অংকুশ
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:২৭:১০ বিকাল
অংকুশ
.
একদিন খুব দুরন্ত ছিলাম,
দলবেঁধে রাস্তার মোড়ে মোড়ে আর
গার্লস স্কুলের পাশের গলির শেষ মাথায়-
কাটতো সময় শুধু গল্পে-আড্ডায় আর
স্কুল ফেরত মেয়েদের দেখে সিটি দেয়ায়-
সিগ্রেট ফুঁকা আর হৃদয়ে একজন রোমিও হয়ে
কল্পনার জুলিয়েটের পিছু ধাওয়ায়।
.
কোনো একদিন সেই বখাটের সামনে দিয়ে
এক এলোকেশী বুকের ওপর দু'হাত ভাঁজ করে-
কৃষ্ণচূড়ার নীচে এসে দাঁড়ায় হেসে।
.
হরিণী চোখের ওপর এক গোছা উড়ন্ত কালো কেশ আর
শ্বেতশুভ্র দেহে গলার কালো সুতোয়,
ওড়নাবিহীন সেই তরুনী যেন পানি ঢালে
বখাটেপনার উচ্ছলতার আগুনে ।
.
পায়ে পায়ে ফিরে যাই সেই আমি,
হাতের সিগ্রেট আনে মুখে বিস্বাদ। আর
গলিগুলো চলে যায় বিস্মৃতির আড়ালে।
সিটিগুলো এখন আর বাজে না মোটেও
অপেক্ষায় বন্ধুরা সব ফেলে দীর্ঘশ্বাস।
.
চোখ খুললেই দেখি সেই এলোকেশী
তীর্যক চাহনিতে অণুক্ষণ রহস্যময় হাসি হাসে।
হৃদয়ে সুঁই ফোটানো ব্যথা আর
অনুভূতির বালুচরে জমে থাকা সব কষ্টগুলোকে
সাথে নিয়ে হয়ে উঠে এক নীল অপরাজিতায়!
.
আর একদিন সেই একই যায়গায় তাকে আমি দেখি
চুলে ঢেউ খেলানো এক সুদর্শনের সাথে।
.
মটর বাইকে চড়ে প্রচন্ড গতিতে ধাবিত হয় ওরা
আমার হৃদয়ের লাল রাজপথ ধরে।
সেদিনও সে ওড়নাবিহীন,
ভাঁজ করা হাতের নীচের সেই
সম্পদটুকু উন্মুক্ত।
.
কালো সুতো কালো কেশ আর
ঢেকে থাকা একটি চোখ।
আমার চোখের সামনে দিয়ে
সেই অন্য চোখটি সহ সে হারিয়ে যায়।
.
আবারও সেই চেনা বন্ধুদের সাথে
সিগ্রেট হাতে সেই গার্লস স্কুল আর
সিটির তীব্রতায় চমকে উঠা কিশোরির
চমক উপভোগরত এই আমি... সেই আমি।
এখনো যাকে তাড়িয়ে ফিরে
হৃদয়ে সুঁই ফোটানোর ব্যথা জাগানিয়া
সেই নীল অপরাজিতার স্মৃতি।।
বিষয়: সাহিত্য
১১৪১ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহু খাইর।
হৃদয়ে সুঁই ফোটানোর ব্যথা জাগানিয়া
সেই নীল অপরাজিতার স্মৃতি।।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আশাকরি কবিতার নায়ক কাল্পনিক!
আমার ব্যক্তিগত লিখাগুলো ছাড়া আর সবই কিছুটা আশেপাশের মানুষদের অনুভূতি থেকে নেয়া, কিছুটা দূরের গত হয়ে যাওয়া মানুষের থেকে নেয়া এবং বাকীটুকু সবই এই উদ্ভ্রান্ত মস্তিষ্কের কল্পনা।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
হদয় কে আন্দোলিত করে যায় অসাধারণ লেখনী। তবে 'বিশ্বাসী সাহিত্যিক' হিসেবে প্রতিফল কে প্রশ্নবিদ্ধ করবে.......!
জাযাকাল্লাহ খাইর।
চুলে ঢেউ খেলানো এক সুদর্শনের সাথে।---
সমবেদনা রইল! আমি হলে সুদর্শনের নাক ফাটিয়ে আগ্লি বানিয়ে দিতাম।
অনেক ভাল লেগেছে মামুন ভাই। আপনি পারেন ও!
আপনার সমবেদনাটুকু গ্রহন করলাম।
কিন্তু নাক ফাটালে যে সুদর্শনের চেহারা আর দর্শনযোগ্য থাকত না- এটা ভেবেই মানে মানে কেটে পড়লাম।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
কৈশোর-তারুণ্যের তৃতীয় নয়নের রং চেনার মত বর্ণবীক্ষণ আজো আবিস্কৃত হয়নি-
বিজ্ঞানের এ বড় অমার্জনীয় ব্যর্থতা!
নীল অপরাজিতাগুলো দিনশেষে তাই পথেই লুটায়
মন্তব্য করতে লগইন করুন