পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-৩)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:২৯:৫৮ সকাল
আমার মিথিলা বাবু!
এটা গতানুগতিক ডায়েরি না। এটা ডায়েরিতে লিখা আমার অনুভূতি। দিন তারিখ সময় বিহীন এই ডায়েরি মানুষের চিরন্তন সময় বদলের কাহিনী। আগেও অনেকে লিখেছে। এখনো লিখছে। ভবিষ্যতেও লিখবে - নিজের মত করে। হয়তো তুমিও লিখবে এক সময়। এটা তোমার বাবার জীবনের গল্প। এই তোমার মাটি। তোমার জল, হাওয়া, রোদ। এ থেকে তোমার যা কিছু দরকার নাও। বড় হও। আমার, তোমার মায়ের - আমাদের অস্তিত্ব থেকে তোমার এই পৃথিবীতে আসা। তবু তুমি এখন একজন নতুন মানুষ। পুরনো আমাদের মন্দ অনেক কিছু তোমার জীবন থেকে দূরে রাখতে গিয়ে অনেক ভালো কিছু থেকেও হয়তো তোমাকে বঞ্চিত করেছি। এখন বড় হয়েছো। ভালো মন্দ বুঝতে পারছো। তোমাকে আমাদের সময়টা দিলাম। এতে মিশে যাও। এরপর এ থেকে নিজের মত করে যা ভালো নিয়ে নিজেকে পুর্ণ করে নাও। এ এক আয়নাও। এতে দেখতে নিজেকে তোমার অন্যরকম লাগছে না?
মিথিলা বাবু!
আমি কিন্তু তোমার মত হাসপাতালে জন্ম নেইনি। আমার জন্ম আমার দাদাবাড়িতে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে। রহস্যময় কাঠের দোতলা বাড়িতে। বড় ও হয়েছি গ্রামে। কেরোসিনের ল্যাম্প ও হ্যারিকেনের আলোয় আমরা লিখাপড়া করেছি। বড় একটা উঠান ঘিরে বড় পরিবার। বড় বড় টিনের চৌচালা চারটা ঘরের প্রশস্ত উঠানটা ফসল তোলার দিনে গোবর দিয়ে লেপা থাকত। সেখানে ধান মাড়াই হতো গরুর মুখে ঠুসি লাগিয়ে। শোরগোলে কাটতো দিন। ছেলেমেয়েরা উঠানের এক কোণে রান্না বান্না কিংবা ইচিং বিচিং চিচিং চা খেলতো। কেউ কেউ দাড়িয়া বান্ধা কিংবা ডাংগুলি খেলতো।
আমার শৈশবের গ্রাম নিখাদ নিসর্গ। সূর্য উঠার সাথে সাথে দিনের কর্মচাঞ্চল্য শুরু হতো। সুর্য ডোবার সাথে সাথে দিনের কোলাহল, ব্যস্ততা শেষ হতো। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পৃথিবী নিঝুম হয়ে যেতো। পুর্ণ বিশ্রাম আর পরের দিনের জন্য যা কিছু চাওয়ার তা নিজের কাছে পরিষ্কার করে নেবার জন্য আমাদের যথেষ্ট সময় থাকতো। সারাদিনে যা কিছু দেখতাম, শুনতাম, জানতাম, বুঝতাম তা থেকে হাজার প্রশ্ন জন্মাতো। মা'কে, বাবাকে, দাদুকে - যখন যাকে পেতাম তার কাছেই জানতে চাইতাম। সেইসব উত্তরগুলি একটার সাথে জোড়া দিয়ে জীবনকে বোঝার চেষ্টা করতাম। তোমার মনেও নিশ্চয় এমনি প্রশ্ন জন্মায়। সেই প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য আমি, তোমার মা - কেউই সেভাবে সময় দিতে পারিনি। নিজেকে দোষী মনে হয় মিথিলা বাবু। তোমার চারপাশে আপু,ভাইয়া, দাদুভাই, দাদুমণি, নানুভাই, নানুমণি,ফুপী, খালামণি কাউকেই রাখতে পারিনি।
তোমার দাদুভাইয়েরা তিন ভাই ছিলেন। আমার বাবা এদের ভিতরে আর্থিক দিক থেকে সবচেয়ে গরীব ছিলেন। বলেছি তো, এই তিন পরিবারের চারটি টিনের ঘর ছিল। বড় চাচার ছিল দুইটি ঘর। সব ঘর বাইরে থেকে দেখতে একই ছিল। সব ঘরের উপরে টিনের শীর্ষে ছিল চাঁদ তারার নক্সা করা। আর বিভিন্ন ডিজাইন করা, কাঠের সিড়িটাও দেখতে অপুর্ব ছিল। উপরে তোমার বড় দাদার বাড়িটায় দোতলায় চারপাশে ছিল বারান্দা। আর বিভিন্ন ডিজাইন করা, কাঠের সিড়িটাও দেখতে অপুর্ব ছিল। সেখানে ছেলেবেলায় এত দুরন্তপনা করতাম! একবার পড়ে গিয়ে কত কান্ডই না হল।
আমাদের বাড়িটাকে সবাই হাওলাদার বাড়ি বলত। বাড়ি থেকে আমাদেরকে কত দূরে গিয়ে স্কুল করতে হতো! দল বেঁধে স্কুলে যেতাম। কি শীত, কি গ্রীষ্ম কি বর্ষা- কখনো কামাই দিতাম না। স্কুলে যাবার জন্য প্রয়োজনীয় পোশাক সকলের থাকতো না। যাবার সময়ে বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে শীতের দিনে কুয়াশায় কতবার যে কতজন সরু খালের পানিতে পড়ে যেতাম। তবুও আমাদের উদ্দামতা কমতো না। বরং তাতে উচ্ছ্বাস যেন বেড়ে যেতো।
গ্রামের মানুষের কি বিচিত্র সাংসারিক জীবন ছিল! কিছু বুঝতাম। আবার কত কিছু বুঝতাম না। এখন বুঝি, এখন ভাবি, কত সুন্দর ছিল মানুষের জীবন! রাগ, অনুরাগ, উদ্বেগ, উৎকন্ঠা, স্বপ্ন , নিরন্তর চেষ্টা, ব্যর্থতা, কান্না,সফলতা, হাসি-আনন্দ উচ্ছ্বাস ! সাদাসিধা, তবু উজ্জ্বল। স্বাস্থ্যকর।
আমাদের বাবা মায়েরা কখনো কেউ কাউকে ভালোবাসি বলেছে - এমন স্মৃতি আমার নেই। তবু তাদের সুখ দু:খের নি:শব্দ ভাগাভাগিটাতে একের জন্য অন্যের শ্রদ্ধা, টান, স্যাক্রিফাইস বড় স্পষ্ট ছিলো। তাদের চিন্তাগুলি, কথাগুলি ছিলো হয়ত নিতান্তই আমাদের থাকা খাওয়া সুখ অসুখ বা পড়ালেখা - বড়জোর আমাদের ক্যারিয়ার সম্পর্কিত -তাই দিয়ে যে সংসার তারা গড়েছিলেন তার মহিমা আমরা হয়ত ভুলে যাচ্ছি। বিশ্বাস,নির্ভরতা আর বিশ্বস্ততায় বছরের পর বছর ধীরে ধীরে মহীরুহ হয়ে ওঠা বাবা মায়ের সেই প্রেমকে তারা র্যাপিং কাগজে মোড়ানো দামী উপহারের মতই লুকিয়ে রাখতেন। সকলের চোখের আড়ালে মাটির নিচে নিরবে বইতো তাদের ভালবাসার ফল্গুধারা। আমরা তার জল হাওয়ায় সতেজ স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে উঠেছি। তোমাকে সেই শান্তির ছায়া দেবার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেছি মিথিলা বাবু! যদিও পুরনো সময় যাওয়ার সময় অনেক কিছুই নিয়ে গেছে।
আমার প্রথম স্কুল ছিল দেশের সেই সময়ের যে কোন প্রাইমারি স্কুলের মত। বাউন্ডারিহীন সবুজ ঘাসের মাঠের সাথে একতলা সাদা টিনশেড বিল্ডিং। টানা খোলা বারান্দা, খোলা মাঠ, খোলা নীল আকাশ আর সবুজ পাতার ঝাঁকে খোলা হাওয়া। শিক্ষকদের প্রাণখোলা হাসি, আদর, কঠিন শাসন, শিখানোর অদম্য অফুরন্ত চেষ্টা - প্রকৃতির যে কোন কিছুর মতই প্রাচুর্য্যে ডুবিয়ে ভাসিয়ে রাখতো আমাদেরকে। এমনকি স্কুলের দপ্তরিরাও আমাদের শিক্ষকের মতই আমাদেরকে আগলে রাখতেন। আসলে পৃথিবীর সবাই, সব কিছুই যেন আমাদেরকে গড়েপিটে নিতে নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছিল। আমাদের স্বপ্নগুলিও তাই সবাইকে নিয়ে, সবকিছু নিয়ে। আমাদের অবারিত সেই জীবনে ওই শক্ত বাঁধন আর তোমাদের এই সময়ের বাউন্ডারীময় জীবনে অবাধ চলাচল - যেন উল্টো ভাবে এক।
বড় বড় গাছগুলির মত আমাদের স্বপ্নগুলি ও ছিল বড় বড়। তাতে অনেক শাখা প্রশাখা - অনেক পাতা- অনেক ফলের সম্ভাবনা ছিল। যখন আমি টু কি থ্রিতে -বিটিভি তখন একমাত্র টিভি চ্যানেল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে কোদাল। দেশের নারী পুরুষ একসাথে হাত লাগিয়েছে। তারা মাটি তুলে নিয়ে খাল বইয়ে দিতে দিতে ব্যাক গ্রাউন্ডে বাজতো "প্রথম বাংলাদেশ! আমার শেষ বাংলাদেশ! জীবন বাংলাদেশ! আমার মরণ বাংলাদেশ!" গ্রামে গ্রামে সাড়া পড়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের তরতাজা স্মৃতিমাখা দেশটাতে মেয়েদেরকে নিয়ে এই দ্বিতীয় বিপ্লব আমার শিশু চোখে কাছাকাছি সময়ে সুখী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাতো। সমস্ত আবেগ নিয়ে বড় হবার জন্য ছটফট করতাম। কখন বড় হবো! কখন দেশের জন্য কিছু করবো!
সেই দেশ আছে। আমরা বড় হয়েছিলাম। কি করে যেতে পারলাম জানিনা। তোমরা কি আমাদেরকে দোষী ভাবছো? ব্যর্থ ভাবছো? যথেষ্ট চেষ্টা করিনি ভাবছো?তোমাদের সময়টা কি আমাদের সময়ের চেয়ে অনেক সামনে চলে গেছে? হয়তো পিছনের মানুষ আমরা, তবু তোমাদের পথের শুরুটা আমাদের এলোমেলো পায়ে চলা থেকেই। তুমি কি এভাবে ভাবো মিথিলা বাবু? তোমাদের রাজপথের পীচের নিচে আমাদের কাচা মাটির পথ এখনো আছে। তার ধুলোমাটির ঘ্রাণ পাও?
এখন থেকে দুই যুগের ও আগের খুলনার একটা গ্রাম। সহজ সরল গ্রাম্য জীবনযাত্রা। তাতেও জটিলতা ছিল। আমার জীবন চলার পথে ঐ শৈশবেই দেখেছি মানুষের ভিতরে অর্থকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অসঙ্গতি।
বড় চাচার বাড়িতে প্রতিদিনই ভালো ভালো রান্না হতো। সেগুলোর ঘ্রাণ আমাদের বাড়িতে মা বাবা তাদের দুই সন্তানের জন্য প্রতিদিন এই খাবার সংগ্রহ করতে পারতেন না। আমি ও ছোট। তোমার চাচু তখন শিশু। মাকে জিজ্ঞেস করতো ,' মা , আজ আমাদের ঘরে মুরগী রান্না করেছো?' বা হয়ত বলে বসতো, 'মাংস খেতে ইচ্ছে করছে'। মা এক একদিন কাঁদতেন। এক একদিন রাগ করতেন, ' তোমাদের যা আছে তা কি সবার আছে? নিজেরটা নিয়ে খুশি হও না কেন?' বাবা কোন কোনদিন বোঝাতেন, ' অন্যের জিনিসে চোখ দিতে নেই'। বাবার কত অসহায় লাগতো এখন তা বুঝি। তাদের কষ্টগুলি সীমাহীন হতো অন্য দুই পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্য আর প্রাচুর্যের সাথে অসম প্রতিযোগিতায়। মাঝে মাঝে চাচীরা এটা ওটা দিলে মা আরো সংকোচ করতেন। জানতেন তিনি এর সমান কিছু দিতে পারবেন না। তবু কখনো পিঠা পায়েস করতে পারলে দিতেন। সেই সময় মায়ের মুখটা হাসিতে আলো হয়ে থাকতো।
এদের ভিতরের সুপ্ত ভালোবাসা মাঝে মাঝে চোখ মেলতো যা অর্থের নিরিখে এক ধরণের দূরত্ব ধরে রাখত। এই তিনটি পরিবার যারা থাকত এক সাথে তবু তাদের খাবার ছিল আলাদা, ঈদ কুরবানে বিয়েশাদীতে যাদের পোশাকে আশাকে তারতম্য হতো - পাশের বাড়ির সাথে সীমানা নিয়ে বিরোধে কিম্বা তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণকে বড় করে ধরে ঝগড়া বিবাদে তিনটি পরিবার কিন্তু ঠিকই এক হয়ে যেতো। মাঝে মাঝে খুব মজার ব্যাপার হত।
একদিন প্রতিবেশী বাবুল চাচার মেয়ে খেলতে এসে পায়ে খুব ব্যথা পেলো। সন্ধ্যার ঠিক আগে কলসিতে পানি ভরে রাখতেন মা। সন্ধ্যায় খালি কলসি অকল্যান। মা উঁচু মাটির তাকে দুটো পেয়ালার মত গর্ত জায়গায় কলসি দুটো রাখতেন। কোমরের কলসিটা রাখছিলেন মা। আমি দেখছিলাম কলসি আর কলসি রাখার জায়গাটা কেমন খাপে খাপে মিলে এক হয়ে যাচ্ছে। কলসিটাকে মাটি থেকে বের হওয়া একটা পাতা ছাড়া গাছের মত লাগছিল। রান্নাঘরের দরজায় হঠাৎ বাবুল চাচীর চিকন বাজখাঁই আওয়াজ বোমার মত ফুটল, ' কে করল এই কাজ, সামনে আয়! '
মা চমকে হোচট খেলেন। চাচীর দ্বন্দ্ব আহবানে চমৎকৃত আমি তাকিয়ে দেখি উনার ফর্সা খাড়া নাকের নোলকটা কথার তালে তালে দুলছে! মুগ্ধ হয়ে বাবুল চাচীর নোলকের নড়াচড়া দেখছি,- মা যেন আস্তে করে কী বললেন, ভিতর ঘর থেকে আমার দুই চাচীই বের হয়ে আসলেন। বাইরে অন্ধকার হয়ে আসছিল। পাখিগুলি,কাকগুলি, দুই বাড়ির মহিলারা সবাই একসাথে যে যার কথা বলতে বলতে তুমুল শোরগোল শুরু হয়ে গেল।
অযুর পানি হাতে বের হয়ে যেতে যেতে দাদী বকলেন বাবুল চাচীকে, ' ছোট মানুষের কথায় বড় মানুষ কথা বলে? ' উনার ইশারায় আমরা সবাই অবাক হয়ে দেখলাম ছয় বছরের পাখি, বাবুল চাচার মেয়ে, যে তোমার চাচুর গুলতির গুলিতে পায়ে ব্যথা পেয়েছিল সে আর তোমার চাচু দুজনে এই অসময়ে একত্র হতে পেরে বাড়তি সময় খেলনাপাতি নিয়ে বসে গেছে!
বাবুল চাচী বোধ হয় লজ্জায় মেয়েকে টেনে হিচড়ে নিয়ে চলে গেলেন। মা আর চাচীরা কেউ মুখ টিপে হাসলেন, কেউ ঘোমটায় রাগ ঢেকে ফুঁসে উঠলেন। বাড়ির পুরুষেরা ইতিমধ্যে ঘরে ফিরেছেন। কারো হাতে বড় প্যাকেটে হয়তো কোন ভালো বিস্কিট, কারো হাতে দুটো চকলেট। মা বাবার হাত থেকে চকলেট দুটো নিয়ে আমাদের দুই ভাইয়ের হাতে দিলেন। চাচা চাচীরা তাদের ঘরে চলে গেলেন।
বড় চাচার হাতের প্যাকেটটার দিকে আমাকে তাকাতে দেখে মায়ের মুখ কিছু গম্ভীর হয়ে গেল। আবার হেসে মা বাবাকে সন্ধ্যার ঘটনা বলতে লাগলেন। বাবা শুনে প্রাণ খুলে হাসলেন।
এভাবেই দিন যেতো। একেকদিন একেক রকম।
(ক্রমশঃ)
বিষয়: সাহিত্য
১৩০১ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আধুনিকতা আর মেকি চাকচিক্যময় বর্তমান সভ্যতার বিপরিতে আবহমান গ্রাম-বাংলার প্রকৃতি ও স্বভাব এতো আকর্ষণীয় ভাবে উপস্হাপিত হয়েছে যে,লেখার শেষ প্রান্তে 'ক্রমশঃ' দেখে উপলব্ধি হল এতক্ষণ কোথায় ছিলাম!!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কল্পনাময় একটু সময়ে নিয়ে যাওয়ায়! জাযাকাল্লাহু খাইরান.....।
বারাকাল্লাহু ফীহ।
ভালো লাগলো এই পর্বও। ভালো লাগা রেখে গেলাম। আর আমন্ত্রণ পাঠানোর জন্য মোবারকবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো।
আর হ্যারী, তুমি নিয়ে যেতে চাচ্ছ, ওকে, নিয়ে নাও।
এই লিখাটা লিখতে খুবই কষ্ট হবে। কারণ এখানে গল্পের লেখক আমি, আর ডায়েরিটা লিখেছেন মিথিলার বাবা। তো আআম্র লিখার ধরনের বা স্টাইলটি অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে, যা ইতোমধ্যে শুরু করেছি। এভাবে অন্য একজনের লিখার স্টাইল নিজের ভিতরে ধারণ করা, সো টাফ। দেখা যাক কতদূর কি পারা যায়।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
ছবিটা তোমাকে দিয়ে দিলাম।
@যাত্রী ভাপু - দেখতেছেন না? এটা ৩য় পর্ব! অর্ধেক থেকে কি কেউ সিরিজ পড়ে? এ্যাঁ...?
অনুভূতি রেখে গেলেন, অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর লিখেছেন। ভালো লাগলো খুব।
শুভসকাল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন