শীত ইবাদতের বসন্তকাল। যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন : 'শীতকাল মোমেনের জন্য গণিমত'। মানবসেবাও একটি ইবাদত। শুধু ইবাদত নয়, ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান মানবসেবা।

লিখেছেন লিখেছেন জিসান গাজি ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:৫১:৫৪ রাত

শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান।



শীত ইবাদতের বসন্তকাল। যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন : 'শীতকাল মোমেনের জন্য গণিমত'। মানবসেবাও একটি ইবাদত। শুধু ইবাদত নয়, ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান মানবসেবা।

হাড়কাঁপানো শীতের হাত থেকে বাঁচাতে অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য আপনিও কিছু করুন…আপনার নতুন এবং পুরোনো জামা-কাপড় যে গুলো হয়তো আপনার কোন কাজেই লাগছে না, সাজিয়ে রেখেছেন আলমিরাতে…সে সব জামা-কাপড়ই এখন হয়তো একজন রাস্তার মানুষের জীবণকে বাঁচিয়ে দিতে পারে শীতের প্রকোপ থেকে…তাদের প্রতি একটু সদয় হোন…!

মানবসেবায় ত্রুটি হলে কেয়ামতের দিন আল্লাহর সম্মুখে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। জিজ্ঞাসিত হতে হবে বস্ত্রহীনদের বস্ত্র সম্পর্কে, ক্ষুধার্তদের ক্ষুধা সম্পর্কে। মানবসেবা, মানবকল্যাণ এবং জনহিতকর কাজকে গুরুত্ব প্রদান করেছে ইসলাম। ইসলামে মানবসেবা বা পরোপকারকে সর্বোত্তম গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারায় আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ““যদি তোমরা দান-সদকাহ বা সাহায্য-সহযোগিতা প্রকাশ্যে কর তাও ভালো। আর যদি এমন কাজ গোপনে বা অপ্রকাশ্যে কর, তা আরও ভালো””। কোরআনুল কারিমের আরেক সূরা কসাস-এর ৭৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, ““তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি তেমনি অনুগ্রহ কর যেমনি আমি তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছি””। প্রতি বছর অনেক অসহায় মানুষ শীতের এই নির্মম কষ্টে মারা যায়। রাজপথের এসব মানুষের একবেলা খাবারের ঠিক নেই তারা কীভাবে শীতবস্ত্র পরিধান করবে বর্তমানের এই সময়ে? তারা রাত কাটায় পথে-প্রান্তরে, তাদের শিশুদের নিজেদের বুকের ভিতর নিয়ে শীতের রাত পাড়ি দেয়। বৃদ্ধরা ধুঁকে ধুঁকে পাঞ্জা লড়ে নির্মম প্রকৃতির সঙ্গে। তারা সমাজের ফেলে দেওয়া একটি অঙ্গ, তারা সমাজের অসহায় মানুষ। তাদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব কি প্রতিটি মুমিনের কাজ নয়! একজন মুসলমান হিসেবে মানবকল্যাণমূলক কাজে জড়িত থাকা, মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা ইমানি দায়িত্ব। মানবসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন সাহাবায়ে কেরাম (রা.)।

প্রচণ্ড এক শীতের রাতে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবুদ্দারদা (রা.)-এর বাড়িতে কিছু লোক মেহমান হলেন। তিনি গরম খাবার দিয়ে তাদের মেহমানদারি করলেন। যখন ঘুমানোর সময় হলো তখন মেহমানরা দেখলেন যে, সে কক্ষে লেপ বা কম্বল নেই। তাদের একজন বললেন, আমি আবুদ্দারদা (রা.)-এর কাছে তা বলি। অপরজন বাধা দিলেন। কিন্তু তিনি গিয়ে হজরত আবুদ্দারদা (রা.)-এর কামরার দরজায় দাঁড়িয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি শুয়ে পড়েছেন এবং তার গায়ের ওপর একটিমাত্র পাতলা কাপড়, যা ঠাণ্ডা প্রতিহত করতে পারে না। তিনি আবুদ্দারদা (রা.)-কে লক্ষ্য করে বললেন, আমরা যেমন শীতের কাপড় ছাড়া রাতযাপন করছি, আপনাকেও তো তেমনি দেখছি। হজরত আবুদ্দারদা (রা.) বললেন, আমাদের অন্য একটি বাড়ি আছে। আমরা যা কিছু সংগ্রহ করতে পারি তা সেখানে পাঠিয়ে দিই। এ বাড়িতে কিছু অবশিষ্ট থাকলে তা অবশ্যই তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতাম। আর ওই বাড়িতে যাওয়ার পথ বড় দুর্গম। হালকা ও বোঝাহীন ব্যক্তি বোঝাবাহী ভারী ব্যক্তির চেয়ে অনেক সহজে সেই পথ অতিক্রম করতে পারবে। তাই আমরা আমাদের বোঝা হালকা করতে চেয়েছি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে কনকনে শীত পড়ছে। এই শীতে গ্রামের গরিব কৃষক ও রাজপথের দরিদ্র্য মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে প্রয়োজন আমাদের ইমানের দাবি পূরণ করা। শীতের আহ্বানে এগিয়ে আসা মানুষের সেবায়। আল্লাহ আমাদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ইমানি দায়িত্ব পালনের তৌফিক দান করুন। আমিন।সময়ের

​ প্রয়োজনেই আজকের এই মিড উইক এডিটোরিয়াল লিখা।

https://www.facebook.com/zishan.saleem?fref=ufi

https://twitter.com/saleemgazi

https://www.youtube.com/user/saleemgazi

https://www.ummaland.com/SALEEM_ZISHAN/[i

http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/bloglist/7099/saleemgazi

http://www.somewhereinblog.net/blog/zishansaleem



বিষয়: বিবিধ

১৯৩৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

353494
১১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৪৬
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ সুযোগ থাকলে শরীক হব।
১২ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৭
293599
জিসান গাজি লিখেছেন : আমিন।
353495
১১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:০৩
আফরা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ইমানি দায়িত্ব পালনের তৌফিক দান করুন। আমিন।
১২ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৭
293600
জিসান গাজি লিখেছেন : আমিন।
353496
১১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:১০
আফরা লিখেছেন : শীত কালে রাত বড় তাই তাহাজুদ্দ নামাজ পড়তে অসুবিধা হয় না । আবার দিন ছোট নফল রোজা রাখাও সহজ ।অনেক ধন্যবাদ ।

১২ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৮
293601
জিসান গাজি লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ।
353527
১১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৭
শেখের পোলা লিখেছেন : যার যার প্রতিবেশির সাধ্যমত সাহায্য করুন৷ যদি সবাই এটা করে বতেই বিরাট সাফ্য আসবে৷ ধন্যবাদ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File