Rose Good Luck পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-৮) Rose Good Luck

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:১৪:২৭ দুপুর



আমার বাবু!

বাবা আমাদেরকে নিয়ে আগের যায়গার চেয়ে একটু ভালো একটা যায়গায় চলে এলেন। নাম রায়েরমহল। এটা খুব সুন্দর ছিমছাপ একটি পল্লী ধাচের এলাকা ছিল। শহরের ভিতরেই, গ্রাম নয় তবু কেমন গ্রাম গ্রাম ছিল যায়গাটা। সুন্দর রাস্তা বাড়ির সামনে দিয়ে চলে গেছে। বাবার নতুন চাকরি হলো ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টে। বেতন ও আগের চেয়ে ভালো। কাজের চাপ ও কম। বাবার মন ফুরফুরে থাকতো। মা ও স্বস্তিতে ছিলেন। আমাদের পরিবার স্বচ্ছলতার সুখ অনুভব করছিল।

এখানে একজন অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকের দোতলা বাড়ির নিচতলা ভাড়া নিয়ে আমরা উঠে এলাম। এখানেই আমার শৈশব এর শেষ দিনগুলি থেকে কৈশোর পর্যন্ত বেড়ে উঠা।

ক্লাস ফোর। ঝগড়া হলে অন্য ক্লাসের ছেলেরা আমাদেরকে ক্ষ্যাপানোর জন্য বলতো 'হেডমাস্টারের জুতা চোর'। এই সময়ে আমার কিছু বন্ধু হয়েছিল, যাদের সাথে আমি একটা সময় পর্যন্ত একই চিন্তা চেতনা নিয়ে বেড়ে উঠেছিলাম। পরবর্তীতে এদের ভিতর থেকে কয়েকজন পুর্ব বাংলা কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্য হয় এবং সরকারি বাহিনীর সাথে গোলাগুলির এক পর্যায়ে মারা যায়। আমিও ঐ চরমপন্থী বাহিনীর সদস্য হয়ে যাই, কিন্তু যেকোনো ভাবেই হোক ফিরে আসি। আমার বন্ধুদের ভিতরে টিংকু ছিল গরীব। জেলে পাড়ায় থাকত ওরা। জেলে পাড়ার মানুষ গুলির কষ্ট অবর্ণনীয়। টিংকুও আমার সাথে প্রাইমারিতে পড়ত। এ খুবই ল্যাবা ( বোকাসোকা) ছিল সেই সময়ে, পরবর্তীতে সে ভয়ংকর খুনী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। হয়তো জীবনের নির্মমতা তাকে জীবনবিধ্বংসী করে তুলেছিল। এই জেলেপাড়ায় টিংকুর থেকে একটু ভালো অবস্থাওয়ালা পরিবারের ছেলে ছিল মজিদ।

আর এক বন্ধু হল জাহিদ। বড় হয়ে সে টাক জাহিদ নাম ধারণ করেছিল। পার্টিতে এটা ওর গোপন নাম। আমার আর এক বন্ধু ছিল টুটুল। ওর বাবা ছিলেন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। আর একজন বন্ধু ছিল খালেক। এরাই আমার খুব কাছের মানুষ ছিল। হৃদয়ের অনুভূতি ঐ বয়সে এদের সাথেই আদান-প্রদান করতে ভালো লাগল।

এই এলাকায় একটা পরিবার ছিল। সেটার নাম ছিল মজুমদার বাড়ি। কর্তা লোকটির নাম ছিল রইস মজুমদার। ওদের ছেলেদের সাথে আমাদের বাড়ির সবার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। এই পরিবার '৭১ এ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। ঐ প্রভাবশালী রইস মজুমদারের বিরাট এক বাগানওয়ালা বাড়ি ছিল। সেখানে একটা চার পাশে বাঁধানো দীঘি ছিল। সেখানে একজন শিক্ষক থাকতেন ঐ বাড়িতে। লজিং। আমি বিকেলে তার কাছে পড়তে যেতাম। আর ঐ রইস মজুমদার লোকটার ছেলেরা ভয়ংকর ছিল। আমরা যে বাড়িতে ভাড়া থাকতাম, সেই প্রফেসরের তিন মেয়ে ছিল। তাদের বড় মেয়েটিকে রইস মজুমদারের এক ছেলে জোর করে তুলে তার বাড়িতে নিয়ে বিয়ে করে। যদিও পরে সবাই মেনে নিতে বাধ্য হয়। ওই বাড়ির কাজের লোক, দারোয়ান থেকে শুরু করে ওদের আত্মীয় স্বজন পর্যন্ত এলাকায় দাপট নিয়ে চলতো। আমি বুঝতাম না, গ্রামের লোকেরা বেশিরভাগই অশিক্ষিত, তারা ভালোমন্দ বোঝেনা, ঠিক আছে,এই যে শহরেও যুবসমাজের ভিতরে অস্থিরতা, এটা কেন? এটা আমাদের গ্রামের সেই চেয়ারম্যানের ছেলেদের থেকে কম কোথায়? সব দেখেশুনে এক একদিন আমিও অস্থির হয়ে যেতাম। চারপাশ দেখে আমার মনের অবস্থাটা ধীরে ধীরে জটিল হচ্ছিল । মানুষের অন্যায় প্রতাপ জাহির করা সহ্য করা উচিত ও না, এক পর্যায়ে গিয়ে সম্ভব ও না। কিন্তু এই বাড়ির সাথে আমাদের পরিবারের কোন দন্দ্ব ছিল না।

আমরা এখানে চার বছর ভাড়া ছিলাম। পরে আরো একটু সামনে বাবা যায়গা কিনেছিলেন। সেখানের বাড়িটা হবার পর আমাদের স্থায়ী একটা বাড়ি হয়।

আমার বন্ধুদের সাথে ঐ সময়ে রাস্তার পাশে খাল ছিল (যা এখন ময়লার নালা, পাশে সব মার্কেট ) সেখানে বন্ধুদের নিয়ে ডুবাডুবি করতাম আর কত কিছু খেলতাম, সাত চারা, দাড়িয়াবান্ধা, সিগ্রেটের প্যাকেট দিয়ে তাস, মার্বেল, লাটিম, গুলতি দিয়ে পাখি মারা, ডাংগুলি। খেলা আর খেলা। সব বন্ধু এক সাথে টই টই করে ঘুরে বেড়ানো।! আর ছিল সাইকেল চালানো শিখবার খুব দুরন্ত শখ। কারো কাছ থেকে সাইকেল নিয়ে চালাতাম। ফুটবল খেলতাম, ক্রিকেট খেলতাম। বন্ধুদের ভিতরে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বাবাওয়ালা বন্ধু ছিল। নানান আঞ্চলিকতা, নানান ভাষা নানান অভ্যাস, আর্থিক অবস্থাও নানান। তাই আমাদের ভিতরে মারামারি চলত প্রায় প্রতিদিনই। তবে সবাই আবার এক সাথে না হলে মনে শান্তিও পেতাম না। অন্য এলাকার সাথে ফুটবল খেলা হত শিল্ডের খেলা। সে কি উত্তেজনা! বন্ধুদের ভিতর এবং এলাকা ভিত্তিক আবাহনি মোহামেডানের সমর্থন নিয়ে উত্তেজনা, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দুরন্ত গতিতে জীবনকে যেন উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা উল্লাসে উচ্ছ্বাসে সামনের দিকে যাচ্ছিলাম। জানা ছিল না সামনে কী আছে!

সেবার, সময়টা ঠিক মনে নাই, আমাদের বন্ধ টুটুলের পাপ্পু মামা বেড়াতে এসেছিলেন ওদের বাসায়। মামা কলেজে পড়েন। টুটুল আমাদের দুই একজন কাছের বন্ধুকে বন্ধ ওদের বাসার পিছনে বাঁকা নারিকেল গাছটার আড়ালে নিয়ে গিয়ে পাপ্পু মামার গোপন পরিচয় জানালো। প্রতিজ্ঞা করালো আর কাউকে বলবো না। তবে আরো দুই একজন বন্ধু জেনে ফেললো। আমরা আমাদের ঘরের কারো কাছে কিছুতেই প্রকাশ করবো না শর্তে জানলাম পাপ্পু মামা রাজনীতি করেন!

টুটুল পাপ্পু মামার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিল। আমরা অবাক হলাম, হালকা পাতলা শ্যামলা একজন হাসিখুশি মানুষ! যত কঠিন ব্যাপার শুনেছি তার সাথে মিলাতেই পারলাম না। আমরা আরো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। একটু যা গা ছমছম করছিল তা কোথায় চলে গেল। পাপ্পু মামাকে ঘিরে গোল হয়ে বসে আসরের পর আসর হতে থাকল। মামার ছোটবেলা, স্কুল, জংগলের পথের শেষ দেখতে গিয়ে পাহাড়ের একলা ঘরের রহস্যময় একলা মানুষটার সাথে দেখা - মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধের পরের অশান্ত দিন, মানুষের কষ্ট, মনের মধ্যে বিদ্রোহীর জন্ম - আমাদের চোখে এক নতুন জগত ধরা দিল। নতুন কত শব্দ জানলাম। আন্ডারগ্রাউন্ড, মীটিং, কালোবাজারী, অ্যামবুশ, স্যাক্রিফাইস..। আবার কত রকম অস্ত্রের ও নাম শুনলাম। মামা বললেন, ' দেশ সবার। ছোটরাই একদিন বড় হয়ে দেশ চালায়। ছোট থেকেই মনে মনে দিক ঠিক করে নিতে হয়। ' আরো অনেক কথা। নিজেদের অলক্ষ্যে মনে মনে আমরা বিপ্লবে নাম লিখালাম। সব নতুন করে করবো! সব বদলে দেবো আমরা! নিজেদের মনের গভীরে গভীর জলের গম্ভীর শব্দ পাই। খেলাধুলা হচ্ছিল, দুরন্তপনাও কমেনি, তবু মাঝে মাঝে চুপচাপ বসে নানান ভাবনায় ডুব দিতে শুরু করলাম।

এই সময়ে এলাকায় এক মহা আয়োজন হলো। আবাহনীর বিরুদ্ধে মোহামেডানের বিজয় উপলক্ষ্যে এলাকার মোহামেডান সমর্থকেরা এলাকাবাসীর সাথে আনন্দ উৎসব আর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উদযাপন করবে। প্রিয় দলের বিজয়। বাবার অনুমতি নিলাম। বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে গেলাম। পাপ্পু মামা আছেন।

বক্তারা একে একে বক্তব্য দিতে দিতে রাত হয়ে গেল। কারো কারো গলা এমন কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল এখনি বলে বসবে, " বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার মহান অধিপতি.. "

কেউ কেউ কথা ভুলে শুরু শেষ সব গোলমাল করে তাড়াহুড়া করে নেমে গেলেন স্টেজ থেকে। কাউকে কাউকে মনে হল দুই চারজনে চ্যাংদোলা করে স্টেজ থেকে ফেলে না দিলে আর নামবে না। অনেক খিদে পেয়েছিল। বক্তৃতা শেষ। দেশের গান হচ্ছে,' এই পদ্মা, এই মেঘনা... ' যে মেয়েটা গাইছে তার বয়স আমাদের কাছাকাছি। খেয়াল করলাম, আমি গান খুব একটা পারি না। হঠাৎ আমাদের ডানপাশ থেকে গোলমাল শোনা গেল। চেয়ার নিয়ে সমস্যা। ভলান্টিয়াররা মিটমাট করিয়ে দিল। একজন এসে টিংকু আর আরেকটা অচেনা ছেলের চেয়ার দুটো নিয়ে দুজন লোককে দিল। টিংকু কে আমার পাশে জায়গা দিলাম। অন্য ছেলেটা গট গট করে হেটে চলে গেল। পাপ্পু মামা ছেলেটাকে নিজের পাশে বসার জন্য ডাকলেন। সে ফিরেও তাকাল না। মামা ভলান্টিয়ারকে বললেন, ছোটদের জন্য স্টেজের সামনে তেরপল বিছালেই ভালো হতো। ভলান্টিয়ার চলে গেল।

অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফিরছি, হঠাৎ অন্ধকার ফুঁড়ে পাপ্পু মামাদের বয়সী দুই দল মারমুখী ছেলের মাঝখানে পড়ে গেলাম। কথার তোড়ে জানা গেল, মজুমদার বাড়ির মেহমানকে অপমান করা হয়েছে। চেয়ার হারানো অচেনা ছেলেটা! সে ঘরে ফিরে বলার পর লোক গিয়েছিল অনষ্ঠানে। আয়োজকদের মধ্যে কেউ একজন তাকে বলেছে 'এখানে সবাই সমান'। বললেইতো আর সমান হয় না। মজুমদার সাহেব চাঁদা দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বিপদ বুঝে আয়োজকরা এলাকায় তাদের কিছু বড় ভাইকে জানিয়েছে। তার ফল এই যুদ্ধ! মামা আমাদেরকে ভেড়ার পালের মত আগলে একটা বন্ধ দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে ওদের কাছে ফিরে গেলেন। তুমুল বাক বিতন্ডা আর হাত পা ছোড়াছুঁড়ির পর সবাই ঠান্ডা হলো। কেউ রাগী মুখে, কেউ হাসিমুখে, কেউ কেউ পাপ্পু মামার সাথে হাত মিলিয়ে যে যার পথে চলে গেল। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম, লাঠিসোটা হাতে এতগুলি লড়াইবাজের মধ্যে খালিহাতে দাঁড়ানো মামা শুধু কথায় দুটো দলকেই পরাজিত করলেন!

সেই রাতে অনেক ভেবেছি, যদি ওরা কিছু না শুনে মামাকেই মারতো! কিম্বা যদি নিজেরাই মারামারি করতো! মামার কি অবস্থা হতো! কথার কত জোর তা ও জানলাম সেদিন।

সেই জোরের কথা ভেবেই হয়তো আজ এই ডায়রি লিখছি।

মামা আরো বড় হিরো হয়ে গেলেন আমাদের কাছে। সেই রাতে আমাদের ও সাহস বেড়ে গেল অনেক। মনে হল জীবনে যে যুদ্ধই হোক, জিতবো।

কিন্তু একথা তখন মনে আসেনি, যুদ্ধ যদি নিজের সাথে হয়?

অনুষ্ঠানের ঘটনায় পরে আয়োজকদেরকে মজুমদার সাহেবের কাছে মাফ চাইতে হয়েছিল। যখন বাবাকে বললাম, 'দোষ তো মজুমদারদের বেশি ছিল, ওদের মাফ চাওয়া উচিত ছিল না?' 'উচিত অনুচিত, কতটা ন্যায় বা অন্যায় তা বড় কথা নয়, শান্তির জন্য(!) মানুষকে অনেক কিছুই করতে হয়, বাবা গম্ভীর মুখে এ কথাটা বলেছিলেন। আমি অবাক হয়ে বাবাকে দেখেছিলাম। বাবা বদলে গেছেন!

তখন আমরা সামাজিক স্তর বিন্যাস, যাপিত জীবনের স্বরূপ, মানুষের শ্রেণী বদল,শ্রেণী সংঘাতে জর্জরিত সমাজ, মার্ক্স , লেনিন, স্ট্যালিন, মাও সে তুং, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র কিছুই বুঝিনা। আমরা শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলাম।

তখন দেশে জিয়ার আমল। এই সময়ে মনে হয় চরমপন্থী দলগুলোর এক অংশ নিজেদেরকে সাময়িক নিষ্ক্রিয় করে জিয়ার সাথ দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিল।

মিথিলা বাবু!

আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা সত্যকে নিজের একটা নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেই সিদ্ধান্ত নিই। অন্য দিক থেকে কেমন দেখায় তা যেমন দেখিনা তেমন, তাতে কারো ওপর অবিচার বা অত্যাচার হলো কিনা খেয়াল করি কমই। এমনকি কিছু সুবিধাভোগের লোভে মিথ্যাচারেও লজ্জা হয় না আমাদের। প্রতিবার দেশের শাসক বদলের সাথে সাথে দেশের ইতিহাস আমূল বদলে যায়। অথচ নিজেদের মংগলের জন্যই আমাদের সত্য জানা দরকার। ভুল তথ্য নিয়ে যা কিছুই পরিকল্পনা করা হোক না কেন, রেজাল্ট ভুলই হবে। সঠিক ইতিহাস দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবারই জানা দরকার। তোমরা যারা নতুন, তারাতো কোন নির্দিষ্ট দলের না, মতের না। সবার সব মত,সব পথ জেনে, বুঝে নিজের পথ বেছে নিতে হবে তোমাকে। প্রয়োজনে নতুন পথ করে নিতে হবে। ধ্রুবতারা দেখে দিক ঠিক করে নিও। ভুল না হোক। স্বাধীন চিন্তায় বেড়ে ওঠার জন্যই সবার কাছ থেকে আগলে রেখেছি সারাজীবন। ভাবো। আরেকটা কথা বলি, বন্ধু বাছতে সতর্ক থেকো। শত্রুর চেয়ে বন্ধু অনেক বেশি কাছে আসতে পারে।

আমার সেই বন্ধুদের ভিতরে পরবর্তীতে টিংকু, জাহিদ, টুটুল ও মজিদ চরম্পন্থীতে যোগ দেয় এবং টুটুল ছাড়া সবাই মারা যায় যুবক বয়সে। এখন বুঝি,ছেলেবেলায়ও ওদের মধ্যে শ্রেণী সচেতনতা ছিল স্পষ্ট। তখনো যখন কেউ অন্যায় করতো, এরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতো। শ্রেণী বিভাজন, সামাজিক অবক্ষয়, মূল্যবোধ এসব শব্দ খেয়াল করেছি অনেক পরে। কিন্তু সমাজতো উপস্থিত ছিল সব সময়ই। তার ভালো মন্দের সাথে জীবন জড়িয়ে ছিলো ওতপ্রোতভাবে। Rose Good Luck

(ক্রমশঃ)

বিষয়: সাহিত্য

১০২৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

288770
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : চালিয়ে যান.. Thumbs Up Good Luck Good Luck
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২১
232458
মামুন লিখেছেন : সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।Good Luck Good Luck
288773
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
কাহাফ লিখেছেন :
জীবনের নির্মমতায় কখনো সত্যের পুর্ণরুপ না দেখে একাংশকেই চরম মনে করে মানুষ সিদ্ধানে উপনিত হয়ে যায়! যা তাকে ব্যর্থতার অতলেই নিমজ্জিত করে শুধু!
একসাথে পড়তে পারলে অনুভূতি কে আরেকটু ঝালিয়ে নেয়া যেত!
ভাল লাগার মুগ্ধতায় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইর জানাই!! Rose Rose
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৬
232481
মামুন লিখেছেন : আপনি সবগুলো পর্ব লিখা শেষ হলে আমার ফেসবুক একাউন্টে গিয়ে নোটগুলোতে এক সাথে পড়তে পারবেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।
বারাকাল্লাহু ফিকুম।Good Luck Good Luck
288795
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১০
সন্ধাতারা লিখেছেন : Chalam vaiya. The essence of beauty is present in your writing. Jajakallahu khair.
২৭ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
232564
মামুন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপু।
অনেকদিন হল আপনার লিখা পাচ্ছি না ব্লগে। আপনার লিখা পড়বার অপেক্ষায় রইলাম।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বারাকাল্লাহু ফিকুম।Good Luck Good Luck
288820
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩২
নাছির আলী লিখেছেন : আস সালামু আলাই কুম।ভাই ঘুমের টাইম চলে যাচ্ছে পড়ে পড়বো ইনশা আল্লাহ
২৭ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
232566
মামুন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আওসালাম ভাই।
ঘুম সবার আগে। উঠে ফ্রেশ হয়ে ধীরে সুস্থে পড়ুন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Good Luck Good Luck
288850
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
আফরা লিখেছেন : ভাল লাগল তবে ছবিটা দেখে গা শির শির করছে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২৭ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩১
232567
মামুন লিখেছেন : মানুষ উড়তে চায়, তার স্বপ্নে, চিন্তা-ভাবনায় এবং অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবেও। আপনার কি উচ্চতাভীতি রয়েছে? তবেই না গাঁ শির শির করার কথা।
ভালো লাগা রেখে গেলেন, অনেক ধন্যবাদ।Good Luck Good Luck
288979
২৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৯
ফেরারী মন লিখেছেন : ভুল তথ্য নিয়ে যা কিছুই পরিকল্পনা করা হোক না কেন, রেজাল্ট ভুলই হবে।

ইতিহাসের চরম সত্য কথাটা বলেছেন। ধন্যবাদ। সুন্দর লেখনি চালিয়ে যান।
২৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৪
232703
মামুন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সাথে রইলেন,অনুভূতি রেখে গেলেন,আর কি চাই!
ভালো থাকুন সবসময়।
আল্লাহপাক কবুল করুন-আমীন।Good Luck Good Luck
289053
২৮ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:১১
নাছির আলী লিখেছেন : জীবন চলার পথে উস্থান পতন আসতেই পারে সকল দিক বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ব্দান্ত নিতে পারলে সফলতা আসবে।
২৮ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
232850
মামুন লিখেছেন : সাথে থেকে সুন্দর অনুভূতি রেখে গেলেন, অনেক ধন্যবাদ।Good Luck Good Luck
289548
২৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম!
চালিয়ে যান সাথেই আছি!
২৯ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬
233300
মামুন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।
সাথে রয়েছেন জেনে ভালো লাগল।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো...Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File