তাকফীরের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া জরুরী।

লিখেছেন লিখেছেন মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। ২৩ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৩৭:১১ দুপুর





(৯৪) يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللّهِ فَتَبَيَّنُواْ وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلاَمَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِندَ اللّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ كَذَلِكَ كُنتُم مِّن قَبْلُ فَمَنَّ اللّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُواْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا

অর্থ: “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে বের হবে, তখন যাচাই করে নেবে এবং কেউ সালাম পেশ করলে তাকে বলনা “তুমি মুমিন নও”। তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদ অন্বেষন কর। বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরাও তো ইতিপূর্বে এমনই ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের অনুগ্রহ করেছেন। সুতরাং তোমরা যাচাই করে নিও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খবর রাখেন।"

#এ আয়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলা হয়েছে। মুসলিমরা যখন অভিযানে বের হবে তখন সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এলোপাতাড়ি সকলকেই মুশরিক বা কাফের মনে করে যেন হত্যা করে না বসে। বলা হয়েছে, যদি কেউ তোমাকে সালাম পেশ করে, বা ইসলামিক অন্যকিছু যেমন কলেমা পেশ করে, তাকে যেন অমুসলিম বলা না হয়। আল্লাহ বলেন, ঐ বাক্তির মাল-মাত্তা দেখে লোভে পড়না। তোমাদের জন্য আমার কাছে অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরাও তো একসময় ওদের মতই ছিলে। আল্লাহর অনুগ্রহে মুসলিম হয়েছো। তাই যাচাই করে নিও এবং মনে রেখ, আল্লাহ তোমাদের সকল খবর রাখেন।

এক যুদ্ধে হযরত ওসামা রা. যখন এক মুশরিককে পরাস্ত করে হত্যায় উদ্যত হলেন, ঠিক তখনই ঐ মুশরিক কলেমা পড়ে দিল। হযরত ওসামা রা. ভাবলেন, এটা নিছক জান বাঁচাবার কৌশল, তাই তাকে রেহাই দিলেননা। পরে এ ঘটনা শুনে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাগ করে বলে ছিলেন, হে ওসামা, কেয়ামতের দিন ঐ কলেমা যখন নালিশ জানাবে, তার উপস্থিতিতে তুমি খুন করেছ, তখন কি উত্তর দেবে? সেই সাবধানতাই এ আয়াতে দেওয়া হয়েছে। -

বিষয়: বিবিধ

১১৫৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

277434
২৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
জহুরুল লিখেছেন : গুরুত্বপূর্ন।
২৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৬
221700
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : শুকরিয়া অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
277438
২৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : মুসলিমদের কখনোই কাফির বলা যাবে না। তবে কোন নামধারী মুসলিম যখন জেনেবুঝে কোন আয়াত অথবা হাদীসকে অস্বীকার করে তবে সে ওলামাদের ঐক্যমতে সে কাফির। সেজন্য কাফিরকে কাফির বলা উচিত।
২৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
221701
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : সেক্ষেত্রে তো কোন দ্বিমত নেই।
277503
২৩ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
মামুন লিখেছেন : লেখাটি ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
২৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৮
221702
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
292777
০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৬
ফয়জুল্লাহ লিখেছেন : খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা একান্ত জরুরী
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
238915
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : শুকরিয়া

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File