এক লতিফ আজ মিলিয়ন মিলিয়ন টাকার মালিক-মন্ত্রীদের এমন হাজার দুর্নিতির ফিরিস্তি আজ৯৯ শতাংশ পুর্ন হয়েছে যেই কোন মুহুর্তে জন বিষ্ফোরনে তাহা ব্লাস্ট হয়ে জনতার বিজয় আসবে

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৩৫:০৫ দুপুর



১৯৭১ সালে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে পুরান ঢাকার কলতান বাজারে ২ মাস রিক্সা চালিয়েছি। টাকার অভাবে হোটেলে না থেকে বাহাদুর শাহ পার্কে রাত কাটিয়েছি।

অর্থাভাবে বেশিদুর পড়াশুনা করতে পারিনি। ভাইদের ভাতের ফেন খেয়ে বাচতে হয়েছে।

গত বছর ১৮ই মার্চ ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মানহানি মামলার শুনানিতে কথাগুলো বলেছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এমন কথা তিনি টাঙ্গাইলের জনসভায় হরহামেশা বলেন।

আসলে তাদের বাস্তব অবস্থাও ছিল তাই । সেই কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত ডাক,টেলিযোগাযোগও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী।

লতিফ সি্দ্দিকীর বাবা আব্দুল আলী সিদ্দিকী স্বাধঅনতার আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় বসবাস শুরু করেন। তিনি পাট কর্পোরেশনে চাকুরি করতেন সামান্য বেতনে। এই টাকা দিয়ে ছেলে লতিফ সিদ্দিকী ও আব্দুল কাদের সিদ্দিকীসহ অন্য সন্তানদের পড়াশুনার খরচ জোগান দিতে হিমশিম খেতে হতো। পরে আব্দুল আলী ওই চাকুরি ছেড়ে দিলে দুর্নীতির মামলায় জেল খাটেন।

১৯৫৫ সালে টাঙ্গাইল আদালতে মোক্তারি শুরু করেন। সে সময়ও তার আর্থিক অবস্থা খুবই করুন। তখন তার দুই স্ত্রী ও আট ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করতে পারেনি। সেই সময় লতিফ সিদ্দিকী ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করে বাবার সংসার থেকে কিছুটা দুরে চলে যান আর্থিক সংকটের কারনে। অন্যের আর্থিক সহায়তা নিয়ে তিনিসহ তার চার ভাই বোনরা।

লতিফ সিদ্দিকী একসময় টাঙ্গাইলের আর্টিজোনের পরিচালক হন। সেখানে তিনি সুতা বিক্রি কেলেংকারিতে জড়িয়ে ১৯৭৫ সালে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়।

১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের আমলে তার স্ত্রী লায়লা সি্দ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতি আসন থেকে স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হয়ে ১৩ বছর পর স্বামীকে সাধারন ক্ষমার আওতায় মুক্ত করেন।

১৯৯৬ সালে কালিহাতি থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই লতিফ সিদ্দিকীর ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করে।

২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাটও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার কয়েক মাসের মাথায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিাম সদস্যহন।

তারপর থেকে মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা কালিহাতিসহ জেলার বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ,বদলি পদোন্নতি জমি দখল ও টেন্ডার নিয়ন্ত্রন শুরু করেন। কামিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।

১৯৮৮ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত লতিফ সিদ্দিকীর দৃশ্যমান কোন আয়ের উতসহ ছিল না। তিনি জেলে থাকাবস্থায় বন্ধু রাজনৈতিক সহকর্মী ও অন্যান্নদের অনুগ্রহেই তার সংসার চলতো।

সেই লতিফের এখন কয়েক হাজার বিঘা জমি গাড়ি বাড়িসহ হাজার কোটি টাকার সম্পদ।

কালিহাতি উপজিলায় যমুনা সেতুর পুর্বপাড়ের যোগারচর এলাকায় লতিফ সিদ্দিকীর সাড়ে চার হাজার বিঘা জমি আছে। তার ছেলে অনিক সি্দ্দিকীর প্রতিষ্ঠান ম্যাজিকটিকার নামে এই জমি ক্রয় করা হয়। অনিক এই জমির তদারকির কাজে এখন ঘন্টায় ৬০ হাজার টাকা ভাড়ায় হেলিকপ্টার নিয়ে সপ্তাহের ২-৩ দিন ওই এলাকায় যান।

গাজিপুর পাঠাগার করার নামে বন বিভাগের ২০ বিঘা জমি অবৈধ দখল করে নিয়েছেন ।

এছাড়া টাঙ্গাইল শহরে শতাধিক শতাংশ জমি রয়েছে।

এমন হাজার হাজার দুর্নিতির ফিরিস্তি রয়েছে লতিফ সিদ্দিকীর নামে।

শুধু এক লতিফ সিদ্দিকী নয় সব মন্ত্রীদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় রয়েছে ।

ইনশাআল্লাহ জনবিষ্ফেরন খুব দুরে নয় আমরা লতিফের পরিনতির মতো শেখ হাসিনা সহ সব মন্ত্রীদের করুন অবস্থা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

বিষয়: রাজনীতি

১২৪৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

271630
০৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:০৫
নানা ভাই লিখেছেন : বিদেশী গোয়েন্দাদের পরিবর্তিত ছকেই লতিফ নাটক !! ২৫ মিলিয়নের এক রহস্য এবং আশংকার ঘোড়া
Click this link
271632
০৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:০৯
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : অনেক পরিকল্পনার একটা অংশ মাত্র লতিফ সি্দিদিকী
271676
০৫ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : কথাটা ১০০ % সত্য
০৫ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
215805
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ধন্যবাদ
271683
০৫ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
শেখের পোলা লিখেছেন : অবাক হবার কিছুই নেই!হাসিনার মন্ত্রী বলে কথা৷ টাকা পয়সা তো থাকতেই হবে৷ মর্যাদা বলে কথা৷ ৪০জনকে খুঁচিয়ে মেরে তার ভাই হলেন মহাবীর৷ জায়গা হল বঙ্গবন্ধুর পাশে৷ তারওতো একটা প্রতিক্রীয়া আছে৷ শান্তনা এখানেই পশ্চিমা বাইশ পরিবারকে দেশ ছাড়া তো করতে পেরেছি৷
০৫ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১০
215810
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : হুম

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File