সিদ্ধান্ত
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:২৯:২৭ দুপুর
স্কুল থেকে বাসায় এসেই মেয়ে টেবিলের উপর স্কুল ব্যাগ ধপাস করে ফেলে দিলো। ডাইনিং টেবিলে বসে সালাদের জন্য শশা কাটছিল শাহানা। শব্দ পেয়ে সেখানে বসেই মেয়ের দিকে একটু রাগ নিয়ে তাকালো। মেয়ে কাছে এসে বলল, ' কাল থেকে আর এই স্কুলে যাবো না।' একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চুপ রইলো শাহানা। মেয়ে মাথা নীচু করে নিজের রুমে চলে গেলো।
হঠাৎ মনে হল শাহানার, বিথী এখন ফাইভে উঠেছে। কিভাবে যে সময় চলে যায়! অথচ ওর বাবা কেন যে এখনো নিজেকে সংশোধন করছে না। এভাবে কতবার স্কুল আর মহল্লা পালটানো যায়? কেমন করে যে এই মানুষটির সাথে শাহানা এখনো ঘর করছে, নিজেই ভেবে পায় না। এই তো গত সপ্তাহে অফিসের এক মেয়েকে নিয়ে চান্দোরার সোহাগ পল্লীতে রাত কাটাতে গিয়ে পুলিশের রেইডে আটক হল। এলাকার সবাই ছি ছি করেছে। থানা-পুলিশ কত বিড়ম্বনা- লাজ-লজ্জা সব যেন শাহানারই। আর এখন একমাত্র মেয়ে বীথিরও।
আবার নতুন এলাকায় নতুন ভাবে সংসার গুছিয়ে নিতে হবে। মেয়ের দিক চিন্তা করেই এতোদিন চুপ ছিল শাহানা। কিন্তু সেই মেয়েই আজ কথা বলা শুরু করেছে। চকিতে শাহানার মনে অন্য এক ভাবনার উদয় হল। এভাবে বার বার এলাকা আর স্কুল পরিবর্তন না করে, শাহেদকে পরিবর্তন করলে কেমন হয়?
একজন বউ এর ভিতর থেকে একজন মা জন্ম নেয়। মুহুর্তে এক কঠিন সিদ্ধান্তে তাড়িত হয়ে উঠে শাহানা নামের এক গৃহবধু।
# অণুগল্প
বিষয়: সাহিত্য
১০৭৫ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু লেখা যে ছোটই করতে পারছি না।
ধন্যবাদ সাথে থেকে অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনি আমার যে কোনো লেখাই যে কোনো যায়গাতে শেয়ার করার অধিকার রাখেন।
শুভেচ্ছা রইলো।
মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনি পোস্ট দিয়ে যে ছবি দিছেন সেটা কি আপনার ব্যাক্তিত্ব্যে মানানসই!!!!
খুব সুন্দর কথা লিখেছেন। ব্যাপারটি আমিও ভেবেছি।
তবে ছবিগুলো আসলে বিষয়ের থীম অনুযায়ী দেবার চেষ্টা করি। যেমন ধরুন, এই অণুগল্পটিতে, একজন বিবাহিত পুরুষের বহুগামী তথা পরনারীতে আসক্তি এবং এর পরিণামে সংসার ভেঙ্গে যাওয়াকে বুঝানো হয়েছে। সেজন্যই কাহিনীর সুত্রে এই ছবিটিই প্রযোজ্য।
তবে বিষয়টি নিয়ে আবার নতুন করে ভাবার অবকাশ রয়েছে দেখতে পাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ।
তবে সবার এরখম নাও হতে পারে।
শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার ভালোলাগার অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ইমরান ভাইয়ের মত আমিও বলি ছবি প্রকাশ করুন কিন্তু যেটা খুব বেশি না ভাবায়।
অনুভূতি রেখে যবার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
হ্যা, ছবির ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
দুঃখ লাগে, কি বলব ভাই। ম্যানেজার লেভেলের আমার এক সহকর্মী এই গত শুক্রবারে চান্দোরা সোহাগ পল্লী নামের একটি রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট থেকে অফিসেরই একজন রিসেপ্সহনিষ্টকে নিয়ে পুলিশের রেইডে ধরা পড়েছেন। এদিকে অফিসে তো গুম-আতংকে সবাই দিশেহারা। তিনিও কাউকে লজ্জায় ফোনও করেন নাই। গতকাল কোর্টে চালান দেবার পরে সবাই জানল। ওনার বয়স ৫০ পেরয়েছে। কেমন নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার প্রতিটা লেখনী একটু হলেও নাড়া দিয়ে যায় অনুভূতি কে।
নড়াচড়া টা যেন স্হায়ী হু আমা-তে এই দোয়া চাই.....।
সু্স্হ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি আপনাদের...।
আপনার জন্য আল্লাহপাকের কাছে সেই দোয়াই করছি।
আপনাকেও যেন সুস্থ রাখেন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
শুভেচ্ছা অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
বিথীর জন্য চরম সংকট হবে যে!!
ধন্যবাদ।
হ্যা, অনেকটা সংকটে পড়বে শাহানা। একজন পুরুষহীন এই সমাজে যুবতি একজন মেয়ে বেশ অসহায়। তারপর আর্থিক দিকটি রয়েছে। তবে একজন লম্পট পুরুষের আশ্রয়ে থেকে থেকে বিথির মানসিক দিকটি আরো চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ওর পারিপার্শিক সমাজের সকলে বিথীর জন্য 'টিজ' করার একটা স্কোপ পাবে শাহেদের জন্য। উঠতে বসতে ওকে ওর বাবার চরিত্রহীনতার কথাই মনে করিয়ে দিবে। সে থেকে তো ভালো হল?
ধন্যবাদ সুন্দর পর্যালোচনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আমার কাছে মনে হয়েছে এটিই সবচেয়ে সহজ সল্যুশন।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন