অর্থনীতির এ উচ্চ প্রবৃদ্ধি সরকার ধরে রাখবে। সেজন্য সকলকে আন্তরিকতা, সততা এবং দক্ষতার সাথে কাজ করতে হব। জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি নিজেই জঙ্গী হামলা শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধিন জোট সরকারের সময়ে ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে জনসভায় তাকে লক্ষ করে ১৩টি উচ্চ মাত্রার গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। হামলাকারীরা যাতে নিরাপদে সরে যেতে পারে তার ব্যাবস্থাও ঐ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করেছিলো। সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এস এম কিবরিয়া এবং আহসান উল্লাহ মাষ্টারকেও গ্রেনেড হত্যা করা হয়েছে জঙ্গীবাদের যে বীজ বিগত বিএনপি-জামাত জোট বপন করেছিলো তারই ফসল গুলশান ও শোলাকিয়া হামলা প্রতিটি ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ত্বড়িৎ ও দক্ষতার সালে ব্যাবস্থা নিয়েছে। বিশ্বে এ ধরনের পরিস্থিতিতে কোথাও এত দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে পারেনি। যারা এ নিয়ে সমালোচনা করছে তারা চাচ্ছিল এ ধরনের ঘটনা যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়। যারা সমালোচনা করছে তাদের সাথে জঙ্গীদের কোন যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখা দরকার। বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ যহন বিনিয়োগের জন্য এ দেশকে নিরাপদ ভেবে অগ্রসর হচ্ছিল তখনই এ হামলার ঘটনা ঘটলো এটি অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রত্যেকটি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ প্রয়োজন। অভিবাকদের এ বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। সকলকে আরো সতর্ক হতে হবে। ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত সন্ত্রাস বিরোধী কমিটিগুলোতে কার্যকর করা অবশ্যক। মসজিদের বয়ানে এবং খুতবায় সন্ত্রাস/জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কোরআন-হাদিসের আলোকে প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশের অধিকতর কার্যকর ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। সরকার যেকোন সন্ত্রাস/জঙ্গী হামলা কঠোরভাবে দমন করবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সরকার প্রকৃতি বা মানব-সৃষ্ট যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম। জনগণ সরকারের সাথে রয়েছে। দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখা এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। যুদ্ধাপরাদিদের বিচার সম্পন্ন করা হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গঠন করতে হবে। গুলশান হামলাসহ সাম্প্রতিক জঙ্গী হামলার ক্ষেতে অসত্য তথ্য নির্ভর এবং উদ্দ্যেশ প্রণোদিত সমালোচক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/গণমাধ্যমের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু দেশ ও মানুষের জন্য জীবন বৎসর্গ করেছেন। প্রজাতন্ত্রের কার্মচারীদের মধ্যেও সে আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অদর্শের প্রতিফলন থাকতে হবে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং সরকারি কর্মকর্ত/কর্মচারীদের অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

৭১০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

376776
২৫ আগস্ট ২০১৬ রাত ০১:১৪
আসমানি লিখেছেন : ৩৫ বার পড়া হলেও কেউ কমেন্ট করছেনা কেন? এখানে কি কমেন্ট করার মত কোন বিষয় ই নেই?
না কি জেল জরিমানার ভয়ে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File