সমকালীন বাংলা সাহিত্যে অশ্লীলতা : আল মাহমুদ বনাম তসলিমা নাসরিন।
লিখেছেন লিখেছেন খেলাঘর বাধঁতে এসেছি ২৭ মার্চ, ২০১৪, ০৮:০৩:০১ রাত
সমকালীন বাংলা সাহিত্যে আমরা যদি কবি আল-মাহমুদের কবিতা গুলো পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখতে পাব, তাঁর অনেক কবিতাই নারী এবং যৌন অশ্লীলতায় সরব।
তারপর তুলতে চাও কামের প্রসঙ্গ যদি নারী
খেতের আড়ালে এসে নগ্ন করো যৌবন জরদ
শস্যের সপক্ষে থেকে যতটুকু অনুরাগ পারি
তারো বেশী ঢেলে দেবো আন্তরিক রতির দরদ । (সোনালী কাবিন- সনেট ১০ )
চরের মাটির মতো খুলে দাও শরীরের ভাজ
উগোল মাছের মতো খুলে দাও শরীরের ভাজ ।
(আষাড়ের রাত : আরব্যরজনীর রাজহাস )
আল-মাহমুদের কবিতা বা সাহিত্য পর্যবেক্ষণ করলে আরো অনেক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা যাবে। শুধু আল-মাহমুদ নয় আধুনিক বাংলা সাহিত্যে কবি বা সাহিত্যিকদের হাতে যৌনতার শৈল্পিক রুপায়ন ঘটেছে। এই যৌনতা আবার কখনো কখনো অশ্লীলতার মাত্রায় পর্যবসিত হয়েছে। যেমন আল মাহমুদের মত তাসলিমা নাসরিনের লেখা কবিতায়ও:
শরীরের এই হাল, শরীরে গ্রীষ্মকাল,
স্নানের জল আছে? ও যুবক স্নানের জল আছে তো?
তোর একার জলে না হলে যুবকের দল কাছে তো?
(কাঁপন ১৭ তাসলিমা নাসরিন)
এছাড়া তাসলিমা তাসরিনের কবিতা, উপন্যাস, হুমায়ুন আজাদের নারী উপন্যাস সহ আরো অনেক কবি সাহিত্যিক রয়েছেন, যাদের কবিতা সাহিত্য যা অশ্লীলতার মাত্রায় পর্যবসিত হয়েছে। সাহিত্যে যৌনতার উপস্থিতি সমাজের বিদ্যমান দ্বন্দ্বকে রুপায়ন করার জন্য প্রয়োজন হবে। তবে এই রুপায়ন যেন যৌন সাহিত্য বা পর্ণো সাহিত্যের রুপান্তরিত না হয়।
বিষয়: বিবিধ
৩৯৪২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন