তবুও কাছে
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ৩১ আগস্ট, ২০১৪, ০৫:৩৯:৫০ বিকাল
শায়লা অনেকক্ষণ ধরে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছে। যাও বা পাচ্ছে সবই ওর উল্টো পথের। এই ভরদুপুরে সবাই যার যার বাসায় কিংবা নিরাপদ কোনো ছায়াঘেরা যায়গায় যেতে চাচ্ছে। বান্ধবী রিতার বাসায় এসে ফেসে গেলো সে। একটা অটো নিয়ে চলে যাবে কিনা ভাবল একবার।
গরমে ঘেমে অস্থির হয়ে বাস স্টপেজের দিকে আগায়।
স্টপেজে কোনো বাসও আসছে না সেই অনেকক্ষণ হয়ে গেলো। শায়লা বিরক্তির একেবারে চরমে পৌঁছে গেছে। ঠিক তখনই উল্টো দিকে সাজ্জাদের পিছনটা সে দেখতে পায়।
এবং চিনে ফেলে।
মেয়েদের ভিতরে অনেক অদ্ভুদ জিনিস আছে। একইসাথে এদের অতিরিক্ত একটি ইন্দ্রিয় রয়েছে। অদৃশ্য কিছু অতি সহজে বুঝে ফেলার... দ্রুত উপলব্ধি করার এমন কিছু সহজাত ক্ষমতা পুরুষের থেকে এদের বেশী। তবে এই এরাই আবার খুব কাছে থেকে সহজ অনেক কিছুও অনেক দেরীতে বুঝে। সাজ্জাদ নামের এই ছেলেটি যে ওকে কেন্দ্র করেই চিন্তা-ভাবনার এলোমেলো জগতে সর্বক্ষণ অবস্থান করে, সেটাও মেয়েলি এই বিশেষ ক্ষমতাবলে সে বুঝে গেছে।
বড় করে নিঃশ্বাস নিয়ে হেঁটে হেঁটে সাজ্জাদের বাইকের পাশে এসে দাঁড়ায়। লুকিং গ্লাসে শায়লাকে ওরই দিকে আসতে দেখেও একচুল নড়তে পারেনা সাজ্জাদ। চোরের মত ধরা পড়া অভিব্যাক্তি নিয়ে ফুটপাতের দিকে তাকিয়ে থাকে। বেশ স্বাভাবিকভাবেই শায়লা ওকে বলে, ‘ চলুন, বাসায় যাই’।
নীরবে শায়লাকে বাইকে বসার যায়গা করে দিয়ে একটু সামনে সরে বসে সাজ্জাদ। ওরা দুজন যখন বাইকে করে চলে যায়, নিজের খুব কাছে স্বপ্নের রাজকন্যা থাকা সত্তেও কেন জানি চিরতার পানি পান করার মত চেহারা নিয়ে বসে থাকে সাজ্জাদ। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় সে কেন জানি কোনো আনন্দ পায়না। ওর সকল আনন্দের উৎস, বিশ্লেষণধর্মী ব্রেইনে এই মুহুর্তে কোনো অনুভুতিই নেই। সব শূন্য হয়ে আছে। শুধু নিয়ম মেনে বাইক চালিয়ে বাসায় পৌঁছানোতেই ব্রেইনের সবটুকু অংশ মগ্ন হয়ে থাকে।।
# অণু গল্প
বিষয়: সাহিত্য
৮১০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
শুভেচ্ছা রইলো।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন