মওদূদীবাদের (জামাত শিবির) অাসল রূপ
লিখেছেন লিখেছেন ফারহা্ন ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:০৩:১৯ রাত
মওদুদী দর্শন ও ইসলাম এক নয়। এটি অনেক আগেই হক্কানী আলেম-ওলামাদের কাছে খোলাসা হয়েছে। এ উপমহাদেশের সর্বস্তরের হক্কানী আলেম ও পীর-মাশায়েখ তাই মওদুদী দর্শনে বিশ্বাসী জামায়াতে ইসলামীকে ‘ফিতনা’ সৃষ্টিকারী ও ‘গোমরাহ’ বলে ফতওয়া দিয়েছেন।তাঁরা বলেন,
“মওদুদী নতুন ধর্ম জন্ম দেয়ার উদ্দেশ্যে স্ব-কল্পিত ভ্রান্ত মতবাদসমূহ প্রবর্তন করেই ক্ষান্ত হননি বরং মূল সত্য ইসলাম ধর্মের প্রধান বাহক শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী (সা) হতে শুরু করে সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ, তাবেতাবেঈ, আইম্মায়ে মুজতাহিদীনসহ সবশ্রেণীর দীনের ধারক-বাহক সম্পর্কে লাগামহীন সমালোচনার ক্ষেত্র বানিয়েছে।”(মিস্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম, লেখকঃ হযরত মাওলানা মুফতী মানছুরুল হক সাহেব (দা.) পৃষ্ঠা-১৪)
আল্লাহ পাক সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ “যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা, সেক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহ পাকের আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম।” (নাঊযুবিল্লাহ)(তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)
ফেরেশতা সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ “ফেরেশতা প্রায় ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেবী-দেবতা স্থির করেছে।” (নাঊযুবিল্লাহ)(তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)
পবিত্র কুরআনের তাফসীর সম্পর্কে মওদুদীর মন্তব্যঃ“কুরআন শরীফের মনগড়া ব্যাখ্যা করা জায়েয।”(তরজমানুল কুরআন ১৩৫৫ হি.)
তিনি বলেন,“তাফসীরের পুরাতন ভান্ডার হতে ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন নেই।”(তানকীহাত, পৃ.১৪৪)
মওদুদী বলেন,“কুরআনুল করীম হেদায়েতের জন্য যথেষ্ঠ, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।”তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)
মহানবী (সা)-এর সুন্নাহ অনুসরণ সম্পর্কে মওদুদী বলেন,“নবী করীম (সা)-এর আদত-আখলাককে সুন্নত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরণের বিদআত ও ধর্ম বিকৃতির নামান্তর।”(রাসায়েল মাসায়েল ১/২৪৮)
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে মওদুদী আরো বলেন।“আরবের মধ্যে উপযুক্ত লোকদের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন বলেই তো রাসূলুল্লাহ (সা) সফলকাম হয়েছিলেন। অন্যথায় তিনি কি এই সফলতা লাভ করতে পারতেন?”(তাহরীকে জামায়াতে ইসলামী কী আখলাকী বুনয়াদ, পৃষ্ঠা-১৭);
“আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিংবা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন।”(তাফহিমুল কোরআন (বাংলা) ১৯শ খণ্ড, ২৮০পৃ. মুদ্রনেঃ ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা ১৯৮০ ইং এবং কোরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা (বাংলা) ১১২পৃ. ৮ম প্রকাশ, আধুনিক প্রকাশনী: জুন ২০০২)
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।”(তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ. ও তরজমানুস্ সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।”(তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী)
হযরত মুহাম্মদ (সা.) রিসালাতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন, তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।(তাফহীমুল কুরআন, সুরায়ে নসর এর তাফসীর)
মওদুদী বলেন,“নবীগণ মাসুম নন। প্রত্যেক নবীর দ্বারাই কিছু না কিছু গুনাহ সংঘটিত হয়েছে।”(তাফহীমাত ২/৪৩);
“কোন কোন নবী দ্বীনের চাহিদার উপর অটল থাকতে পারেননি। বরং তাঁরা আপন মানবীয় দূর্বলতার কাছে হার মেনেছেন।”(তাফহীমুল কুরআন ২/৩৩৪);
“নবী হোক বা সাহাবা হোক কারো সম্মানার্থে তার দোষ বর্ণণা না করাকে জরুরী মনে করা আমার দৃষ্টিতে মূর্তিপুজারই শামিল।”(তরজমানুল কুরআন,সংখ্যা ৩৫, পৃষ্ঠা ৩২৭);
“হযরত ইউনুস (আ) ঠিকমত নবুয়তের দায়িত্ব পালন করেন নি।”(তাফহীমুল কুরআন ২/৯৯)এবং
“হযরত ইব্রাহীম (আ) ক্ষণিকের জন্য শিরকের গোনায় নিমজ্জিত ছিলেন।”(তাফহীমুল কুরআন ১/৫৫৮)
বিষয়: বিবিধ
১২৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন