ছাত্রদের জন্য ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার: লাভ-ক্ষতির একটি খতিয়ান।
লিখেছেন লিখেছেন মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। ২১ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:১১:১০ সন্ধ্যা
সময়ের সাথে সাথে যুগ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ ইন্টারনেট, ফেসবুক, ব্লগ ইত্যাদির পিছনে ঝুকছে। যুগ সচেতন কোন মানুষই আজ এর আওতামুক্ত নয়। পিছিয়ে নেই কওমী মাদরাসার ছাত্ররাও। তারাও অনলাইনে এখন বেশ সরব। সমস্যা হলো এর পিছনে ঝুকতে গিয়ে আমাদের অনেকেই তাদের পড়াশোনার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছেন। আবার অনেকেই এর সুবাদে অনেক অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। আবার অনেকে যৌবনের তাড়নায় পড়ে নীল ছবি বা অশ্লীলতায় পড়ে নিজেদের চরিত্রগুলো নস্ট করে ফেলছে। আরে ভাই! আমাদের ছাত্রদের আসল কাজ তো হলো পড়াশোনা করা। অনলাইন ব্যবহার করা তো হবে প্রয়োজনে। দ্বীনের খাতিরে। কোন অনৈতিক বিনোদন বা পড়াশোনা নষ্ট করে নয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে ফেসবুক চ্যাটিং। বিশেষত: গায়রে মাহরাম নারীদের সাথে চ্যাটিং। চ্যাটিংয়ের সুবাদে ছাত্ররা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে খুব সহজেই। প্রথমে কিছুদিন চ্যাটিংয়ে কথাবার্তা চলে। এরপর চ্যাটিংয়ে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে চলে মোবাইলে কথাবার্তা। এরপর শুরু হয় ড্যাটিং। নাউযুবিল্লাহ। আবার অেনেকের ফেসবুক নেশা এতো মারাত্নক যে, প্রতিষ্ঠানের নিয়মের কারণে তারা বাথরুমে গিয়েও ফেসবুক চালাচ্ছে। এটা তাদের বিবেকে নূন্যতম বাধছেনা। এক কথায় ফেসবুক এখন ছাত্রদের জন্য নেশায় পরিণত হয়েছে। এ নেশা থেকে আমাদেরকে মুক্ত হতে হবে। সেজন্যে আমাদের অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। ঠান্ডা মাথায় তাদেরকে তারবিয়ত দিতে হবে। তাদেরকে ঠাণ্ড মাথায় বুঝাতে হবে যে, “দেখো! আজ ইহুদি নাছাড়াদের সন্তানেরা বড় বড় ড্রোন আবিষ্কার করছে। জাতীয় পর্যায়ে কাজ করছে। আরো কত কি! আর আমরা মুসলমানরা এভাবে অন্যায় কাজে নিজেদের সময়গুলোকে নষ্ট করছি। এভাবে আমাদের প্রতিভাগুলোকে আমরা নিজেরাই নষ্ট করে দিচ্ছি।” আর তাদের সাথে বন্ধুত্ব সূলভ সম্পর্ক রাখতে হবে যাতে তারা তাদের সব বিষয় অভিভাবকদের সাথে শেয়ার করতে পারে। অভিভাবকগণও ঠাণ্ডা মাথায় তাদেরকে তা বুঝাতে পারেন।
তাই আমাদেরকে এ বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৩২১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন