পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-২৭)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৩৩:৪৯ বিকাল
পার্টির অফিসে খালুর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ছিল টকঝালমিষ্টি ধরনের। সেগুলোর মাঝে থেকে থেকে একজন সাধারণ মানুষ নিজে নিজের সাথে অনুভূতিতে বোঝাপড়া করতেন। একটি করাপ্টেড রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে তারপক্ষে যতটুকু ভালো করা সম্ভব তিনি করার চেষ্টা করেছেন। মৃত্যুর খুব কাছে গিয়ে ফিরে আসার পর খালু অনেক কিছুই নতুন চোখে দেখতে শুরু করেছিলেন। একদিন শুনলাম তিনি নিজেকে নিজে প্রশ্ন করছেন, ' মৃণালের ব্যাপারটায় কি ভুল ছিল? নিজে নিজেকে কখনো সান্ত্বনা দেন। কখনো অপরাধ বোধে ভোগেন। কখনো বা নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষের যুক্তিগুলি দেখান । আমি নিরব শ্রোতা। ভাবি, একজন মানুষ জীবনের সব স্তরেই যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, এমনটাও তো আশা করা যায় না।
মিথিলা!
খালু চেইন অব কমান্ডের নিগড়ে বন্দী হয়েও দেশ এবং দশের জন্য তার পদে বসে সীমিত পরিসরে যা যা করা যায় সেটাতে পিছু পা হন না। যদি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্বাস গোঁজামিল না দিত, তিনি হয়ত বেশ স্বচ্ছ একজন মানুষই হতেন। ধর্মহীন লোকের পক্ষে যতটা ভালো হওয়া সম্ভব। ধর্মীয় চিন্তাটা তার কখনোই আসত না।
বাবার অফিসে একটা ঝামেলা আগেই বলেছিলাম । সেটার সাথে সৈয়দ পরিবারের একজন খুব কাছের মানুষের লিংক ছিল। সেই সুবাদে সে সমস্যাটিকে খুঁচিয়ে আরো কদাকার করে তোলার চেষ্টা করে।
বাবা খুবই অন্তর্মুখী মানুষ। নিজের সমস্যার কথা কাউকে পারতপক্ষে জানাতেন না। চাচাদের সাথে থাকার সময়েও দেখেছিলাম, বড় বড় কি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যায় কি নির্লিপ্তভাবেই না ছিলেন। মা আবার অল্পেতে খুব বিচলিত হয়ে পড়তেন। মায়ের দ্বারা ছোট খালা ব্যাপারটা জানেন। আর একদিন খালা আবারো আমার কাছে এসে সমস্যাটি জানান।
এর আগে বাবার সব সমস্যায় আমি বয়সের কারণে কিছু করার সুযোগ পাই নি। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আমি নিজেই কিছু করার একটা বাসনা নিয়ে বাবা কিংবা মাকে না জানিয়েই তার সমস্যাটির সমাধান করার জন্য এগিয়ে গেলাম।
সাদেক ভাইকে সব বললাম। তিনি আশ্বাস দিলেন সাধ্যমত চেষ্টা করবেন। চেষ্টা তিনি সত্যিই আন্তরিক ভাবে করলেন। তবে এর প্রভাব হয়েছিল মারাত্মক । যা আমাদের দুই পরিবারের ভিতরের চলমান দ্বন্দ্বকে আরো বেশী দূরত্বে নিয়ে গেল। সৈয়দদের বাড়ি গুলির ট্যাক্স কমিয়ে রাজস্ববিভাগকে ফাঁকি দেয়ার সচরাচর প্রচলিত কাজটা এক সময় বেশ কিছুদিন বাবা করে দিয়েছিলেন। এক সময় তার আর এই কাজ ভালো লাগল না। পুলিশে ছুঁ'লে আঠার হলে সন্ত্রাসী ছুঁ'লে কত হয় অনুমান করা যায়। তারা অন্য একজনকে দিয়ে কাজটা করার ব্যবস্থা ঠিকই করল, কিন্তু প্রত্যাখ্যানের অপমান ভুলল না। বাবার আগের কাজটা দিয়েই বাবাকে মুখে মুখে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকল। এর সাথে বাবার সম্পৃক্ততা তাঁকে বেশ সমাজে নাজেহাল অবস্থায় ফেলতে পারে জেনে বাবা অস্থির হলেন। তিনি বেশ বুঝতে পারছিলেন, খুব একটা বিশ্রী ধরণের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে যাচ্ছিলেন। এই ধরণের লোকেরা তাদের অহংকারের স্বার্থে যা তা করতে পারে। দরকার হলে জীবন ও দিতে পারে। তুচ্ছ কারণে ঝামেলা পাকাতে এরা ওস্তাদ হয়। নিজেদের জঘন্যতম কাজগুলিকেও তারা এতটাই ন্যায়সঙ্গত মনে করে যে তাতে অন্যের শান্তি অশান্তি, জীবন মরণ কোন অর্থই বহন করে না।
যা হোক, সাদেক ভাই একদিন আমাকে সাথে নিয়ে বাবার অফিসের বড় কর্তার অফিসে গেলেন। সেখানে আগে থেকেই সৈয়দদের সেই রিলেটিভকেও থাকতে বলা হয়েছিল। লোকটি প্রথমে আমাদেরকে কোনো পাত্তাই দিল না। বরং তাকে কেন এভাবে ডেকে আনা হল সেই ব্যাপারে ভাই এর কাছে কৈফিয়ত চেয়ে বসলেন। সাদেক ভাই তার স্বভাবসুলভ মিষ্টি কথায় খুবই ঠান্ডা স্বরে বাবার সমস্যাটার কথা বললেন। কেন ঐ লোক এটাকে বড় করতে চাইছে সেটা জানতে চাইলেন। জবাবে লোকটি ভাই কোন অধিকারে জানতে চাচ্ছেন দম্ভ ভরে জানতে চান। তখন সাদেক ভাই তার নিজের পরিচয়টা দেন। পার্টির নাম শুনে লোকটা একেবারে মিইয়ে যান। একটা প্রচণ্ড ভীতি তার ভিতরে কাজ করে।
তার মুখ থেকে সকল রক্ত নেমে যায়। ঐ মানুষটির নাম ছিল ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি পি.ডব্লিঊ.ডি'র আন্ডারে প্রথম শ্রেণির লাইসেন্সপ্রাপ্ত একজন ঠিকাদার। ভাইয়ের পরিচয় ভাইয়ের মুখ থেকে শুনেই তার যা অবস্থা হয়েছিল, মিনিট দশেক পরে তার সহযোগী একজন তাঁকে বাবার অফিসের বড় কর্তার টি এন্ড টি লাইনে ফোন করে তাঁকে যা জানান, তাতে লোকটি একেবারে ভেঙ্গে পড়েন।ঐ সময়ে খুলনা শহরের বড় বড় কন্ট্রাক্টরদের কে নিয়মিত পার্টিকে চাঁদা দিতে হতো। এই চাঁদা ছিল তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র রক্ষাকবচ। তখন বেছে বেছে সম্পদশালীদের লিস্ট করে তাদের কাছে পার্টি ফান্ডের জন্য পরিমাণ উল্লেখ করে 'চাঁদা' চাওয়া হতো। ধরা যাক, ৫০ জনের একটা লিস্ট করা হল। এদের ভিতর থেকে দু'একজন গোয়ার গোবিন্দ টাইপের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাতো । এদেরকে লাইনে আনার জন্য পার্টির সামরিক শাখার ক্যাডারেরা সব সময় প্রস্তুত ছিল। ঐ দু'একজনকে শ্রেণীশত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়ে 'খতম' করার নির্দেশ দেয়া হতো। আর প্রতিটি অ্যাকশনই কি সিনেম্যাটিক আর নির্দয়, নির্মম ছিল ! এদেরকে আগেই চিঠি দিয়ে দেয়া হতো যে তাদেরকে খতম করা হবে। এমনও হয়েছে, পত্রিকা অফিসে খুনের ৫ মিনিট আগেই ফ্যাক্স চলে গেছে পার্টির নামে। আর 'খতম' করা হয়েছে ঐ ফ্যাক্স যাবার ৫ মিনিট পরেই। কতটা নিখুঁত চুলচেরা সময়ের বিশ্লেষণ করেই হত্যাগুলো ঘটানো হতো! যা হোক, এরপরে বাবার সমস্যাটি কিভাবে যেন দাবিয়ে দেয়া হল। বাবাও কোনো কিছু বুঝে উঠতে পারলেন না। তবে এই ঘটনার পর থেকে বাবার অফিসে বাবাকে বড় কর্তা থেকে শুরু করে অন্যরা এক 'বিশেষ চোখে' দেখা শুরু করলো। আগের সেই মানুষটির ভিতর থেকে যেন অন্য কোনো মানুষের জন্ম হয়েছে। বাবাকে কিছুদিন খুবই ভালো মেজাজে দেখা গেল। এমনকি তিনি বাদলের সাথে সময়ে সময়ে গল্প করার জন্য ও সময় বের করে নিতে শুরু করলেন।
মানুষের জীবনের যেটা সুবিধা সেটাই সমস্যা! এটা চাকার মত সুখ দু:খের আবর্তনেই চলতে থাকে। বাবার অমন মন ভালো থাকার দিনগুলিও ফুরাল।
কিছুদিন পরে বাবা সব কিছু জানতে পারলেন।আমাকে একদিন বাসায় ডেকে পাঠালেন।
আমি এলাম।
বাবার ভয়ংকর মূর্তি দেখে আমিও কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম। আমাকে সরাসরি বললেন, ' আমার অফিসে আর কখনো যাবে না!
'আমার জন্য, আমার গোপন দলের সাথে সংশ্লিষ্টতার জন্য বাবাকে সবাই অন্য ভাবে দেখছেন, এটাই বাবা বোধ হয় মেনে নিতে পারলেন না। নাকি আমার দ্বারা তার এই সমস্যার সমাধান হল এটাকে মানতে পারছিলেন না? অথবা তার নিজের অসাধু সংশ্লিষ্টতা আমি ছেলে হিসেবে জেনে যাওয়াতে এই হৃদয়ের জ্বালা যন্ত্রণা?’
আমার খারাপ লাগতে শুরু করল। বাবার বিপদের সম্ভাবনায় আতংকিত হয়ে অন্য ব্যাপারগুলি ভাবা হয়নি। বাবা কি আমার টেনশনের কারণটা বুঝবেন না? মাথা নিচু করে বললাম, ' আমি তোমাকে হেল্প করতে চাচ্ছিলাম.. ওরা তো শক্তের ভক্ত'
বাবা ফিরে তাকালেন,' হেল্প হয়েছে? '
মৃদু গলায় বললাম, ' ওরাতো নরম হয়েছে। '
বাবা বললেন, 'তুমি যাদের হাতে আমাকে তুলে দিয়েছ তারা কি সব সময় ক্ষমতাবান থাকবে?'
আমার ঝট করে মনে হল আমি বোধ হয় বাবার আঘাতের জায়গাটা দেখতে পাচ্ছি! বাবার নিজেকে খেলো মনে হচ্ছে। আমি তার ফাইট তাকে করতে না দিয়ে ছোট করেছি! কিন্তু সে তো আমি ওভাবে ভেবে করিনি! আমার ও রাগ হল।
আমার আর বাবার ভিতরে এই ইস্যুটিকে নিয়ে কিছু কঠিন কথা বিনিময় হল। দুই প্রজন্মের ভিতরের গ্যাপ এবং চিন্তা-ভাবনার অসামঞ্জস্যই শুধু নয়, দু'জনের আদর্শগত ভিন্নতা প্রকট হয়ে ফুটে উঠল।
বাবা অল্প কথার মানুষ। কথার শেষ দিকে তিনি কঠোর গলায় বললেন, ' সীমার বাইরে যাওয়া আমার জন্য যেমন খারাপ ছিল, তা তোমার জন্য ও তেমনই খারাপ। আমার ব্যাপারে আমার সাথে কথা বলার আগে আর কারো সাথে কথা বলা তোমার উচিত ছিল না। '
আমি এবার অন্য একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম। আমি আমার দলের কাছে বাবাকে চিহ্নিত করে ফেলেছি! তারা এখন আমার আর বাবার গোপন দুর্বলতা জানে। তাদের মধ্যে যে কেউ সৈয়দদের মত, বা তার চেয়ে খারাপ কিছু করতে পারে। শুধু বাবার না,আমার বিরুদ্ধেও এই তথ্য অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। অসহায় লাগল। কি করলাম!
এ জীবনে এই ভুলটা আমার বারবার হয়েছে। এত ভুগে ও শিক্ষা হয়নি। সমস্যা শুরুও করি নিজে। অসতর্ক আনন্দ উল্লাসে বেখেয়াল হয়ে। আবার তা একা ম্যানেজ করতে গিয়ে আরো তালগোল পাকাই। আবার কারো হেল্প নিতে গেলে তার চেয়ে গোলমেলে হয়ে যায় সব।
তাহলে কি করবো?
নিজের ওপর নিজের চরম রাগ উঠে গেল।
ঝামেলা করার জন্যই কি দুনিয়াতে এলাম! ভালো কাজ ও ভালোভাবে করতে পারি না কেন? বন্দী লাগল নিজেকে। ভুল থেকে মুক্তি নেই! ছোট ভুল থেকে বড় ভুল, তা থেকে আরো বড় ভুল.... অসহ্য!
বাবা শেষে ছোট একটা নি:শ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ালেন।
মৃদু স্বরে বললেন, ' মানুষের যার যার ভুলের মাশুল তাকে দিতেই হয়, কেউ তা ভাগ নিতে বা কমাতে পারে না। '
আমি মাথা নিচু করে বাবার ছায়ার চলে যাওয়া দেখলাম এক পলক।
মনটা খারাপ হয়ে রইল।
বাবা হয়ত সহজে কনভিন্সড হন, কিন্তু স্বাধীনভাবে এমন অধ:পতনে যাবার লোক না। একটা ভালো সমাজ হলে তাকে এমন মাথা নিচু করতে হত না। কেমন সমাজ আমাদের! আমরা মন্দকে ভালো করতে পারি না, শুধু ভালোকে মন্দ করতে পারি! অভাগা! হতভাগা!
ওদিকে লাভলির বাবা আমার বাবাকে কিছু করতে না পেরে ভিতরে ভিতরে আরো ক্ষেপে গেলেন। মৃণালের সাথে মিলে আরো বড়-ভয়ংকর কিছু একটা করার পরিকল্পনা করে যেতে থাকেন। আমরা ও তা ধারণা করেছিলাম, যদিও বুঝতে পারছিলাম না কোনদিক থেকে সে আঘাতটা করবে।
লাভলি বন্ধে খুলনায় এল। এখানে এলেও ওকে এক প্রকার গৃহবন্দী অবস্থাতে থাকতে হচ্ছিল । আমাদের দুজনের নিরন্তর কষ্ট আর ফুরায় না । তার আর আমার মাঝে অলংঘ্য এক দূরত্ব। আমি ভালোবাসায় ব্যকুল হয়ে প্রতিটা মুহুর্ত কাটাই। আড়ালের ওপাশে সে নিরব। এত কাছে এসে এভাবে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছিল।
এই কড়া নজরদারির ভিতর ও লাভলিকে সাথে নিয়ে মটর বাইকে একদিন লং ড্রাইভে যাই । আমার সাথে দুই বিশ্বস্ত সহযোগী টিংকু এবং টাক জাহিদ। আমাদেরকে কিছুটা দূরত্ব রেখে ওরা নজরে রাখছিল। আমার মানসিক কষ্টের ঐ সময়টায় ওকে পেয়ে মুক্তির কী যে উদ্দাম অনুভূতি হৃদয়ে জেগেছিল! দুজনের অনেক কথামালা গাঁথা হল। পার্টির সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা লাভলিকে ব্যথিত করে। যদিও সে জানে ঠিক কোন কারণে আমাকে এই পথ বেছে নিতে হয়েছিল। কিন্তু মানতে পারে না। আমাকে দল থেকে বের হয়ে আসতে বলে। আমি জানাই সেটা সম্ভব নয়। লাভলির আকাশের ইচ্ছেঘুড়িগুলো মনে হল একে একে সুতা কেটে দিকহীন গন্তব্যে যাত্রা করে। এতসব বিরোধের মধ্যেও রূপসা নদীতে ঢেউয়ের তালে নৌকায় দুলতে দুলতে ওর আর আমার ভাবনা চিন্তাও কেমন দুলে উঠে। এভাবে দুজনের সাময়িক মুক্তির এক দিনে আবেগঘন মুহুর্তগুলো সাদা পালকের মত নিয়ন্ত্রনহীন উড়ে যেতে থাকে। লাভলিকে সাথে পাবার আকাংখাটা আরো দুর্দমনীয় হয়ে উঠতে লাগলো। আর আমার ঐ সময়ের অবস্থানকে মন থেকে মেনেও নিতে না পেরে লাভলি আমাকে মনে হয় ভিন্ন চোখে দেখে। সংকোচ করে ও বুঝি একটু একটু করে আমার থেকে সরে যেতে লাগলো।
আমার আবেগ ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে এল। তার প্রতি কথায় আমার আবেগের প্রতি তার নির্লিপ্ততায় মন আহত হয়ে আরো বিষণ্ণ হয়ে উঠল । মনে হচ্ছিল আমি বুঝি সবই হারাতে যাচ্ছি ।
আকাশটা কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছিল।
(ক্রমশঃ)
বিষয়: সাহিত্য
১০০৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দু'দিনের বাদ পড়া উপস্হাপনা গুলো পড়েই যাচ্ছি!
শুধুই ভাল লাগা জানিয়ে মন্তব্যের কাজ সারছি!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন