জাবিতে প্রজাপতি মেলা এবং একজন 'প্রজাপতি স্যার'
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৮:০৫:৩৭ সকাল
আগামী শুক্রবার ডিসেম্বর ৫, ২০১৪ ইং তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'প্রজাপতি মেলা'। ২০১০ সাল থেকে এই মেলা হয়ে আসছে। পাখপাখালি ঘেরা নান্দনিক এই ক্যাম্পাসটিতে এই মেলা উপলক্ষ্যে ঘুরে আসতে পারেন। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একটি দিন আপনাকে রিলিফ দিতে পারে, রিফ্রেস করতে পারে নাগরিক বিড়ম্বনা থেকে। তাই যারা ঢাকায় রয়েছেন, চলে আসুন আগামী শুক্রবারে।
অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন। ক্যাম্পাসে আমাদের সকলের প্রিয় তুহিন স্যার- আমাদের প্রিয় 'প্রজাপতি স্যার'। আজ ফেসবুকে সাইফ উদ্দিন এর 'উড়লে আকাশে প্রজাপতি প্রকৃতি পায় নতুন গতি' শীর্ষক একটি লিখায় তুহিন স্যার এবং তার স্বপনের কার্যক্রম সম্পর্কে বেশ সুন্দর একটি আর্টিকেল লিখেছেন। সেখান থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি-
[ প্রজাপতি বাগান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন কেবল একজন প্রজাপতির গবেষকই নন বরং নিজেই হয়ে উঠেছেন একটা বর্ণিল প্রজাপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এ অধ্যাপক ১৮ বছরের নিরলস সাধনায় গড়ে তুলেছেন 'প্রজাপতি বাগান'। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের বাঁশঝাড়, ফুলবাগান, ঝোপ-জঙ্গল, নাগেশ্বর গাছের সারি, সবুজ নরম ঘাসের প্রান্তর সব মিলিয়ে ৩০০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত এ 'বাটারফ্লাই হাউস'। এখানকার মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে প্রজাপতিরাও আপন করে নিয়েছে বাগানটিকে।
প্রজাপতির হাটঘর
প্রজাপতির প্রতিপালন, নিরাপদ বংশবৃদ্ধি ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির সংরক্ষণে অনুসন্ধানী গবেষক মনোয়ার হোসেন গড়ে তুলেছেন প্রজাপতির হাটঘর। এখানে কৃত্তিম উপায়ে প্রজাপতির খাবার (পর্যাপ্ত ফুল, চিনির রস ও ফল) ও অন্যান্য অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃত্তিম উপায়ে বংশবৃদ্ধি এবং পুর্ণতা প্রাপ্তির পর প্রজাপতিকে উন্মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় অনেক প্রজাতির সংরক্ষণ সহজ হয়েছে।
প্রজাপতি উদ্যান
প্রজাপতির সংরক্ষণ, প্রজনন অ গবেষণাকে আরো অনেকদূর এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বাটারফ্লাই ব্রিডিং সেন্টার অ্যান্ড পার্ক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সিণ্ডিকেট এর জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্রের পাশে নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে নির্মিত হবে এ বাটারফ্লাই ব্রিডিং সেন্টার অ্যাান্ড পার্ক। এতে থাকবে প্রজাপতির মিউজিয়াম ও রিসার্চ সেন্তার। এ ছাড়া থাকবে প্রজাপতির ব্রিডিং নেট হাউস ও চিত্তবিনোদনের জন্য পার্ক...... ]
উপরের [] এর অংশটুকু জনাব সাইফ উদ্দিনের লিখা থেকে অংশবিশেষ তুলে ধরা হল।
এটা শুধুমাত্র আমাদের প্রিয় 'প্রজাপতি স্যার' তুহিন স্যারকে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য। অমায়িক এবং সুপুরুষ এই মানূষটির কাছে গেলে, তার সাথে কথা বললে আসলে তাঁকে চেনা যাবে। নাহলে যতই লিখা হোক না কেন, লিখার দ্বারা এই গবেষককে একটুও তার আসল রূপে ফুটিয়ে তোলা যাবে না।
মেলার শিডিউলঃ-
গত ৩০-০১-১৪ ইং তারিখে মুকিত মজুমদার বাবু'র সঞ্চালনায় চ্যানেল আই এ 'প্রকৃতি ও জীবন' এর একটি এপিসোডে 'প্রজাপতি স্যার' খ্যাত মনোয়ার হোসেন তুহিন স্যারের ইন্টারভিউটি মনোযোগ দিয়ে দেখেছিলাম। আসলে প্রজাপতি দেখে তৎক্ষণাৎ বর্ণিল আনন্দ পাওয়া ছাড়া আমার এদের সম্পর্কে আর কোনো জ্ঞানই নেই। তাই এই ইন্টারভিউটি আমাকে কিছুটা হলেও প্রজাপতিদের সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছে। এজন্য প্রজাপতি ও মথ দের সম্পর্কে আমার মত স্বল্প জ্ঞানীদের জন্য সেই ইন্টারভিউটির যতটুকু মনে রাখতে পেরেছি শেয়ার করলাম।
ইন্টারভিউটির শুরুতে কিছুটা অমনোযোগী ছিলাম। তবে শুরুটা মথ ও প্রজাপতির মধ্যকার পার্থক্য কি এটা দিয়েই বোধ হয় শুরু হয়েছিল। সঞ্চালক মুকিত মজুমদার বাবু'র এক প্রশ্নের উত্তরে তুহিন স্যার বলেন,
: ... ... মথের যে এন্টেনা বলি বা সুড় যেটা আছে সেটা অনেক লম্বা এবং আরেকটু পাতলা। সে ক্ষেত্রে প্রজাপতি সাধারণত সুড়টা অনেক ভারী... এছাড়াও মথেদের শরীরটা মাংসল... আর প্রজাপতি এদিক থেকে খুবই হাল্কা, লাইট এবং লম্বা। তো মোটামুটি এই ক্যারেক্টারগুলো দিয়ে আমরা দুটো পতঙ্গের মধ্যে আমরা পার্থক্য নির্ণয় করতে পারি।
সঞ্চালক: এরা কি একই ধরণের খাবার খায়?
তুহিন স্যার: প্রজাপতি যেমন পুরোপুরি মধুর উপরে খুব ডিপেন্ডেন্ট, মথ মধু ছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় যে গাছের পচা বাকল,বা যেকোনো অর্গানিক... যে ময়লা থাকে, সেখান থেকেও তারা বিভিন্ন ধরণের অর্গানিক যে লিকুইড আছে সেগুলো থেকে তারা খাবার খেতে পারে।
সঞ্চালকঃ আচ্ছা, আচ্ছা। এরা প্রকৃতিতে কি ভুমিকা রাখছে এই দুটো , প্রজাপতি এবং মথ?
স্যারঃ এই প্রাণী দুটো অকৃত্তিমভাবে আমাদের প্রকৃতিকে ভালোবেসে তাদের দায়িত্ব পালন করে আমাদের প্রকৃতিকে ভাল রাখছে। যেমন ধরুন যে, এদের প্রধান যে কাজ আমরা বলব যে পরাগায়নের মাধ্যমে বীজ উৎপন্ন করে তারা বংশ বিস্তারে সাহায্য করছে, এদিকটা কিন্ত অপরিসীম।এ ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্য শৃঙ্খলের ধরেন গিরগিটি বা টিকটিকি এদের কিন্তু খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যার ফলে খাদ্য শৃংখলে এদের ভূমিকা অনেক। ... আমরা দেখেছি যে সোলার প্লান্টের প্রজাপতি বা এই মথে যে তেল আছে, এই তেলের ... দ্বারা অনেক সোলার এনার্জি উৎপন্ন করা যায়। তো এই সব কিছু মিলে আমি বলব যে প্রজাপতি একটা আদর্শিক একটা এনভারনমেন্টাল ইন্ডিকেটর। যদি কোনো একটা যায়গায় প্রজাপতি থাকে আমরা ধরে নিবো সেখানকার পরিবেশ অনেক গভীর অনেক ভালো আছে।
সঞ্চালকঃ বাংলাদেশে ক'ধরণের দূর্লভ প্রজাপতি আছে?
স্যারঃ বংলাদেশে এই পর্যন্ত আমরা তিনশো' প্রজাপতি সনাক্ত করতে পেরেছি। তার মধ্যে চল্লিশটি প্রজাপতি মত আমরা মনে করি দূর্লভ... এখান থেকে আমি দু'একটির নাম যদি আপনাদেরকে বলি তাহলে আমার মনে হয় ভালো হবে। সেটা হচ্ছে 'বার্ড উইং' একটা প্রজাপতি যেটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রজাপতি এবং বাংলাদেশেও এটা অনেক মানে বড় প্রজাপতি।
সঞ্চালকঃ কোন অঞ্চলে এই প্রজাপতিটা দেখা যায়, সাধারণত?
স্যারঃ এটা সাধারণত চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এছাড়া আপনার সিলেটে যে বনাঞ্চলগুলো আছে এগুলোতে আমরা দেখতে পাই।এছাড়া 'ব্যাট উইং' একটা প্রজাপতি আছে নামটা শুনে বুঝতে পারছি বাদুড়ের মত, এরা অনেক উচু দিয়ে উড়ে যায়...
সঞ্চালকঃ এটাও কি আমাদের বাংলাদেশে আছে?
স্যারঃ বাংলাদেশে আছে কিন্তু সংখ্যায় খুবই কম... তবে এই প্রজাতিগুলো খুবই দূর্লভ যেটা আমাদের গবেষণায় বেরিয়ে আসছে।
সঞ্চালকঃ তা আমরা কি এই ধরণের যে দূর্লভ প্রজাপতিগুলো, এদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার ব্যাপারে আমরা কি কিছু করতে পার?
স্যারঃ একটা নির্দিস্ট জাতের পাতা খেয়ে এরা বেঁচে থাকে... আমরা মনে করি আমাদের সবারই উচিত তাদের যে বাসস্থান এই বাসস্থানকে ধ্বংস না করি... তা আমার মনে হয় যে আমরা এদেরকে রক্ষা করতে পারব।
সঞ্চালকঃ আচ্ছা এই দূর্লভ প্রজাপতির বাইরে যেটা সাধারণত আমরা সবসময় দেখি, সেই প্রজাপতিদের অবস্থা কি?
স্যারঃ এই অবস্থা মোটামুটি এখন অন্যান্যগুলোর অবস্থার চেয়ে একটু ভালো কারণ হচ্ছে যে আজকের মিডিয়া বা আমাদের সরকারের উদ্যোগ দেশের উদ্যোগ- অবশ্যই আমি বলব যে অনেক আমরা সচেতন হচ্ছি এমনকি আমার নিজ প্রোগ্রামও হচ্ছে, এর মাধ্যমে কিন্তু ছোট ছোট ওই প্রজাপতিগুলো, যেমন ওই প্রজাপতিগুলো থাকত বন ছাড়াও... আমাদের তৃণভুমি আছে এগুলোর উপর ডিপেন্ডেন্ট। তো যার ফলে ওরা কিন্তু একটু বেটার অবস্থায় আছে আমি বলব যারা বনভুমিতে আছে তাদের।
সঞ্চালকঃ আচ্ছা, আমরা এই প্রজাপতিগুলো এই যে নানা ধরণের প্রজাপতি আপনার- আমরা যেগুলো সব সময় দেখি আমাদের বাড়ীর আশেপাশে এবং বন-জঙ্গলে এবং আপনি যেটা বললেন দূর্লভ প্রজাতির; তো সবগুলো মিলিয়ে যে আমাদের যে প্রজাপতি এই প্রজাপতিগুলো সংরক্ষণ করতে হলে কি করা উচিত আমাদের?
স্যারঃ বাসস্থানটা খুব জরুরী আর কি, তারা যেখানে থাকবে তারা যেখানে প্রজনন ক্রিয়া করবে তারা যেখানে তাদের খাদ্য আহরণ এর জন্য যাবে- তো এই যে বাসস্থান আমরা যে জন্য ধ্বংস করছি প্রতিনিয়ত নিজেদের জন্য নিজেদের প্রয়োজনে, সেটা আমাদেরকে ফিরে তাকাতে হবে যে কেন ধ্বংস হচ্ছে। যেমন বনে যদি আমরা বলি যে, যেসব লোকাল পিপল আছে যারা জঙ্গল কাটছেন তারা তাদেরকে আমরা যদি 'ইকো-ট্যুরিজমের' আওতায় নিয়ে আসি; বিকল্প ধারায় অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন, তারা বন উজাড় করবেন না, বনের জন্য তাদের সময় শেষ করবে না... সে ক্ষেত্রে প্রজাপতিদের বাসস্থান টিকে থাকবে।এ ছাড়াও আমি মনে করি যে আমাদের যারা রিসার্চ অর্গানাইজেশন আছি, তারা একটা উপায় বের করতে পারে যে... যেসব প্রজাপতি আমাদের দূর্লভ বা আমাদের হুমকির সম্মুক্ষীন আছে, তাদেরকে এনে যদি আমরা কৃত্তিমভাবে প্রজনন ঘটাই এবং এখানে বিপুল পরিমাণে প্রজনন ঘটার পরে বাইরে ছেড়ে দেই, তাহলে এই ভাবে কিন্তু তারা একটা নিজের সমাজে ফিরে যেতে পারে। তারপর আমি বলব যে মিডিয়ার ভুমিকা যেটা আপনারা করছেন বা আমরা আসছি। আর একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে যে বিভিন্ন ধরণের মেলা বা ক্যাম্পিং- যেমন 'প্রজাপতি মেলা'- প্রকৃতি মেলা করছেন আপনারা। এই মেলাগুলোয় ক্যাম্পিঙের মাধ্যমে কিন্তু অনেক সচেতন মানুষ আসছে। তারা জানছে যে প্রজাপতির ভুমিকাটা কি। আমরা মনে করি যে আমরা বাসস্থানগুলি সংরক্ষণে এগিয়ে যেতে পারব। সর্বপরি আমার মনে হয় যে, দেশের যে সরকার ব্যবস্থা আছে বা আমাদের প্রাইভেটাইজেশন আছে, আমরা যদি একটা 'বাটারফ্লাই কনজারভেশন এ্যাক্ট' বা 'বাটারফ্লাই কনজারভেশন প্ল্যান' ... করি, এই প্ল্যানের মাধ্যমে আমরা মনে করি যে আরো এটাতে ভুমিকা রাখতে পারব।এই ম্যাটারগুলো বাড়ছে। আমি মনে করি এটা একটা ভালো উদ্যোগ এবং এভাবে আমরা প্রজাপতিকে রক্ষা করতে পারি।
সঞ্চালকঃ আর একটা জিনিস যে প্রজাপতি পার্ক- প্রজাপতি পার্ক কি হেল্প করতে পারে এই এদের বংশ বৃদ্ধি কিংবা এদের সংরক্ষণের ব্যাপারে?
স্যারঃ অবশ্যই আপনি এটা খুব ভালো কথা বলেছেন যে এটা আমাদের দেশে নতুন একটা কন্সেপ্ট। আমরা যদি প্রজাপতি পার্কের মাধ্যমে বিজ্ঞানভিত্তিক আমরা যদি গবেষণা করে যে প্রজাপতিটা এখন দূর্লভ বা হুমকির সম্মুখীন তাদেরকে যদি খাবার দিয়ে বংশ বৃদ্ধি করে বাইরে ছেড়ে দেই, এটা একটা অবশ্যই ভালো একটা উপায় হতে পারে, যে দেশের প্রজাপতি ও ... গ্রুপ বা 'ফরেস্ট ইকো সিস্টেমকে' আপনার রিড করা বা ধ্বংস থেকে রক্ষা করা এটা ভালো একটা মাধ্যম হতে পারে প্রজাপতি পার্ক বা এধরণের কন্সেপ্টগুলো।
সঞ্চালকঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানা গেল আপনার কাছ থেকে।
স্যারঃ আপনাকেও ধন্যবাদ।
সারাটা জীবন (এই পর্যন্ত) রঙ বেরঙের প্রজাপতি দেখে কেবল আনন্দই পেয়েছি। কিন্তু মন উড়ুউড়ু করে দেয়া এই পতঙ্গটি আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যে এতো গুরুত্তপুর্ণ অবদান রেখে চলেছে, সেটা তেমনভাবে কখনো ভাবিনি। আজ যে এদেরকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, পার্ক তৈরী হচ্ছে- মানুষ সচেতন হচ্ছে... এসবই কিন্তু মাস মিডিয়া এবং কিছু মানুষের নিরলস প্রচেস্টার ফল যার ফলে আমাদের বনাঞ্চলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় আমরা কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে পেরেছি। এদের ভিতর উল্লেখ্য চ্যানেল আই, প্রকৃতি সংরক্ষণ উদ্যোগ (Nature Conservation Initiative) এবং সর্বপরি আমাদের সবার প্রিয় 'প্রজাপতি স্যার' মনোয়ার হোসেন তুহিন অগ্রগণ্য।।
[প্রজাপতি স্যারের বক্তব্য শুনছি আমি আর অন্তর]
[গত তিন বছর ধরে প্রতিটি মেলায় অংশগ্রহন করেছে আমার জ্ঞানী বাবু লাবিবা]
বিষয়: বিবিধ
১০৭৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দৃষ্টি নন্দন বর্ণময়তার বিশাল সম্ভার এই 'প্রজাপতি' নিয়ে নতুন ভাবনার উন্মেষ ঘটালেন!
অনেক কিছুই অজানা ছিল! মেলায় আসার আগ্রহ রইল,যদি কখনো সুযোগ হয়......!
ব্যতিক্রমধর্মী ভাল লাগায় নিয়ে যাওয়ায় অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই!
মামনি সহ আপনাদের মংগল কামনা করছি আল্লাহর কাছে!!!
ইনশা আল্লাহ দেশে এলে মেলায়ও যাবেন আগামী বার, আর মেলার আগেও প্রজাপতির বাগান এবং অন্যান্য সম্পর্কযুক্ত যায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন।
শুভকামনা রইলো নিরন্তর।
বৈরাগ্য জীবনে প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে আসতেই হবে একবার-বেড়াতে!
ইনশা আল্লাহ এক সাথে!!!
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ভালো লাগা রেখে গেলেন, অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন