আউটার রিং-রোডে বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম নগর
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০১ মার্চ, ২০১৬, ০৩:২০:০৯ দুপুর
বর্তমান সরকারের আমলে নানাবিধ উন্নয়ন এর কাজ সম্পূর্ণ হয়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যুগোপযোগী উন্নয়নে সবচেয়ে বড় ধরনের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। বহুল প্রতীক্ষিত আউটার রিং-রোড নামে এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সামগ্রিকভাবে বদলে যাবে চট্টগ্রাম মহানগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের চালচিত্র,এমনটি প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আউটার রিং-রোডের চলমান নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর থেকে গত এক মাস যাবৎ মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। বড়সড় যন্ত্রপাতি দিয়ে মাটি ভরাটসহ সুপরিসর সড়ক অবকাঠামো বিনির্মাণের কাজ চলছে জোরদার গতিতে। চট্টগ্রাম শহর রক্ষায় দীর্ঘদিনের দাবি, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ, শিল্পায়ন,আবাসন ও পর্যটনের প্রেক্ষাপটে স্মরণকালের সবচেয়ে বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে আউটার রিং-রোড। নগরীর সর্বদক্ষিণ-পশ্চিমে পতেঙ্গা থেকে উত্তর-পশ্চিমে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রিং রোডটি শহর রক্ষায় একটি কার্যকর বাঁধের ভূমিকা পালন করবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট উঁচু করে আউটার রিং-রোডটি নির্মিত হচ্ছে। পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা স্টেডিয়াম পয়েন্ট পর্যন্ত ১৭.১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০ ফুট প্রস্থ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫.২ কিলোমিটার কোস্টাল রোড এবং ২.১৫ কিলোমিটার ফিডার সড়ক। বর্তমান বেড়িবাঁধকে আরও ১০ ফুট উঁচু করে সড়কটি নির্মিত হচ্ছে।এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্তমান জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখেরও বেশি। এরমধ্যে নগরীর পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রান্তে বিশেষত উপকূলসংলগ্ন এলাকায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে। তাছাড়া সেখানে রয়েছে দেশের প্রধান জ্বালানি তেল স্থাপনাসমূহ, চট্টগ্রাম বন্দরের একাংশ, শাহআমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নৌ ও বিমান ঘাঁটি, দু’টি ইপিজেড, ভারী শিল্প, কল-কারখানা, সাইলো ইত্যাদি। সেখানকার উপকূলীয় ২০ লাখ জনগোষ্ঠিসহ এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে এবং দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, আবাসন ও পর্যটন খাত সম্প্রসারণ, উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে চট্টগ্রামের বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রকল্প আউটার রিং-রোডের বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে হালিশহর, ফৌজদাহাট, সাগরিকা, পতেঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় উপশহর সৃজনের সুযোগ তৈরি হবে। প্রসার ঘটবে পর্যটন সম্ভাবনারও।
বিষয়: বিবিধ
১০৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন