যান্ত্রিকতা
লিখেছেন লিখেছেন আমীর আজম ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:৪৫:২৮ দুপুর
অনেকদিন আগে একটা ম্যাগাজিনে কোন
একজন বিখ্যাত লোকের
একটা লেখা পড়েছিলাম। লোকটার নাম
ভুলে গেছি।
ভদ্রলোক ভিষণ ক্রিকেট পাগল ছিলেন।
কিন্তু ওনাদের বাসায় কোন টেলিভিশন
ছিল না। তাই রেডিওতে খেলার
ধারাভাষ্য শুনতেন। আর
মাঝে মাঝে চার ছয় বলে চিৎকার
দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে উঠতেন।
অনেকদিন পর বাসায় টিভি আসল।
ভদ্রলোক খুব আগ্রহের সহিত
খেলা দেখতে বসলেন। কিন্তু
বিধিবাম। তিনি আর আগের মত
মজা পান না। তার
নাকি রেডিওতে ধারাভাষ্য শুনতেই
ভাল লাগে।
টিভি দেখলে নাকি মনে হয় সবাই
মিলে অভিনয় করছে।
এই গল্প শুনে আমরা বলি,
"বলে কি লোকটা? পাগল নাকি? রেঢিও,
হাউ ডিজগাস্টিং দিজ ইজ! "
....................................................
আমরা আগে পড়তাম টাকা চেয়ে পিতার
নিকট পত্র। কত আবেগ
দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে লিখতাম এসব
পত্র। ভাবতেই অন্যরকম
একটা ভাললাগার অনুভূতি জেগে উঠে।
আর এখনকার যুগের
ছেলেমেয়েরা পড়বে টাকা চেয়ে পিতার
নিকট ইমেইল।
"কোথায় পত্র আর কোথায় ইমেইল।
ইমেইলে কি আর পত্রের মত এত আবেগ
পাওয়া যাবে। "- এটা আমাদের
বক্তব্য।
আর ওরা বলবে, "ওহ লেঠার,
হাউ ডিজগাস্টিং দিজ ইজ! "
সত্যি আমরা অনেক বেশি যান্ত্রিক
হয়ে যাচ্ছি।
.............................................................
প্রথম যেদিন স্কুলে ভর্তি হলাম।
ক্লাস ওয়ানে। প্রথম ক্লাসেই
দেখি ছাত্র - ছাত্রীরা স্যারের
সাথে হাততালি দিচ্ছে আর চিৎকার
করে বলছে -
"গোলাপ জবা জুঁই চামেলী
শাপলা বকুল শিউলি বেলী
শিমুল পলাশ হাস্নাহেনা
সব গুলোই তো আমার চেনা। "
সেদিন হয়ত খুব মজা পেয়েছিলাম তাই
ছড়াটা এখনও মনে আছে।
আর এখন স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই
একগাদা বই। সাথে বিশাল ওজনের
ব্যাগ। বইয়ের ব্যাগ
টানতে টানতে ছাত্র -ছাত্রীদের
নাকানি চুবানি অবস্থা। আর
এদিকে মায়ের করুণ আকুতি " আমার
বাচ্চাটা যে কবে অঙ্কে 100 তে 100
পাবে। "
বিষয়: বিবিধ
৮৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন