রাবেয়া বাসরী (রহঃ) এর ঘটনা- তাযকিরাতুল আউলিয়া কিতাব থেকে।
লিখেছেন লিখেছেন সচেতন মুসলিম ০৭ জুন, ২০১৪, ১১:৪৮:৫৩ রাত
বারাবারি, পর্ব ৫।
ঘটনা ১। একদিন
রাবেয়া বসরী আল্লাহকে দেখতে চেয়ে আবেদন
করলে আল্লাহ বলেন তুমিকি চাও তোমার জন্য
দুনিয়া ধ্বংস হোক? তুমিকি শোননি মুসা (আঃ) এমন
আবেদন করলে আমার নূরের কণায় তুর পর্বত
জ্বলে গিয়েছিল?
ঘটনা ২। ইব্রাহীম আদহাম প্রতি কদমে কদমে ২
রাকা'আত করে নফল নামাজ পড়ে দীর্ঘ ১৪
বছরে হজ্জ করতে আসেন। অনেক কষ্টকর সেই হজ্জ
সফর। হাটার পরিবর্তে হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে বহু কষ্ট
করে মক্কায় এসে পৌছান। কিন্তু আশ্চর্য!
এসে দেখেন কাবা নাই। তিনি দুষ্চিন্তায় পরে গেলেন।
ভাবলেন আমার ভুল হতে পারে। ফেরেস্তা জানাল
তোমার ভুল হয়নি। কাবা গেছে রাবেয়া বসরীকে স্বাগত
জানিয়ে এগিয়ে আনতে।
ঘটনা ৩। রাবেয়া বসরী ভাবলেন গতবার আমাকে সম্মান
জানানো হয়েছে এবার আমি তাকে সম্মান জানাব।
বসরার এক বনাঞ্চল
থেকে তিনি হামাগুড়ি দিয়ে হজ্জযাত্রায় বেড়িয়ে পড়েন।
আর দীর্ঘ ৭ বছর কৃচ্ছসাধনার পর আরাফাতের
ময়দানে পৌছান। দৈববাণী হল তুমি যদি চাও
তবে তোমার কৃচ্ছসাধনার পুরস্কারস্বরুপ আমি এখনই
আমার নূরের এক ঝলক দেখাই। রাবেয়া বসরী বললেন
না প্রভু আমি এর যোগ্য নই। আমি দারিদ্র চাই।
-তাযকেরাতুল আউলিয়া
১ নংঘটনায়
রাবেয়া বসরী আল্লাহকে দেখতে চাইলে আল্লাহ নিষেধ
করলেন। ৩ নং ঘটনায় আল্লাহ
দেখাতে চাইলে রাবেয়া অপারগতা প্রকাশ করেন।
গল্প দুটি মজাদার চকলেটের মত।
২ নং ঘটনায় রাবেয়া বসরীকে কাবা সম্মান
জানিয়ে এগিয়ে আনতে যায়। ভালথা। কিন্তু রাসুল (সঃ)
যখন ১৪০০ সাহাবী (রাঃ) দেরকে নিয়ে ওমরাহ
করতে গিয়ে কাফের দের বাঁধার কারনে মক্কায়
যেতে পারলেননা। চুক্তি হল এবছর ফেরত
যেতে হবে পরের বছর আসুন। তখন রাসুল(সঃ)
এবং সাহাবীদেরকে সম্মান
জানিয়ে আনতে কাবা গেলনা। অথচ
রাবেয়া বসরীকে সম্মান জানিয়ে আনতে কাবা চলে যায়।
তাহলে কি রাসুল (সঃ) এর
চেয়ে রাবেয়া বসরী বেশী সম্মানী???
প্রতি কদমে নামাজ পড়া, হামাগুড়ি দিয়ে ৭
বছরে অথবা ১৪ বছরে কৃচ্ছসাধনা করে হজ্জ
করতে যাওয়া- পন্থাটা আর্মি ভাইদের খুব কাজে আসবে। তারা আবার মাপিতে গড়াগড়ি খাইতে একটু ভালপায় কিনা।
রাবেয়া বাসরী তো দেখি আল্লাহর সাথে সড়াসড়ি কথাও
বলেন।
বিষয়: বিবিধ
৪৭৪৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই কিতাবটা অধিকাংশ বড়বড় মসজিদে পাবেন। তারা কিন্তু এটাকে ভেজাল হিসাবে রাখেনা। তারা এটাকে আউলিয়ায়ে কেরামগনের ক্যারামত হিসাবেই উপস্থাপন করে। আর বাংলাদেশের অনেক হক্কানা বিদআতি আলেমরা এই কিতাবের গল্প আউরিয়ে পয়সা কামায়। তাই এই কিতাবের বারাবারি সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা কি জরুরী নয়??????????
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
তাযকিরাতুল আউলিয়া, মুকসুদুল মুমিনিন, আম্বিয়া এবং অনেক প্রকাশনি আছে যাদের বই পড়াও অনুচিৎ।
আর এরকম আজগুবি ঘটনা দ্বারা ব্যাবসা হয় আর কিছুনা।
এটাই সর্বত্তম। এতে গায়ে লাগার কিছু নাই। বাতিল সবার জানা উচিত। যেন সবাই বাতিল থেকে বাচতে পারে।
178896
আওণ রাহ'বারলিখেছেন : এ বইগুলো ওলামায়ে কেরামের মতে বাতিল।
তাযকিরাতুল আউলিয়া, মুকসুদুল মুমিনিন, আম্বিয়া এবং অনেক প্রকাশনি আছে যাদের বই পড়াও অনুচিৎ।
আর এরকম আজগুবি ঘটনা দ্বারা ব্যাবসা হয় আর কিছুনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন