একটি ছবি যার অনেক অর্থ!!
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তির মিছিল ১৬ আগস্ট, ২০১৪, ০২:২১:১৫ রাত
ছবিটা একটু খেয়াল করেন। এই ছবিটা আমাদের জাতি সম্বন্ধে খুব স্বচ্ছ ধারণা দেয়।
কিছুক্ষণের জন্য পলিটিকাল Inclination (কারেক্টনেস) ভুলে থাকি প্লীজ।
এই দুই চরিত্র সম্বন্ধে নতুন করে কিছু বলার নাই। শুধু এতোটুকু জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন যখন এই ছবিটা তোলা হচ্ছে ততোদিনে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে অর্থাৎ এই ছবির একজন বিজয়ী আরেকজন পরাজিত।
কিন্তু ছবি দেখলে কি বোঝা যায় কে পরাজিত আর কে বিজয়ী? নাহ বোঝা যায় না।
এটাই হোলো বাঙালির ঐতিহাসিক সমস্যা যে কারণে উপমহাদেশের কোথাও বাঙালিদের কি ইন্ডিয়ান কি পাকিস্তানী কেউ পাত্তা দেয় না। আমাদের কোনো ফ্লেয়ার নেই, কোনো প্রেজেন্স নেই। প্রায় সব জায়গায় আমরা ছোটো হয়ে থাকতে, অনুল্লেখ্য হয়ে থাকতে সাচ্ছন্দ বোধ করি।
আমি বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করছি না। এটা হলো আমাদের জাতীয় সমস্যা। ভুট্টো হলো হাড়ে হাড়ে বজ্জাত পলিটিশিয়ান কিন্তু দেখেন তাকে মনে হচ্ছে স্কুল মাস্টার আর বঙ্গবন্ধুকে মনে হচ্ছে সুবোধ স্কুল বালক। অথচ হওয়ার কথা ছিলো উল্টোটা। এই সমস্যা প্রতিটা ক্ষেত্রে, প্রতিটা স্তরে আমি দেখেছি সারা জীবন। পাইক্কারা (পাকিরা) বানচোদ আর ইন্ডিয়ানরা মাদারচোদ কিন্তু সামনাসামনি হলে আমরা (বাংলাদেশী বাঙ্গালীরা) সব ভিজা বিড়াল।
জীবনে যদি একবারের জন্যেও আপনার মনে হয় যে আমি কোনো না কোনোদিন কোনো ঠিক কথা বলেছি তাহলে অনুরোধ - ধরে নিন আমার এই কথাটাও ঠিক। আপনার সন্তান, ভাগ্নি, ভাতিজা যেই হোক তাকে চোস্ত ইংরেজি শেখান, অথেন্টিক একসেন্ট শেখান - বাকী সবটুকু সে নিজেই শিখে নেবে। এই যে বাঙালির সুবোধ বালক হয়ে থাকার আকাঙ্ক্ষা তার মূল কারণ হোলো আমাদের শিক্ষা এবং বিশেষত ইংরেজি শিক্ষা না থাকা জনিত হীনমন্যতা। যেদিন আমাদের জ্ঞান আসবে সেদিন কনফিডেন্সও আসবে দেদারসে।
জিন্না এবং নেহেরুকে মানুষ এখনো কেন মনে করে জানেন? কেননা তাদের ফ্লেয়ার ছিলো। দুইজনই শাদাদের মুখের উপর বলতে পারতো আই ডোন্ট গিভ এ ফাক। এবং কোলোনাইজাররাও তাদের সমঝে চলতো। দুর্ভাগ্যজনক আমরা এখনো ঐ রাস্তায় উঠতে পারি নাই।
মনে রাখবেন যদি আপনার ভেতরে কোনো ফ্লেয়ার না থাকে, যদি ভেতর থেকে আপনি কুল না হয়ে থাকেন আপনি উপমহাদেশ নামক বিশাল এক কনসেপ্টের অনুল্লেখ্য পাদটিকা হয়ে থাকবেন, আপনি উপমহাদেশকে ধারণ করবেন না, উপমহাদেশ আপনাকে ধারণ করবে। আর ঐটাই হোলো সকল নষ্টের গোড়া। উপমহাদেশ আপনাকে ধারণ করলে আপনি হবেন একটা ভাঁড়। হিন্দু না মুসলিম না গণতন্ত্রী না বাঙালি না সেকুলার না অমুক না তমুক না সালোয়ার কামিজ - এসব করেই জীবন পার করে দিবেন।
সূত্র: ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত!
বিষয়: বিবিধ
২৬৭৯ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বুজটাই হল আসল!
যতদিন এই করণচোদ বাঙ্গাল অথবা বানচোদ পাইক্কা অথবা মাদারচোদ মাল্লুগুলা অথবা অন্য কোন চোদনবাজ জাতি অস্ত্র-যুদ্ধবিমান-ড্রোন আর পারমানবিক বোমা নিজেরা বানাইয়া ইংলিশগো পোন্দাইতে না পারবো, ততদিন চোস্ত-চোদনে শান্ত থাকিতে হইবে, পুটকীর ব্যাথার চোটে কোন ফ্লেয়ার আসিবে না!
করনচোদ বাঙ্গাল, শালারা বোঝে না হিগার জিনিসটা আসলে কি – আর কি হিগলে ইংলিশ আচোদাগুলো বাঙ্গালের খাঙ্কির-পুত এ্যাকসেন্ট হিগতে আইবো – চোদনের ঠেলায়!
ইংলিশ চোদন খাইয়া ইংলিশ এ্যাক্সেন্টে আহঃ-উহঃ-ইহঃ কওয়া হিগা বাদ দিয়া, অস্ত্র-ড্রোন-এ্যাটমবোম বানান হিগেন –দেখবেন খাঙ্কির পুত কওয়া নোয়াখাইল্যা এ্যাক্সেন্টে হিগার জন্য ইঙ্গলিশরা পুটকী উদাম কইরা লাইনে!
আপনি যা ভাবেন তা কি বাস্তবায়ন করা যবে বা যাবে না, সেটাই হল মূল বিষয়! আমরা অনেক সুন্দর ও নিজেদের মত করে সবকিছুই ভাবতে পারি তাতে কোন সমস্যা নাই। তবে দেখতে হবে বাস্তবতার সাথে তার কতটুকু মিল আছে।
কলোনিয়াল যুগে এটা ছিল যে, কলোনিয়ালদের তাড়ানোর জন্য ওদের ভাষাকে না শিখে ওদেরকে বেকাদায় ফেলে, নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করা।
আমাদের ভাষায় আমরা সবকিছু করব, জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি করব, আর তাতেই ইংলিশরা আমাদের পিছনে ঘুরঘুর করবে--এ কল্পনা আমরা করতে পারি। তার আগে তো আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে? আর বর্তমানে সব কিছুই তো কমন ভাষা ইংরেজীতে প্রকাশ করা হয়। জাপানি-চায়নিজরাও তাদের গবেষনা এখন ইংরেজীতে প্রকাশ করে। এ ভাষাটাকে শুধু কোন জাতির ভাষা হিসাবে না দেখে, পুরা দুনিয়ার লোকদের সাথে কমিউনিকেট করার মাধ্যম হিসাবে দেখলে বেশী লাভবান হওয়া যাবে। আপনি রকেট, বোমা বানান তাতে কোন সমস্যা নাই। যখন আপনার দেশের লোকজন অন্য দেশে কামলা খাটার জন্য যাবে না, তখনই ঐ ইংলিশরা আপনার দেশে আসবে কামলা খাটার জন্য। ওরাও তখন বাংলা ভাষা শিখবে কামলা খাটার জন্য।
ভাইরে চোদন কি -- বুঝাইয়া কন
অনেক কোরীয়ান-জাপানীজ-চাইনীজ কোম্পানীর কর্তাব্যক্তিদের ইংলিশে মাষ্টার-ডিগ্রী-হোল্ডার বাংলাদেশীকে স্বল্প-মূল্যে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে ইংলিশভাষীরা কি বলে তা তর্জমার জন্য আবার পাশাপাশি কোরীয়ান-জাপানীজ-চাইনীজ ভাষার ডিপ্লোমা-ধারী বাংলাদেশীকে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশী কর্মচারীরা কি বলে তা তর্জমার জন্য। সেসব মাষ্টার-ডিগ্রীধারী ও ডিপ্লোমাধারী বাংলাদেশীদের সামান্য উপার্জনের জন্য ইঙ্গলিশ-বাংলা-জ্ঞানহীন কোরীয়ান-জাপানীজ-চাইনীজদের সামনে দু’হাদ ডলে কাচু-মাচু করতে এ বাংলাদেশেই দেখেছি এবং এখনও দেখি! আজকে কোরীয়ান-জাপানীজ-চাইনীজ-জার্মান-ফ্রেঞ্চরা প্রথমে কি শিখা দরকার তা বুঝে ও শিখে – কর্মে তার ফল দেখিয়ে এখন অন্যান্য গবেষনার পাশাপাশি অলস সময়ে ইংরেজীও শিখছে – তবে সেটা গণশিক্ষা না, এসব জাতির প্রত্যেকেই প্রথমে নিজেদের ভাষায় সমস্ত জ্ঞান তর্জমা করে কাজের-শিক্ষায়-শিক্ষিত-জাতি-ই গড়ে তুলেছে – উন্নতির শিখরে পৌছেছে।
আমাদের দেশের লোকদের যতোদিন ইংলিশ সবার আগে প্রাধান্য দিয়ে শিখিয়ে যাবো – ততোদিন এরা মাইগ্রেশন করে বেশী উপার্জনের জন্য কামলা খাটতেই যাবে, এটা-ই বাঙ্গালদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট! অনেক ধনী বাংলাদের সুসন্তান্তকে দেখেছি ইংল্যান্ড-এ্যামেরিকা-তে পড়ালেখা করে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শুধু বেঙ্গল আর বাংগী গালী খাওয়া থেকে বাচতে দেশে এসে পিতার ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছে অথবা ভালো চাকরী করছে।
আরও দেখেছি অ্যামেরিকান-ইংলিশরা কিভাবে হিংলিশ ভাষায় কথা বলা দেবযানীকে দিগম্বর করে, তাদের কুকুরের চাইতেও নিকৃষ্ট বলে আবার তারাই জি-১ ফ্লেয়ার পুশ করেছে – এরকম উদাহরন এখন ঝুড়িতেও জায়গা হয় না!
আমরা বাংলাদেশীরা কাজের শিক্ষা বাদ দিয়ে যতোদিন ইংরেজী শিক্ষাকে আসল শিক্ষা মনে করে প্রাধান্য দিয়ে যাবো – খুব বড়জোর হয়তো বাংলিশ অথবা বাংগী ফ্লেয়ার অর্জন করতে পারবো, কাজের কাজ কিছুই হবে না! হিংলিশ জাতি ফ্লেয়ার পাওয়া হিন্দিয়া জাতিরাও এখন গারী-ঘোড়া বানায় এসবের ঠেলা বুঝে আর আমরা এখনোও কি না – বাংগী ফ্লেয়ার অর্জনে ব্যস্ত!
এর আগে কার যেন একটা পোষ্টে মন্তব্য আকারে একটা আনুমানিক পরিসংখ্যান দিয়েছিলাম একজন মানুষের জীবদ্দশা হিসেব করে – তাতে করে একজন ছাত্র কতো সময় কি কি জিনিস শিখে তাও ব্যক্ত করেছিলাম! হিসেব করে দেখুনতো আমাদের ছাত্ররা প্রোডাক্টিভ-এজুকেশন বাদ দিয়ে আনপ্রোডাক্টিভ-ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে কতো সময় দেয়? এরকম একটা গ্রাজুয়েট জাতিকে কি উপহার দিবে চিন্তা করুন-তো?
তার পরেও ভেবে দেখতে পারেন - কিভাবে সাকা চৌধুরী সংসদে দাঁড়িয়ে চোদন খেয়ে চোদনা হয়ে গিয়েছিল!
এত লাইক দিয়া করুম কি!
আর এই পুরা জাতির জেগে থেকে ঘুমানোর জন্য বাংলার সুশীল ও বুদ্ধিজীবিরাই বেশী দায়ী!
মন্তব্য করতে লগইন করুন