শিক্ষাঙ্গনে মেঘ কেটে যাক, বিদ্যার আলোয় চারদিক ঝলমল করে উঠুক

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:২৯:০৯ দুপুর

আশি ও নব্বই দশকে শিক্ষাঙ্গন প্রায়শই অশান্ত হয়ে উঠত। এর নেপথ্যে ছিল প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রাধান্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য শিক্ষা সরঞ্জামের অভয়ারণ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানি তেমন শোনা যায় না। সাম্প্রতিককালে অশান্ত হয়ে উঠছে শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার মধ্যেই অসন্তোষ কাজ করছে। চলছে নানামুখী আন্দোলন। এসব কারণে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে শিক্ষার্থীদের। তাদের বিদ্যার্জন ব্যাহত হবে। নতুন অনুমোদিত জাতীয় বেতনকাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদাহানি ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এমন দাবিতে পরদিন থেকে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। শিক্ষকদের সঙ্গে অন্যান্য পেশাজীবীর মূল পার্থক্য হচ্ছে শিক্ষকরা জাতির ভবিষ্যত নাগরিকদের তৈরি করেন। তাদের দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা, সহিষ্ণুতা ও শিষ্টাচার সকলের অনুসরণীয় হওয়ার মতো। আমরা শিক্ষকদের বিবেচনাবোধের ওপর ভরসা রাখতে পারি যখন শুনি যে, বেতনকাঠামো পুনর্নির্ধারণের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রবিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করলেও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ওই দিন তারা পরীক্ষা নেবেন। আমরা শিক্ষকদের এই মনোভাবকে সম্মান জানাই। নতুন বেতনকাঠামোয় শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখার পদক্ষেপ নিয়ে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে যথাযথ উদ্যোগ নেবে সরকার, এটাই প্রত্যাশা। এ ব্যাপারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা যেমন জরুরী তেমনি সরকারের তরফ থেকে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্তের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপও দরকার। আমাদের প্রত্যাশা শিক্ষাঙ্গনে মেঘ কেটে যাক, বিদ্যার আলোয় চারদিক ঝলমল করে উঠুক।

বিষয়: বিবিধ

৯২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File