ভালবাসার সাতকাহন (ধারাবাহিক গল্পঃ পর্ব-৪)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:৪১:৪৯ সকাল
আজানের শব্দে ধ্যান ভাঙ্গে কণার।
বারান্দা থেকে মাথা নীচু করে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ায় সে। আসরের আজান দিয়ে দিলো?! এতটা সময় ধরে এখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে ভেবে অবাক হয়!
মেয়েরা কি করছে কে জানে।
গত সন্ধ্যা আর আজকের দুপুরটার মধ্যে ডুবে গিয়েছিল। এতো সুখী একটা সময় শুধু দুই একটা অসতর্ক শব্দের জন্য এমন করে নষ্ট হয়ে গেল।
সামান্যই ঘটনা। নাকি দুর্ঘটনা?
শিহাব বেড়ানো পাগল মানুষ। প্ল্যান করছিল ছুটির শেষ দিনটা কোথায় কোথায় যাওয়া যায়। কণা ঈদের কাপড়গুলোর মধ্যে থেকে বাছাই করছিল। শাড়ি যেটা পরতে চাচ্ছিল তার সাথে মিলিয়ে কোন গয়না নেই। এক জোড়া মাঝারি হিলের স্যান্ডেলও দরকার ছিলো। তাড়াহুড়ায় শাড়ির ব্লাউজও সিলাই করা হয়নি।
প্রত্যেকবার এমনই হয়। কিছু একটা গোঁজামিল দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়। যত বড় অনুষ্ঠানই হোক। সব ঠিক থাকে, শুধু কণার বেলায়ই এই অবস্থা। সবার খেয়াল সে রাখে, তার দিকে খেয়াল করার কেউ নেই। কিন্তু দোষ হলে ঠিকই খুঁজে পেতে ধরবে কেউ না কেউ।
মন খারাপ করে ঈদের দিন যা পরেছিল সেই সেলোয়ার কামিজই হাতে তুলে নিল। আয়রন করতে হবে। শিহাবের পাশ দিয়ে যাবার সময় মনের দুঃখ কি চেহারায় প্রকাশ পেল? কণার চেহারার পরিবর্তনটা শিহাব খেয়াল করল।
: এইটা ছাড়া কি আর পরবার মতো কিছু নেই?
শিহাবের কথার ভিতরে কি উষ্মা প্রকাশ পেয়েছিল? বলার টোনটিতে এমন কিছু ছিল, যা শুনে কণার ভিতরে মুহুর্তে এতদিনের ছোটখাট পাওয়া না পাওয়ার দুঃখ জাগানিয়া ব্যথা মনে খোঁচা দিলো। তাৎক্ষনিক রিএকশন হিসাবে ফস করে কণার মুখ দিয়ে বের হয়-
: কত দিয়েছ মনে হয়?
মেয়েদের সামনে কথাগুলো শুনে শিহাবের নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হয়। পরক্ষণেই লজ্জা, ক্ষোভ আর বিজাতীয় এক অনুভূতিতে জ্বলে উঠে। তবে একেবারে বেসামাল হয় না। বড় মেয়ের দিকে তাকাতেই সে নীরবে ওর রুমে চলে যায়। ছোট মেয়েও বড় বোনকে অনুসরণ করে।
কথার গোড়ায় গিয়ে সে কথা শুরু করে, " কি পাওনি? "
কণার মুখ তখন ঘোর অন্ধকার। হয়তো কাঁদত। কি ভেবে শিহাবের চেয়ে কঠিন গলায় বলল," তোমার তো জানার কথা! "
ব্যস। দপ করে জ্বলে উঠল দাবানল। দুই এক কথায় বাড়াবাড়ি। কে কখন কি পায়নি... কি ছেড়েছে... কার কোন আত্মীয় স্বজন কাকে কখন কী কষ্ট দিয়েছে... শ্বাশুড়ি বউ সম্পর্কের গুরুতর বিষয় ও... এভাবে হতে হতে এক পর্যায়ে গলার স্বর চড়তে চড়তে চিৎকার চেঁচামেচি... অনেক বেশীই হয়ে যায়। রাগে হাতের কাছে থাকা কাঁচের গ্লাসটি দেয়ালে ছুড়ে মারে শিহাব।
তারপর...
শোক উথলে চোখ ছাপিয়ে গাল মুখ ভাসিয়ে পানি নেমে এল অযত্নে গায়ের উপর পড়ে থাকা ওড়নায়। ভিজতে থাকল। না খাওয়া দুর্বল শরীরটা দু:খে কাঁপতে লাগল।
কে আছে কণার? সংসারে একমাত্র যে মানুষটাকে তার কষ্টের কথা বলতে পারত সেও এইই!
অথচ..
দুই একটা সুখী মুহুর্তের ছবি কান্নাটাকে আরো উস্কে দিল। পাহাড়ি ঝর্ণার মত দু:খ আর কান্না দুর্বার বইতে লাগল অনুভুতির উঁচু নিচু ভেংগে।
এক সময় শান্ত হল। নি:শব্দ ভাবনা হয়ে বইতে লাগল।
বইতে লাগল সময় ও।
: আম্মু খাবে না?
বড় মেয়ের ডাকে ধ্যান ভাঙ্গে কণার।
সেই কখন থেকে সে নিজেও না খেয়ে আছে। সাথে মেয়েরাও।
: রাইসাকে নিয়ে খাবার টেবিলে যাও। আমি আসছি।
একজন স্ত্রী মুহুর্তেই মায়ের রূপে ফিরে আসে। কিন্তু তাতে কি তার হৃদয়ের জ্বালা একটুও কমে? এই রূপান্তরে নিজের ভিতরের ভোঁতা অনুভূতিগুলো কি আগের সতেজ অবস্থায় ফিরে আসে?
দীর্ঘশ্বাসগুলো নামেই মাত্র দীর্ঘ। সেগুলোও কি আরো হ্রাস পায়?
নাকি মস্তিষ্কের ঝিল্লিগুলো হৃদয় নামের এক বিচিত্র মাংসপিণ্ডের ক্রমাগত সংকোচন-প্রসারণের বাইরে আরো কিছু বর্ণনাতীত কর্মকান্ডের দ্বারা রিফ্রেশ হতে চায়?
চিন্তা ভাবনাকে শিকেয় তুলে দিয়ে কণা জোর করে স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করে।
কিন্তু এতো অস্বাভাবিকতার ভিতরে বিক্ষিপ্ত মনকে সাথে নিয়ে তাও কি হওয়া যায়?
... ... ...
ঈদের দীর্ঘ ছুটির পর আজ অফিস খুলছে।
খোলার প্রথম দিনটি কেমন যেন অফিস অফিস মনে হয় না। ওদেরটা পোশাক কারখানা। ‘গার্মেন্টস’ বললেই হয়ত বেশী পরিচিত মনে হয়। এই একটা শব্দ সাধারণ এবং অসাধারণ –এ দু’শ্রেনীর মানুষের কাছে শ্রবণের প্রথম পর্যায়েই ভালো-খারাপ দুই অনুভূতিই রেখে যায়।
‘কি করেন আপনি?’ এই প্রশ্নের উত্তরে যদি বলা হয়-
‘ ভাই আমি একটা পোশাক কারখানায় গোলামি করি।‘ শুনে প্রথমটায় অনেকেই বলে ফেলবে-
‘ বুঝলাম না।‘
‘ ভাই গার্মেন্টসে চাকরি করি,’
‘ ওহ! গার্মেন্টস... তাই বলেন।‘
এই যে ‘ওহ! গার্মেন্টস’ শব্দটি বলার টোনে দু’ধরণের ভাবপ্রকাশ পায়। অনেকেরই ধারনা, যারা অন্য কোথায়ও চাকরি পায় না, তারাই এখানে আসে। সেদিন কে যেন বলেছিল নাকি কোথায় যেন পড়েছিল, “ ক্লাশের সব থেকে খারাপ ছাত্রটি কোথায়ও সুযোগ না পেয়ে শিক্ষকতায় চলে আসে। সে আরো খারাপ ছাত্র তৈরী করে এবং তাদের ভিতর থেকে সব চেয়ে খারাপ ছাত্রটি শিক্ষক হয়।“
এটি নিতান্তই কথার কথা। ভাবে শাহেদ। তবে এই কথার ভিতরে কি একটুও সত্যতা নেই? নিজের ডেস্কে বসে ভাবনার আরো একটু গভীরে প্রবেশ করে শাহেদ। খারাপ ছাত্রের শিক্ষক হবার ব্যাপারে মতৈক্য থাকলেও, কোথায়ও চাকরি না পেয়ে গার্মেন্টসে আসে সবাই, এটাও মানতে নারাজ সে। এই সাইবার যুগে পোশাক শিল্পের সেই আগের পরিবেশ আর নাই। এখন আর গার্মেন্টস বলতে নাক সিটকানোর উপায় নেই। প্রতিটি সেকশনেই এখন শুরুর দিকে ‘ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনী’ হিসেবে যাদেরকে নেয়া হচ্ছে সবাইই হয় এম.বি.এ করা নাহয় টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট। শাহেদ নিজেও ঢাকা ভার্সিটি থেকে এম.বি.এ শেষ করে বেশ আগেই এই কারখানাটিতে ঢুকেছে।
মোবাইল বেজে উঠতেই চিন্তা ছিন্ন হল শাহেদের।
ওর বাবার ফোন!
মনটা আনন্দে ভরে উঠল। এই গতকালই তো বাড়ি থেকে এসেছে। তারপরও...
কল রিসিভ করে... নিজের জনকের ।
পরিচিত ভরাট কণ্ঠস্বর শুনে ভালোলাগাগুলো যেন স্বর্গ থেকে আলোর গতিতে ছুটে এলো! অন্য কেউ ঠিক এই মুহুর্তে শাহেদকে দেখলে এক অপার্থিব আলোয় উদ্ভাসিত অন্য এক মানুষকে দেখতে পেত।
যে আনন্দের অনুভূতি নিয়ে বাবার সাথে কথা শুরু করেছিল, শেষ হল একটু অন্যভাবে। এই মুহুর্তে একটু চিন্তাযুক্ত মনে হচ্ছে শাহেদকে।
নিজের ডেস্ক ছেড়ে এইচ.আর ডিপার্টমেন্টের দিকে এগিয়ে গেলো। ওখানে শিহাব রয়েছে। সেই ঐ সেকশনের ম্যানেজার। ইচ্ছে করলে ফোনে শিহাবকে ডেকেও পাঠাতে পারত। কিন্তু কিছু কিছু কথা আছে, সেগুলো মোবাইলে বলা যায় না। শাহেদ এবং শিহাব একই ভার্সিটিতে পড়াশুনার সুবাদে অনেক আগে থেকেই বন্ধু। কিন্তু শাহেদ শিহাবের সিনিয়র এই কারখানায়। সে অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার। তাই অফিশিয়াল নিয়মানুযায়ী শিহাবেরই ওর সাথে দেখা করবার কথা।
নিজের রুমে চুপচাপ বসে আছে শিহাব।
ল্যাপটপ অন করা। ডান হাতে মাউস ধরে আছে। দৃষ্টি স্ক্রীণের দিকে। কিন্তু কিছু দেখছে বলে মনে হল না। বার বার মাউস দিয়ে রিফ্রেশ করছে।
শাহেদ কখন ওর সামনে এসে দাঁড়ালো সে টেরই পেলনা। গলা খাঁকারি দিতেই সম্বিৎ ফিরে পেয়ে উঠে দাঁড়াতে যেতেই শাহেদ হাতের ইশারায় বসে থাকতে বলে। নিজেও ডেস্কের সামনের চেয়ারটিতে বসে। হাসিমুখে শিহাবকে জিজ্ঞেস করে,
: কেমন আছ? ঈদ কেমন কাটালে?
: ভালো। তোমার?
: আলহামদুলিল্লাহ! কণা আর বাচ্চারা কেমন আছে?
: সবাই-ই ভালো আছে।
কথাগুলি ঠিকই ছিল, কিন্তু শিহাবের এই উত্তরটার ভিতর থেকে যে স্বতঃস্ফুর্ততা শাহেদ আশা করেছিল, সেটা পেল না। কেমন যেন অতিরিক্ত নির্লিপ্ত মনে হল শিহাবকে ওর কাছে।
জিজ্ঞেস করল,
: কি ব্যাপার? সব ঠিক আছে তো? এনিথিং রং?
এবারে হাসে শিহাব। মনের গ্লানিগুলো যা সে গত দু’দিন ধরে বয়ে চলেছে, এই হাসির সাথে উড়িয়ে দিতে চায়। বলে,
: আরে না, তুমি শুধু শুধুই ভাবছ। আসো কোলাকুলিটা সেরে নেই।
উঠে দাঁড়ায় শিহাব। দু’জনে বুকে বুক মিলায়। হৃদয়েও কি?
ফের যার যার আসনে বসে ওরা। কথার মোড় ঘোরাতেই শিহাব প্রশ্ন করে,
: ঈদে বাড়িতে গিয়েছিলে?
: হ্যা, গতকাল ফিরেছি।
সাধারণত ওরা দু’জন নিজেদের ভিতরে তুমি করেই বলে। কখনো কখনো তুইও চলে আসে। তবে অফিসে সবার সামনে আপনি।
একটু ইতস্তত করে শাহেদ জিজ্ঞেস করে,
: তুমি তো সাভারেই থাকো?
: হ্যা, হঠাৎ এ প্রশ্ন কেন?
: বড় ভাইয়া তোর এলাকাতেই শিফট হয়েছেন।
: কি বলিস! কোথায়? আমি তো শমশেরনগর আবাসিকে থাকি। রায়হান ভাই হঠাৎ এখানে? উনি না রামপুরায় থাকতেন?
: হ্যা। সে অনেক কথা। রুমা ভাবীর এক মামার প্লট আছে ঐ আবাসিক এলাকায়। সবাইকে নিয়ে সেখানেই উঠেছেন।
: কত নাম্বার প্লট?
: পাঁচ নাম্বার।
: আচ্ছা আচ্ছা।
: একটু খেয়াল রাখবি দোস্ত!
: তা কি আর বলা লাগে? এখন কি করছেন রায়হান ভাই?
: কিছুই না। তুই তো জানিস, রাগ করে চাকরি ছেড়ে দেয়া ওনার পুরনো অভ্যাস। বাবা’র সাথে রাগ করে বিয়ের পর সেই যে বাড়ি ছাড়লেন...
: বাদ দাও দোস্ত। আমি খেয়াল রাখব। এখানে আমাদের এসোসিয়েশনে যারা আছে, সবার সাথেই আমার ভালো সম্পর্ক। তুমি চিন্তা করনা।
শাহেদ নামের একজন তার বড় ভাইকে নিয়ে চিন্তা করে। ছোট ছোট সমস্যা মানুষের জীবনে থাকেই। কিন্তু সমস্যাগুলোকে অলস ফেলে রাখাতেই সেগুলো এক সময়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। রায়হানের বেলায়ও তেমনই হয়েছিল। সে এখন নিজ পরিবার থেকে এতোটা দূরে সরে এসেছে যে, চাইলেও এখন আর ফিরে যেতে পারে না। আগের সেই সুরটি কেটে গেছে। আর বেসুরো বাজনায় কেউ কি আনন্দ পায় ?
জীবনটিও একটি সুরের মত। সেখানে সম্পর্কগুলো সুরের এক একটি যন্ত্রাংশ। সম্পর্কগুলো একত্রে যার যার তালে বেজে চললে মোহনীয় সুর বেজে চলে। যে কোনো একটির ছন্দপতনে পুরো সুরটি-ই নষ্ট হয়ে যায়।
শিহাবও সমস্যায় রয়েছে। কণাকে নিয়ে। এভাবে সম্পর্কগুলো কেন জানি সমস্যার নিগড়ে বন্দী হয়ে ধুঁকছে। এই নগরজীবন যতটুকু আমাদেরকে দিচ্ছে, ঠিক ততোটুকুই কেড়েও নিচ্ছে... সম্পদের আড়ালে সুখ হারিয়ে যাচ্ছে...
বড় হবার প্রতিযোগিতা আর আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবের জন্য একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেঙ্গে শহুরে ইউনিট বা ফ্ল্যাট ভিত্তিক পরিবারে পরিণত হচ্ছে। সেই ক্ষুদ্র পরিবারেও মানুষগুলো একত্রে থেকেও আলাদা আলাদা হয়ে যার যার মনোজগতে একক পরিবার তৈরী করে ফেলছে।
তাহলে আর থাকলোটা কি?
সম্পর্কগুলো কি এভাবেই একদিন শেষ হয়ে যাবে?
নিজের ডেস্কে বসে শিহাব একথা ভাবতে থাকে।
নিজের ব্যবহারের জন্য সে খুবই অনুতপ্ত। কণার জন্য অনেক কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু কিসের এক জড়তা ওকে মোবাইলেও কথা বলতে দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছে।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে বার বার একটি কথা শিহাবের মনে ঘুরপাক খেতে থাকে, ‘ কণাও কি একটিবার ফোন করতে পারে না?’
(ক্রমশঃ)
বিষয়: সাহিত্য
৭৭৯ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনুভুতি রেখে যাবার জন্য জাজাকাল্লাহ।
সাধ্যের সীমাবদ্ধতায় অনেক চাহিদাই সংসার জীবনে অপূর্ণ রয়ে যায়। সহযোগীতা ও মানিয়ে নেয়ার মননে অপার্থিব আলোয় উদ্ভাসিত হয় পরিবার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভাল লাগা ছড়িয়ে গেলাম।
ভালো থাকবেন সবাই কে নিয়েই.....।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভূতি রেখে গেলেন ভালোলাগার, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সাথেই আছি। চলতে থাকুক নতুন গল্প
আপনি সাথে আছেন এবং অনুভূতি রেখে যাচ্ছেন, সে জন্য অনেক ধন্যবাদ।
না, আমি ফেসবুকেই এরকম টুকটাক লিখতাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
"ফস করে কণার মুখ দিয়ে বের হয়-
: কত দিয়েছ মনে হয়?"
এটা শয়তানের প্রথম কাজ
""সব কিছু ছাপিয়ে বার বার একটি কথা শিহাবের মনে ঘুরপাক খেতে থাকে, ‘ কণাও কি একটিবার ফোন করতে পারে না?’ ""
এটা শয়তানের দ্বিতীয় কাজ
চলুক ....
হ্যা, আমিও ধরতে পেরেছি, এখন দেখার বিষয় শিহাব এবং অন্যরা ধরতে পারে কিনা।
সুন্দর অনুভূতি রেখে গেলেন, সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন