জাতীয়তাবাদী ,ইসলামপন্থী একটিভিস্ট বন্ধু সমীপেষু ====================================
লিখেছেন লিখেছেন ভাবনার ল্যাম্পপোস্ট ১১ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:৪৯:৫৬ দুপুর
জাতি আজ কঠিন আধিপত্যবাদী শক্তির কবলে, মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে মিথ্যা ইতিহাস এবং কল্পকাহিনী তৈরীর মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভোউমত্ব আজ শকুনের থাবায় ছটপট করছে।
ভারতীয় আধিপত্যের দালাল, কোলকাতার দাদাবাবুদের সংস্কৃতির সোল এজেন্ট এই আলীগ-বাম চক্র যা করেছে…
১। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এদেশের মানুষের ত্যাগ তিতিক্ষাকে তারা উপেক্ষা করেছে
২। আমাদের হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক সমাজ চরিত্রকে সাম্প্রদায়িকতার মোড়কে বদ্ধ করতে চাচ্ছে
৩। হাজার বছরের বাংলার ইতিহাসকে ১৯৭১ থেকে শুরু করতে চাচ্ছে
৪। মুসলিম সভ্যতা এবং সংস্কৃতিকে তহাকথিত বাঙালীয়ানার বিপরীতে নিতে চাচ্ছে, পর্দা, নামাজ, দাড়ি, টুপি, মসজিদ, কুরআন মাহফিলকে সমাজে হেয় করার অবিরাম প্রচেষ্টা রাস্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় করা হচ্ছে।
৫। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির কথিত বিভেদ রেখার মাধ্যমে দেশের ১৫ কোটি মানুষকে প্রান্তিক দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে এই বাম-লীগাররা। দেশে থাকা মুক্তিযোদ্ধা, খাবার, আশ্রয়, টাকা এবং সাহায্য দেয়া সমস্থ জনগন কোলকাতায় আশ্রয় নেয়া লুটপাটকারী, মাতাল ঘুড়ে বেড়ানো কথিত ভাওতাবাজী সংগঠকদের দৌরাত্বে পৃষ্ঠ হচ্ছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা
৬। বাংলার ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছে আর্যদের, সেনদের এবং ব্রাম্ম্যন্যবাদীদের নির্যাতন, শোষণ, ধ্বংসলীলা। আজ বাম-ব্রাম্মন্যবাদিরা সেই আর্য্য সংস্কৃতি, সেন শাসন আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমাদের সেই ইতিহাস তুলে আনতে হবে।
৭। এদেশের নির্যাতিত নিপিড়িত বৌদ্ধ, নিম্ন বর্নের হিন্দু এবং মুসলমানদের মুক্তির দূত হিসাবে আবির্ভুত মুসলিম সাধক এবং শাসকদের বহিরাগত আখ্যা দেবার ভিতর দিয়ে তাদের সুশাসনকে মিথ্যা কথা দিয়ে বর্ননা করে ক্রমাগত ভাবে আর্যবাদ প্রচার করছে বাম-লীগার বুদ্ধিজীবিরা।
৮। আমাদের ইতিহাসে বৃটিশ শাসকদের শোষন নির্যাতন ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে, ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে বৃটিশদের সহায়তাকারী ব্রাম্মন্যবাদিদের নির্যাতন, ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে মুসলিম এবং দলিত হিন্দুদের উপর এই বৃটিশ এবং ব্রাম্মন্যবাদিদের সম্মিলিত নির্যাতন, শোষণ, হত্যা, লুটতরাজের ইতিহাস। ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে কেন এই বাংলার অধিকাংশ মানুষ ভারত থেকে ভাগ হতে চেয়েছিল।
৯। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় আন্দোলন বেরলোভী আন্দোলন, শরীয়তুল্লাহর আন্দোলন, তীতুমীরের আন্দোলন, আলেমদের নেতৃত্বে গঠিত সিপাহী বিদ্রোহ আমরা কিছুই জানিনা। আমরা শুধু অত্যন্ত ছোট ঘটনা নাচোল বিদ্রোহ এবং ক্ষুদিরামের ফাঁসি। এই ভাবেই এই বাম চক্র আমাদেরকে গিলে খেয়েছে।
১০। মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের ভিলেন বানানো, স্বাধীনতার ঘোষককে ডিলিট করা সবই এই ষড়যন্ত্রের অংশ।
১১। বাংলার ইতিহাস থেকে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী সহ অনেক ব্যক্তিদের ডিলিট করে দেয়া হচ্ছে।
প্রিয় ভাইয়েরা,
ইতিহাসের সত্য কথন গুলি পড়ুন। তুলে লিখুন কলমে , কিবোর্ডে এবং
প্রকাশ করুন পত্রিকা, ব্লগ এবং সামাজিক মাধ্যমে।
এটা হতে পারে এই বাংলার অন্যতম মুক্তিযুদ্ধ……
এই ভারতীয় লীগ-বামদের ইতিহাস চেতনা প্রত্যাখ্যান করুন।
এই ভারতীয়রা নয় আমরাই সাজাই আমাদের সমাজ।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮০ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি উপসংহারের এক স্হানে লিখেছেন :
"এই ভারতীয় লীগ-বামদের ইতিহাস চেতনা প্রত্যাখ্যান করুন।"
আমার অভিমত : কেহ কোন চেতনা ধারণ করলে সেই চেতনা সহজেই প্রতাখ্যান করতে পারে না । যখন তাকে বিকল্প কোন চেতনা তার সামনে যৌক্তিকভাবে উপস্হাপন করা হয় এবং তার চিন্তা ও মননে বিকল্প চেতনা প্রবেশ করে, তখনই সে তার পূর্বতন চেতনা হৃদয় হতে মুছে ফেলে । এজন্য সবার আগে আপনাকে আপনার বিরোধী চেতনার সাথে সম্পর্কিত লোকদের হৃদয়ের দরজায় করাঘাত করতে হবে ।
পরিশেষে বলছি : ১৯৭১ এর চেতনা জাগরূক থাকবে । কারণ -
১. ১৯৭১ এর চেতনা হলো নারী জাগরণের চেতনা ।
২. ১৯৭১ এর চেতনা হলো এই ভুখন্ডে প্রথম বাঙ্গালী মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র স্হাপনের চেতনা । এই চেতনার মর্মবাণী লুকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী-তে ।
৩. ১৯৭১ এর চেতনা প্রগতিশীলতার চেতনা ।
৪. ১৯৭১ এর চেতনা হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেতনা ।
অপর দিকে ১৯৭১ এর চেতনাবিরোধীদের চেতনা যেসব ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আছে -
১. ভারতবিরোধীতা ।
২. নারি বিদ্বেষ ও নারী প্রতি সহিংসতা প্রশয় দান । যেমন : জামায়াতের মওদুদী মতবাদ, হেফাজতের দেওবন্দি মতবাদ, ইসলামী আন্দোলনের চরমোনাই মতবদা .... ইত্যাদি নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করেই না, বরং নারীদের মেধা-যোগ্যতা-প্রতিভা বিকাশের অধিকার পর্যন্ত দেয় না । এলক্ষ্যে তারা ধর্মগ্রন্হ হতে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপাত্ত জনগণের কাছে উপস্হাপন করে ।
৩. উগ্র সাম্প্রদায়িক চিন্তা ও চেতনা লালন ।
যেমন : ইসলামী রাষ্ট্রের ধারণা সামনে আনার ক্ষেত্রে ইসলামী দলগুলো অমুসলিম নাগরিকদের বিন্দুমাত্র নাগরিক অধিকার দেওয়ার কথা বেমালুম চেপে যায় ।
৪.১৯৭১ এর চেতনাবিরোধীদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য-উদ্দেশ্য-কর্মসূচী নেই । তাদের চেতনা শুধুমাত্র ব্যক্তিনির্ভর । যেমন : তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়া (নিছক জিয়া পরিবারকে রক্ষা করাই এক ধরনের চেতনা এবং বিএনপির কোন নেতা-কর্মীই শহিদ জিয়ার ১৯দফা কর্মসুচী মুখস্হ বলতে পারবে না । ), যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী ব্যক্তিবর্গ (জামায়াতেরও কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য উদ্দেশ্য নেই । তাদের এক কথা : আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করবো । যদি আমরা বলি : কীভাবে ? উত্তর আসে : জামায়াতে যোগ দিন । )।
মানুষ ইতিহাস পড়ে আর স্লোগান শুনে চেতনায় উজ্জীবিত হয় না । করিজম্যাটিক নেতার কথায় জনগণ যখন জেগে উঠে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য- উদ্দ্যেশের উপর ভিত্তি করে তখনই নতুন চেতনা দেশ স্হান লাভ করে । যেমন : ইরানে ইমাম খোমেনীর ডাকে জনগণ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান স্হাপন করে ।
বর্তমান সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও ইসলামী গণতান্ত্রিক নেতাদের ডাকে জনগণ জেগে উঠেছে । ইসলামী মৌলবাদী শক্তি যে কোন চেতনারই বিরোধী । যেমন : জামায়াতে ইসলামীও সব ধরনের চেতনায় বিরোধী । কারণ চেতনা ধারণ করার জন্য মুক্তবুদ্ধি ও শুভচিন্তার প্রসার ও প্রচার জরুরী । জামায়াতে ইসলামী এই বিষয়টি কখনোই স্বীকার করেনি ।
আমার এই মন্তব্যের অনেক কিছুই অনেকের বোধগম্য হবে না । এজন্য আমি এই বিষয়ে আলাদাভাবে ব্লগপোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো ।
নতুন চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার আহবান জানানোয় আপনাকে ধন্যবাদ ।
(নিকাবী সম্প্রদায়ভুক্ত মেয়েদের এই মেয়ের কাহিনী হতে অনেক কিছু শিক্ষনীয় আছে । দয়া করে কেহ কি এই মেয়েকে অনুসরণ করবেন ? যদি করেন আমি তাকে সহযোগিতা করবো । লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩০ মার্চ, ২০১৪, ১০:৩৬:৩৫ রাত) এর পোস্ট থেকে কপি পেস্ট।
আজ সারা দেশে সোনার ছেলেদের দিবালোকে যখন ধর্ষন সেঞ্চুরী করতে দেখি, তখন কি বলা যায়, এ দেশে কোন সরকার আছে এসব দেখার জন্য?
আপনার লিখাটিতে সমাধানের কথা আসা উচিত ছিল।“
আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি : আমি ধর্মনিরোপেক্ষবাদ, শাহবাগী নাস্তিক সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ববিনাসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত অমুসলিম অশুভ শক্তির বিরোদ্ধে আমি বরাবরই সোচ্চার ।
আপনি হয়তো আমার লেখার সাথে পরিচিত নন ।
আমি সামহোয়ার ইন ব্লগ ও সোনার বাংলাদেশ ব্লগে এসব শক্তির অশুভ তৎপড়তা নিয়ে আমি বরাবরই লিখতাম । কিন্তু বর্তমানে এসব সাইট বন্ধ নয়তো আমাকে নাস্তিকদের তাবেদাররা ব্যান করেছে ।
আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি : আমি ধর্মনিরোপেক্ষবাদ, শাহবাগী নাস্তিক সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ববিনাসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত অমুসলিম অশুভ শক্তির বিরোদ্ধে আমি বরাবরই সোচ্চার ।---এক মুখে কয় কথা কন।
আপনি তো দেক্তাসি মেরুদণ্ড হীন।
উপরন্তু আমি বিএনপির রাজনীতিকেও সমর্থন করি না । সেজন্য আমি কখনোই প্রকাশ্যে বিএনপির পক্ষে যায় – এমন মন্তব্য করি না বা করলেও সতর্কতার সাথে করে থাকি ।
উপরন্তু আমার রাজনৈতিক দর্শন কখনোই আওয়ামী লীগের ধর্মনিরোপেক্ষ রাজনীতির সাথে মিলবে না ।
আমার রাজনৈতিক দর্শন হলো :
১. Social conservatism is a political ideology that focuses on the preservation of what are seen as traditional values. The accepted goals and ideologies related to preserving traditions and morality often vary from group to group within social conservatism. Thus, there are really no policies or positions that could be considered universal among social conservatives. There are, however, a number of general principles to which at least a majority of social conservatives adhere, such as support for traditional family values.
২. Economic liberalism is the ideological belief in organizing the economy on individualist lines, meaning that the greatest possible number of economic decisions are made by individuals and not by collective institutions or organizations. It includes a spectrum of different economic policies, but it is always based on strong support for a market economy and private property in the means of production.
৩. ইসলামী সাধারণতন্ত্র (Islamic Repaplic)
৪. প্রগতিশীল ও ইসলামী মূল্যবোধ নির্ভর গণতান্ত্রিক সমাজ ।
আমার প্রতিটা লেখাতেই আমার এসব দর্শনের প্রতিফলন রয়েছে ।
দেওবন্দী, ওহাবী, মওদুদী মতবাদ মতে মেয়েদের নাচ-গান-শরীর চর্চা অগ্রহণযোগ্য । আমার মতে এসব করা প্রতিটা ব্যক্তির (ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার) জন্য অপরিহার্য। কারণ আমরা সবাই একই সমাজের অংশ । সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এসবের প্রয়োজন রয়েছে । এবং এসব ব্যক্তির শরীর-মনের সুস্হতার জন্য অপরিহার্য ।
পরিশেষে বলছি :
১. বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত যদি ঢাকা শহরে স্বতস্ফুর্তভাবে ৫ লক্ষ্য লোকের সমাবেশ করতে পারে এবং আওয়ামী লীগের খুন-ঘুম-ধর্ষণ-দুর্নীতির বিরোদ্ধে বলিষ্টভাবে জনমত গঠণ করতে পারে – তাহলে আমি কথা দিচ্ছি, আমি আপনাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করবো ।
২. নিকাবী সম্প্রদায়ভুক্ত প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেন এবং বিচার চান- তাহলে আমি তাদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবো ।
আরেকটি কথা বলছি : ২০০১ এর পর বিএনপি – জামায়াত ক্ষমতায় ছিল, তারা কিন্তু আমাদের ইতিবাচক কিছুই দিতে পারেননি । তখন ছাত্র দল আর ছাত্র শিবির খুন খারাবী করে এবং জঙ্গীরা বোমাবাজি করে দেশকে অস্হিতিশীল করে রেখেছিলো । এবার যদি ১৯ দলীয় জোট ক্ষমতায় আছে, এমন হবে না – তার গ্যারেন্টি কি আপনারা আমদের দিতে পারবেন ?
যদি পারেন এবং সেই সাহস থাকে, তাহলে জনগণ আবার আপনাদের ক্ষমতার মসদনে অধিষ্ঠিত করবে । অন্যথায় জনগণ স্লোগানবাজিকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিবে না ।
৪. ১৯৭১ এর চেতনা হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেতনা ।
(বঙ্গবন্ধু তাহলে বাঙালি ছিল, বাংলাদেশী ছিল না।মুসলিম ছিল আবার অশম্প্রাদাইক ছিল)
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম @ ভাই কে বলছি। শাম্প্রদায়িকতা/ নারি আধিকার/ এইসব
শব্দ গুলার টিচার হইসে মুরগী কবিরের মত লোকজন। আর ভারত বিরধিতার কথা বলছেন,
প্রতিদিন তো আপনার বাংলাদেশ কে চুমিয়ে যায়। তাই ভারত তো ভাল লাগবেই। যতদিন
আপনাদের মত লোকদের ঘুম ভাংবে না, ততদিন এই চুম্বন চলবে।
সাম্প্রদায়িকতা, নারি আধিকার – এসব শব্দ গুলোর আবেদন সব সময়ই থাকবে । এসবের শিক্ষক যে কেহ-ই হতে পারে । চাইলে আপনিও হতে পারেন । আপনাকে তো আর কেহ শিক্ষকতা পেশায় যেতে বাধা দিচ্ছে না ।
পরিশেষে বলছি : বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী দেশ । তার চার দিকেই কথিত শত্রু দেশ (বঙ্গোপসাগরটা বলতে গেলে ভারত আর বার্মারই । কারণ সমুদ্র সীমা মামলা বার্মার সাথে বাংলাদেশ পরাজিত হয়েছে । আর ভারতের সাথে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ ।)
ভারত আর বার্মা যাতে বাংলাদেশের সাথে সম্মানজনক আচরন করে সেজন্য আমদের দেশ বাংলাদেশকে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিতে হবে । যেমন :
১.প্রতিটা নাগরিকের জন্য সামরিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা । অর্থাৎ গণবাহিনী গড়ে তোলতে হবে । এব্যাপারে আমার এই লেখাটা দেখুন ।
২.বাংলাদেশ ও বার্মায় বাংলাদেশ সমর্থক গ্রুপ ও পেশাজীবি সম্প্রদায় গড়ে তোলতে হবে ।
৩.পূর্বমুখী পররাষ্ট্র নীতিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং তার সাথে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক জোড়দার করতে হবে । এব্যাপারে সামান্য হলেও তথ্য পাবেন, আমার একটা লেখায় । সেই লেখাটা সম্ভবত এডমিন ডিলিট করে দিয়েছেন । আমি আবার সেই লেখাটা নাম ও তথ্য পরিমার্জন করে প্রদর্শন করবো ।
তাঁরা সবাই
তাঁরা সবাই আওয়ামী লোক ছিলেন, আজ ভারতের দেয়া নতুন আওয়ামী সিলেবাসের আওতায় তাদের ইতিহাস থেকে
বাদ হেওয়া হয়েছে। লীগ এখন তাদের জন্ম আথবা মৃত্যু দিবসে স্মরণ করে না। পাঠ্য পুস্তকে তাদের নাম নাই।
আলহামদুলিল্লাহ,
আপনার মত সেলেব্রিটি ব্লগার আমার পোস্টে আগমন করে আমাকে সম্মানিত করেছেন বলে সত্যই আমি আনন্দিত। আপনি ৭১’র চেতনা হিসাবে ৪ টি কথা বলেছেন।
১। নারী স্বাধীনতাঃ নারী স্বাধীনতা একটা প্রক্রিয়ার বিষয়, সুলতানা রাজিয়া কে ছিল? আর একটা ধারাবাহিক উন্নয়নের ভিতর দিয়েই তার উন্নয়ন হয়। এখন প্রশ্ন হলঃ সেটা কি? নারীর শিক্ষা, কর্ম এবং চলাচলের স্বাধীনতা। এটা কি ইসলাম বিরোধী, এটা কি জামায়াত বলে?? আমার মনে হয় দুইটা প্রশ্নের উত্তর সুস্পষ্টঃ “না”। তাহলে ঢালাও ভাবে কেন দোষ দিলেন বুঝলাম না।
২। ৭১’র চেতনার ভিতর দিয়ে কি প্রথম বাংলা রাস্ট্র হয়েছে? মনে হয় এই ধারনাটা ইতিহাসের সাথে কিছুটা অসত্যতা। পাল শাসন, সুলতানী আমল এবং মুঘল আমল আসলে বিশাল মাপের স্বাধীনতা ভোগ করা রাস্ট্র ছিল বাংলা।
৩। প্রগতিশীলতা আর সমাজতন্ত্র পরস্পর বিরোধী, তাহলে সংবিধানে সমাজতন্ত্র কেন? ইসলাম সবচেয়ে প্রগতিশীল বিশ্ব ব্যবস্থা। কিন্তু ইসলামকে আপনি মুক্তিযুদ্ধের সাথে সাংঘর্ষিক করেছেন?? ইসলামকে যারা কঠোর মৌলবাদের আবর্তে বন্দী করে তারা যেমন পাপী তেমনি স্বাধীনতার সাথে ইসলামের সংঘর্ষ সৃষ্টিকারিরা জঘন্য মাপের দেশদ্রোহী। আর বামরা, লীগাররা এই কাজটিই আঞ্জাম দিচ্ছে।
৪। ইসলাম রাষ্ট্রব্যবস্থায় সব সময় অসাম্প্রদায়িক, এর অর্থ রাস্ট্র সব ধর্মের সমান দেখে, সবার সুযোগের সমতা বিধান করে, সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। এই দর্শনের সাথে ইসলামী দর্শনের কোন বিরোধ কি আছে? জামায়াতকে আপনি বেহুদায় দোষ দিচ্ছেন। এখন আমরা বাংলার মুসলিম, হিন্দু এবং বৌদ্ধরা সব সময় একসাথে ছিলাম। বৃটিশ শাসন আমাদের “বিভেদ কর এবং শাসন কর” এই নীতিতেই উচ্চবর্নের হিন্দুদের পেট্রোনের এবং ঐ গোষ্ঠীর সহায়তার মাধ্যমে শোষন করার কারনে বিভেদরেখা তৈরী হয়। এই মিলিত গোষ্ঠীর সীমাহীন অত্যাচার, লুন্ঠনের কারনে এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের হিন্দুত্ববাদী নীতির কারনেই পাকিস্থান সৃষ্টি। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে এই বাংলায় উচ্চ বর্নের হিন্দু ছাড়া সব মুসলিম, নিম্ন হিন্দু এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায় পাকিস্থানের প্রতি সমর্থন দেয়। আসলে ভারত তার চানক্য নীতি থেকে কখনই সরবে না। তাই ভারত বিরোধীতা আমাদের স্বাধীনতার মূল মন্ত্র।
মুক্তি যুদ্ধ হয়েছিল
১ । সাম্য ২। মানবিক মর্যাদা ৩। ন্যায় বিচার
প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বপোরী গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য।
এখন এই সবগুলি হল ইসলামের শাসন পদ্ধতির বেসিক প্রিন্সিপালস।
মেকি সেক্যুলারিজমের আড়ালে ইসলাম বিরোধীতা, শোষন, দুর্নীতি এবং বাকশালী, অবৈধ এবং সমাজতান্ত্রিক শাসনের জন্য বাংলাদেশ গঠন হয় নাই। আর এই প্রিন্সিপালসগুলি প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধ নামক শব্দটা যাদুঘরে চলে যাবে।
অনেক ধন্যবাদ ফখরুল ভাই তথাকথিত তরিকতী- গড়ম সুন্নী ঢংএ জামায়াত-হেফাজত বিএনপির সমালোচনা করার মুখস্ত বুলি ছাড়ার জন্য যা আপনার সামগ্রিক যুক্তিকেই প্রশ্ন বিদ্ধ করে দিয়েছে।
ধন্যবাদ আবার ফখরুল ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন