এসলাম শুধু নাম থাকবে!!!!!! (ধর্মব্যবসায়ী মোল্লা-পুরোহীতদের সঠিক পথে ফেরার আহ্বান)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ১৭ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:১৪:১৯ দুপুর

আল্লাহর শেষ রসুল আখেরী যামানা সম্পর্কে বোলেছেন, এমন সময় আসবে যখন- (১) এসলাম শুধু নাম থাকবে, (২) কোর’আন শুধু অক্ষর থাকবে, (৩) মসজিদসমূহ জাঁকজমকপূর্ণ ও লোকে লোকারণ্য হবে কিন্তু সেখানে হেদায়াহ থাকবে না, (৪) আমার উম্মাহর আলেমরা হবে আসমানের নিচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব, (৫) তাদের তৈরি ফেত্না তাদের ওপর পতিত হবে। [হযরত আলী (রাHappy থেকে বায়হাকী, মেশকাত]

আল্লাহর রসুলের পবিত্র মুখনিঃসৃত এই বাণীর প্রতিটি পর্ব আজ অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত হোয়েছে। এই নিবন্ধটির মাধ্যমে আমরা এই বিষয়টিই তুলে ধোরব এনশা’ল্লাহ্।

বর্তমানে আমরা যে ধর্মটিকে এসলাম হিসাবে দেখছি, যেটাকে ধর্মপ্রাণ মানুষ অতি যত্ন সহকারে পালন করার চেষ্টা কোরছেন, যে এসলামটাকে সর্বত্র স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় ও পীরের খানকায় শেখানো হোচ্ছে সেটা প্রকৃত এসলাম নয়। একজন জীবিত মানুষ এবং একটি লাশের মধ্যে বাহ্যিক মিল বহু রোয়েছে। যেমন জীবিত মানুষের শরীরে যে সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে, লাশেরও সেগুলি সব আছে। কিন্তু তাতে প্রাণ না থাকায় সেটার দেহ সৌষ্ঠব যত সুন্দরই হোক সকল সৌন্দর্য, সকল সুগঠিত অঙ্গ প্রত্যঙ্গসহই লাশ, মৃত। তেমনি আল্লাহ যে এসলাম দিয়ে তাঁর শেষ রসুলকে পাঠিয়েছিলেন আর আজ যেটা দুনিয়াময় চোলছে এ দু’টির মধ্যে বাহ্যিক দিক থেকে যতই একরকম মনে হোক, এদের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে ততটাই তফাৎ যতটা তফাৎ একটি জীবিত মানুষ আর লাশের মধ্যে, এমন কি তার চেয়েও বেশি। এ যেন যাত্রাপালার কাঠের বন্দুক। দেখতে আসল বন্দুকের মতই মনে হয় কিন্তু ওটা দিয়ে গুলি ছোঁড়া যায় না অর্থাৎ কার্যকরী নয়। যাত্রাদলের বন্দুকের সঙ্গে আসল বন্দুকের যতটা পার্থক্য, প্রকৃত এসলামের সঙ্গে বর্তমান এসলামের ততটাই পার্থক্য। এ দু’টির চলার পথ সম্পূর্ণ বিপরীত। আল্লাহ যে উদ্দেশ্যে মানবজাতিকে এই দীন প্রদান কোরেছেন সেই উদ্দেশ্যই এখন বদলে গেছে। মানব সৃষ্টির প্রারম্ভের ঘটনাগুলির মধ্যে এসলামের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিহিত রোয়েছে। আল্লাহ যখন পৃথিবীতে তাঁর খলিফা বা প্রতিনিধি হিসাবে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিবিশিষ্ট একটি নতুন সৃষ্টি কোরতে চাইলেন, তখন সকল মালায়েক মানুষ সৃষ্টির বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন কোরে বোলেছিল যে, ‘তোমার প্রশংসা ও গুণকীর্তণ করার জন্য আমরাই কি যথেষ্ট নই। তোমার এই সৃষ্টি পৃথিবীতে গিয়ে ফাসাদ (অন্যায় অশান্তি) ও সাফাকুদ্দিমা (রক্তপাত, যুদ্ধ বিগ্রহ) কোরবে (সুরা বাকারা ৩০)। আল্লাহ তাদের এই মৃদু আপত্তি সত্ত্বেও আদম (আHappy কে সৃষ্টি কোরলেন। এরপর আল্লাহ তাঁর নিজের রূহ আদমের (আHappy ভিতরে ফুঁকে দিলেন এবং সকল মালায়েককে আদমের খেদমতে নিয়োজিত কোরলেন। প্রত্যেকেই তারা আদমকে (আHappy সেজদা করার মাধ্যমে আল্লাহর এই হুকুমের আনুগত্য কোরল এবং আদমের সেবায় নিয়োজিত হোল। কিন্তু এবলিস আল্লাহর এই হুকুমকে অন্যায্য ঘোষণা কোরে আদমকে সেজদা করা থেকে বিরত রোইল। ফলে আল্লাহ এবলিসকে তার সম্মানজনক অবস্থান থেকে বিতাড়িত (রাজীম) কোরলেন এবং অভিশাপ দিলেন। এবলিসও তখন আল্লাহর কাছে অবকাশ চেয়ে নিল এবং আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ দিল যে সে বিভিন্ন প্রকার প্ররোচনা দিয়ে অধিকাংশ মানুষকেই আল্লাহর হেদায়াত (দিক নির্দেশনা), সরল পথ থেকে বিচ্যুত কোরে ফেলবে এবং প্রমাণ কোরবে যে মানুষ তার চাইতে নিকৃষ্ট সৃষ্টি। আল্লাহ জানিয়ে দিলেন যে, তিনি প্রতি যুগে প্রতি জনপদে তাঁর নবী রসুল পাঠিয়ে হেদায়াহ ও দীন প্রেরণ কোরবেন। সেটাকে অনুসরণ কোরলেই তারা দুনিয়াতে একটি শান্তিময় ও প্রগতিশীল সমাজে বসবাস কোরতে পারবে। সেখানে থাকবে না কোনো ফাসাদ ও সাফাকুদ্দিমা অর্থাৎ অন্যায়, অশান্তি, যুলুম, রক্তপাত, যুদ্ধ, ক্রন্দন, হতাশা অর্থাৎ সৃষ্টির আদিতে মালায়েকরা মানবজাতিকে নিয়ে যে আশঙ্কা প্রকাশ কোরেছিল সেগুলি থাকবে না। পাশাপাশি এবলিসের সঙ্গে করা চ্যালেঞ্জে আল্লাহ বিজয়ী হবেন। এজন্যই এসলাম শব্দের আক্ষরিক অর্থ হোচ্ছে শান্তি, এই নামকরণ আল্লাহ কোরেছেন এই জন্য যে, এই দীন পৃথিবীর যে অংশে প্রতিষ্ঠিত হবে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানে অশান্তির লেশও থাকবে না। সুতরাং আল্লাহর দেওয়া এসলাম অনুসরণের অনিবার্য পরিণতি হোচ্ছে শান্তি এবং অনুসরণ না করার অনিবার্য পরিণতি হোচ্ছে অশান্তি। তাই যেখানে শান্তি নেই, আমরা বোলতে পারি সেখানে এসলাম নেই।

প্রশ্ন হোল, আজকের পৃথিবীতে মোসলেম নামের যে ১৬০ কোটির জনসংখ্যাটি বিরাজ কোরছে তারা শান্তিতে আছে না অশান্তিতে আছে? না, তারা মোটেও শান্তিতে নেই। পৃথিবীতে যে কয়টি প্রধান জাতি আছে তার মধ্যে এই জনসংখ্যার অবস্থা নিকৃষ্টতম। আর সব জাতি মিলে পৃথিবীর সর্বত্রই এই জনসংখ্যাটিকে অপমানিত, অপদস্থ কোরছে, তাদেরকে আক্রমণ কোরে হত্যা কোরছে, ধন-সম্পদ লুটে নিচ্ছে, তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে, তাদের মা, মেয়ে, বোনদের ওপর পাশবিক অত্যাচার কোরে সতিত্ব নষ্ট কোরছে। ঐ কাজগুলি খ্রিস্টানরা অতীতে কোরেছে স্পেনে, সেখান থেকে তারা সম্পূর্ণ মোসলেম জাতিটিকেই সমূলে উৎখাত কোরেছে, আজ সেখানে মোসলেম বোলতে নেই এবং নিকট অতীতে কোরেছে বসনিয়া হারযেগোভিনিয়ায়, সুদানে, ফিলিপাইনে। হিন্দুরা কোরছে কাশ্মীরে, ভারতের প্রতিটি রাজ্যে। বৌদ্ধরা কোরছে মায়ানমারে অর্থাৎ বার্মায়, আরাকানে, থাইল্যান্ডে, ভিয়েতনামে, কামপুচিয়ায় ও চীনে। এগুলিতো বড় বড় জাতি। অতি ক্ষুদ্র ইহুদি জাতি ঐ কাজ কোরছে পশ্চিম এশিয়ায়, প্যালেস্টাইনে। ভারতে হাজার হাজার মসজিদ হয় মন্দিরে পরিণত করা হোয়েছে না হয় অফিস ইত্যাদি অন্য কাজে ব্যবহার করা হোচ্ছে, না হয় ভেংগে দেয়া হোয়েছে। এ’তো গেল বহিঃশত্রুর হাতে মার খাওয়ার চিত্র, নিজেদের মধ্যেও এই জাতিটি ধর্মীয় মতবাদ, রাজনৈতিক মতবাদ নিয়ে নিরন্তর হানাহানি, মারামারি, যুদ্ধ, রক্তপাতে লিপ্ত, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, কুসংস্কার, হীনমন্যতা ইত্যাদিতে জর্জরিত। চোলবে.......

বিষয়: বিবিধ

১২৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File