আওয়ামিলীগ বাংলাদেশের দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ সহ বিস্তৃর্ন এলাকা ভারতকে দিয়ে দিল। আর এর মধ্য দিয়ে জানলাম কেন এবং কারা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে হত্যা করেছিল।
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০৮ জুলাই, ২০১৪, ০৮:৪৩:০৮ রাত
আওয়ামিলীগ দিপু মণির মাধ্যমে কেসটা এমন ভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে তুলে যাতে বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ দিকে সমুদ্রসীমা পায়, আর এটা এমন সময়ে যাতে বিএনপি ও ইসলামিক দল ক্ষমতায় আসার আগেই মামলার রায় হয়ে যায়। ছবিটির দিকে চেয়ে দেখুন।
এক ঢিলে আওয়ামিলীগ দুই পাখি মারলো। ১/ সারা পৃথিবীর বাঁধা সত্তেও ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামিলীগ আবার ক্ষমতায়। ২/ মোদী সরকারের সাথে আওয়ামিলীগের "তালপট্টি দ্বীপ" দিয়ে সম্পর্ক উন্নয়ন।
আহারে! দেশ বেঁচে দিয়ে আওয়ামিলীগের রাজনীতি!! জনগণ, আহারে জনগণ যদি বুঝতো!!!
মূল লেখাটি Qamrul Islam ভাইয়ের সৌজন্যে নিম্নরুপঃ
১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র সীমায় দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ জেগে ওঠে। সীমান্তবর্তী হাড়িয়াভাঙা নদীর মোহনায় ২১ডিগ্রী ৩৬.০উত্তর এবং ৮৯ ডিগ্রী ০৯.১০ দ্রাঘিমাংশ পূর্বে ইউ” আকৃতির এ দ্বীপের অবস্থান। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশ দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের মালিকানা দাবি করছে (ভারত একে বলে নিউমুর/ পূর্বাশা দ্বীপ), ভারত দ্বীপের মালিকানা দখল করতে নৌ-জাহাজ এবং আইএনএস আন্দামান নামক ফ্রিগেট পাঠায়। ভারত জোর করে দ্বীপটির মালিকানা দাবি করায় ১৯৭৪ সালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ আলোচনার আহ্বান জানানো হয়। ওই আহ্বান ব্যর্থ হলে ১৯৭৯ সালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়। পরে ১৯৮০ সালে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয় : স্টাডি ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ১৯৮১ সালের ১১ মে এ বিবৃতি উপেক্ষা করে ভারত সরকার তাদের নৌবাহিনীর আইএসএন সন্ধাক নামের একটি জাহাজ পাঠিয়ে দ্বীপটিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করে। ১৩ মে এই দখলদারদের প্রতিরোধ করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানরে নির্দেশে পাল্টা নৌবাহিনী পাঠানো হয়। রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে ভারত সেখান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। এর চার দিন পরে বাংলাদেশে আসে শেখ হাসিনা। আর ২ সপ্তাহের মাথায় শহীদ হন রাষ্ট্রপতি জিয়া। ঐ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র। ধারনা করা হয় দক্ষিণ তালপট্টি নিয়ে শক্ত অবস্থান নেয়ার কারনে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে প্রাণ দিতে হয়।
আজকে সমুদ্র সীমানার রায়ে বাংলাদেশ হারাচ্ছে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ সহ বিস্তৃর্ন এলাকা। কিন্তু হাসিনার গোয়েবলসের প্রচার মাধ্যম প্রচার করবে ~ “আমরা জিতেছি, আবার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বও অটুট আছে!" কিন্তু একটি কথা পরিস্কার, আমাদের দাবীকৃত এলাকা পেলে আমরা বিজয়ী হই, সেক্ষেত্রে ভারত হেরে যায়। সেটা হচ্ছে না। বরং আমরা হারাচ্ছি দক্ষিণ তালপট্টি।
বেশ কয়েক বছর ধরে ভারত নানাভাবে প্রচার করেছে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব এখনও আছে এবং ভাটার সময়ে এর চূড়া সামান্য ভেসে ওঠে। কিন্তু জোয়ারে পুরোপুরি ডুবে যায়। আগে যত দ্রুত দ্বীপটি গড়ে উঠছিল, বর্তমানে সেভাবে আর গড়ছে না। তবে বিলীন হয়নি। সাম্প্রতিককালেও গুগলের স্যাটেলাইট মানচিত্রে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটির অস্তিত্ব দেখা গেছে। হাইড্রোলজিক্যাল, ওশেনোগ্রাফিক্যাল ও জিওমর্ফোলজিক্যাল বিষয়াদি বিশ্লেষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুর রব জানিয়েছেন, পুরনো ও নতুন স্যাটেলাইট ইমেজ দেখে আমি বলতে পারি, ‘দ্য আইল্যান্ড ইজ ভেরি মাচ দেয়ার।’ এর মধ্যে ভারত একাধিকবার জরিপ করে দেখেছে, তালপট্টি পুরোপুরি জেগে উঠলে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সমুদ্রসীমার ফায়সালা হলে ভারত কখনোই এর মালিকানা পাবে না। বরং বাংলাদেশ এর মালিকানা লাভ করলে সমুদ্রসীমায় অনেকদূর এগিয়ে যাবে। তাই ভারত তালপট্টি দ্বীপটি ভেঙে দেয়ার কৌশল গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের সীমানায় বৃহৎ এ দ্বীপটি যাতে আর গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য ভারত উজানে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর স্রোত ও পলি নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে নতুন করে পলি জমতে না পেরে তালপট্টি দ্বীপ আর উঁচু না হয়ে বরং সম্প্রতি সেখানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এভাবে অতি সুকৌশলে ভারত ভেঙে দিচ্ছে আমাদের দক্ষিণ তালপট্টি।
সেই দক্ষিন তালপট্টিকে চিরতরে হারাচ্ছি আমরা। ভারতের দীর্ঘদিনের দাবী পূরনে সাহায্য করেছে হাসিনা ও দীপুমনি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিরোধ। এ বিরোধের মূল বিষয় হলো দুই দেশের জলসীমা শুরু হবে কোথা থেকে তা নির্ধারণ করা। এ ছাড়া ভূমিরেখার মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রে রেখা টানার পদ্ধতি নিয়েও জটিলতা ছিল। ভারতের যুক্তি হলো, সমদূরত্বের (ইকুইডিসট্যান্স) ভিত্তিতে রেখা টানতে হবে। বাংলাদেশ এর বিরোধিতা করে ন্যায্যতার (ইকুইটি) ভিত্তিতে রেখা টানার পক্ষে অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের উপকূলীয় রেখা অবতল আকৃতির হওয়ায় বাংলাদেশ ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিষয়টি নির্ধারণে যুক্তি উপস্থাপন করে। আদালতে প্রফেসর ড. রুডিগার ওলফ্রুমের নেতৃত্বে আরো চারজন বিচারক রয়েছেন। মামলায় বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তার ডেপুটি এজেন্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রবিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। দিপু মনি একজন ভারতীয় লয়াল লোক হিসাবে সুবিদিত। আর তাদের কল্যানেই বাংলাদেশ হারাচ্ছে ন্যায্যভুমি ও জলসীমা অথচ ভারত পাচ্ছে তাদের দাবীকৃত এলাকা। দুর্ভাগা বাংলাদেশ!
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৫ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর ভারতও নাকি এটা মেনে নিয়েছে । যে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে জালিয়ে মারছে তারা কি কারণে এত সহজে হার মেনে নিল এটা খুবই বিস্ময়কর ।
বিশাল বড় কিছু পেতে হলে লোক দেখানো সামান্য কিছু ছাড়তে হয় - এটার ফল বুঝতে হয়ত আমাদের বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না ।
আরে ভাই লীগেরা বাংলাদেশকে হারিয়েছে।
মিথ্যা দিয়ে সাময়িক সফলতা অর্জন করা যায়। কিন্তু তা সত্য হয়না কখনই। আওয়ামি লিগ এর সাহাজ্যে ভারত যে সফলতা পেল সেটা তাদের কৃতিত্ব।
Hasina has destroyed the sovereignty of Bangladesh!
মন্তব্য করতে লগইন করুন